Wednesday, November 14, 2012

ধূমপান কেন এবং কিভাবে ক্ষতিকর??

আমরা তো সবাই জানি ধূমপান ক্ষতিকর, কিন্তু কিভাবে  ক্ষতি করে তা আমরা কয়জন জানি!!!??আসুন জানার চেষ্টা করি...
তামাক এবং তামাকজাত দ্রোব্যের মধ্যে 60 এর অধিক ক্যান্সারজনক পদার্থ রয়েছে।তামাকের ধোয়াতে প্রায় 4000 এর মত পদার্থ যেমন বেনজিন, ACETONE, কার্বন মনোক্সাইড, এমনিয়া, হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এগুলা ক্যান্সার উন্নয়নের কাজে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন মেজাজের গোলমাল, সিজোফ্রেনিয়ার এবং অন্যান্য স্নায়বিক রোগ তৈরি করে।এছাড়াও মানসিক সমস্যা, উন্মত্ততা তৈরি করে। তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্রধান উপাদান হল Nicotine, যা আমাদের আমাদের শরীরে বেশিক্ষণ থাকেনা এবং এটা enzymes এর মাধ্যমে ভেঙ্গে যায় এবং অনেক রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় যা দেহের জন্য ক্ষতিকর। নিকোটিন একটি অত্যন্ত আসক্তি পদার্থ,যা আমাদের মস্তিষ্কে রাসায়নিক পরিবর্তন করে।এই কারণে ধূমপায়ীদের অধিকাংশ ধূমপান ছারতে পারে না।ধূমপান আমাদের মস্তিষ্কের রসায়নে পরিবর্তন আনে এবং নিকোটিন ডোপামিন স্তর বৃদ্ধি করে, আমাদের মস্তিষ্ক ডোপামিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। ডোপামিন আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে একটি রাসায়নিক পদার্থ যা অনুভূতির জন্য দায়ী।নিকোটিন প্রভাব খুব সংক্ষিপ্ত তাই যারা​নিকোটিন নেন মানে যারা ধূমপান করেন তারা আসক্ত হয়ে পরেন এবং ছারতে পারেন না।

পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি পরে কেন???

পেঁয়াজ কাটলে আপনার আমার চোখ দিয়ে যেভাবে অনবরত পানি পরে যেন কত কি হয়ে গেছে!!পেঁয়াজ থাকে অ্যামিনো এসিড
sulfoxides যা পেঁয়াজ কোষে sulfenic অ্যাসিড গঠন করে। উভয় এনজাইম এবং sulfenic অ্যাসিড পেঁয়াজ কোষে  আলাদাভাবে রাখা হয়।আপনি যখন পেঁয়াজ কাটেন, তখন এনজাইম এবং sulfenic অ্যাসিড মিক্সিং শুরু করে  এবং propanethiol S-oxide উত্পাদন শুরু করে,যা একটি উদ্বায়ী সালফার যৌগ এবং আপনার চোখের দিকে  যাওয়া আরম্ভ করে। যে গ্যাস নির্গত হয় তা আপনার চোখের পানির সাথে বিক্রিয়া করে এবং সালফিউরিক অ্যাসিড উত্পাদন শুরু করে। এই সালফিউরিক অ্যাসিড আপনার চোখের টিয়ার গ্ল্যান্ড কে আরো অশ্রু তৈরি করতে সাহায্য করে আর চোখ দিয়ে পানি পর শুরু হয়। পেঁয়াজ মধ্যে যে সালফার যৌগ থাকে তার কারনে আপনার হাতে এবং হারি পাতিলে গন্ধ হয়।
অশ্রুজল এড়ানো উপায়
১> ফ্যান অফ রাখুন। ফ্যান অন থাকলে আপনার চোখে সহজেই গ্যাস যাইতে পারে যা আপনার চোখে পানি আনতে সাহায্য করে।
২>পেঁয়াজ  কাটার আগে refrigerating করে নিতে পারেন। refrigerating করলে এনজাইম এবংsulfenic অ্যাসিড মিশতে পারে না তাই propanethiol S-oxide উত্পাদন হয় না।
৩>এছাড়াও একটি ভাল উপায়  হল কাটার আগে পানিতে ডোবানো। পানিতে ডোবানো হলে  গ্যাস পানি শোষণ করে নেয়।
৪>রুট পর্যন্ত পেঁয়াজ কাটা এড়িয়ে চলুন।
৫>অশ্রুজল এড়ানো আরেকটি কার্যকর উপায় হল একটি মোমবাতি বা কাছাকাছি একটি বাতি আলো রাখা , এটা করলে পেঁয়াজ কাটার সময় যে গ্যাস তৈরি হয় তা চোখের দিকে না গিয়ে  মোমবাতি বা বাতির আলোর  দিকে যায়।

Wednesday, November 7, 2012

পেশা যখন অনলাইননির্ভর

পেশা যখন অনলাইননির্ভরঅনেকেই বলেন পেশা হয়ে উঠছে অনলাইননির্ভর। কথাটা যে একেবারেই যুক্তিহীন তা কিন্তু বলা যাবে না। কেননা বর্তমানে পেশা বলেন আর সামাজিক যোগাযোগ বলেন দুটোই অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে অনলাইনের ওপর। কেননা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে কাজের ধরন। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে পেশার ক্ষেত্রে একধরনের বিপ্লব ঘটে গেছে। একদিকে যেমন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান, অন্যদিকে পুরনো প্রতিষ্ঠানের আকার-আয়তন বেড়েছে। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাজের ক্ষেত্র। আগের তুলনায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক আধুনিকায়ন ঘটেছে এবং প্রযুক্তিনির্ভরতাও বেড়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার জন্য একদিকে যেমন আধুনিক হতে হবে, তেমনি থাকতে হবে প্রযুক্তিসংক্রান্ত দক্ষতা। বর্তমান সময়ে ভালো ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহারসংক্রান্ত জ্ঞানের বিকল্প নেই। এখন প্রায় প্রতিটি বড় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইটগুলোয় প্রতিষ্ঠানের নিজেদের সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য থাকে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মী নেয়া হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের ওয়েবসাইটের একটা নির্দিষ্ট স্থানে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া থাকে। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিভিন্ন ধরনের জটিলতা এড়াতে ও স্বল্প সময়ে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করতে ওয়েবসাইটের সাহায্য নিয়ে থাকে।
তাই একজন চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। যারা ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ, তারাই বিভিন্ন চাকরির সুযোগ সহজে পাবেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘাঁটলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট একটি স্থানে জীবনবৃত্তান্ত ফরম পূরণের ব্যবস্থা থাকে। এ ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করলেই চলে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ই-মেইলের মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত চায়। প্রথমেই ভালোভাবে দেখে নিতে হবে প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরনের কর্মী আবশ্যক এবং কোনো কোনো যোগ্যতা চেয়েছে। সে অনুযায়ী জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু কাজের অভিজ্ঞতা চেয়ে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অপ্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য জীবনবৃত্তান্তে দেয়া যাবে না। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করার পর লিখিত পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের আগে নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে তা অনেক সময় কাজে লাগতে পারে। নিয়োগকর্তারা যদি বুঝতে পারেন তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে চাকরিপ্রার্থীর ভালো ধারণা রয়েছে, তাহলে সেই প্রার্থীর প্রতি তাদের ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয় যা চাকরি পেতে দারুণ সহায়ক হয়।  আর এ জন্য চাকরিপ্রার্থীরা সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘেঁটে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন অথবা ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারেন।
এখন বিভিন্ন চাকরির খোঁজখবর দেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লোকবল নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়টি তুলে দেয় এসব প্রতিষ্ঠানের ওপরে। এসব প্রতিষ্ঠানকে চাকরির ওয়েব পোর্টাল বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জটিলতায় না গিয়ে এখন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরির ওয়েব পোর্টালে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এরপর প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করার কাজটিও এসব প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন করে দেয়। আর এ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্যই ইন্টারনেটের ব্যবহারে দক্ষ হতে হয়। দেশে বসেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনও করা যায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাকরির ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে। এভাবে ঘরে বসেই খুঁজে নেয়া যায় নিজের চাকরিটি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন আমরা সহজেই ঘরে বসে চাকরির আবেদন করতে পারি।
ফলে একদিকে যেমন সময় কম লাগছে, তেমনি নানা ধরনের জটিলতা থেকেও রেহাই পাওয়া যায় এবং ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করতে পারছি। দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু এখানেই শেষ কথা নয়।
ফাতেমা খাতুন

পরিকল্পিত জীবন গড়তে পরিকল্পনাক্যারিয়ার

ক্যারিয়ারের সম্মানজনক অবস্থানে দাঁড়িয়ে একটা সুখের নীড় গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন না, এমন মানুষ খুঁজে বের করা দায়। ছাত্রজীবন থেকেই প্রত্যেকে এই স্বপ্ন নিজের মাঝে লালন করে থাকে। কিন্তু পরিকল্পনানুযায়ী প্রস্তুতি না থাকার কারণে অনেক সময় অনেকেরই সে স্বপ্ন হাতের মুঠো থেকে খুব সহজেই ফসকে যায়।
পরিকল্পনা করা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন। ব্যক্তিগত ও সামাজিক চাহিদা, অবস্থান, সামর্থ্য এবং রুচিবোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এ জন্য আপনি কিছু সহজ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। পরিকল্পনার ক্ষেত্রে চারটি বিষয় এ ক্ষেত্রে থাকা উচিত। যথা: লক্ষ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত, সঠিক কাজ, সময় এবং প্রচেষ্টা। জীবনে সিদ্ধান্ত নেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিদ্ধান্ত বলতে একটি কাজ করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেটি থেকে বিকল্প বা কোনো একটি বিষয় বেছে নেয়াকে বুঝায়। আর সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার ওপর সাফল্যের অনেকটাই নির্ভর করে। সিদ্ধান্ত শেষে আপনাকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সময়কে গুরুত্ব দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তোমার জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ স্কুলে এই বিষয়ে রচনা লেখেননি এমন শিক্ষার্থী কমই আছে। মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়, কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আবার শিক্ষক ইত্যাদি। শখ অনুযায়ী এই কিশোর বয়স থেকে শুরু করা উচিত ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। কারণ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার আসল সময় এই বয়সটাই। যদি প্রস্তুতিটি সঠিক হয় তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনাটির বাস্তব রূপদান সম্ভব। আর সেটা সম্ভব আমাদের প্রচেষ্টা, ইচ্ছা, আগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতার ওপরই। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত সামর্থ্য, দক্ষতা, আগ্রহ, রুচি, উৎসাহ, মূল্যবোধ, স্বপ্ন এবং গুণাবলিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা।
 যে কাজকে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেব এবং তার মাধ্যমে উপার্জন করে জীবনযাপন করব সেটাই পেশা। আর পেশা নিয়ে পরিকল্পনা বলতে যে পেশার মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করবেন সে বিষয়ে পরিকল্পনা করাকে বোঝায়। কেননা বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে পড়াশোনা শেষে চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে এমন চিন্তা করা বোকামি। কারণ চাকরি পেতে হলে আপনাকে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতেই হবে।
আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দরকার যোগ্যতার। এ জন্য ক্যারিয়ার হিসেবে আপনি কোনটিকে বেছে নেবেন, কোনো পেশার জন্য কী রকম প্রস্তুতি নিতে হবে, আপনার ইচ্ছাধীন পেশায় যাওয়ার রাস্তাটা কেমন হবে বিষয়গুলো জানতে অবশ্যই পেশা পরিকল্পনা প্রয়োজন।



চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিনঅতীতাকে যেমন একেবারেই গুরুত্বহীন মনে করা যাবে না, তেমনি খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে ক্ষতি ডেকে আনা যাবে না। বর্তমানকে যথাযথ মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতের সফলতা লাভের প্রচেষ্টা চালানোতেই লুক্কায়িত রয়েছে সত্যিকারের বীরত্ব। যারা বর্তমানকে উপভোগ করতে পারেন না, ভবিষ্যতের সোনালি স্বপ্ন দেখতেও ভুলে যান তাদের অমঙ্গলই হয় বেশি। নিজের অবস্থান ও সামর্থ্যরে ব্যাপারে সচেতন থেকেই পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিতে হয়। শুধু উপরে দেখা কিংবা শুধুই নিচে দেখার মাঝে লাভ নয়, বরং ক্ষতিই বেশি। নিজের ব্যাপারে পরিপূর্ণ সচেতনতাই সামনে এগিয়ে নিতে পারে। অনেকগুলো বিকল্প যখন একসঙ্গে সামনে আসে, তার মধ্য থেকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, উপযুক্ত বিকল্পটি বেছে নেয়ার নাম সিদ্ধান্ত। জীবনের প্রত্যেকটি পদে, এমন হাজার বার আমাদের বিকল্প বেছে নিতে হচ্ছে। কখনো আমরা সঠিকটা নিতে পারি, কখনো হয়ে যায় ভুল। হয়তো আপনি যে সিদ্ধান্তটা ভালো বুঝবেন, কিন্তু তা গ্রহণ করতে পারছেন না এমনটিও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী যেটি ওই সময়ের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেটি বেছে নিন। সেটিই হতে পারে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত। কাজেই সততা ও সাফল্যের সঙ্গে নিজ অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করতে সঠিক সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
 নিজের মতের ওপর স্থির থাকা ভালো, যদি সে মত সঠিক হয়। পাহাড়, পর্বত, বৃক্ষরাজি শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্থির অস্তিত্বের দৃষ্টান্ত হিসেবে। স্থিরতাতেই কল্যাণ। ঘন ঘন মতো বদলানো বোকামি। খড়কুটোই শুধুমাত্র উদ্দেশ্যহীনভাবে ভেসে চলে। তাই উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্টকরণ এবং সিদ্ধান্তে অটল অবিচল থাকতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে, কঠিন প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা অযৌক্তিক। কথা কম বলা মন্দ নয়। তাই বলে পরামর্শবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা প্রয়োজনেও মুখ না খোলার অভ্যাসকে তো কিছুতেই ভালো বলতে পারি না। তবে অতিরিক্ত কথা বলার অর্থই চিন্তা কম করা, যা কম বুদ্ধিমানেরাই করে থাকে। যে ক্ষুদ্র চিন্তা করে তার কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না। আবার যে বড় চিন্তা করবে এবং চিন্তার আলোকে কর্মপ্রচেষ্টা চালাবে, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যপানে ছুটবে সে ছোট থাকবে এটাও যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। চিন্তা কোনো মাপের কোনো পর্যায়ের সেটি নির্ণয় করতে পারলেই কোনো মাপের মানুষ সেটি বুঝা অনেকটা সহজ হবে। ইচ্ছের শেষ নেই। সব ইচ্ছা পূরণ হওয়ার নয়। ইচ্ছে অপূরণ থাকে বলেই মানুষ আরো বেঁচে থাকতে চায়।

সৃজনশীল প্রশ্ন: উত্তর কীভাবে লিখবে

সৃজনশীলতা বিষয়টি কোনো একটি মাত্র নির্দিষ্ট রূপের মধ্যে আবদ্ধ নয়। ব্যক্তির নিজের কাজকর্ম এবং তা থেকে সৃষ্ট বা উদ্ভাবিত কোনো দ্রব্য বা সেবা যদি ভোক্তার অভাব পূরণ করতে পারে, তবে এটা যেমন সৃজনশীলতার একটি নমুনা। আবার ওই একই অভাব পূরণে অন্য কেউ যদি নতুন স্বাদ যুক্ত করে আরেকটি দ্রব্য বাজারে হাজির করে, তবে সেটাও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ।
আরও বলা যায়, সৃজনশীলতার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এটা আকাশের দিগন্তরেখার মতো। খুব কাছে মনে হলেও ধরতে গেলে এটা দূরে সরে যায়। সে জন্য এ সৃজনশীল কাজের শুরু সেই আদিকাল থেকে, আজও তা বজায় রয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে কেউ কেউ প্রশ্ন করে থাকেন, সৃজনশীল প্রশ্নের কোনো উপাংশের জন্য উত্তর কতটা দীর্ঘ হবে? একজন শিক্ষার্থীর লিখিত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে অন্য একজন শিক্ষার্থীর লিখিত উত্তর কতটা সাদৃশ্যপূর্ণ হবে, কেউ কেউ ধারণা করে থাকেন ক্লাসের ভালো শিক্ষার্থী যেভাবে উত্তর লিখেছে, অন্যরা অনুরূপভাবে উত্তর লিখবে এবং এর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে নম্বর কম বা বেশি পাবে। এর একটি বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে পেতে নবম ও দশম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের নমুনা উত্তর লেখার মধ্য দিয়ে পাবো।
সৃজনশীল প্রশ্ন: ১
রূপম চাকমা খাগড়াছড়ি জেলায় জন্মগ্রহণ করে। সে শ্রাবণী খীসাকে বিবাহ করে পরিবার গড়ে তোলে। তার পরিবারের বসবাসের গৃহনির্মাণ এবং আয়-রোজগারের জন্য সে ৬ হেক্টর পাহাড়ি জমি ক্রয় করে। ওই জমিতে সে ফলের বাগান এবং একটি নার্সারি করে। বাগান থেকে ফল এবং নার্সারি থেকে চারা বিক্রি করে সে প্রচুর আয় করে। এ আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়।
ক. নাগরিকত্ব কী? ১
খ. নাগরিকতা লাভের একটি পদ্ধতি বর্ণনা করো। ২
গ. রূপম চাকমা নাগরিকের কোন ধরনের অধিকার ভোগ করছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রূপম চাকমা অধিকার ভোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রতি যে কর্তব্য পালন করেছে তা মূল্যায়ন করো। ৪
# ওপরের সৃজনশীল প্রশ্নের ‘ক’ উপ-অংশের নমুনা উত্তর হলো—
নাগরিকেরা রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রের প্রদত্ত যে মর্যাদা লাভ করে, পৌরনীতিতে তাকেই নাগরিকত্ব বলে।
এ উত্তরটি পাঠ্যবই থেকে সরাসরি দেওয়া যায়। এ প্রশ্নে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর প্রদত্ত উত্তরে বিশেষ কোনো পার্থক্য হবে না। পার্থক্য হতে পারে বাক্য গঠনে। যেমন নাগরিকত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র প্রদত্ত নাগরিকের বিশেষ অধিকার। এ দুই উত্তরের ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা পূর্ণ নম্বর পাবে।
# ‘খ’ উপ-অংশে শিক্ষার্থীরা নাগরিকতা লাভের দুটি পদ্ধতির যেকোনো একটি পদ্ধতি এবং ওই পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেবে। তাতে প্রধানত দুই ধরনের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে। যেকোনো একটি পদ্ধতির নাম ও বিবরণ লেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উত্তরের মধ্যে পরিবেশিত তথ্যের মিল থাকবে। কিন্তু বাক্য গঠন ও বিন্যাসে বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন রীতি অনুসরণ করবে।
# ‘গ’ উপ-অংশে একটি নতুন পরিস্থিতিতে পাঠ্য বইয়ের একটি বিশেষ ধারণা (নাগরিকের সামাজিক অধিকার) প্রয়োগে শিক্ষার্থীর দক্ষতা মূল্যায়নের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নের শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত উত্তরের মধ্যে মিল বা সাদৃশ্য হবে—যে ধারণা/নীতি/পদ্ধতি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে তা লেখার মধ্যে। যেমন: রূপম চাকমা নাগরিকের সামাজিক অধিকার ভোগ করছে। এরপর এ সামাজিক অধিকার কী এবং কীভাবে রূপম চাকমার ভোগ করা সুবিধাগুলো সামাজিক অধিকারের পর্যায়ভুক্ত তা ব্যাখ্যা করতে হবে। এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মেধা ও মননকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে পাঠ্য বিষয়কে সংযুক্ত করে ব্যাখ্যা করার মধ্য দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার ভাষার দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা সর্বোপরি সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পায়। এ প্রশ্নের উত্তর দেখে একজন শিক্ষক খুব সহজেই উচ্চ মেধাসম্পন্ন, মেধাসম্পন্ন এবং নিম্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সফলভাবে বিভাজন করতে পারেন।
# ‘ঘ’ উপ-অংশে নাগরিক হিসেবে রূপম চাকমার একটি বিশেষ আচরণের কথা বলে নাগরিকের অধিকার ভোগের সঙ্গে কর্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ের প্রয়াস গৃহীত হয়েছে। সৃজনশীল প্রশ্নের এ অংশের উত্তরে শিক্ষার্থীরা রূপম চাকমার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ জমাদানের কাজটি নাগরিকের কী ধরনের কর্তব্য পালন, তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি এ কর্তব্যকে অধিকার ভোগের সঙ্গে সম্পর্ক করে সামগ্রিক আলোচনা করবে। ফলে এ অংশে শিক্ষার্থীরা একটি বাস্তব ঘটনা পাঠ্যবইয়ের আলোকে যাচাই-বাছাই করে এর ধরন চিহ্নিত করার পাশাপাশি এর সঙ্গে অধিকারের যোগসূত্র স্থাপন করে নিজের মতামত প্রদান করবে। নিজস্ব মতামত কিংবা যুক্তি উপস্থাপনকালে শিক্ষার্থীরা পাঠ-সহায়ক বই-পুস্তকের তথ্যাদি সংযুক্ত করে প্রশ্নের উত্তর সমৃদ্ধ করতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীদের উত্তরের মধ্যে নিজ নিজ চিন্তা-ভাবনা, সিদ্ধান্ত নির্মাণ ও সূক্ষ্ম চিন্তন তথা বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সক্ষমতা প্রকাশ পাবে। এ প্রশ্নের উত্তর দেখে শিক্ষক খুব সহজে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে সক্ষম হবেন।
শেষে বলা যায়, শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা হবে বহুমাত্রিক। কেবল সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি সৃজনশীলতার পরিমাপক নয়। আবার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার কোনো সীমা টানাও কঠিন। তবে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে বাহুল্য বাদ দিয়ে একটা পরিমিত বোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার সৃজনশীল প্রশ্নের বিভিন্ন উপাংশের জন্য প্রশ্নোত্তরের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। অবশ্য সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির পাশাপাশি শ্রেণীতে পাঠদানকালে এবং শ্রেণীর পাঠ শেষে শিক্ষার্থীদের সম্পাদিত কাজে কতটা সৃজনশীলতার প্রতিফলন ঘটে তা মূল্যায়ন আবশ্যক। সেই লক্ষ্যে আরও পদ্ধতি ও কৌশল উদ্ভাবন এবং ব্যবহার আবশ্যক।

পরামর্শ : ইংরেজি শেখার কিছু করণীয় দিক

আপনার সন্তানের ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতে আপনার অদম্য আগ্রহ এবং আন্তরিকতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন আপনার ছেলেমেয়ের আন্তরিক ইচ্ছাবোধ। তাদের প্রশংসা করার মাধ্যমে ইংরেজি শিখনে আগ্রহী করে তোলা যাবে।
যেসব নিয়ামক শিশুর ইংরেজি শিখতে সহায়তা করে সেগুলি হচ্ছে :
১. ঘরে ইংরেজি ভাষা চর্চার সুযোগ। 

২. ইংরেজি ভাষার ক্লাবে বা ক্যামপে যাওয়া। 
৩. বিদ্যালয়ে পঠিত বিষয় হিসেবে ইংরেজি থাকা।
৪. ইরষরহমঁধষ ঝপযড়ড়ষ-এ অধ্যয়ন করা অর্থাৎ আমাদের দেশের শিশুরা এমন বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করবে, যেখানে ইংরেজি ও বাংলা দুটোরই ব্যবহার হয়। 
৫. ইংরেজি ব্যবহূত হয় এ রকম দেশে বসবাস করা। 
৬. ইংরেজি ব্যবহূত হয় এ রকম দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস না করতে পারলেও ছুটির সময়ে বেড়াতে সেসব দেশে যাওয়া। ৭. ইংরেজি জানা লোকের সাহচর্যে থাকা। 
৮. ইংরেজি জানা প্রতিবেশী অথবা বিদেশি বন্ধু থাকা। 
৯. ইংরেজি সংবাদ শোনা ও ইংরেজি ভাষার টিভি প্রোগ্রাম দেখা। 
১০. ইরষরহমঁধষ উরপঃরড়হধৎু, চরপঃঁৎব উরপঃরড়হধৎু, ঊষবপঃৎড়হরপং উরপঃরড়হধৎু ইত্যাদি ব্যবহার। ১১. ইংরেজিতে লেখা বইগুলো, গল্প, ছড়া, গান, তথ্যবই, খেলা, ছবি, নোটিশ, পাপেট ইত্যাদির ব্যবহার। 
১২. খেলনার, খাবারের, আসবাবপত্র ইত্যাদির ইরষরহমঁধষ ক্যাটালগের ব্যবহার। 
১৩. মানচিত্র, সময়সূচি, ভ্রমণ পুস্তিকা, বিদেশি ম্যাগাজিন, ইংরেজি পত্রপত্রিকার ব্যবহার।
শিশুরা যেসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে সেগুলি হচ্ছে :
১। তাদের নিজেদের বিষয়ে, ২। তাদের পরিবারের বিষয়ে, ৩। তাদের আগ্রহের বিষয়ে, ৪। তাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন সমপর্কে, ৫। জীবন সমপর্কে, ৬। কী করছে এবং করতে যাচ্ছে সে বিষয়ে, ৭। তাদের চারপাশের পরিবেশ সমপর্কে, ৮। তাদের অনুভূতি সমপর্কে, ৯। তাদের পছন্দ এবং অপছন্দ নিয়ে, ১০। তাদের অসুবিধা নিয়ে।
ছোট্ট শিশুরা নিজের মাতৃভাষা ব্যতীত অন্য যে কোন ভাষা শিখতে প্রবল আগ্রহী হয়। তারা বিদেশি শব্দ শিখতে পারলে গর্ববোধ করে। অন্যদের দেখাতে চায় যে তারা অন্য ভাষা জানে। জেনে হয়তো অবাক হবেন যে পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ শিশু দু'তিনটি ভাষায় কথা বলতে পারে। তাদের পরিবার তাদের কাছে এ রকম প্রত্যাশাও করে। তারা এ রকম করতে পারে কারণ তাদের পরিবার, সমাজব্যবস্থা এ বিষয়টিকে খুবই স্বাভাবিক বিষয় বলে ধরে নেয়। দু'তিনটি ভাষা শিখতে গিয়ে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম মোটেও ব্যাহত হয় না। ১০-১১ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে বিদেশি ভাষা শিখছে যারা, তাদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। পরিবার ও বিদ্যালয় তাদের উৎসাহিত করছে। এখন বিশ্বায়নের যুগ। ব্যবসায়, ভ্রমণ, চাকরি প্রভৃতি কাজে ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। অনেক চাকরির জন্য এখন ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন হয়।
শিশুদের ইংরেজি শেখার বিষয়টি খুব কঠিন কাজ নয়। এর জন্য তাদের বেশি বেগ পেতে হয় না। তবে বিদ্যালয়ের অনুপযোগী শিক্ষাদান কৌশল, বিদ্যালয়ের পরিবেশ, ভালো শিক্ষা উপকরণের অভাব তাদের ইংরেজি শেখাটাকে কঠিন করে তুলতে পারে। মা-বাবার কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেলে শিশুরা তীক্ষ্ন হয়। বাবা-মা যদি ইংরেজি শেখার গুরুত্ব না বুঝতে পারেন তাহলে তারা শিশু-সন্তানদের ইংরেজি শিখতে অনুপ্রাণিত করতে চান না।
শিশুরা ভালোভাবে ইংরেজি শিখতে পারে যদি শিক্ষকের সঙ্গে তাদের সমপর্ক আন্তরিক ও উৎসাহব্যঞ্জক হয়। তারা যদি তাদের ভাবের আদান-প্রদান এবং কথোপকথন ঠিকমতো সমপন্ন করতে পারে। শিশুরা বড়দের সঙ্গে কথা বলতে পারে যদি তারা তা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। প্রত্যেক শিশুই আলাদা ব্যক্তিত্ববোধসমপন্ন হয়। প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিত্রিপ্তয়া থাকে। কাজেই তাদের আলাদাভাবে বুঝতে হবে, জানতে হবে এবং আবিষ্কার করতে হবে। কেবল মা-বাবাই পারেন শিশুকে ভালোভাবে জানতে, তৎপরতার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ব্যয়সাপেক্ষে বুঝতে।
নিজ গৃহ থেকেই শিশুর সত্যিকার ভাষা শিক্ষাটা শুরু হয়। শিশুরা যদিও চৎব-ঝপযড়ড়ষ-এ যায় তবু ভাষা শিক্ষার আসল কাজটি শুরু হয় গৃহে। মা-বাবার মাধ্যমেই তাদের হাতেখড়ি হয়। বিদ্যালয়ে অসংখ্য শিশু শিক্ষার্থীর ভিড়ে বেড়ে ওঠে আপনার সন্তান। শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিটি শিশুর পৃথক আলাপচারিতার সুযোগ খুব কমই থাকে। কিন্তু বাবা-মা পারেন শিশুর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উৎসাহ জোগাতে। প্রয়োজনীয় সুযোগও করে দিতে পারেন। নিজের ভাষার মতোই শিশুরা ইংরেজি শিখতে পারে। ধরুন, আপনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারছেন না। ইংরেজি বিষয়ে আপনার দক্ষতা তেমন নেই। আপনি প্রয়োজনীয় পাঠ উপকরণ জোগাড় করে দিতে পারেন আপনার সন্তানকে। তা ছাড়া, কীভাবে লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়, সঠিক উচ্চারণের নিয়ম-কানুন, নতুবা শব্দ লেখা ও মনে রাখা যায় কীভাবে সেসব কৌশল জানার চেষ্টা করুন।
বাবা-মা শিক্ষকের চেয়ে তাদের সন্তানকে ভালো করে জানেন। মা-বাবা তাদের অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে তাদের শিশুসন্তানের মেজাজ-মর্জি বুঝতে পারেন। তারা শিশুর চাহিদা এবং আগ্রহ সমপর্কে জানতে পারেন। তাদের ভাষা ব্যবহারের ভঙ্গি, স্তর, কাজ করার সামর্থ্য, শেখার ধরন প্রভৃতি বুঝতে পারে। কীভাবে শিশুসন্তানের আগ্রহ সৃষ্টি করা যাবে এবং তা ধরে রাখা যাবে তা মা-বাবাই ভালো জানবেন।
বাবা-মা নিবিড়ভাবে পারিবারিক পরিবেশে ড়হব-ঃড়-ড়হব ংবংংরড়হ-এর মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে পারেন, যা বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। শিশুরা মা-বাবার কাছে শিখতে অভ্যস্ত হয় এবং অবচেতনভাবেই তা শুরু করে। শিশুরা গৃহে মা-বাবার কাছে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। মা-বাবার সঙ্গে মিলেমিশে ভাষা শিখতে গিয়ে শিশুরা তাদের ভালোবাসা, আগ্রহ, উৎসাহ, প্রশংসা প্রভৃতিতে সুদৃঢ় করতে পারে।
শোনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। শেখার যত দক্ষতা রয়েছে, তার মধ্যে শোনার দক্ষতা সবগুলোর ভিত্তি। শিশুরা দেখে এবং অনুকরণের মাধ্যমে শিখে। তারা শিখতে গিয়ে যদি ভুল করে তাহলে তাদের সমালোচনা না করে শুধরে দিতে হবে। পাঠ উপকরণ যখন যেখানে যে অবস্থায় পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলো প্রদর্শন করলে শিশুদের প্রেষণা বৃদ্ধি পাবে। এসপয়ভপ বলেছে, ুঐব যিড় শহড়ংি হড় ভড়ৎবরমহ ষধহমঁধমব, ফড়বং হড়ঃ ঃৎঁষু শহড় িযরং ড়হিচ্. কাজেই আপনার শিশুসন্তানকে অবশ্যই ভালোভাবে ইংরেজি ভাষাটাকে রপ্ত করতে দিন। যত্নবান ও সংবেদনশীল হোন। সুপরিকল্পিত সুযোগ সৃষ্টি করুন।
আপনাদের এবং সন্তানের মধ্যে নিবিড় বন্ধন সৃষ্টি করুন। দেখবেন, সে মাতৃভাষার চেয়ে বেশি আগ্রহী হবে ইংরেজি শিখতে।