ঘূর্ণিঝড়
কী?
কোন জায়গার বাতাস গরম হলে তা হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং ঐ জায়গায় নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়৷ তখন চারদিকের ঠান্ডা ও ভারী বাতাস প্রবল বেগে সেদিকে ছুটে আসে এবং ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ কেন্দ্রে প্রবেশ করে৷ এই প্রবল বায়ু প্রবাহকেই ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন বলে৷ বিভিন্ন দেশে ঘুর্ণিঝড়ের বিভিন্ন ধরনের নাম রয়েছে,যেমন উত্তর আমেরিকায় হারিকেন,দূরপ্রাচ্যে টাইফুন এবং আমাদের দেশে একে সাইক্লোন বা ঘুর্ণিঝড় বলে৷ মাসুদউর
ঘূর্ণিঝড়
কেন হয়
প্রখর রোদ ও
অত্যধিক তাপে কোনো জায়গার বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে গেলে ঐ স্থানে বাতাসের চাপ কমে যায় এবং নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়৷ এই ফাঁকা
জায়গা পূরণ করার জন্য চারদিকের ঠান্ডা ও
ভারী বাতাস মেঘসহ প্রবল বেগে ছুটে আসে এবং ঘুরতে
ঘুরতে শূণ্যস্থানে প্রবেশ করে৷ ঘুরতে ঘুরতে ছুটে আসা বাতাসের এই প্রবাহকেই ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন বলে৷ ঘূর্ণিঝড়ে কেবল বাতাস
থাকেনা প্রবল বৃষ্টিপাতও হয়৷
- সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা যখন ২৭ ডিগ্রী সেঃ বেশি হয় তখন ঘূর্ণিঝড় হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে৷ যে সকল সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রী সেঃ এর কম সেখানে সাধারণত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না৷
- সমুদ্রে যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তাকে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় বলে৷ আর স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তাকে কালবৈশেখী ও টর্নেডো বলে৷
- সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে৷ আবার অনেকসময় ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রেই দুর্বল হয়ে পরে উপকূলে আঘাত হানে না৷
- সাধারণত বাংলাদেশে বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ ও আশ্বিন-কার্তিক মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়৷ অধিকাংশ ঝড়ের সৃষ্টি হয় বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায়৷
বাতাসের
বেগ বা গতি অনুসারে আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড়কে কয়েকটি শ্রেণীতে