Tuesday, September 10, 2013

বাংলাদেশীরা ইংলিশে দুর্বল কেন ?

ঢাকা ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় (এবং অন্যান্য সব পাবলিক পরীক্ষায়) যে ইংলিশ প্রশ্ন থাকে, তার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা যাচাই করা। কেননা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা অন্য যেকোন ভার্সিটিতে অধিকাংশ কোর্সের বেশীরভাগ text বই-ই হলো ইংলিশে। সেই সব text বইয়ের ইংরেজি পড়ে তো বুঝতে হবে।

কিন্তু বহু ছাত্র-ছাত্রীই
(plus,দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশ)
ইংলিশ বই পড়তে comfortable feel করে
না এবং ইংলিশ বই পড়ে বুঝতে গিয়ে
বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে।
Interesting ব্যাপার হলো, এই সমস্যা কিন্তু গ্রামারের দুর্বলতার জন্য নয়। কেননা, স্কুল/কলেজে ইংলিশের শ্রদ্ধেয় স্যারদের কাছে বহু গ্রামারই ছাত্ররা পড়ে ও শিখে। Voice, narration, tense, right form of verb প্রভৃতি বহু ধরনের গ্রামারই স্কুল-কলেজ ও ভার্সিটিতে পড়ে। এরপরও বাংলাদেশের ৯০% student এবং শিক্ষিত লোকেরই সমস্যা হলো ইংলিশ text পড়ে তৃপ্তি মতো বুঝে না।

তার মানে, বহু গ্রামার পড়েও
বাংলাদেশীরা ইংলিশে দুর্বল !

ভুক্তভোগীদের ভাষায় বললে বলতে হয়:
“ইংলিশ দেখলেই জ্বর আসে !”
প্রশ্ন হলো, আসল কারণটা তাহলে কী এবং সমাধানই বা কী? আপনিও নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, ৯০% Student কে (বা অন্য যে কোন শিক্ষিত ব্যক্তিকে) ইংলিশ বই/পেপার, magazine/journal পড়তে বললে দু/চারদিনের বেশী continue করে না বা করতে পারে না। এর প্রধান কারণ, তারা ইংলিশ passage পড়ে ঠিক মতো বুঝে না।

এই কথাটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ :

প্যাসেজের ইংলিশ বাক্যগুলো ছাত্ররা বুঝে না।
তার মানে, ইংলিশ বাক্যের বক্তব্য
সে ধরতে পারে না।
ফলে, ইংরেজি পড়ে সে তৃপ্তি পায় না।
অথচ, এই সব student- তো SSC+HSC মিলিয়ে ১০/১২ বছরে প্রচুর গ্রামার পড়ে এসেছে। ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় (এবং অন্যান্য বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা যেমন: SSC/HSC প্রভৃতিতে) গ্রামারের উপর জোর দেয়াতে student- রা বুঝে, না বুঝে খালি গ্রামারই মুখস্থ করে! ফলে eventually যা হয়, তা হলো, ইংলিশ বলার-লেখার-বোঝার দক্ষতা সৃষ্টি না হওয়াতে দীর্ঘদিনের গ্রামার শেখাটাও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

Interesting ব্যাপার হলো, আন্তর্জাতিক সব পরীক্ষায়
ইংলিশের দক্ষতা যাচাই করা হয় Reading passage- মাধ্যমে!

ইংরেজির দক্ষতা মাপার বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় যেই IELTS পরীক্ষা, সেই IELTS পরীক্ষায় গ্রামারের জ্ঞানকে কিন্তু যাচাই করা হয় না, বরং IELTS-এ যাচাই করা হয় ভাষাজ্ঞানকে, তার মানে, ইংরেজি পড়ে বোঝে কিনা! এজন্য  IELTS-এ থাকে reading comprehension| IELTS -এ গ্রামারের একটিও প্রশ্ন নেই। আচ্ছা, বলুন তো,
IELTS develop-কারী
Cambridge University- র ভাষা বিশেষজ্ঞগণ
IELTS পরীক্ষায়
কোন গ্রামার রাখলেন না কেন ?
কেন ? কেন ?
এর কারণ হলো
গ্রামার শেখা তো আসল উদ্দেশ্য নয়।
আসল উদ্দেশ্য হলো-
ইংরেজি ভাষা মুখে বলা,
পড়ে বোঝা, শুনে বোঝা,
ইংলিশে ইচ্ছামত লিখতে পারা।
তাই, ইংরেজির দক্ষতা কেমন, তা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষার্থীকে passage  পড়তে দিয়ে যাচাই করতে হবে।
 USA-তেও কিন্তু ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা আছে।
সেটার নাম হলো SAT / GRE / GMAT প্রভৃতি। এগুলোর প্রতিটিতেই ইংলিশ প্রশ্ন হয় passage কেন্দ্রিক। মোট কথা, ইংলিশের দক্ষতা যাচাই করার জন্য বিদেশে যত পরীক্ষা আছে (SAT / GRE /GMAT, IELTS), সেগুলোর প্রতিটিতেই Reading Comprehension-কেন্দ্রিক প্রশ্ন থাকে পরীক্ষার্থীদের ইংলিশর দক্ষতা যাচাই করার জন্য।
বাংলাদেশীরা ইংরেজিতে পিছিয়ে থাকার
১ মাত্র কারণ হলো :
ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা
+
বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা
এবং
আন্তর্জাতিক পরীক্ষার
ইংরেজি প্রশ্নের ধরনের বিশাল পার্থক্য !
অতএব, ইংলিশের দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য যদি
International system follow করে
বাংলাদেশে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষাতে এবং
অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষাতেও
Reading passage দেয়া হয়,
তবে ultimately student-রাও বাধ্য হয়ে স্কুল/ কলেজের text বইয়ের ইংলিশ passage বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবে। এতে student- দের ইংরেজির দক্ষতা বাড়বে। এই লেখাটি নিয়ে কূটতর্কে না যেয়ে, মেহেরবানী করে, বিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ ও নীতিনির্ধারকগণ একটা নিষ্ঠুর বাস্তবতাকে নিজেদের সামনে রাখলেই করণীয় কী কী, তা ঠিক করাটা সহজ হবে। বাস্তবতাটা হলো :
ইংলিশ লেখায় ভরা বই দেখলেই
দেশের ৯০% শিক্ষিত ব্যক্তির মনে
বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়।
ভার্সিটির টিচারদেরও যে সমস্যা
বাংলাদেশের বিভিন্ন ভার্সিটির সম্মানিত শিক্ষকদের অনেকেই যে USA / Canada / UK-তে কাঙ্খিত scholarship পান না, এবং ফলে ঐ সব দেশে higher studies-এ যে যেতে পারেন না, তার একটা প্রধান কারণ হলো, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পরীক্ষা IELTS, GRE, GMAT, TOEFL-এ ভালো score তুলতে না পারা। আর ভালো score তুলতে না পারার main  কারণ কিন্তু ঘুরে-ফিরে একটাই: আন্তর্জাতিক পরীক্ষাগুলো হলো ইংলিশ passage  কেন্দ্রিক। এই সব passage  পড়ে না বুঝতে পারাতেই তাদের এই সমস্যা। এই একই সমস্যায় ভোগেন-
সরকারী / বেসরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তা 
যারা পড়তে কিংবা বিভিন্ন ট্রেনিং কোর্সে বিদেশে যান। মূল সমস্যা কিন্তু একটাই – ইংলিশ text বা passage  পড়ে তৃপ্তি মতো না বুঝা।
আর এর প্রতিকার বা প্রতিষেধক হলো :
সব পাবলিক পরীক্ষায়
IELTS / GMAT-এর মতো
Reading Comprehension
ভিত্তিক প্রশ্ন বেশী দিতে হবে।
এই লেখাতে কোনো তথ্য/উপাত্ত দেয়া হয়নি। তথ্য/উপাত্ত পেতে চাইলে এই মুহূর্তে
আপনার আশে-পাশের
যে কোন ৫ জন লোককে
randomly ডেকে আপনার সামনের টেবিলের যেকোন একটা English paper, বই বাmagazine  (Daily Star, Time / Newsweek / Reader’s Digest)  থেকে ১-টা ১-টা করে ৫-টাsentence  জোরে জোরে পড়তে বলুন, এবং তারপর ঐ বাক্যের অর্থ জিজ্ঞেস করুন !
হাতে-নাতে প্রমাণ পেয়ে যাবেন যে,
এই প্রবন্ধের বক্তব্য কতটা
হৃদয়বিদারক সত্য!!
ঢাকা ভার্সিটিতেই যে দুটো
BBA ডিগ্রী দেয়া হয়,
ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি প্রশ্নের
তারতম্যের কারণে সে দুটো
BBA-র চাহিদা নিয়েও
পার্থক্য আছে।
এর একটা বড় কারণ হলো,IBA-এর BBA ভর্তি পরীক্ষায় ইংলিশের উপরে যে জোড় দেয়া হয়, বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টির তথা C-unit-এর ভর্তি পরীক্ষায় সেই তুলনায় অনেক সহজ ইংরেজি প্রশ্ন দেয়া হয়। ফলে ইংরেজিতে যারা বেশি ভালো, তারা IBA-এর BBA-তে সহজে চান্স পায়। এই ব্যাপারটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিরাও জানে। এই কারণে Business Studies Faculty–র BBA- দের চেয়ে তুলনামূলকভাবে IBA-র BBA-রা বড় বড় কোম্পানীতে সহজেই জব পেয়ে যায়।
আর এরও কারণ ঘুরে-ফিরে ঐ ইংলিশ।
ইংলিশের সাথে সম্পর্কযুক্ত বলেই এখানে আরেকটি প্রাসঙ্গিক ব্যাপার উল্লেখ করা হচ্ছে। জাতীয় দৈনিকেও প্রকাশিত হয়েছে যে, গবেষণা কম হয় বলে এক সময়ের প্রাচ্যের Oxford
ঢাকা ভার্সিটির World Ranking নেমে গিয়েছে।
এই গবেষণা কম হওয়ার বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হলো, গবেষণার জন্য যত বিদেশী বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন পড়তে হবে সবই তো ইংলিশে লেখা। ফলে, গবেষক, ছাত্র বা শিক্ষকের পক্ষে উঁচু মানের গবেষণা করা কঠিন হয়ে পড়ে। …..

ইংরেজী কথোপকথনের জন্য যে পাঁচটি নিয়ম আপনার জানা দরকার!

1. Don't study grammar too much
আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি যদি ইংরেজীতে কথা বলতে অভ্যস্ত হতে চান তাহলে আপনাকে ইংরেজী শিখতে হবে ইংরেজী গ্রামারের দিকে ভ্রুক্ষেপ না করেই। কারণ ইংরেজী গ্রামার আপনাকে ধীরগতি এবং সন্দেহপূর্ণ করে তুলবে। যখন বাক্য তৈরি করবেন তখন স্বাভাবিক বাক্য তৈরির চেয়ে আপনি শুধু নিয়মের কথাই চিন্তা করবেন। আপনি আশ্চর্য হবেন যারা ইংরেজীতে কথা বলে তাদের মাত্র ২০% লোক গ্রামার জানে। আপনি আরো আশ্চর্য হবেন যারা ইংরেজ নন তারা ইংরেজদের চেয়ে ভালো ইংরেজী গ্রামার জানেন।
2. Learn and study phrases
আপনি অনেক শব্দ জানেন কিন্তু সঠিকভাবে বাক্য তৈরি করতে পারেননা এটা আশ্চর্য এর বিষয় নয়কি ? এর কারণ কি? কারণ আর কিছু নয় ; ইংরেজী phrases সম্পর্কে তারা কোন প্রকার লেখাপড়া করেনা। সুতরাং আপনাকে যেমন জানতে হবে words তেমনি জানতে হবে phrases সম্পর্কে । আপনি 1000 words জানেন কিন্তু আপনি একটি সঠিক বাক্য তৈরি নাও করতে পারেন। আবার আপনি একটি phrases জানেননা তখন আপনি শত শত সঠিক বাক্য তৈরি করতে পারবেন। আপনি যদি 100 টি phrases জানেন, তাহলে আপনি নিজেই আশ্চর্যন্বিত হয়ে যাবেন কত শত শত বাক্য আপনি বলতে পারছেন। সুতরাং আপনি 1000টি জানেন মানে আমরা নিশ্চিত আপনি একজন দক্ষ ইংরেজী কথক।
Don't translate
আপনি যখনই ইংরেজী বাক্য তৈরি করতে যাবেন তখন ঐ বাক্যকে কখনো আপনার মাতৃভাষায় অনুবাদ করতে যাবেননা। যেহেতু উভয় ভাষার শব্দ শৃঙ্খল ভিন্ন। ফলে আপনি এটা করলে আপনি ভুল করবেন। তার চেয়ে আপনি phrase শিখুন এবং বাক্য শিখুন আপনার চিন্তা করতে হবেনা শব্দ সম্পর্কে যেগুলো কথা আপনি বলছেন। এটা আপনাআপনিই চলে আসবে।
অন্য সমস্যা হচ্ছে আপনি যে দুটো ভাষাকে মেলাতে চাচ্ছেন তাদের ব্যাকরণগত কোন মিলই নেই। মনে রাখবেন অনুবাদ এবং ইংরেজী বাক্য তৈরির ব্যাপারে ব্যাকরণ সম্পর্কে চিন্তা করা সঠিক হবেনা । আপনাকে এটা অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে।
3. Reading and Listening is NOT enough. Practice Speaking what you hear!
Reading, listening, and speaking এই তিনটি যে কোন ভাষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । যা ইংরেজীর জন্য ও একইভাবে প্রযোজ্য। তারপরেও কথা বলার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন speaking এর অনুশীলন ।একজন শিশু প্রথমে বলে তারপর পড়ে এবং তারপর লিখে। কিন্তু আমরা স্বাভাবিকভাবে প্রথমে শুনি তারপর বলি ,তারপর পড়ি, এবং তারপর লিখি। তাহলে আমরা কোথায় সমস্যায় পড়ি?
First Problem
এটা আশ্চর্যের বিষয় নয়কি যে, সারা বিশ্বের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রথমে পড়তে শিখায়, তারপরে লিখতে, তারপর শুনতে এবং তারপর বলতে ? যেহেতু ইংরেজী আমাদের দ্বিতীয় ভাষা বলে কি ? অথচ স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে listening, speaking, reading, then writing আমাদের শেখানো হয় reading, listening, speaking, then writing. পদ্ধতিতে।
Second Problem
আমরা দেখি অধিকাংশ মানুষ প্রথমে পড়ে এবং তারপর শুনে । কিন্তু আমাদের দ্রুত কথা বলার জন্য প্রথমে speaking অভ্যাস করা প্রয়োজন। সঙ্গে কখনও শুনার ব্যাপারটা বন্ধ করা যাবেনা। যখন পড়বেন তখন শুধু শুনবেননা। যখনিই বলবেন কখনও চুপিসারে না বলে বড় আওয়াজ করে বলবেন। আপনি এটা এমনভাবে বড় করে আওয়াজ করবেন যাতে আপনার মুখ এবং মস্তিষ্ক কোন প্রকার চেষ্টা ছাড়াই সেটা সম্পাদিত করে।
4. Submerge yourself
স্মার্টনেস দেখানোর জন্য আপনি কথা বলবেননা। যে কেউ চেষ্টা করলে যে কোন ভাষাই কথা বলতে পারে। এটা একটা প্রমাণিত সত্য। প্রত্যেকে যে কোন একটি ভাষাই কথা বলতে পারে। আপনি বুদ্ধিমান হোন অথবা কম বুদ্ধিমান হোন ।
আপনার দেশে আপনার ভাষা আপনি প্রতিনিয়ত শুনেন এবং আপনি বলেন আপনি লক্ষ্য করবেন যে, অনেক লোক যারা ইংরেজী স্কুলেই লেখাপড়া করে তারা ভাল ইংরেজীতে কথা বলে । তার ইংরেজী স্কুলে লেখাপড়া করে বলেই কি তারা ইংরেজীতে কথা বলতে পারে? আদৌ তা নয় ; বরং তারা এমন একটা পরিবেশ পায় যার চারদিকের মানষগুলো সর্বদা ইংরেজী ব্যবহার করে।
কিছু লোক যারা বিদেশে লেখাপড়া করে তারা খুব কমই শিখে কারণ তার শুধু ইংরেজী speaking school গিয়েছিল মাত্র কিন্তু সেখানে তাদের দেশের অন্যান্য ছাত্ররাও ছিল বলে তারা সবসময় দেশী ভাষা ব্যবহার করত ইংরেজী ব্যবহার করতনা।
সুরতাং বুঝাই যাচ্ছে আপনারা ভাল ইংরেজী কথক হতে পারবেন যদি আপনার পরিপার্শ্ব সেরকম হয় । আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে সবসময় ইংরেজীতে কথা বলবেন। দেখবেন খুব অল্প সময়ে আপনি আপনি একজন ভাল ইংরেজী কথক হয়ে উঠছেন।
5. Study correct material
"Practice makes perfect." এইআপ্তবাক্যটা সবসময় সত্য নাও হতে পারে। কারণ অভ্যেসটা আপনার সবসময় করতে হবে। আর আপনি যদি ভুল ইংরেজী বাক্য ব্যবহার করেন তাহলে আপনি ভুল ইংরেজী বাক্য ব্যবহার করতেই শিখবেন। সুতরাং আপনাকে অধিকাংশ লোক সাধারণভাবে যে material গুলো ব্যবহার করে সেগুলো অধ্যয়নভুক্ত করতে হবে।
অন্য যে সমস্যাটা তাহলে ইংরেজী অধ্যয়নকারীরা পত্রিকা পড়ে কিন্তু তারা পত্রিকার নিউজ বিশেষ করে রাজনীতি জাতীয় বিষয়গুলো তারা পড়ে । তারা দৈনন্দিন জীবন বিষয়ক বিষয়গুলো তারা ব্যবহার করেনা। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা যা পড়ছি বা বলছি তা আমরা বুঝতে পারছি কিনা ।
আশা করা যায়, এই নিয়মগুলো আপনাকে দ্রুত ইংরেজীতে কথা বলতে সাহায্য করবে।

Saturday, August 31, 2013

ভাইভা বোর্ডে সফলতার ১০টি টিপস

একটি সফল ইন্টারভিউ হলো একজন চাকরি প্রার্থীর জীবনের সফলতার জন্য অপরিহার্য একটি অধ্যায়। তাই ভাইভা চলাকালীন সময় প্রার্থীকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, যাতে ভাইভাটা সবদিক থেকে সাফল্য মন্ডিত হয়। নিজেকে যথা সম্ভব সংযত রেখে ধীরস্থির ভাবে প্রশ্নকর্তার উত্থাপিত সমস্যার সমাধান দিতে হবে। নিজেকে প্রকাশ করতে হবে সাবলীলভাবে। ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ, বসা, বেরোনো ও উত্তর দেয়ার সময় প্রার্থীর আচরন ও কথোপকথন দ্বারা নির্ধারিত হয় প্রার্থীর সফলতা বা ব্যর্থতা। নাটক বা যাত্রার শিল্পীরা মাসের পর মাস ধরে নাটক যাত্রার অনুশীলন করে শুধুমাত্র একদিন নাটক বা যাত্রাটি দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য। একজন চাকরি প্রার্থী হিসেবে নিয়োগকর্তার সামনে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য আপনার প্রস্তুতি কতটা নিখুঁত বা কতটা পূর্ব প্রস্তুতিমূলক? এখানে ভাইভা বোর্ডে অবশ্য পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো যা একজন চাকরি প্রার্থীর সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১• অনুমতি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে সালাম
জানাতে হবে। পরীক্ষকগন বসতে বললে বসতে হবে এবং বসতে না বললে একটু অপেক্ষা করে অনুমতি নিয়ে বসতে হবে। অনুমতি ব্যতিত বসা যাবে না। বসার সঙ্গে সঙ্গে ধন্যবাদ জানাতে হবে। সোজা হয়ে বসুন, পায়ের উপর পা তুলে অথবা পা দুটো আড়াআড়ি করে বসা যাবে না। হাত দুটো টেবিলের উপরে রাখা যাবে না। ভাইভা যারা নিবেন তাদের দিকে সোজাসুজি তাকান, মাটির দিকে বা ঘরের কোণ বা ছাদের দিকে তাকাবেন না।
২• নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন।
আত্নবিশ্বাসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন।

৩• একজন প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার
সময় অন্যদের দিকে তাকাতেও ভূলবেন না। অতি সুকৌশলে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং উত্তম গুনাবলী ও জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে পরীক্ষকগনকে ধারনা প্রদানের চেষ্টা করুন।
৪• মনোযোগ দিয়ে প্রথমে প্রশ্নটি শুনুন ও বোঝার চেষ্টা করুন। প্রথমবারে যদি প্রশ্নটি বুঝতে না পারেন তবে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আর একবার প্রশ্নটি করতে বলুন।
৫• উত্তর দেয়ার সময় প্রত্যেকটি শব্দ স্পষ্ট
করে এমনভাবে উচ্চারন করুন যেন সবাই শুনতে পায় এবং খেয়াল রাখুন উত্তরের সাথে যেন আপনার আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়। সময় নষ্ট না করে উত্তর দিন। জানা না থাকলে কালক্ষেপন না করে দ্রুত বলুন, দুঃখিত আমার জানা নেই। অগোছালো ভাবে এদিক সেদিক না ঘুরিয়ে যথাযথ উত্তর দিতে হবে। যুক্তির সাথে বক্তব্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
৬•আচরনে কোন প্রকার জড়তা রাখা যাবে
না। গোমরা মুখে থাকবেন না। নিজেকে হাসি হাসি মুখ করে রাখুন। ভাইভা যারা নিচ্ছেন তাদের সঙ্গে ভুলেও (যদি ঐ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার ইচ্ছা থাকে) তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধ মত জানানোর আগে বিনয়ের সাথে বলবেন- মাফ করবেন বা কিছু মনে করবেন না বলে নিন। কর্কশভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়া বাঞ্চনীয় নয়। উঁচু গলায় প্রশ্ন এলেও উচু গলায় উত্তর দেয়া যাবে না। স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দিন।
৭• মুদ্রাদোষ গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন
থাকুন। গোঁফে হাত বুলানো, চুল ঠিক করা, নাক চুলকানো, টাই ঠিক করা, গলা দিয়ে শব্দ করা বা জামা কাপড় ঠিক করবেন না। নিজে নিজে হ্যান্ডশেক করার জন্য আগে হাত বাড়াবেন না। নিয়োগকর্তাগন যদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়ান তাহলে মোলায়েম ভাবে করর্মদন করুন।
৮• আবেগ তাড়িত হয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাবে না। উত্তর দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ব্যক্তি, সমষ্টি, জাতি, ধর্ম বা রাষ্ট্র সম্পর্কে কোন প্রকার অবমাননাকর বা অপ্রীতিকর কথা বেয়িয়ে না যায়।
৯• যে কোন বিষয়ে কোন অজুহাত না দেখিয়ে এবং কোন তথ্য সম্পর্কে ছলনার আশ্র্রয় না নিয়ে সততার পরিচয় দিন।
১০• নিজেকে উপস্থাপন করুন
আকর্ষণীয়ভাবে। যেমনটি কোন পণ্যের দক্ষ বিক্রেতা করে থাকেন। যেমনঃ
- নিয়োগকর্তা কি কি গুণ আপনার মধ্যে খুঁজে পাবেন।
- গুন ও মূল্যগত দিক দিয়ে প্রার্থী হিসেবে আপনি কেন অন্যদের থেকে আলাদা এবং আপনাকে নিলে নিয়োগকর্তা কিভাবে লাভবান হবেন।
- প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য আপনি কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেন।
- আপনার উল্লেখ করার মতো কোন সাফল্যের বিষয় থাকলে বিনয়ের সাথে বলুন।
পরিশেষে বিদায় নেবার সময় সবাইকে ধন্যবাদ দেয়ার পর, সালাম দিয়ে বিদায় নিন।
ভাইভা বোর্ডে আপনাকে যে প্রশ্ন করা হতে পারে
এক একটি পরীক্ষার ভাইভার ধরন এক এক রকম হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ভাইভার প্রশ্ন এক রকম আবার ক্যাডেট কলেজে ভর্তির ভাইভা অন্যরকম। বিসিএস পরীক্ষার ভাইভা আবার সম্পূর্ন আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা,ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ,আর্মির আইএসএসবির ভাইভা এবং বিসিএস ভাইভা পরীক্ষার সহায়িকা গাইড বইগুলিতে নমুনা প্রশ্ন দেয়া আছে। এখানে শুধু কোম্পানি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কেমন প্রশ্ন করা হয় তার কিছু নমুনা প্রশ্ন দেয়া হলো।(প্রশ্নগুলো নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত কোম্পানির হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারগনের নিকট থেকে এবং আমেরিকার মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর উইলিয়াম জি•নিকেল্‌স এবং ফরেষ্ট পার্কের সেন্‌ট লুইস কমিউনিটি কলেজের প্রফেসর জেমস্‌ এম মেকহিউগ এবং সুসান এম ম্যাকহিউগ এর বই থেকে। এছাড়াও কিছু প্রশ্ন নেয়া হয়েছে আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির জব প্লেসমেন্ট অফিসার ফ্র্যাঙ্ক এস এন্ডিকট এর রিসার্স পেপার থেকে)। পাঠকদের জানাচ্ছি যে,বর্তমান কর্পোরেট কালচারের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও চাকরি প্রার্থীদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে এই প্রশ্নগুলো ইংরেজীতে দেয়া হলো যাতে নিয়োগ প্রার্থীরা নিজেদেরকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে পারেন।
1.How would you describe yourself? Introduce yourself?
2. What are your hobbies?
3.How did you choose this company?
4.What are your long-range career goals?
5.What experience have you had in this type of work?
6.Which accomplishments have given you the most satisfaction?
7.Why did you decide to go to this particular discipline/field/subject /profession?
8.How did you spend your vacation while in university?
9.Are you willing to travel (or move)?
10.Why should we hire you?
11.What things are the most important to you in a job?
12.Who is your favorite person?
13.Tell us an interesting story/memorable event of your life?
14. In what type of position are you most interested?
15. Why do you think you might like to work for our Company?
16. What courses did you like best? Least? Why?
17. What do you know about our company?
18. What qualifications do you have that make you feel that you will be successful in your field?
19. What extracurricular offices have you held?
20. What are your ideas on salary? How much money do you hope to earn at age 30? 40?
21. How do you feel about your family?
22. Do you prefer any specific geographic location? Why?
23. What personal characteristics are necessary for success in your chosen Field?
24. What is your fatherÕs occupation?
25. Are you looking for a permanent or temporary job?
26. Do you prefer working with others or by yourself?
27. What kinds of boss do you prefer?
28. Can you take instructions without feeling upset?
29. How did previous employers treat you?
30. Can you get recommendations from previous employers?
31. Do you like routine work?
32. Are you willing to go where the company sends you?
33. What is your greatest strengths and weakness?
34. What jobs have you enjoyed the most? The least? Why?
35. Would you prefer a large or a small company? Why?
36. Are you interested in research?
37. To what extent do you smoke?
If you will take the time necessary to write out brief answers to each of the questions on above mentioned list, it will help you to clarify your own thinking and establish ready answers.

Friday, August 30, 2013

নির্ভুল ইংরেজি শিখুন সহজেই

ইংরেজি জানা ছাড়া আজকাল দৈনন্দিন জীবনে চলাটা খুব কঠিন হয়ে যায়। যদি আপনি ছাত্র হন, তবে উচ্চশিক্ষার বেশিরভাগ বই গবেষণাপত্র ইংরেজিতেই লেখা। আবার আপনি যদি চাকরিজীবী হন কোনো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে, তবে ভালো ইংরেজি জানাটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য একেবারেই জরুরি। কিংবা আপনি হতে পারেন সাহিত্য বা জ্ঞানপিপাসু, সে ক্ষেত্রে বিশ্বের সব ভাষায় লেখা সেরা গ্রন্থগুলো অনূদিত হয় কিন্তু ইংরেজিতেই। সে ক্ষেত্রেও এই ভাষার উপরে ভালো দখল আপনাকে সহায়তা করবে। এছাড়া যে দেশেই যান না কেন এই আন্তর্জাতিক ভাষার প্রয়োজন আপনার পড়বেই পড়বে। হয়তো ভাবছেন আপনার সময় নেই, কিংবা ছাত্রজীবন পার করে এসেছেন তাই আর সম্ভব নয়। কিন্তু এটা আসলেই কোনো কঠিন বিষয় নয়। বরং অযথা ভুলভাল ইংরেজি বলার চাইতে নিজের চেষ্টাতেই শিখে নিন নির্ভুলভাবে ভাষাটি। তেমন আহামরি বাড়তি সময় ব্যয় না করেই সহজে ইংরেজি শিখতে আপনার জন্য রইল কিছু টিপস একটু পালন করার চেষ্টা করুন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নিজের উন্নতিতে বিস্মিত বোধ করবেন।
) শব্দভাণ্ডার বাড়ান : শব্দভাণ্ডার বাড়ান। বেশিরভাগ সময়ে যা হয় তা হলো, ব্যাকরণ ভালো জানা সত্ত্বেও আমরা সঠিক সময়ে সঠিক শব্দের প্রয়োগ করতে পারি না। তাই, ইংরেজির শব্দভাণ্ডার বাড়াতে হবে আগে। প্রয়োজনীয় শব্দগুলোর ইংরেজি প্রতিশব্দগুলো রোজ কিছু কিছু করে শিখে ফেলুন।
) মুভি দেখুন : বাড়িয়ে বলছি না একটুও। মুভি দেখা আপনার ইংরেজি জ্ঞান বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই। ব্রিটিশ আমেরিকান মুভিগুলো দেখার চেষ্টা করুন। প্রথম দিকে সাবটাইটেলসহ মুভি দেখুন। এতে আপনি উচ্চারণ শুনে বুঝতে না পারলে তা লেখার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন। এভাবে আপনার লিসনিং এর দক্ষতা বাড়বে। এর পর ধীরে ধীরে সাবটাইটেল ছাড়া মুভি দেখুন। দেখবেন আপনি সাবটাইটেল ছাড়াই অনেকটাই বুঝতে পারছেন। এভাবে ধীরে ধীরে এক সময়ে পুরোটাই বুঝতে সক্ষম হবেন।
) শুনুন : ইংরেজি গান শুনুন। প্রথম দিকে ধীরলয়ের। লিরিকস হাতে রাখুন। ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে নিতে পারেন। মুভির মতোই কিছুদিন পরে আপনার আর লিরিকসের প্রয়োজন পড়বে না। এতে শুধু আপনার শোনার দক্ষতাই বাড়বে না, বরং শব্দভাণ্ডারও বাড়বে।
) গ্রামার চর্চা করুন : গ্রামার লাগবেই। তাই গ্রামারের নিয়মগুলো বই থেকে রোজ কিছু কিছু হলেও চর্চা করুন। কাজে লাগবে।
) পত্রিকা পড় : প্রতিদিন ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথম কিছুদিন শুধু হেডলাইনগুলো পড়ন। যে যে শব্দগুলো নতুন মনে হচ্ছে সেগুলোর অর্থ জেনে নিন। এরপর কিছু ি ছোট ছোট আর্টিকেলগুলো পড়ন। তারপর বড়গুলো। মনে রাখবেন, এক দিনেই পুরো পত্রিকা পড়ার দরকার নেই, এতে সাহ বাড়ার বদলে হতাশ হয়ে যেতে পারেন। ধীরে ধীরে এগোন।
) সঙ্গে একটি ছোট ডিকশনারি রাখুন : ছোট্ট একটি পকেট বাংলা টু ইংরেজি ডিকশনারি সঙ্গে রাখতে পারেন। ধরুন বাসে বা গাড়িতে কোথাও যাচ্ছেন, এমন সময় আপনার পাশে ফুটপাতের কাঁচাবাজার পড়ল। দেখে নিন তো, কোন কোন সবজিগুলোর ইংরেজি নাম আপনি জানেন! আর যেগুলো জানেন না, সেগুলো জেনে নেয়ার জন্য তো আপনার কাছে ডিকশনারি আছেই।
) কথোপকথন করুন : বন্ধু, পরিবারের কেউ বা অফিসের কোনো কলিগের সঙ্গে দৈনিক কিছু সময়ের জন্য হলেও ইংরেজিতে কথা বলুন। ভুল ভ্রান্তি হবেই, তাই বলে হাল ছেড়ে দেবেন না। যা খুশি বলুন। যেখানে যেখানে আটকে যাবেন, একে অন্যের সহযোগিতা নিন কিংবা সহায়ক বইয়ের সাহায্য নিন। এটা আপনার বলার জড়তা কাটাতে সহায়তা করবে।
) ডায়েরি লিখুন : আমাদের অনেকেরই ডায়েরি লেখার অভ্যাস আছে। অনেক দিন পর পর নিজের লেখা ডায়েরি পড়াটা আসলেই অন্যরকম। স্মৃতিগুলোকে অক্ষরের বুনোটে আটকে রাখার এই কাজটাই করুন এবার, কিন্তু ইংরেজিতে। প্রতি দিনের কোনো না কোনো ঘটনা নিয়ে রোজ ডায়েরিতে এক পৃষ্ঠা হলেও লিখুন। এভাবে লিখতে গিয়ে আপনি নানা শব্দের ইংরেজি খুঁজতে গিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন শব্দের সঙ্গে পরিচিত হবেন।
) অনুবাদ করুন : প্রতিদিন পত্রিকার কোনো একটা আর্টিকেলের অনুবাদ করুন নিজে নিজেই। এতে আপনার লেখার দক্ষতা বাড়বে। সে সঙ্গে ভাষাজ্ঞানও।
১০) ইংরেজি কোর্স করুন : কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট একটা ইংরেজি শেখার কোর্সও করে ফেলতে পারেন। একা একা না করে যদি সম্ভব হয় পরিচিত কেউ বা কোন বন্ধুর সঙ্গে একসঙ্গে কোর্স করতে পারেন। এতে চর্চাটা ভালো হবে। এছাড়া বাজার থেকে কিনে ফেলতে পারেন ঘরে বসে ইংরেজি চর্চার সিডি ডিভিডি। এগুলো দেখে দেখে অবসর সময়ে ঝালিয়ে নিতপারেন নিজেকে।
১১) নিজে নিজে চর্চা করুন : নিজে নিজে বাসায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ইংরেজি বলার অভ্যাস করুন। কিংবা বাসায় জোরে জোরে পড়তে পারেন ইংরেজি পত্রিকা বা বই। এভাবে ধীরে ধীরে আপনার ইংরেজি বলার জড়তা কেটে যাবে।
যেহেতু ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা নয়, তাই, শিখতে একটু সময় আর শ্রম তো লাগবেই। তাই বলে হাল ছেড়ে দেবেন না। এখনো দেরি হয়ে যায়নি। আজ আর এই মুহূর্ত থেকেই শুরু করুন না! আর তফাতটা দেখুন নিজেই বা অন্যের প্রশংসা মেশানো দৃষ্টিতেই!

সাক্ষাৎকার / ইন্টারভিউ এর জন্য কোন কোন বিষয়ে প্রস্ততি প্রয়োজন ?

ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নিয়োগদাতা চাকরি প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, আগ্রহ, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সর্ম্পকে অবগত হন। এই প্রক্রিয়া শুধু কাগজে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রার্থী তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বর্ণনার মাধ্যমে নিজেকে পদের উপযুক্ত হিসেবে প্রমানের সুযোগ পান। সংশ্লিষ্ট পদ ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নিজের জ্ঞান প্রকাশের একটা ভাল পদ্ধতি হচ্ছে সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া।

নিয়োগদাতা প্রার্থীর মাঝে কি খোজেঁন
সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া মনস্তাত্বিক চাপপূর্ণ হতে পারে। কিন্ত এই চাপ কাটিয়ে ওঠার জন্য জানতে হবে যে নিয়োগদাতা কী খুজঁছেন তাই,
চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নানা ইতিহাস দিক সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
কোম্পানী, কোম্পানীর পণ্য এবং প্রত্যাশিত পদ সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা থাকতে হবে।
আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কোম্পানীর চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
আপনাকে আত্মবিশ্বাসী এবং কোম্পানীতে আপনার কতটুকু অবদান রাখতে সক্ষম তা বোঝানোর সামর্থ থাকতে হবে।
আপনাকে পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

পূর্ব প্রস্ততি:
সাক্ষাৎকারের মনস্তাত্বিক চাপ কমানোর আর একটা উপায় হচ্ছে পূর্ব প্রস্ততি গ্রহণ। চাকরিদাতা আপনার জীবন বৃত্তান্ত পর্যালোচনা করে দেখবেন যে এতে আপনার দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, লক্ষ্য ইত্যাদিও গুণাবলীর যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে কিনা। আপনাকে অনেক খোলামেলা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। এবং এসব প্রশ্নের উত্তর যেন যথাযথ হয় তার প্রস্ততি নিতে হবে।
এছাড়া নিয়োগদাতা কিছু সাধারন প্রশ্ন করতে পারেন যার উত্তর সম্পর্কে আপনাকে পূর্ব হতেই ভাল ধারণা নিয়ে রাখতে হবে এবং উত্তরের মান উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিন্ত উত্তর মুখস্ত করবেন না। আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে উত্তর যেন আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতাকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে। ইন্টারভিউ এর সময় শুধু চাকরিদাতা একাই প্রশ্ন করবেন তা নয় আপনার কাছেও পাল্টা প্রশ্ন আশা করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকেও পাল্টা প্রশ্ন করতে হবে। যদি ইতোমধ্যে সব আলোচিত হয়েও থাকে তাহলেও অতিরিক্ত কিছু আলোচনায় আনতে হবে যাতে করে এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পদ ও প্রতিষ্ঠান সর্ম্পকে আপনার আগ্রহ ও জ্ঞানের পরিচয় দিতে পারেন। তবে সব প্রশ্ন চাকরি সংক্রান্ত হতে হবে।

সাক্ষাৎকার নির্দেশিকা:
  • সাক্ষাৎকার এর কিছু আগে উপস্থিত হওয়া: সাক্ষাৎকারের ১৫ মিনিট আগে উপস্থিত হবেন। তবে চিন্তা করার সময় হাতে থাকবে। হাতের ঘাম মোছার সময় থাকবে এবং লবি থেকে কোম্পানীর চলতি তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনার নির্বাচকেরা দেখবেন, আপনার কাছে তাদের সময়ের দাম আছে।
  • প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পূর্ব ধারণা: নির্বাচকদের সম্পর্কে জানতে হবে (পদবীসহ) যেমন-জনাব, ডাক্তার ইত্যাদি। কোম্পানীর মূল উৎপাদিত পণ্য ও সেবাসমূহ সম্পর্কে জানতে হবে। কোম্পানীর গঠণ (বিভাগ, প্রধান, কোম্পানী ইত্যাদি) কোম্পানীর বর্তমান অবস্থা খবরাখবর, গ্রাহক এবং প্রতিদ্বন্দী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে। এসব আপনি কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে বার্ষিক রিপোর্ট বা কোম্পানীর পুস্তিকা থেকে জানতে পারেন।
  • সব সময় জীবন বৃত্তান্ত সাথে রাখতে হবে: তা প্রমাণ করবে যে আপনি সাক্ষাতের জন্য প্রস্তত। এখান থেকে নির্বাচকরা প্রয়োজনীয় কোন কিছু নোট করতে পারবেন।
  • জীবন বৃত্তান্ত এমন হবে যেন নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে: নিজের সমস্ত গুণাবলী এটার বিষয় হবে। নির্বাচকদের সামনে নিজেকে খুব সহজভাবে উপন্থাপন করতে হবে।
  • বাচনভঙ্গী সর্ম্পকে সতর্কতা: নির্বাচকদের সামনে সতর্কতার সঙ্গে বসুন। যেন বসার স্থান একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে শোভন দুরত্ব থাকে। হাসি মুখে বসুন।
  • বিব্রতবোধ না করা: নির্বাচকমন্ডলীও মানুষ। অতএব তারাও অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। মূলত নির্বাচকদের অস্বস্তি একটা ভাল দিক। এটা প্রমান করে আপনি ভালভাবে পরীক্ষা দিচ্ছেন। অশোভন কোন কিছু থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন- আঙ্গুল মোচড়ানো, কলম নাড়ানো, হাত-পা দোলানো।
  • দৈহিক ভাষা গুরুত্বপূর্ণ: স্পষ্ট দৃষ্টি বিনিময় করা, উষ্ণ বা মৃদু হাস্যমুখ এবং করমর্দন সাহায্য করতে পারে আপনার বিব্রতবোধ কাটানোর জন্য । ব্যক্তিগত সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং আত্মবিশ্বাসী ভাবমূর্তি উপস্থাপন করতে পারেন।
  • নির্বাচকদের বিনোদনকারী হবেন না: সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের কাছে কৌতুকময় অথবা বিনোদনকারী হওয়ার চেষ্টা করবেন না। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • অতিরঞ্জিত বা মিথ্যা না বলা: আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। কিন্ত চাকরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দৈণ্যতা প্রকাশ করবেন না। সেক্ষেত্রে মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত কথা না বলাই ভাল।
  • সাক্ষাৎকার গ্রহনকারীর মত অনুসরন করা: সাক্ষাৎকারের উর্ধ্বে না যাওয়া, মূল বিষয়ের দু একটি প্রশ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। পারতপক্ষে সাক্ষাৎকার গ্রহণ কারীর মতামত অনুসরন করা।
  • ব্যক্তিগত ও অনুযারী প্রশ্ন সম্পর্কে সচেতন থাকা: এটা নির্ভর করছে আপনার ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের ওপর। অবশ্যই মেজাজমর্জির স্থিরতায় কিছু সাক্ষাৎকারদাতা এ সম্পর্কে সচেতন থাকেন, অতএব সচেতন হোন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন প্রশ্নগ্রলো। এতে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
  • সুনির্দিষ্ট গুরুত্ব প্রদান করা: খোলাখুলি ও সৎ হোন। কিন্ত অনভিজ্ঞতা ও দুর্বলতার জন্য কখনো ক্ষমাপ্রার্থী হবেন না। আপনি আত্মবিশ্বাসী হোন, তবে অতিমাত্রায় নয়। আপনি নবীন হতে পারেন চাকরিবাজারে, আপনি অনভিজ্ঞও হতে পারেন। আপনি কোন প্রকার বদঅভ্যাস বা অনভ্যাস দোষ অতীত কর্মচারীদের কাছ থেকে গ্রহণ করবেন না। ব্যক্তিস্বার্থে নয়, কোম্পানীর স্বার্থে নয়, প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কোম্পানীর জন্য দক্ষতা অর্জন করবেন এটাই প্রকাশ করুন।
  • অপেক্ষা করুন বেতন সম্পর্কে প্রশ্ন উপস্থাপনের জন্য: মূলত সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের বিষয় এটি। বেতন এবং তার লাভজনক দিকগুলো প্রথম সাক্ষাৎকার নাও থাকতে পারে। বেতনের গুরুত্ব সকলেরই জানা। এ প্রসঙ্গে আপনার অনুভূতি ব্যক্ত না করাই শ্রেয়। এটা হতে পারে সমঝোতার মাধ্যমে। যদি আপনার মতানুযায়ী বেতন প্রসঙ্গ আসে তবে বুঝতে হবে চাকরিদাতা আপনার কর্মেও আগ্রহ দেখছেন, নির্দিষ্ট অবস্থান এবং চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে।
  • ঘাবড়ে যাবেন না: বলার পূর্বে চিন্তা করুন নিরবতা এবং সহনশীলতা আপনাকে সাহায্য করবে। সহনশীলভাবে সময় নিয়ে উপস্থাপন করুন। কারণ এটা দর্শনীয়। কর্মগ্রহীতারা আপনার মতামতকে ধৈর্য্য সহকারে শোনার এবং মত গ্রহণ করার জন্য ভাববার সময় দেবেন।
  • নিশ্চিত করুন প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনি কী করতে পারবেন: এটার মানে হচ্ছে, আপনি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন প্রতিষ্ঠানে / কোম্পনীতে। তবে বাণিজ্যিক গোপনীয়তা বা পূর্বপরিচিতি উল্লেখ না করাই ভালো। নিজস্ব দক্ষতা এবং উল্লেখযোগ্য কাজগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। নতুন সংকটকে দূর করার জন্য এবং যোগাযোগ সুষ্পষ্টকরণ, আত্মসম্পর্ক উন্নয়ন, নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করার জন্য প্রস্তত থাকুন।
  • প্রস্তত করা উত্তর বা মুখস্ত বুলি না আওড়ানোই ভালো: অনেক কর্মপ্রার্থী কিছু প্রস্তত করা উত্তর সাক্ষৎকার প্রশ্ন বা উত্তরপত্র গাইডলাইন হাতে পেয়ে থাকেন, এটা ফলপ্রসূ নয়। যেমন-অনেকে বলেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ব্যতিক্রমী কিছু বলতে চেষ্টা করুন।
  • পূর্বের চাকরিদাতাদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য না করা: পূর্বের কর্মকর্তা, কর্মচারী বা কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। তবে যা জানেন সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করুন।
  • আপনার আচরনবিধি লক্ষ্য করুন: চাকরিদাতা আগ্রহভরে লক্ষ্য করেন তাদের প্রতি আপনার ব্যবহার স্পষ্ট কিনা। যদি আপনি আপনাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে তা সম্ভব। আপনার জ্ঞান যদি বিনয়ী বা নম্র আচরন লব্ধ হয় তবে তা উপস্থাপনে সহায়ক হবে।
  • প্রশ্ন করার জন্য প্রস্তত থাকা চাই: প্রায় প্রত্যেক চাকরিদাতা প্রশ্ন শোনার জন্য ইচ্ছে পোষন করে। তাই আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে। তবে আপনার প্রশ্ন হতে হবে চাকরির ক্ষেত্র বা কোম্পানীভিত্তিক তথ্য নিয়ে। আপনার প্রশ্নের ভেতর দেরিতে কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া, ছুটির আবেদন ইত্যাদি না থাকাই বাঞ্ছনীয়। এগুলো পরবর্তীকালে সময় নিয়ে করা যায়।
  • টেলিফোনে সাক্ষাৎকার: যদি আপনি চাকরিপ্রাপ্তির জন্য অন্য দেশ বা শহরে আবেদন করেন তবে সেক্ষেত্রে টেলিফোনে প্রাথমিক সাক্ষাৎকারপর্ব সেরে নিতে পারেন। টেলিফোন সাক্ষাৎকারটি আপনাকে কোনো স্থির ধারণা বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন প্রতিশ্রুতি না দিলেও যাতায়াত খরচ সাশ্রয় হবে।
  • দ্রুত চাকরির প্রস্তাব আশা না করাই ভালো: চাকরির সিদ্ধান্ত সাধারনত সাক্ষাৎকারের বেশ কিছুদিন পর বা সপ্তাহ কয়েক পর জানানো হয় তাই তাৎক্ষনিকভাবে আপনাকে কোন বেতন প্রস্তাব করা হলে চিন্তা করার জন্য ২/১ দিন সময় চেয়ে নিতে পারেন।
  • সাক্ষাৎকার শেষে: সাক্ষাৎকার দীর্ঘায়িত করবেন না এবং দ্রুত শেষ করুন। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে ধন্যবাদের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার শেষ করুন।
  • নিজের প্রতি স্বচ্ছ থাকুন: আপনি যা নন তা করবেন না। তাতে আপনার মৌলিকত্ব নষ্ট হতে পারে।

সাক্ষাৎকারে প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী

ইন্টারভিউ একজনের পর একজনের হতে পারে আবার কয়েকজনের সমন্বয়ে একটা প্যানেল সাক্ষাৎকারও হতে পারে। তাই আপনাকে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্ততি নিতে হবে।  

  • ইন্টারভিউ এর সময় নিয়োগদাতা আপনার জীবন বৃত্তান্ত এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইবেন। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি কোম্পানীর জন্য নিজের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে পারেন।
  • সাক্ষাৎকারের শেষ পর্যায়ে নিয়োগদাতা আপনাকে আর কিছু বলার আছে কিনা তা জানতে চাইতে পারেন। এক্ষেত্রে পূর্বে বাদ পড়েছে এমন বিষয় আলোচনা করে নিতে পারেন। সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ কী হবে তা খুঁজে বের করবেন এবং সবশেষে নিয়োগদাতাকে তার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাবেন।
  • আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন। আপনার বক্তব্যে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের চাইতে চাকরির দক্ষতা যেন বেশী প্রাধান্য পায়। আপনার ক্যারিয়ারের বিকাশ সর্ম্পকে বলুন। পূর্ব চাকুরির অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখেছেন বা চাকরি বহিভূর্ত স্বপ্রণোদিত কর্মকান্ডর মাধ্যমে অর্জিত সাংগঠনিক    দক্ষতা, সময় ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করুন।
  • আপনার সামর্থ কী ? কোন সমস্যার সুন্দর সমাধানের জন্য আপনি আপনার সামর্থ নিয়ে কথাবলতে পারেন। কিছু উদাহরন রপ্ত করুন যা প্রশ্ন উত্তরে সাহায্য করবে।    
  • আপনার দূর্বলতা কী ? এটা খুব কঠিন প্রশ্ন, যদিও সবসময় এটা জিজ্ঞেস করা হয় না। কিন্ত এ জাতীয় প্রশ্নের জন্য আপনাকে প্রস্তত থাকতে হবে। আপনি যদি আপনার মেজাজ, অলসতা বা ধৈর্য্যের দুর্বলতা নিজের ভিতরে রাখুন এবং তা অন্যের নিকট প্রকাশ করবেন না।
  • চাকরিদাতা তার কোম্পানী সর্ম্পকে আপনার কোন প্রশ্ন আছে কি না তা জানতে চাইতে পারে। তাই এই বিষয়েও প্রস্ততি থাকতে হবে। আপনি কোম্পানীর প্রকৃতি, সাংগঠনিক কাঠামো অথবা উৎপাদিত পন্য সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন। আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন কোম্পানীর প্রশিক্ষন কর্মসূচী অথবা কাজের পরিবেশ সম্পর্কে।    
  • ১০ বছর পর আপনার পেশার অবস্থান কোথায় হবে ? এইরূপ প্রশ্নের উত্তরে এখানে খুব সাবধান থাকতে হবে। আপনার এমন মনোভাব থাকবে না যে, আপনি শুধুমাত্র ব্যবহৃত হচ্ছেন কোম্পানী বা অন্যের পেশার উন্নতি হিসেবে।নিজেকে কোম্পানীর ব্যবস্থাপক হিসেবে চিন্তা করে কোম্পানীর স্বার্থে কাজ করতে হবে। এখানে বলা যায় যে একজন তরুণ হিসাবরক্ষককে CPA Firm এর সাথে সাক্ষাৎকারের সময় এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছিলেন তিনি নিজেকে বড় কর্পোরেশনের মহা-হিসাবরক্ষক হিসেবে দেখেন। তার প্রশ্নের উত্তর অন্যভাবে বলা যায় প্রতিষ্ঠান তাকে প্রশিক্ষন ও সুযোগ দানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করবে এবং সে চাকরি ছেড়ে দেবে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না তাকে চাকররি জন্য ডাকা হয়নি। প্রতিষ্ঠান জানে ৭৫% লোক আসে ১০ বছরের মধ্যে অন্যত্র সরে যেতে, কিন্ত প্রতিষ্ঠান চায় না কেউ চলে যাক।
  • আপনার এমন দক্ষতা কি আছে যে, চাকরিদাতা কোম্পানী লাভবান হবে ? আপনি আপনার কি দক্ষতা উল্লেখ করতে পারেন যা যে কোন কোম্পানীর জন্য মূল্যবান। উদাহরনস্বরূপ : (১) দীর্ঘমেয়াদী Project পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সামর্থ্য (২) তথ্যবহুল উপাত্ত সংগঠিত করার সামর্থ্য (৩) জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সামর্থ্য অথবা দলের ভিতরে থেকে কাজ করার সামর্থ্য। যদি আপনার দক্ষতা কোন নির্দিষ্ট জন্য সঠিক না হয়, তবে উল্লেখ করতে হবে অন্য অবস্থানে থেকেও দ্রুত এগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে পারেন বা শিখতে পারেন কিনা। আবার নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে নিয়েও নিজেকে প্রস্তত করতে পারেন।    
  • পূর্বের চাকরি আপনি কেন ছেড়েছিলেন ? প্রথমেই প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করবেন না। যেমন কথায় কথায় অভিযুত্ত করা হয় বা সে প্রাক্তন প্রতিষ্ঠানটি আশাপ্রদ অবস্থায় ছিল না। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলেও প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে না। আপনি কথা বলতে পারেন প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতার অভাব নিয়ে। বলতে পারেন, আপনার কাজের দায়িত্ব, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য এর সাথে সামঞ্জস্য ছিল না। আপনার প্রয়োজন আরো প্রতিশ্রুতিশীল চাকরি অথবা অন্যকিছু যা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ববিরোধী নয়। যদি কোন কারনে চাকরি চলে যায়, তবে আপনি অবশ্যই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা বলবেন। যাই হোক মিথ্যা বলবেন না। আপনি যদি প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু বলতে নাও চান তবে কিছুই না বলাই ভালো।

একটি সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর কৌশল

আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একজন সম্ভাব্য চাকুরীদাতার কাছে একজন চাকুরীপ্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার প্রাথমিক মাধ্যম ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকুরীপ্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত সুন্দর এবং সঠিকভাবে তৈরী করার ব্যপারে গুরুত্ব প্রদান করে না ৷ ফলশ্রুতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থীই Job Interview তে ডাক পায় না এবং যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় ৷

আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর আগে যে সকল বাস্তবতার দিকে নজর রাখবেন---

§ একজন চাকুরীদাতা গড়ে একটি জীবনবৃত্তান্ত (CV)-এর উপর ৩০ সেকেন্ডের বেশী সময় দেয় না ৷ সুতরাং এটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত ৷ তথ্যগুলোর উপস্থাপন হতে হবে সুস্পষ্ট ৷ অপ্রয়োজনীয় বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিহার করতে হবে ৷

§ একজন অনভিজ্ঞ/সদ্য পাস করা চাকুরীপ্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত এক থেকে দুই পাতার বেশী হওয়া কোনভাবেই উচিত্ নয় ৷

§ আপনার জীবনবৃত্তান্ত হচ্ছে আপনার নিজেকে বিপণন করার মাধ্যম ৷ সুতরাং এটি হতে হবে আকর্ষণীয় ৷ তবে চটকদার কোন কিছু যেমন রঙিন কাগজ বা রঙিন কালি ব্যবহার করবেন না ৷ কোন কিছু Highlight করতে হলে সেটিকে Bold, italic বা underline করতে পারেন ৷

§ মনে রাখবেন, আপনার জীবনবৃত্তান্তের মধ্যে যদি কোন বানান ভুল বা ভাষাগত/ Grammatical ভুল থাকে তবে সম্ভাব্য চাকুরীদাতার আপনার সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা হবে ৷ এটি প্রকাশ পাবে যে আপনি কোন কাজই নির্ভুল ভাবে করতে সক্ষম নন ৷ সুতরাং একটি CV তৈরীর পর সেটি নিজে ভাল করে পড়ুন এবং শুদ্ধ ইংরেজী জানেন এমন ব্যক্তিকে দেখিয়ে নিন ৷

§ যখন আপনি কোন নির্দিষ্ট চাকুরী বিজ্ঞপ্তির (job announcement)-এর বিপরীতে আবেদন করার জন্য জীবনবৃত্তান্ত পাঠাবেন, তখন চেষ্টা করুন আপনার CV সেই চাকুরীর চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করতে (Customize your CV) ৷ এর জন্য প্রয়োজন চাকুরী বিজ্ঞপ্তি ভাল করে পড়া এবং প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে কিছু গবেষণা (Research) করা ৷ উদাহরণ স্বরুপ আপনি যদি জানেন যে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের যে কোন স্থানে নিয়োগ দিতে পারে, তাহলে আপনি আপনার CV-তে উল্লেখ করতে পারেন আপনি বাংলাদেশের কোন কোন স্থানে পূর্বে অবস্থান করেছেন ৷ অথবা কোন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এমন কোন লোক খুঁজছে যার একজন ‘ সংগঠকের (organizer’) ভূমিকা পালন করতে হবে, সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ছাত্রজীবনের কোন সাংগঠনকারীর ভূমিকা উল্লেখ করেন তবে আপনার CV নিয়োগকারীর কাছে আলাদা মূল্য পাবে ৷

§ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার CV তে সঠিক তথ্য দিবেন ৷ এমন কোন তথ্য দিবেন না যা আপনার Job interview-তে ভুল প্রমানিত হতে পারে ৷

জীবনবৃত্তান্তের (CV) বিভিন্ন অংশ

একটি জীবনবৃত্তান্তে (CV) যে তথ্যগুলো আপনি সুবিন্যস্ত ভাবে উপস্থাপন করবেন সেগুলো হচ্ছে--
* শিরোনাম (Title)
* সার সংক্ষেপ (Career Summary) --> অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের জন্য বেশী প্রয়োজন ৷
* ক্যারিয়ার উদ্দেশ্য (Career objective)-->সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থীদের জন্য বেশী প্রয়োজন ৷
* চাকুরির অভিজ্ঞতা (Experience)
* শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education)
* অতিরিক্ত তথ্য (Additional Information)
* ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information)
* রেফারেন্স (Reference)

শিরোনাম: (Title)

জীবনবৃত্তান্তের শুরুতেই থাকবে আপনার পুরো নাম ৷ এটা বোল্ড (bold) হবে এবং একটু বড় ফন্টে লিখতে হবে (ডাক নাম পরিহার করুন) ৷ তার পর থাকবে আপনার ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনাকে চিঠি দিলে আপনি পাবেন), ফোন নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস ৷ এই অংশটুকু পৃষ্ঠার উপরে মধ্যখানে থাকবে, যাতে তা প্রথমেই চোখে পরে ৷

Career Summary( সার সংক্ষেপ )

যে সকল ব্যক্তিদের ৪-৫ বছরের বেশী চাকরীর অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য এটি বেশী প্রযোজ্য ৷ এই অংশে আপনি সর্বোচ্চ ৬-৭ লাইনে উল্লেখ করুন আপনার পূর্ব চাকরীর অভিজ্ঞতার কর্মক্ষেত্রগুলো ৷ আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার সাফল্যগুলো (Achievement) সংক্ষেপে তুলে ধরুন (যদি থাকে) ৷

Career Objective

এটি বেশী প্রযোজ্য সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থী বা অল্প অভিজ্ঞ (১ / ২ বছর) চাকুরী প্রার্থীদের জন্য ৷ এই অংশে আপনি আপনার চাকুরীক্ষেত্রে বর্তমান লক্ষ্য (Immediate goal) উল্লেখ করুন এবং আপনার যোগ্যতা কিভাবে বিজ্ঞপ্তির (Advertised) চাকুরী বা যে প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন, তার প্রয়োজন মেটাতে পারে তার প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করুন ৷ চাকুরীর জন্য উপযুক্ত ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষিপ্তভাবে উলেখ করুন ৷ চাকুরী বিজ্ঞপ্তি বা কোম্পানির প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে Career Objective লেখা জরুরী ৷ আপনি কোম্পানিকে কি দিতে পারবেন তার ওপর গুরুত্বারোপ করুন, কোম্পানির কাছ থেকে আপনি কি আশা করছেন তার ওপর নয় ৷

Experience: (কর্ম অভিজ্ঞতা)

অভিজ্ঞ পেশাজীবিদের জন্য এই অংশটি শিক্ষাগত যোগ্যতার আগেই আসা উচিত ৷ সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education) এবং তার পরে experience আসা উচিত ৷

যে সকল তথ্য আপনার প্রতিটি পূর্ব অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে উল্লেখ করবেন সেগুলো হচ্ছে,

* Organization name (প্রতিষ্ঠানের নাম)
* Designation (পদবী)
* Time period- From & To (সময়কাল)
* Job responsibility (দায়িত্ব)
* Special achievement (উল্লেখযোগ্য সাফল্য)

আপনি যদি একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করে থাকেন, তাহলে আলাদা আলাদা ভাবে তা উল্লেখ করুন ৷

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি প্রথমেই উল্লেখ করবেন আপনার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা (most recent experience), তার পরে এক এক করে Resume Chronological Order-এ একটির পর একটি অভিজ্ঞতা উল্লেখ করবেন যা শেষ হবে আপনার সর্বপ্রথম অভিজ্ঞতা দিয়ে ৷

আপনার খুব কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম সময়ের অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভাল ৷ তবে লক্ষ্য রাখবেন যে আপনার List of experience এর মধ্যে যাতে খুব বেশী Time gap না থাকে ৷


Education & Training (শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ)

আগেই বলা হয়েছে যে এই অংশটি সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞদের জন্য Experience অংশের আগেই আসা উচিত্ ৷ Education অংশে আপনি আপনার ডিগ্রিগুলোর নাম উল্লেখ করবেন এবং নিম্নেবর্ণিত তথ্য প্রদান করবেন ৷

* ডিগ্রির নাম (যেমন: SSC, HSC, BCom)
* কোর্স সময়কাল (কবে থেকে কবে)
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডের নাম ৷
* পরীক্ষার বছর এবং প্রয়োজনে ফলাফল প্রকাশের সময় ৷
* ফলাফল/Result এবং যদি উল্লেখযোগ্য সাফল্য (যেমন: মেধাতালিকায় স্থান) থাকে তবে তার উল্লেখ করতে হবে ৷

Experience-এর মতো এক্ষেত্রেও আপনি আপনার সবচেয়ে সাম্প্রতিক ডিগ্রির উল্লেখ আগে করবেন এবং তার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে বাকিগুলো উল্লেখ করবেন ৷

লক্ষ্য রাখবেন আপনার কোন ডিগ্রির চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হয়ে থাকলে সেই ডিগ্রির উল্লেখ করার সময় ব্র্যাকেটে ‘Appeared’ উল্লেখ করবেন ৷ কোন কোর্সে অধ্যায়নরত থাকলে ‘Ongoing’ উল্লেখ করুন ৷ কোন ডিগ্রির ক্ষেত্রে আপনার Result যদি খুব খারাপ হয়ে থাকে তবে কোন Result-ই উল্লেখ করার দরকার নেই ৷ মনে রাখবেন একটি ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করা ও অন্যটি উল্লেখ না করা দৃষ্টিকটু ৷

আপনি যদি কোন বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যদি তা আপনার কাজের যোগ্যতার সহায়ক বলে মনে করেন তবে তা উল্লেখ করবেন ৷ সেক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, Topics, প্রতিষ্ঠানের সময় (Duration) তারিখ উল্লেখ করবেন ৷
প্রশিক্ষণের তালিকা আপনি Education অংশের নীচে দিতে পারেন ৷

অতিরিক্ত তথ্য / Additional Information

যে সকল তথ্য উপরে উল্লেখিত অংশগুলোর মধ্যে পড়ে না কিন্তু চাকরির সাথে সম্পর্কিত তা এ বিভাগে বর্ণনা করুন ৷

* পেশাগত অর্জন / Professional Achievement
* পদক/ সম্মাননা/ Award.
* ভাষাগত দক্ষতা / Language Literacy
* কম্পিউটারে দক্ষতা / Computer Skills.
* লাইসেন্স,সরকারি পরিচয়পত্র, প্রকাশিত লেখা ও সত্বাধিকার
* স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড ইত্যাদি

ব্যক্তিগত তথ্য / Personal Information
এই অংশে পিতামাতা, বর্তমান/স্থায়ী ঠিকানা, ধর্ম, যে সকল দেশ আপনি ভ্রমণ করেছেন, শখ ইত্যাদি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ৷

রেফারেন্স (Reference)

খেয়াল রাখবেন Reference অংশে আপনি আপনার নিকট আত্মীয়দের নাম উল্লেখ করবেন না ৷ আপনাকে আপনার ছাত্র জীবনে বা কর্মজীবনে কাছ থেকে দেখেছে এমন ব্যক্তিকেই আপনি Reference হিসাবে উল্লেখ করবেন ৷ অবশ্যই যাদেরকে Reference দিবেন তাদের ফোন নাম্বার, ঠিকানা এবং ই-মেইল (যদি থাকে) উল্লেখ করবেন ৷ সাধারণত Reference হিসাবে সর্বোচ্চ ২-৩ জনের নাম উল্লেখ করাই শ্রেয় ৷ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে আপনি যাদেরকে Reference হিসাবে উল্লেখ করেছেন সে সকল ব্যাক্তিকে আপনার আগে থেকে জানাতে হবে যে আপনি তাদের Reference হিসাবে আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV)- তে উল্লেখ করেছেন ৷

শিশুদের পড়ার অভ্যাস করাতে হলে...

        আজকাল বাবা-মায়ের শিশুদের নিয়ে একটি কমন অভিযোগ রয়েছে, তাদের শিশুরা পড়তে চায় না। কিন্তু, ক্লাসে ভালো রেজাল্ট করার জন্য ও কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভের জন্য পড়ার তো কোনো বিকল্প নেই। আসলে না পড়তে চাওয়া বিষয়টি শুধু শিশু নয়, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যেও বিদ্যমান। মন থেকে আন্তরিকভাবে কিছু পড়ার অভ্যাস আমাদের যেন কমেই চলেছে।
বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যক তরুণ-তরুণী খুব আগ্রহের সঙ্গে পড়ছে পৃথিবীর বিখ্যাত সব লেখকের গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, কিংবা কবিতা। খুব কম সংখ্যা ছেলেমেয়েই পড়ছে নামিদামি সব ম্যাগাজিন, জার্নাল কিংবা রিসার্চধর্মী বই। তাছাড়া এ কথাটি তো কমবেশি সবারই জানা যে, দি মোর ইউ রিড, দি মোর ইউ লার্ন! অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ এ পড়ার অভ্যাসটি যদি শৈশব থেকেই সন্তানের মধ্যে গড়ে তুলে দেয়া যায়, তাহলে প্রথম থেকেই ক্লাসে তাদের রেজাল্ট আশানুরূপ হওয়ার পাশাপাশি তাদের যেমন গড়ে উঠবে নিয়মিতভাবে ভালো ভালো সব লেখাপড়ার অভ্যাস, তেমনি প্রতিনিয়তই বাড়তে থাকবে তাদের জ্ঞানের পরিধি। আর পড়ার অভ্যাসটি একবার ভালোমতো গড়ে উঠলে তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সারা জীবনের জন্য ব্যক্তির মধ্যে রয়ে যায়। এখন তাহলে জেনে নিন, শিশুদের মাঝে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বাবা-মায়েরা কী করতে পারেন, সেই বিষয়ে সেরা ১০টি টিপস।
১.    সবার আগে নিশ্চিত হোন যে আপনার শিশুর বর্ণমালা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রয়েছে
শিশুকে স্কুলে ভর্তি করার আগেই বাসায় খেলতে খেলতে বর্ণমালা সম্পর্কে ধারণা দিন। তাকে অক্ষর শেখান। ইংরেজি অক্ষরগুলো শেখানোর সময় ছোট ও বড় হাতের অক্ষরগুলোর পার্থক্য ধীরে ধীরে বুঝিয়ে দিন। এতে স্কুলে ভর্তির পর যখন সে দেখবে সে ভালো পারছে, তখন তার আত্মবিশ্বাসও যেমন বাড়বে, তেমনি দূর হয়ে যাবে স্কুলভীতিও। আর পড়ার পূর্বশর্ত তো অবশ্যই অক্ষর ও শব্দগুলো।
২.    প্রতিদিনই শিশুদের সঙ্গে কিছু না কিছু পড়ুন ও পড়ান
প্রতিদিনই শিশুর সঙ্গে কিছু না কিছু পড়ার চেষ্টা করুন। পড়ার জন্য এমন কোনো বিষয় বেছে নিন যা শিশুর সঙ্গে সঙ্গে আপনারও ভালো লাগবে। সেটা হতে পারে অত্যন্ত ছন্দময় মজার কোনো সহজ কবিতা, হতে পারে ছোট কোনো গল্প বা রূপকথা, কিংবা হতে পারে টিনটিনের মতো মজার ও জনপ্রিয় কোনো চরিত্রের কার্টুন বই। তবে অবশ্যই লক্ষ রাখবেন যে, একই বই যেন বারবার না পড়ানো হয়ে যায়। একই বই বারবার পড়ালে তাদের কাছে বিষয়টি বোরিং হয়ে যেতে পারে।
৩.    নার্সারি লেভেলের ছড়াগুলো শিশুদের সঙ্গে পড়ুন ও পড়ান
শিশুকে স্কুলে ভর্তির আগে তাকে নার্সারি লেভেলের ছড়াগুলো শিখিয়ে দিন। তাদের প্রয়োজনে ছড়াগুলো অভিনয় করে পড়ান, সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও অভিনয় করে আবৃত্তি করতে বলুন। বইয়ে ছাপা কবিতার শব্দগুলোতে হাত দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে পড়তে বলুন। ধীরে ধীরে তাদের কবিতাটি মুখস্থ করে দিন। যখন সে নার্সারিতে ভর্তি হবে, তখন সেই হয়তো এগিয়ে থাকবে সবার চেয়ে বেশি, আর পড়ালেখায় তার আগ্রহও বেড়ে যাবে বহুগুণ।
৪.    শিশুদের জন্য পড়ার পরিবেশ তৈরি করে দিন
যদি সম্ভব হয় তাহলে শিশুর জন্য আলাদা একটি পড়ার রুমের ব্যবস্থা করে দিন। তা সম্ভব না হলে শিশু যে রুমে ঘুমায়, সেই রুমের কোনায় একটি রিডিং টেবিল দিয়ে দিন। রিডিং টেবিলে তাক সিস্টেম থাকলে ভালো হয়। টেবিলের গায়ে শিশুর প্রিয় কার্টুন চরিত্রের স্টিকার লাগিয়ে দিন। অনেক সময় দেখা যায়, মনের মতো পরিবেশের অভাবেও শিশু পড়তে চায় না। এ রুমে তার খেলনাগুলোও রাখতে পারেন। আর সবচেয়ে ভালো তারই সুন্দর সুন্দর সেরা সিঙ্গেল ছবিগুলো বড় করে প্রিন্ট করে ওই রুমের দেয়ালে লাগিয়ে দিন।
৫.    প্রতিদিনই শিশুদের জানান (এবং আপনি নিজেও বিশ্বাস করুন) সে একটি স্মার্ট শিশু ও ভালো পড়ুয়া
কারণে-অকারণে শিশুকে উৎসাহ দিন। শিশুর সার্বিক বিকাশে উৎসাহ দেয়ার বিকল্প কিছু নেই। শিশুকে জানান, সে খুব ভালো পড়তে পারে এবং তার পড়ার আগ্রহ অন্যদের চেয়ে বেশি। তুমি যত বেশি পড়বে, অন্যদের চেয়ে তত বেশি জানবে ও তত বেশি এগিয়ে যাবে। তাকে বলুন, তুমি খুব স্মার্ট। আর স্মার্টদের অনেক কিছু জানতে হয়, তাই তাদের অনেক কিছু পড়তে হয়।
৬.    শিশুকে তার শিক্ষক ও স্কুল সম্পর্কে পজিটিভ কথা বলুন
অনেক শিশুরই স্কুলভীতি থাকে। তারা অনেক সময় ধরে নেয়, স্কুল মানেই কড়া কড়া টিচারের বকুনি আর দুষ্টু ক্লাসমেটদের দুষ্টুমির শিকার হওয়া। এতে করে তাদের মধ্যে শুরুতেই স্কুলের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে পড়ালেখার ওপর। তাই শিশুদের স্কুলে দেয়ার আগে স্কুল ও টিচার সম্পর্কে ভালো কথা বলুন। তাদের জানান, স্কুলে তুমি যেমন ভালো ভালো খেলার সাথী পাবে, তেমনি পাবে তোমার যত্ন নেয়ার জন্য ভালো ভালো টিচার।
৭.    পড়ার পাশাপাশি শিশুদের লিখতে উৎসাহ দিন
পড়ার পাশাপাশি তাদের যে কোনো কিছু লিখতে উৎসাহ দিন। তাকে নিজের থেকে ছড়া মিনি গল্প, কিংবা আজ স্কুলে সে কী কী করল তা লিখতে বলুন। এতে করে তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। তার লেখায় অনেক ভুল থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই তাকে সবার আগে চমৎকার লেখার জন্য বাহবা দিয়ে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ভুলগুলো ধীরে ধীরে শুধরে দিন। হতে পারে, আপনার শিশুর মধ্যেই লুকিয়ে আছে বড় কোনো লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, গীতিকার, জার্নালিস্ট কিংবা কলামিস্টের প্রতিভা!
৮.    শিশুর সঙ্গে কথা বলুন, তাকে প্রশ্ন করুন, তার কাছ থেকে প্রশ্ন শুনুন
শিশুর সঙ্গে তার পছন্দ-অপছন্দ, চাওয়া-পাওয়া নিয়ে কথা বলুন। সে কী কী বিষয়ে পড়তে উৎসাহবোধ করে অথবা আপনি তাকে কোন কোন বিষয় পড়ালে সে আনন্দ পায়, তাকে প্রশ্ন করে জেনে নিন। তার পছন্দের বিষয়েই আপনি বেশি করে মনোনিবেশ করুন। শিশু যদি পড়ার মধ্যে আনন্দ একবার পেয়ে যায়, তাহলে সেটা হবে আপনার জন্য অনেক বড় একটি প্রাপ্তি। পাশাপাশি আপনি এও তার কাছ থেকে জেনে নিন, কী কী বিষয় পড়তে তার ভালো লাগে না।
৯.    মাঝেমধ্যে শিশুর সঙ্গে তার স্কুলে গিয়ে তার বিষয়ে টিচারদের সঙ্গে কথা বলুন
যখন সময় পাবেন, কিংবা শিশুকে স্কুলে দিয়ে বা নিয়ে আসার সময় তার বিষয়ে টিচারদের সঙ্গে কথা বলুন। তার ক্লাস পারফরম্যান্সের বিষয়ে আলাপ করুন। কিংবা তার বিষয়ে কোনো কথা জানানোর থাকলে তা টিচারদের অবহিত করুন। এতে করে টিচাররা তার বিষয়ে সঠিক যত্নটি নিতে পারবেন। আর আপনার শিশুরও এটা দেখে ভালো লাগবে, তার বিষয়ে আপনি কতটা যত্নবান।
১০.    তাকে পুরস্কৃত করুন
সুযোগ পেলেই শিশুকে পুরস্কৃত করুন। নতুন নতুন খেলনার বায়না তো শিশুদের লেগেই থাকে। আর সেটা তাকে যেহেতু কিনে দিতেই হয়, তাই সে কিছুর বায়না করার আগেই তাকে বলুন-তুমি যদি এ বইটা সুন্দর করে পড়া শেষ করতে পারো তাহলে তোমার জন্য সুন্দর একটি গিফট রয়েছে। নিজ চোখেই না হয় পরখ করে দেখুন যে এ টিপসটা কতটা কার্যকর! কিংবা একটি বই শেষ করার পর হঠাৎই তার সামনে এক বাটি আইসক্রিম দিয়েই দেখুন না! এগুলোই ছিল বাছাই করা সেরা সব টিপস। লেট ইজ বেটার দ্যান নেভার! তাই, আরো দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই শিশুদের পড়ার বিষয়টিতে মনোযোগ দিন।