Thursday, February 28, 2013

Tips for Career(ক্যারিয়ার)

সবাইতো সুখী হতে চায়………….। সেই বিখ্যাত গান। কিন্তু ক’জনইবা সুখী হয়? আসলেই, সবাই চায় সুখী হতে। কিন্তু জীবনের নানা টানাপোড়েনের মধ্যে সুখ জিনিসটি অনেকের অধরাই থেকে যায়। সুখ থাকে সুখের জায়গায়। আর জীবন এগিয়ে যায় তার নিজস্ব গতিতে।
সুখ একটি মানসিক অবস্থার নাম, যা ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে অর্জন করা যায়। আর মানসিক অবস্থা নির্ভর করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর। যেমন ধরুন, আপনার অফিস। সেখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে যদি আপনার সম্পর্ক ইতিবাচক না হয় তাহলে পুরো অফিসটাকেই মনে হবে কারাগারের মতো।
যাই হোক, সবাই সুখের পেছনে ছুটছে, আমরাও ছুটছি। সুখ আমাদের অর্জন করতেই হবে। আসুন, জেনে নেই জীবনকে সুখময় করে তোলার কয়েকটি টিপ্স।
১. সঠিক ক্যারিয়ার বাছাই করুন
অনেকেই আছেন বাবা-মা, শিক্ষক কিংবা বড় ভাইবোনের মতানুযায়ী ক্যারিয়ার বাছাই করেন। এক্ষেত্রে অনেকেই কর্মজীবনে সুখী হতে পারেন না। কারণ আপনার পছন্দ ছিল ডাক্তারি পেশা, কিন্তু অন্যদের পরামর্শ মতো আপনি হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার। ফলে কর্মক্ষেত্রে আপনার মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন কর্মক্ষেত্রের সুখানুভূতি থেকে। এজন্য বাবা-মা, শিক্ষক, বড় ভাই-বোন তথা অন্যের পছন্দের চেয়ে নিজের আগ্রহকেই অগ্রাধিকার দিন। কারণ নিজের আগ্রহ অনুযায়ী ক্যারিয়ার অর্জন করা মানে কর্মজীবনে অর্ধেকটাই সফল আপনি।
তবে একথা মনে করার অবকাশ নেই যে, অন্যের পরামর্শ নিতে আপনাকে বারণ করছি। অবশ্যই অন্যের পরামর্শ নিতে পারেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।
২. জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের বড় একটা অংশ জুড়ে থাকে সমস্যা। সুতরাং সমস্যা দেখে ভেঙ্গে পড়ার সুযোগ নেই। আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন যাতে জীবন চলার পথে চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা সম্ভব হয়। প্রতিটি সমস্যাকে জীবনে সফলতার পথে এক একটি ধাপ হিসেবে বিবেচনা করুন।
৩. পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করুন
সময় নিয়তই পরিবর্তনশীল। সেজন্য সবকিছুতেই সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন আসে। কিন্তু অনেকেই এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন না। ফলে তার মধ্যে তৈরি হয় এক ধরনের হতাশাবোধ। জীবনের প্রতি হারিয়ে ফেলেন আগ্রহ। সেজন্য বলছি, জীবনের যে কোনো পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করুন। কারণ, জীবনে পরিবর্তন একটি ধ্রুবক। এটি চিরন্তন। সুতরাং জীবনে কিংবা কর্মক্ষেত্রে সকল পরিবর্তনকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ ও উপভোগ করুন।
৪. নিজেকে আপডেট রাখুন
কর্মক্ষেত্রে আপনি যাই করুন না কেন সে সম্পর্কে আপডেট থাকুন। সব সময় নতুন কিছু শেখা ও অর্জনের চেষ্টা করুন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পড়ে নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন। নিত্য-নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। আপনার আগ্রহের ক্ষেত্র সম্পর্কিত সংবাদ ও ট্রেন্ড তথা গতি প্রকৃতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখুন।
৫. নিজেকে সংগঠিত ও পরিপাটি রাখুন
নিজেকে সুসংগঠিত, পরিপাটি ও শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখা আপনার সফল ক্যারিয়ারের  জন্য খুবই জরুরি। সুনির্দিষ্ট ও সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুন। খাওয়া-দাওয়া, ঘুমানো প্রভৃতি ক্ষেত্রে কখনো অনিয়ম করবেন না। জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্র তথা জীবনে রুটিন মেনে চলার অভ্যাস করুন। কাগজ-পত্র, ফাইল, টেবিল, পোশাক-পরিচ্ছেদ, বিছানাসহ সবকিছু গুছিয়ে রাখুন।
৬. অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন
আমাদের জীবন খুবই ছোট। কিন্তু করণীয় অনেক। সেজন্য অনেক কাজ একসঙ্গে আমাদের সামনে এসে দাড়ায়। এসময় বিচলিত না হয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করুন। যেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি আগে করুন। এছাড়া সময় সময় কাজগুলোর পর্যালোচনা করুন। এতে করে আপনার স্বপ্ন সফল করা সহজ হবে। কাঙ্খিত লক্ষ্যটি সব সময় মনে থাকবে। আপনার লক্ষ্য যদি আপনার সামনে পরিষ্কার  না থাকে, তাহলে কখনোই তা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
মনে রাখবেন, জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নেয়া খুবই সহজ। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য চাই মোটিভেশন, আত্মবিশ্বাস এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দৃঢ়তা।
সবাই সুখী হোন।

কলার ষোলোকলা

১। বাড়তি খাবারেও স্বস্তি
অনেকেই জেনে-না জেনে কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খান। এ অবস্থায় ব্লাড সুগার লেভেল অস্বাভাবিক হতে পারে। পরিস্থিতি এমন হলে শরীর স্বাভাবিক রাখতে বেশ কাজ দেবে কলা।
২। ভালো থাকবেন নারী
নারীদের ক্ষেত্রে অনেকটা পিলের মতো কাজ করে কলা। কলা শরীরে ভিটামিন বি৬ ও রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে মনকেও সতেজ রাখে। মাসিক ঋতুস্রাবের কারণে শরীরে প্রি-মিনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম (পিএমএস) দেখা যায়, কলা এ সমস্যা কমায়।
৩। পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ
কলায় থাকা পটাশিয়াম মস্তিস্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর ফলে পানির সাম্যতা নিয়ন্ত্রণ হয়। অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকলে শরীরের পটাশিয়াম স্তর কমতে থাকে, কলা এ ঘাটতি পূরণ করে শারীর পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখে।
৪। ভুলোমনারাও খেতে পারেন
ভুলোমনারাও খেতে পারেন কলা। এতে পটাশিয়ামের উপস্থিতির কারণে এটি মস্তিষ্ককে আরো কার্যক্ষম করে এবং দ্রুত শিখতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও বেশ ভালো কাজ দেয় কলা।
৫। ধুমপায়ীরাও কলা খান
ধূমপায়ীদের জন্য কলা বেশ কার্যকর। কলায় থাকা ভিটামিন বি৬, বি১২, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর কে রক্ষা করে। ধূমপানে ছাড়তেও শরীরকে তৈরি করে কলা। এ কারণে ডাক্তাররা ধূমপায়ীদের কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৬। গর্ভকালীন সময়ে...
গর্ভকালীন সময়ে মহিলারা শারীরিক ও মানসিকভাবে বাড়তি চাপে থাকে। এ ছাড়াও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। ওই সময় কলা খেলে শরীর-মন স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আসে।
৭। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
এক গবেষণায় গেছে, কিডনির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে যেসব ফলমূল বেশ কাজে দেয়, এর মধ্যে কলা অন্যতম। যারা সপ্তাহে চার থেকে ছয় বার কলা খায়, তাদের ক্যান্সারের ঝুকি কম থাকে।
৮। স্ট্রোকের ঝুঁকিমুক্ত
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানের লবণ ও পটাশিয়াম সরবরাহ করে কলা। নিয়মিত কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকির আশঙ্কা কম থাকে।
৯। রক্তশূন্যতা নয়
কলায় প্রচুর আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এটি শরীরে রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়ার ঝুঁকি কমাবে।
১০। বাড়বে শক্তি
কলা শরীরে দরকারি শর্করা সরবরাহ করে। এটি পেশীর প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি শরীরে শক্তি বাড়ায়।
১১। মাথা কাজ করছে তো?
ব্যস্ততা বা বিভিন্ন কারণে মাথা জ্যাম বা চিন্তা শক্তি কমে যেতে পারে। এ পরিস্তিতিতেদিনে দু’বার কলা খেতে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। আপনার রক্তে সুগার লেভেল ঠিক রেখে চিন্তা শক্তির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে কলা।
১২। থাকবে না বিষন্নতা
গবেষকরা বলছে, কলা হতাশা কমায়। কলার রাসায়নিক উপাদান ‘ট্রিপ্টোফ্যান’ হতাশাগ্রস্থদের সেরোটোনিন লেভেল বাড়িয়ে মন-মেজাজ ভালো রাখে।
১৩। ঠিকঠাক তাপমাত্রা
শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে কলাই যথেষ্ট। মাঝে মাঝে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে পড়লে কলার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
১৪। অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য
শরীরের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে কলা। পাকা কলায় প্রচুর ফাইবার আছে। শরীরের মল ব্যবস্থাপনায় এ ফাইবার ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া কাঁচাকলা ডায়রিয়া’র সময় শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৫। কমবে জ্বালা-পোড়া
গ্যস্ট্রিক বা আলসারের কারণে যাদের বুকে জ্বালা-পোড়া আছে, তারা ‘এন্টাসিড’ ট্যাবলেটের বিকল্প হিসেবে কলা খেতে পারেন। ডাক্তারদের মতে, গ্যাস্ট্রিকের রোগীর নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।
১৬। মৌসুমী রোগেও কলা
ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে কিছু মৌসুমী রোগও ছড়িয়ে পড়ে। ওই পরিস্থিতিতে রোগীরা কলা খেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা ‘মুড এনহ্যান্সার প্রোটিন ট্রিপটোফ্যান’ রোগীদের শরীর স্বাভাবিক করতে বেশ সক্রিয় থাকে।
তথ্যসূত্র: ইয়াহু লাইফস্টাইল, হ্যালদিয়েস্ট ফুড।

Study tips for SSC Exam

Part-A (Grammer)
1. Right forms of verbs : একটি passge দেওয়া থাকবে এবং শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। তোমাদের tense পরিবর্তন করা ছাড়াও passive form use ও right forms use করে এর উত্তর লিখতে হতে পারে।
2. Uses of preposition : Preposition অংশে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। যেহেতু appropriate preposition অংশ থেকে শূন্যস্থান পূরণ আসে, তাই বুঝে উত্তর করবে।
3. Uses of articles : Articles থাকবে passage থেকে। আগে তোমরা a, an, the দিয়ে article করেছ, এবার শূন্যস্থান পূরণ করবে no article দিয়ে। বিষয়টি সহজ ও সাধারণ।
4. Linkers/Idioms and Phrases :
(i) Linkers যদি পরীক্ষায় আসে, খেয়াল রাখবে বাক্যটি সম্পূর্ণ হয়েছে কি না। কারণ, বাক্যের প্রথমে বসলে capital letter হবে এবং যদি বাক্যের মধ্যে বা শেষে বসে তবে small letter linkersটি বসাবে।
(ii) Phrases and idioms : যদি sentenceটির মধ্যে বসে, তবে অবশ্যই small letter ব্যবহার করতে হবে এবং যদি বাক্যের শুরুতে বসে, তবে capital letter ব্যবহার করে idioms and phrases বসাবে। মনে রাখবে, idioms and phrases-এর ক্ষেত্রে subject ও number অনুসারে verb পরিবর্তন হতে পারে। এই অংশে পুরো বাক্য লিখতে হবে।
5. Re-write the reported speech: Passage narration মূলত sentence narration-এর একটি মৌলিক অংশ। প্রথমেই passage ভালোভাবে পড়ে বুঝে নেবে, কোন বাক্য থেকে এসেছে এবং indirect করতে reporting verb কী হবে ও tense পরিবর্তন কোন নিয়মে হবে।
6. Transformation of sentence : এ অংশে একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকবে। তবে বাক্য পরিবর্তনের নিয়মে আলাদা আলাদা পাঁচটি বাক্যই পরিবর্তন করতে হবে। অবশ্যই প্যাসেজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। প্যাসেজ তুলে দিলে তোমার দেওয়া উত্তরটি আন্ডারলাইন করে দেবে।
7. Tag question : এ অংশে তোমরা জোর দেবে যেদিকটি, তা হলো প্রথমত, sentence negative format-এ গঠিত কি না/negative অর্থ প্রকাশ করে কি না। দ্বিতীয়ত, sentence part অংশে subject third person singular হওয়া সত্ত্বেও tag অংশে plural object বসে কি না। লক্ষ রাখবে, Imperative sentence দিয়ে শুরু হয়েছে কি না, তা বুঝে-শুনে করবে।
8. Completing sentences : (i) বাক্যের অংশবিশেষ পূরণ করতে হবে। এখানে পাঁচটি আলাদা বাক্য থাকবে এবং বাক্যের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যেমন complex sentence-জাতীয় অংশ থেকে আসে। তা ছাড়া conditional sentence থেকে এর উত্তর দিতে হয়। মনে রাখবে, সম্পূর্ণ বাক্য লিখে completing sentences-এর উত্তর লিখতে হবে এবং তোমার লেখা অংশটি আন্ডারলাইন করে দেবে।
(ii) ৮ নম্বর অংশে দুই ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে একটি মাত্র পদ্ধতি প্রশ্নে থাকবে। দ্বিতীয় যে বিষয়টি সেটি হলো, fill in the gaps. এ অংশে noun, preposition, article, adverb, adjective use করে পাঁচটি শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে।
Part- B (Composition)
9. Paragraph writing : এ অংশে মাত্র একটি paragraph questions সহ দেওয়া থাকবে। একটি মাত্র অনুচ্ছেদের মধ্যেই paragraph লেখা শেষ করতে হবে। প্রশ্নের নম্বর ১০, তাই কমপক্ষে ১২০-১৫০ শব্দের মধ্যে লিখবে। প্যারাগ্রাফের শিরোনাম অবশ্যই লিখতে হবে।
10. Composition: সিলেবাস অনুযায়ী দুটি composition থাকবে। মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করলে সহজেই একটি কম্পোজিশন লিখতে পারবে। তাই কমপক্ষে চার-পাঁচটি ছোট ছোট প্যারা করে ২০০-২৫০ শব্দের মধ্যে কম্পোজিশন লেখবে।
11. Writing formal letter: Formal letter মানে হলো আনুষ্ঠানিক পত্র। Applicationটি সতর্কতার সঙ্গে পড়ে ও ভালোভাবে বুঝে উত্তর লিখবে। সুনির্দিষ্ট বিষয়, যা প্রশ্নে উল্লেখ থাকবে, তা অবশ্যই উত্তরে লিখবে।
12. (i) Dialogue writing : দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন মানেই ডায়ালগ। সিলেবাস অনুযায়ী কিছু নির্দেশনা থাকবে প্রশ্নে, যা গাইডলাইন হিসেবে গণ্য হবে এবং তোমাকে উল্লিখিত নাম, বিষয়বস্তু এবং গতিপ্রকৃতি সেভাবে অনুসরণ করে ডায়লগ লিখতে হবে। আকার কোনোভাবেই খুব ছোট বা খুব বেশি বড় করা যাবে না।
(ii) Summary writing : এটি লেখার আগে কয়েকবার প্যাসেজটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে। তারপর মূল কথাগুলো দিয়ে চার-পাঁচটি বাক্যে summary লেখা শেষ করবে।
13. Completing story : Completing story লিখতে অবশ্যই গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। গাইডলাইন দুই ধরনের story থেকে আসতে পারে।
To know more:  www.facebook.com/yourprogressive
 

আমার কাজে লাগবে এমন কিছু কু’রআনে আছে কি?

কু’রআন সম্পর্কে একটি প্রচলিত ধারণা হল এটি একটি উচ্চ মর্গের ধর্মীয়, নৈতিক, ঐতিহাসিক বই, যাতে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বড়, জটিল ব্যপারগুলোই শুধুমাত্র বলা আছে। দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন সাধারণ ব্যপারগুলোর জন্য কু’রআন নয়। যেমন আমরা কিভাবে কথা বলব, কিভাবে বেড়াতে যাবো, কি ধরণের কাপড় পড়ব – এসব খুঁটিনাটি ব্যপারের জন্য কু’রআন নয়। এই ধারণার কারণে অনেকেই কু’রআন থেকে না শিখে আনুষঙ্গিক ধর্মীয় বই, মনীষীর জীবনী ইত্যাদি পড়ে নানা ধরণের বিতর্কিত উপদেশ শিখে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের, পরিবারের, সমাজের ক্ষতি ডেকে আনে; যেখানে কিনা স্বয়ং আল্লাহ আমাদেরকে শিখিয়েছেনঃ
  • কথা বলার সময় সবচেয়ে মার্জিত শব্দ ব্যবহার করবে এবং সবচেয়ে সুন্দর ভাবে কথা বলবে – ২:৮৩।
  • কোন ভণিতা না করে, ধোঁকা না দিয়ে, যা বলতে চাও পরিস্কার করে বলবে – ৩৩:৭০।
  • চিৎকার করবে না, কর্কশ ভাবে কথা বলবে না, নম্র ভাবে কথা বলবে – ৩১:১৯।
  • মনের মধ্যে যা আছে সেটাই মুখে বলবে– ৩:১৬৭।
  • ফালতু কথা বলবে না এবং অন্যের ফালতু কথা শুনবে না। যারা ফালতু কথা বলে, অপ্রয়োজনীয় কাজ করে সময় নষ্ট করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে – ২৩:৩, ২৮:৫৫।
  • কাউকে নিয়ে উপহাস করবে না, টিটকারি দিবে না, ব্যঙ্গ করবে না – ৪৯:১০।
  • অন্যকে নিয়ে খারাপ কথা বলবে না, কারো মানহানি করবে না – ৪৯:১০।
  • কাউকে কোন বাজে নামে ডাকবে না। – ৪৯:১০।
  • কারো পিছনে বাজে কথা বলবে না – ৪৯:১২।
  • যাদেরকে আল্লাহ বেশি দিয়েছেন, তাদেরকে হিংসা করবে না, সে যদি তোমার নিজের ভাই-বোনও হয় – ৪:৫৪।
  • অন্যকে কিছু সংশোধন করতে বলার আগে অবশ্যই তা নিজে মানবে। কথার চেয়ে কাজের প্রভাব বেশি – ২:৪৪।
  • কখনও মিথ্যা কথা বলবে না – ২২:৩০।
  • সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঘোলা করবে না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করবে না – ২:৪২।
  • যদি কোন ব্যপারে তোমার সঠিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে সে ব্যপারে মুখ বন্ধ রাখো। তোমার মনে হতে পারে এসব সামান্য ব্যপারে সঠিকভাবে না জেনে কথা বললে অত সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি জানো না সেটা হয়ত আল্লাহর কাছে কোন ভয়ঙ্কর ব্যপার – ২৪:১৪, ২৪:১৬।
  • মানুষকে অত্যন্ত বিচক্ষণভাবে, মার্জিত কথা বলে  আল্লাহর পথে ডাকবে। তাদের সাথে অত্যন্ত ভদ্র, শালীনভাবে যুক্তি তর্ক করবে – ১৬:১২৫।
ব্যবহার
  • মার্জিত পোশাক পড়বে, সুন্দর আচরণ করবে – ৭:২৬।
  • মার্জিত পোশাক পরে প্রার্থনা করবে, সেটা যেখানেই হোক না কেন – ৭:৩১।
  • দরকারের বেশি খাবার খাবে না, পান করবে না – ৭:৩১।
  • নিজেই নিজের গুণ জাহির করে অন্যকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করবে না – ৫৩:৩২।
  • কারো সাথে ফুটানি করবে না, নিজেকে নিয়ে গর্ব করবে না– ৩১:১৮।
  • দেমাক দেখিয়ে চলা ফেরা করবে না – ১৭:৩৭।
  • তাড়াহুড়া করবে না, ধীরে সুস্থে চলাফেরা করবে – ৩১:১৯।
  • বিনয়ের সাথে চলাফেরা করবে – ২৫:৬৩।
  • বেশি সন্দেহ করবে না, কিছু সন্দেহ আছে যেটা করা গুনাহ। আন্দাজে ঢিল মারবে না। একে অন্যের উপর গুপ্তচরগিরি করবে না – ৪৯:১২।
  • কাউকে জিজ্ঞেস না করে এবং সুন্দর সম্ভাষণ না জানিয়ে তার ঘরে কখনও ঢুকে পরবে না – ২৪:২৭।
  • কারো সাথে দেখা হলে তাকে সুন্দরভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সালাম দিবে। কেউ তোমাকে সম্ভাষণ জানালে তাকে তার থেকে আরও ভালভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সালাম দিবে। যদি সেটা না পারো, অন্তত সে যেভাবে জানিয়েছে, সেভাবে জানাবে – ৪:৮৬।
  • যখন তুমি নিজের ঘরে আসবে বা অন্য কারো ঘরে যাবে, ঘরে যারা আছে তাদেরকে সুন্দর সম্ভাষণ জানাবে এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করবে – ২৪:৬১।
  • কেউ ভুলে দোষ করে ক্ষমা চেলে এবং নিজেকে সংশোধন করলে তাকে আগ্রহ নিয়ে, কোন রাগ চেপে না রেখে ক্ষমা করে দিবে – ৬:৫৪, ৩:১৩৪।
  • অজ্ঞ, বর্বর, বিপথগামী লোকজন অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খামোখা যুক্তিতর্ক করতে গেলে তাদেরকে সালাম/শান্তি বলে সরে যাবে– ২৫:৬৩।
নৈতিকতা
  • নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে আগে ঠিক কর, অন্যদেরকে ঠিক করার আগে – ৬৬:৬।
  • কারো কোন উপকার করলে তা তাকে বার বার মনে করিয়ে দিয়ে কষ্ট দিবে না – ২:২৬২।
  • কারো উপকার করলে তার বিনিময়ে তার কাছ থেকে কোন উপকার, এমনকি ধন্যবাদও আশা করবে না – ৭৬:৯।
  • কাউকে কথা দিলে অবশ্যই কথা রাখবে। তোমার প্রত্যেকটা অঙ্গীকারের ব্যপারে তোমাকে জিজ্ঞেস করা হবে – ১৭:৩৪।
  • যারা ভালো কাজ করছে তাদেরকে ভালো কাজে সাহায্য করবে, উৎসাহ দিবে, তাদের সাথে ভালো কাজে যোগ দিবে। যারা খারাপ কাজ করে তাদেরকে কোন ধরণের সাহায্য করবে না – ৫:২।
  • যারা ফাজলেমি, ছ্যাবলামি করে তাদের কাছ থেকে নিজের মান বজায় থাকতে সরে যাবে – ২৫:৭২।
  • নোংরামি, অশ্লীল কাজের ধারে কাছেও যাবে না, সেটা গোপনে হোক আর প্রকাশ্যে – ৬:১৫১।
  • বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দৃষ্টি নত রাখো, কাম দৃষ্টি নিয়ে তাকাবে না, একপলকের জন্যও নয় – ২৪:৩০, ২৪:৩১, ৪০:১৯।
  • কারো সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলে তার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখো যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি তার সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পাচ্ছ। অন্যদেরকে নির্দোষ হিসেবে নিবে যতক্ষণ না তার দোষ প্রমাণিত হয় – ২৪:১২।
  • দুষ্ট, পাজি কেউ তোমাকে কোন খবর দিলে সেটা ভালো করে যাচাই করে নিশ্চিত হও যাতে করে তুমি এমন কিছু করে না ফেল যার জন্য তোমাকে পরে পস্তাতে হয় – ৪৯:৬।
  • তোমার যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই তা অন্ধ অনুসরণ করবে না কারণ আল্লাহর আদালতে তোমার দৃষ্টি, শ্রবণ এবং বিচার-বুদ্ধি এই সব কিছুর বিচার করা হবে – ১৭:৩৬।
  • যারা আল্লাহর বাণীকে গুরুত্ব দেয় না, তা নিয়ে অবহেলা করে, হাসি ঠাট্টা করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে – ৬:৭০। যতক্ষণ না তারা অন্য প্রসঙ্গে কথা না বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে বসবে না, যাতে করে তুমিও তাদের মত হয়ে না যাও – ৪:১৪০।
  • পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে – ৯:১০৮, ৪:৪৩, ৫:৬।
  • ঘুষ খাবে না এবং ঘুষ দিবে না – ২:১৮৮।
  • অন্যের টাকা-পয়সা, সম্পত্তি জেনে শুনে অন্যায় ভাবে দখল করবে না – ২:১৮৮।
  • নিজের সম্পত্তি অন্যায় ভাবে ভোগ করবে না – ২:১৮৮।
  • অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, সংস্থানের জন্য যাদের আনুগত্য করছ তাদের কোন ক্ষমতাই নেই তোমাকে কিছু দেবার, শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে চাও– ২৯:১৭।
পারিবারিক ও আত্মীয় সম্পর্ক
  • খাবারের দাওয়াত পেলে যখন যেতে বলেছে, তখনই যাবে, বেশি আগে যাবে না। খাওয়া হয়ে গেলে দেরি না করে চলে আসবে, যাতে তাদের অসুবিধা না হয় – ৩৩:৫৩।
  • কথা বলার সময় কারও পক্ষপাতিত্ব করবে না, সেটা যদি নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও হয় – ৬:১৫২।
  • বাবা-মার সাথে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক রাখবে, ব্যবহার করবে – ৪:৩৬।
  • কাছের আত্মীয়দের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখবে – ৪:৩৬।
  • এতিম, এবং অভাবী মানুষদেরকে সাহায্য করবে – ৪:৩৬।
  • বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রাখবে – ৪:৩৬।
  • বিপদে পড়া পথিক-যাত্রীদেরকে সাহায্য করবে – ৪:৩৬।
  • যারা তোমার অধীনে কাজ করে এবং দাস-দাসি বা কাজের লোকদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে – ৪:৩৬।
সাম্য
  • জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, যোগ্যতা নির্বিশেষে সব মানুষকে সন্মান কর – ১৭:৭০।
  • জাতি, বর্ণ, ভাষা, যোগ্যতা নির্বিশেষে বিশ্বাসীরা সবাই ভাই-ভাই, বোন-বোন। তোমরা সবাই একই পরিবারের সদস্যর মত একে অন্যের ভাই-বোন হিসেবে থাকবে – ৪৯:১০।
  • তোমাদের জীবনে অন্যের জন্য জায়গা রাখবে– ৫৮:১১।
কু’রআনের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করিঃ
… আমরা তোমাকে (মুহম্মদ) কিতাবটি পাঠিয়েছি সব কিছু পরিস্কার করে বর্ণনা করে; যারা আল্লাহর প্রতি অনুগত (মুসলিম) তাদের জন্য পথ প্রদর্শক, অনুগ্রহ ও সুসংবাদ হিসেবে। (১৬:৮৯)
সালাম।
বিঃদ্রঃ উপরের উপদেশ গুলো সংশ্লিষ্ট আয়াতের সরাসরি অনুবাদ নয়। বরং যেই আয়াতগুলোর অংশ বিশেষ থেকে উপদেশগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, তা দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় আয়াতের অর্থ পড়ে সরাসরি বোঝা যায় না উপদেশটার সাথে মিল কোথায়। চিন্তা করুন, তাফসির পড়ুন, বুঝতে পারবেন। সংগ্রহ / সুত্রঃ ওমর আল জাবির এর ওয়েবসাইট

Free Hand Writing এর কৌশলসমূহ

how to make a cup of tea, how to make a garden, how to get tea from tea plants, how to apply for a job, how to cultivate paddy, how to obtain rice, how to keep in good health, how to learn English well. how to open a bank account, how to open a facebook account, how to make a visa, how to make orsaline etc.

এক্ষেত্রে কোন বিষয় বা ঘটনা কিভাবে হয় / কেমনভাবে হয়/ করতে হয় তা নিয়েই Paragraph টি লিখতে হয়। আর এই জন্য আমরা have to, has to, have got to, having to, had to, must, should ব্যবহার করে খুব সহজেই Paragraph গুলো লিখতে পারি। এইসমস্ত Modal Verb গুলি বাধ্যতামূলক অর্থে ব্যবহূত হয় এবং এইগুলির পরে Verb এর base form বসে । সাধারণত বাংলা ক্রিয়ার শেষে "তে হবে" যুক্ত হলে have to / has to ব্যবহূত হয়। এই সর্ম্পকে পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে আরো আলোচনা করা হবে।

আমরা এখন "How to do well in the examination" Paragraph টি লেখার চেষ্টা করব। paragraph এর beginning বা সূচনা অংশটুকু পূর্বের নিয়ম ফলো করবে। বন্ধুরা এখন পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কি কি করতে হবে তার একটি তালিকা তৈরী কর। যেমন:

Study, approach, check , budget, read through, cope, think, plan, underline, understand, half way through, recheck, space, write, highlight etc.

এখন subject হিসেবে he/we ব্যবহার করে তার সাথে have to/has to প্রয়োগ করলেই বাক্য গঠন করা যাবে। যেমন:

তাকে প্রশ্নপত্রটি পড়তে হবে = He has to read through the question paper.

জেনে নিন : জীবনবৃত্তান্তের খুঁটিনাটি

জেনে নিন : জীবনবৃত্তান্তের খুঁটিনাটিজীবনবৃত্তান্ত হচ্ছে একজন চাকরি প্রার্থীর যাবতীয় তথ্যের এক সম্মিলন। চাকরি প্রার্থী যখন তার জীবনবৃত্তান্তটি তৈরি করেন, তখন তার সম্পর্কে সব তথ্যই সংযোজন করতে হয় এতে।
একজন চাকরিদাতার কাছে কোনো চাকরি প্রার্থীর প্রথম উপস্থিতিই হচ্ছে তার জীবনবৃত্তান্ত। আর তাই একটি জীবনবৃত্তান্তকে হতে হবে সাবলীল এবং প্রাঞ্জল, যাতে এটি হাতে নিয়ে চাকরিদাতার কোনো বিরক্তি উৎপাদন না হয়। আর জীবনবৃত্তান্তের চেহারাও হতে হবে আকর্ষণীয়।
একজন মানুষকে প্রথমে দেখেই যেমন তার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা তৈরি হয়, তেমনি একটি জীবনবৃত্তান্তের বাইরের চেহারা দেখেই অনেকে ধারণা করে নেন এর ভেতরে কী লেখা রয়েছে। তাই ভেতরে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি নজর দিতে হবে জীবনবৃত্তান্তের তথ্যগুলোকে সঠিকভাবে সাজানোর দিকেও। মূলত জীবনবৃত্তান্ত তৈরিতে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।
যা রাখবেন জীবনবৃত্তান্তে : প্রতিটি জীবনবৃত্তান্তে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্যা থাকা চাই। সব তথ্য রাখার দিকে  মনোযোগ দিতেই বেশি সময় দিতে হয়। জীবনবৃত্তান্তে থাকতে হবে ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করা অন্যান্য তথ্য যেন আবর্তিত হয় ক্যারিয়ারের সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ঘিরেই।
সার সংক্ষেপ বক্তব্য : আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন, সেই পদের জন্য যে আপনি উপযুক্ত, তা উল্লেখ করতে হবে জীবনবৃত্তান্তে। আর অবশ্যই নিজের যোগ্যতার পেছনের কারণগুলোও ব্যাখ্যা করতে হবে এই অংশে। খেয়াল রাখতে হবে এই বক্তব্য হতে হবে সংক্ষেপ।
যোগাযোগের তথ্যাবলী : এই অংশে নিজের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্যাবলী সংযোজন করতে হবে। ফোন মোবাইল, ই-মেইলসহ এমন সব মাধ্যমের উল্লেখ করতে হবে যেগুলো সক্রিয় রয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা : শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং উচ্চতর শিক্ষার নির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করতে হবে এই অংশে, যাতে করে তারা আপনার প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।
বাড়তি যোগ্যতা : যদি আপনার কোনো বাড়তি যোগ্যতা থাকে, যা এই চাকরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাহলে তা উল্লেখ করুন। ভাষাগত দক্ষতা, আইটিতে দক্ষতা অথবা অন্য যে কোনো কোর্স করা থাকলে তা এখানে জানিয়ে দিন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দক্ষতার কোর্স করা থাকলে তারও উল্লেখ করুন।
অভিজ্ঞতা : কাজের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করুন জীবনবৃত্তান্তে। এতে আপনি কী ধরনের কাজ করে এসেছেন, তা সহজেই জেনে নিতে পারবেন চাকরিদাতা।
দক্ষতা : নিজের যেসব দক্ষতা ও গুণাবলি রয়েছে, তা জানিয়ে দিন। এগুলো আপনার প্রতি তাদের ধারণাকে ইতিবাচক করবে। শরিফুল সুমন

চাকরির ইন্টারভিউয়ের টিপস

চাকরির ইন্টারভিউয়ের টিপসমৌখিক পরীক্ষা বা চাকরির সাক্ষাৎকারে খুব সাধারণ কিছু প্রশ্ন সবাইকেই করা হয়ে থাকে। এসব চিরাচরিত প্রশ্নগুলোর উত্তরের ধরনের উপরেও অনেকটাই নির্ভর করে আপনি চাকরিটি বাগাতে পারছেন কি না। তাই এসব উত্তরে সতর্ক হোন। সাধারণ এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্যই কিছু টিপস দেয়া হলো এই লেখায়।
চাকরি বদলাতে চান কেন?
‘আমার আগের বস ভালো ছিল না। অফিসে কাজের পরিবেশও ছিল খারাপ। কাজ করার মতো ভালো পরিবেশ ছিল না ওখানে’ এ ধরনের উত্তর খুব একটা সাহায্য করবে না আপনাকে। সব সময় ইতিবাচক উত্তর দিন, বিশেষ করে আপনার লক্ষ্যের কথাটা জানিয়ে দিন স্পষ্ট করে। এটা চাই না, সেটা চাই না বলা যাবে না। জানাতে হবে কেন নতুনটি চান। আপনি যে অবস্থানে রয়েছেন, তার চেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানে যেতে চাওয়ার আকাক্সক্ষার কথাটি জানিয়ে দিন। আর নিজের কর্মদক্ষতা ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাওয়ার ইচ্ছের কথাও বলতে হবে তাদের।
কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি বেশি শক্তিশালী?
এই প্রশ্নের উত্তর অনেকভাবেই হতে পারে। তবে মূল কথা হচ্ছে, উত্তর দিতে হবে ইতিবাচকভাবে। কেউ কিছু বললে শুনে যাওয়ার অভ্যাস আছে বা ভালো অভিনয় করতে পারি এ ধরনের উত্তর দিলে হবে না। যে পদের চাকরির জন্য মৌখিক পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকার দিতে এসেছেন, সেই কাজে সহায়ক হতে পারে, এ ধরনের কয়েকটি গুণাবলির কথা বলতে পারলে ভালো হয়। যে কোনো বিষয়কে ভালোভাবে অনুধাবন করা, পরিস্থিতি সহজে বুঝতে পারা, দ্রুত কোনো বিষয় আয়ত্ত করে নেয়া এসব গুণাবলি হতে পারে আপনার এমন শক্তিশালী দিক যেগুলো চাকরিদাতাকে ইমপ্রেস করতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন এমন সব গুণাবলির কথা তুলে ধরতে, যেগুলো আপনার প্রার্থিত চাকরিতে সফল হতে ভূমিকা রাখবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য খেয়াল রাখবেন, নিজের গুণাবলির কথা বলতে গিয়ে আবার খুব বেশি নিজের প্রশংসা করা যাবে না এবং নিজের গুণের জন্য অহংকার প্রকাশ করা যাবে না কোনোভাবেই।
আপনার দুর্বল দিক কোনটি?
কোনো মানুষই পরিপূর্ণ নয়। প্রতিটি মানুষেরই কিছু দুর্বল দিক থাকতে পারে। তাই এই প্রশ্নে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বরং নিজের দুর্বল দিকগুলোকে সঠিকভাবে তুলে ধরা এবং সেগুলো কাটিয়ে উঠতে নিজের প্রচেষ্টার কথাটি জানানোর চেষ্টা করবেন। এমন কোনো দুর্বলতার কথা জানাবেন না, যে দুর্বলতা কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো ফল বয়ে নিয়ে আসে না। সময়ানুবর্তিতার অভাব, দলগত কাজে অনীহা, ডেডলাইন ভুলে যাওয়া, অলসতা প্রভৃতি নিজের মধ্যে থাকলেও তুলে ধরবেন না। বরং ছোটখাটো কোনো দুর্বল দিক তুলে ধরুন এবং এটি দূর করতে যে আপনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সে বিষয়টিও জানিয়ে দিন। তাহলে দুর্বল দিকটি আর দুর্বলতা হয়ে থাকবে না আপনার জন্য। 

Wednesday, February 13, 2013

ভ্যালেন্টাইন দিবসের প্রতিচ্ছবি

ভ্যালেন্টাইন দিবসকে সামনে রেখে চারিদিকে যেন উজ্জল লাল ও গোলাপি রং এর মেলা চলছে। কাপড়ের বিপনি বিতান গুলোতে দেখা যায় দামী ও ভারিক্কি লাল কাপড়ের সমারোহ, ফুলের দোকানে লাল গোলাপের দাম তাই চড়া, উপহারের বিভিন্ন দোকানে সুন্দর সুন্দর টেডি বিয়ারগুলির গায়ে গোলাপি কিংবা লাল রংয়ের সুদৃশ্য হার্টের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। অলংকার ও ঘড়ি গুলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে ভালোবাসা নিয়ে কোন লিখনী বা মনরঞ্জক কোন উক্তি দিয়ে। এমনকি মিষ্টির দোকানেও দেখা যাচ্ছে হার্টের আকৃতি সম্বলিত কেক বা চকোলেট এর ব্যাবস্থা করতে, তাতে আবার অনুরোধ বা অর্ডারের ভিত্তিতে চকমকে গোলাপি কাভারে সাজানোর ব্যাবস্থাও আছে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ দিবসটি শুধু পাশ্চাত্যের দেশগুলোতেই নয় বরং প্রায় সবকটি মুসলিম দেশেই পালন করা হচ্ছে! অভিবাবকদের চোখের আড়ালে তরুনদলের অনেকেই তাদের বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে দিনটিকে উদ্‌যাপন করবে বলে নানা রকম পূর্ব পরিকল্পনায় মত্ত থাকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার দল বেঁধে একাজ করার পরিকল্পনা আঁটে! আবার কেউ কেউ এ দিনটিতে একটু ভিন্নতা এনে নিজ ভাই বা বোন বা বাবা-মাকেও অভিবাদন জানায় বা শুভ কামনা বিনিময় করে থাকে। এই দিনটির পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তাদের অনেককে বিশেষ পোশাক কিনতে দেখা যায়। টি-শার্ট, জুতা, অলংকার, নানা রকম আকর্ষনীয় পোশাকের বাহার, উঁচো হাই হিলের সাথে ম্যাচ করে লাল নেইল পলিস আরো কত কি! ওহ, লাল রংয়ের চকচকে হার্টের ছোট্ট একটি প্রতিকৃতি সংগ্রহ করতেও তারা ভুলে না। সুবহানআল্লাহ্‌, চারিদিকে এসব ব্যাপার অবলোকন করে; মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সময়ের একটি ঘটনা স্মরণ করা যেতে পারে। একজন যুবক নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলো এবং বল্লো, “ও আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)! আমি আপনাকে আমার নিজের প্রানের, পরিবারের এবং সন্তানদের থেকেও বেশী ভালবাসি। যখন আমি ঘরে থাকি আর মাঝে মাঝে যখন আপনার কথা মনে পড়ে তখন আপনার নিকট এসে আপনাকে না দেখা পর্যন্ত আমার অন্তর শান্তি পায় নাহ। যখন আমি আমার ও আপনার মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে ভাবি তখন আমার এই ধারনা হয় যে, আপনি জান্নাতে থাকবেন নবীদের সাথে আর আমার তাই ভয় হয়, আমি যদি জান্নাতে প্রবেশ করি তাহলে হয়ত আপনাকে দেখতে পাবো নাহ।” নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) প্রতিউত্তর করলেন না, নিরব থাকলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ্‌ ঐ যুবককে উদ্দেশ্য করে একটি আয়াত নাজিল করেন। “আর যে কেউ আল্লাহ ও রাসূলের অনুগত হয়, তবে তারা ঐ ব্যক্তিদের সংগী হবে যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন; অর্থাৎ নবীগণ, সত্য সাধকগণ, শহীদ্গণ ও সৎকর্মশীলগণ এবং এরাই সর্বোত্তম সঙ্গী”। সূরা আন-নিসা, আয়াতঃ ৬৯। সুবহানাল্লাহ, সেই যুবক কতইনা সৌভাগ্যবান যে স্বয়ং আল্লাহ সাত আসমানের উপর থেকে তার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর মাধ্যমে!! সে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছিলো, সে তাঁকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ভালবেসেছিলো আল্লাহ এর সন্তুষ্টি ও করুনা প্রাপ্তির আশায় যাতে করে সে পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারে আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সান্নিধ্য পরকালেও যেন লাভ করতে পারে। তার চিন্তা চেতনার অধিকাংশই পরকালের প্রাপ্তির কথা বিরাজ করছিলো! কিন্তু আজ আমাদের কি হয়েছে? আমরা অবিশ্বাসীদের রীতি-নীতি আর সংস্কার রপ্ত করার পিছনে মত্ত হয়ে পড়েছি!! মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে ভালবেসে তাঁর সুন্নাহ এর অনুসরন করার কথা আমাদের চিন্তা চেতনা থেকে কি করে লোপ পেয়ে গেলো! আমরা মুসলমানরা আজ আল্লাহ এর আদেশ এর প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করছি আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহকে হাত থেকে ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে শেষ নিঃশ্বাস এর সাথে সাথে সব কিছুই ব্যার্থ পর্যবসিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আল্লাহ এর বিভিন্ন সতর্কতা মূলক আভাস সম্পর্কে ও বিভিন্ন রকম নিদর্শন সম্পর্কে পড়ছি, জানছি ও প্রত্যক্ষ করছি, অথচ তা থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করছি না, অথবা সেসব আলামত গুলিকে সম্পূর্ণ রূপে উপেক্ষা করছি। কয়েক বছর পূর্বে গাজা উপত্তকায় ইহুদী কর্তীক মুসলমান গণ-হত্যার ঘটনা এবং ইসরায়লের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানদের উপর অমানবিক অত্যাচার নিপীড়ন, সারা বিশ্বের সকল জীবিত মুসলিমদের জন্য যেন ছিলো একটা চপেটাঘাতের মতন। যেন আল্লাহ আমাদেরকে ধারাবাহিকভাবে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যেন আমরা আমাদের শিকড়ে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সকল সতর্কতার বানীই ভুলে যাই। দুঃখজনকভাবে, আর ক’দিন পরেই গোলাপী ও লাল টেডি বিয়ারগুলিই হবে আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু, তাদেরই রীতি-নীতি ও সংস্কৃতির পদাঙ্ক অনুসরন করার মাধ্যমে যারা মানবতা বিরোধী ও বিশ্বের অপর প্রান্তে আমাদের মুসলমান ভাইদের হত্যাকারী। এই দুঃখজনক চিত্র বুঝা বড় দায়, কি করে আমরা এর পরেও তাদেরকে অনুসরনের মাধ্যমে আনন্দ পেতে পারি? আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে অনুকরন করে (অন্য ধর্মালম্বীদের) সে তাদেরই একজন।” (আহমাদ, ২/৫০; আবু দাঊদ, নাম্বারঃ ৪০২১) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, “তোমরা অবশ্যই তাদেরকে অনুকরন করবে যারা তোমাদের পূর্বেই এসিছিলো (ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে) এমনকি যদি তারা একটা টিকটিকির গর্তেও প্রবেশ করতো, তাহলেও তোমরা তাদেরকে অনুকরন করতে।” তখন সাহাবারা বল্লেন, “ও রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম), আপনি কি ইহুদী ও খৃষ্টানদের কথা বলছেন?” তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বল্লেন, “তবে আর কার কথা বলছি?” (আল বুখারী) এটাই কি ঘটছে না আজকের দিনে? আমরা শুধু অন্ধের মত তাদের অনুকরনই করছি না বরং এর জন্য গর্বও করে থাকি। আমাদের ঘুম থেকে উঠে যাওয়ার সময় এখনই। আমাদের অবশ্যই পূর্ণরূপে, হৃদয় দিয়ে আল্লাহ এর ইচ্ছার কাছে আত্নসমর্পন করতে হবে ও তাঁর আদেশ নিষেধ মান্য করতে হবে। আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহ, সাহাবাদের ও সততার সাধকদের অনুসরন করা আমাদের এখন একান্ত দরকার। কেবল এবং কেবল মাত্র তখনই আমরা সত্যিকার সাফল্য, আনন্দ ও শান্তি লাভ করতে পারবো। “যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা হতে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম।” সূরা নূর, আয়াত ৫২। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “একজন ব্যাক্তি দুনিয়ার পরের জীবনে তাদের সাথেই অবস্থান করবে যাদের সে দুনিয়াতে ভালবাসে।” (আল-বুখারী) আল্লাহ যেন আমাদের হৃদয়ে তাদের জন্য ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন যারা পরকালে হবেন জান্নাতী। আমীন।