Tuesday, December 18, 2012
শীতের অসুখঃ করণীয়
শীত সমাগত। ঘুম থেকে উঠলেই দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন, আর সবুজ ঘাসে
জমে আছে বিন্দু বিন্দু শিশির। অনেক সময় প্রকৃতি সাজে অপরূপ সৌন্দর্যে,
পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়ে যায়। শীতকাল শুরুর এই সময়টা উপভোগ্য হলেও দেখা
দিতে পারে বাড়তি কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই এই সময়টাতে প্রয়োজন কিছুটা
বাড়তি সতর্কতা। শুষ্ক আবহাওয়ার সাথে কম তাপমাত্রার সংযোজন আর ধুলাবালির
উপদ্রব সব মিলিয়েই সৃষ্টি করে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা। তার জন্য প্রয়োজন
কিছু সতর্কতা।
পালং শাক কেন খাবেন??
পালং
শাক সারা পৃথিবীতেই অত্যন্ত সুপরিচিত একটি শাক। পালং শাক মূলত মধ্য
দণি-পশ্চিম এশিয়ার একটি সবজি। পালং শাক একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ, যা সাধারণত
এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বর্ষার শেষে পালং শাকের চাষ করা হয় এবং
শীতকালে শাক হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। পালং শাকের পাতা সবুজ এবং পাতার উপরের
অংশ চওড়া।
জৈব রাসায়নিক উপাদান
পালং
শাক অত্যন্ত পুষ্টিমানসমৃদ্ধ একটি শাক। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩
কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, কার্বোহাইট্রেড ৩.৬ গ্রাম, আঁশ ৪.২ গ্রাম, চিনি
০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ২.২ গ্রাম, ভিটামিন এ ৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম-৯৪০০১৪ ইউনিট,
বিটাকেরোটিন, ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম লিউটিন, জাঞ্ছিন ১২.১৯ মি. গ্রাম, ফোলেট
(বি৯) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ২৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন কে ৪৬৩
মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মি. গ্রাম, আয়রন ২.৭ মি. গ্রাম।
কার্যকারিতা
এন্টি
অক্সিডেন্ট হিসেবে : পালং শাকে প্রচুর ফাভোনয়েড নামক এন্টি অক্সিডেন্ট
থাকায় তা শরীরের অক্সিডেশন প্রক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
এন্টি
ক্যান্সার : পালং শাকে ১৩ প্রকার ফাভোনয়েডস আছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে
খুবই কার্যকর।
হৃদরোগ
প্রতিরোধে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ বিদ্যমান। এ ছাড়া
এতে বিভিন্ন ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান, যা ফ্রি রেডিকেলের পরিমাণ
কমায় এবং কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। এতে প্রচুর ভিটামিন বি১ থাকায়
হৃৎপিণ্ডের শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে।
গ্যাসট্রোইন্টেস্টাইনাল অ্যাকটিভিটি : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা কোলেনের কোষগুলোকে রক্ষা করে।
প্রদাহনাশক হিসেবে : বাত ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে : পালং শাক স্মৃতিশক্তি বর্ধক হিসেবে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।
চুরোগ দূর করতে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন এ লিউটিন থাকায় নিয়মিত পালং শাক খেলে রাতকানা রোগ ও চোখে ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করতে : পালং শাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
মাসিকজনিত ব্যথা : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় এটি মাসিকজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
গর্ভবতী
ও স্তন্যদানকারী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় : প্রচুর ভিটামিন ও
মিনারেলস থাকায় এটি গর্ভবতী মহিলাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং
স্তন্যদানকারী মহিলাদের স্তন্য দুগ্ধ বাড়াতে সহায়তা করে।
গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা দূর করে : পালং শাকে বিভিন্ন প্রকার ক্ষারীয় উপাদান থাকায় এটা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
দাঁত
ও হাড়ের ক্ষয় রোধে : পালং শাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন সি
থাকায় দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
প্রস্তাবের সমস্যা দূর করতে : পালং শাক মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং কিডনির প্রদাহ দূর করে।
শ্বাসনালীর সমস্যায় : ব্রঙ্কোডায়ালেটর হিসেবে কাজ করে, ফলে ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
Monday, December 17, 2012
শীতের রোগবালাই ও সতর্কতা
শীতের ঠাণ্ডা হাওয়া যেমন আরামদায়ক, আবার এর সঙ্গে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকিও
রয়েছে। ঘুম থেকে উঠলেই দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন, আর সবুজ ঘাসে জমে
আছে বিন্দু বিন্দু শিশির। তবে শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে কম তাপমাত্রার সংযোজন
আর ধুলাবালির উপদ্রব_ সব মিলিয়েই সৃষ্টি করে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা। শীতে
প্রধানত বাড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের
আদর্্রতাও কমে, যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যে ব্যাঘাত ঘটায়। আর ভাইরাস
দ্বারা আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ায় আক্রমণেরও প্রবণতা
লক্ষ্য করা যায়। ঠাণ্ডা, শুষ্ক বাতাস আর ধুলাবালি সব মিলিয়ে যারা
শ্বাসকষ্টের রোগে ভোগেন, যেমন হাঁপানি, ব্রংকাইটিস উপসর্গগুলো আরও বেশি হয়।
সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ড শীতের সময়ই বেশি দেখা যায়। শীতের শুরুতে তাপমাত্রা যখন কমতে থাকে তখনই এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। শুরুতে গলা ব্যথা, খুশখুশ ভাব ও শুকনা কাশি দেখা দেয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে এবং ঘন ঘন হাঁচি আসে। হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। এ রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায়, 'চিকিৎসা করলে ৭ দিন লাগে, না করলে ১ সপ্তাহ লাগে'।
এক্ষেত্রে প্যারাসিটামল এবং এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ খেলেই যথেষ্ট। পাশাপাশি দেশজ ওষুধ যেমন : মধু, আদা, তুলসীপাতা, কালিজিরা ইত্যাদি রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করবে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই রোগ আবার আরেকজনের মধ্যেও ছড়ায়। তাই রোগ যাতে অন্যদের আক্রান্ত করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আরোগ্য না হওয়া পর্যন্ত বাসায় থাকাই ভালো। বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যারা আক্রান্ত, তাদের অবশ্যই বাসায় রাখতে হবে। নেহাত বাইরে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো। অন্যদিকে এ সময় ইনফ্লুয়েঞ্জাও বেশিমাত্রায় দেখা যায়। এই রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত। ঠাণ্ডার অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও এ রোগের ক্ষেত্রে জ্বর ও কাশিটা খুব বেশি হয় এবং শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত দেহের দুর্বলতার সুযোগে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াও আক্রমণ করে থাকে। বিশেষ করে নাকের সর্দি যদি খুব ঘন হয় বা কাশির সঙ্গে হলুদাভ কফ আসতে থাকে, তা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই নির্দেশ করে। এ রোগেরও তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই হয়। শুধু ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলেই এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। শীতের প্রকোপে নাকের এলার্জি, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, সাইনুসাইটিস, মধ্যকর্ণে প্রদাহ, টনসিলাইটিস ইত্যাদি বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নেয়াই ভালো। এ ছাড়া যাদের হাঁপানি বা অনেক দিনের কাশির সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস আছে, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় তাদের কষ্টও বাড়ে। নিউমোনিয়াও এ সময় প্রচুর দেখা যায়।
ঠাণ্ডা ও হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয় : ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করা। িকুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত। িপ্রয়োজন মতো গরম কাপড়, তীব্র শীতের সময় কানটুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা। িধুলাবালি এড়িয়ে চলা। িধূমপান পরিহার করা। িঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। িহাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। িযাদের অনেকদিনের শ্বাসজনিত কষ্ট আছে তাদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত। িতাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে।
শীতে অন্যান্য রোগ : কাশির মতো প্রকট না হলেও শীতে আরও অনেক রোগেরই প্রকোপ বেড়ে যায়। যেমন : িআথর্্রাইটিস বা বাতের ব্যথা শীতে বাড়তে পারে। মূলত বয়স্কদেরই এ সমস্যা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পাশাপাশি ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড়, ঘরে রুম হিটার থাকলে ব্যবহার, গ্লাভস ব্যবহার, কানটুপি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করা ভালো। িঅনেক সময় কড়া রোদও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভালো হয়। অনেকক্ষণ কড়া রোদ না পোহানোই ভালো। িকিছু কিছু রোগে তীব্র শীতে অনেকের হাতের আঙ্গুল নীল হয়ে যায়। তারা অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেন কোনোভাবেই ঠাণ্ডা না লাগে। িঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রক্তচাপ বাড়তে পারে। ঠাণ্ডার ওষুধে সিউডোএফেড্রিন বা ফিনাইলেফ্রিন জাতীয় ওষুধ রক্তচাপ বাড়ায়। িশীতের আরেকটি মারাত্দক সমস্যা হাইপোথার্মিয়া অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া, যা মৃত্যুও ঘটাতে পারে। মূলত যারা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র ব্যবহার করে না এবং শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যারা নিজেদের যত্ন নিতে অপারগ, তারাই এর শিকার। তাই এ সময় যত্নবান হতে হবে।
সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ড শীতের সময়ই বেশি দেখা যায়। শীতের শুরুতে তাপমাত্রা যখন কমতে থাকে তখনই এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। শুরুতে গলা ব্যথা, খুশখুশ ভাব ও শুকনা কাশি দেখা দেয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে এবং ঘন ঘন হাঁচি আসে। হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। এ রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায়, 'চিকিৎসা করলে ৭ দিন লাগে, না করলে ১ সপ্তাহ লাগে'।
এক্ষেত্রে প্যারাসিটামল এবং এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ খেলেই যথেষ্ট। পাশাপাশি দেশজ ওষুধ যেমন : মধু, আদা, তুলসীপাতা, কালিজিরা ইত্যাদি রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করবে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই রোগ আবার আরেকজনের মধ্যেও ছড়ায়। তাই রোগ যাতে অন্যদের আক্রান্ত করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আরোগ্য না হওয়া পর্যন্ত বাসায় থাকাই ভালো। বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যারা আক্রান্ত, তাদের অবশ্যই বাসায় রাখতে হবে। নেহাত বাইরে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো। অন্যদিকে এ সময় ইনফ্লুয়েঞ্জাও বেশিমাত্রায় দেখা যায়। এই রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত। ঠাণ্ডার অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও এ রোগের ক্ষেত্রে জ্বর ও কাশিটা খুব বেশি হয় এবং শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত দেহের দুর্বলতার সুযোগে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াও আক্রমণ করে থাকে। বিশেষ করে নাকের সর্দি যদি খুব ঘন হয় বা কাশির সঙ্গে হলুদাভ কফ আসতে থাকে, তা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই নির্দেশ করে। এ রোগেরও তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই হয়। শুধু ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলেই এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। শীতের প্রকোপে নাকের এলার্জি, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, সাইনুসাইটিস, মধ্যকর্ণে প্রদাহ, টনসিলাইটিস ইত্যাদি বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নেয়াই ভালো। এ ছাড়া যাদের হাঁপানি বা অনেক দিনের কাশির সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস আছে, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় তাদের কষ্টও বাড়ে। নিউমোনিয়াও এ সময় প্রচুর দেখা যায়।
ঠাণ্ডা ও হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয় : ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করা। িকুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত। িপ্রয়োজন মতো গরম কাপড়, তীব্র শীতের সময় কানটুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা। িধুলাবালি এড়িয়ে চলা। িধূমপান পরিহার করা। িঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। িহাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। িযাদের অনেকদিনের শ্বাসজনিত কষ্ট আছে তাদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত। িতাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে।
শীতে অন্যান্য রোগ : কাশির মতো প্রকট না হলেও শীতে আরও অনেক রোগেরই প্রকোপ বেড়ে যায়। যেমন : িআথর্্রাইটিস বা বাতের ব্যথা শীতে বাড়তে পারে। মূলত বয়স্কদেরই এ সমস্যা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পাশাপাশি ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড়, ঘরে রুম হিটার থাকলে ব্যবহার, গ্লাভস ব্যবহার, কানটুপি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করা ভালো। িঅনেক সময় কড়া রোদও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভালো হয়। অনেকক্ষণ কড়া রোদ না পোহানোই ভালো। িকিছু কিছু রোগে তীব্র শীতে অনেকের হাতের আঙ্গুল নীল হয়ে যায়। তারা অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেন কোনোভাবেই ঠাণ্ডা না লাগে। িঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রক্তচাপ বাড়তে পারে। ঠাণ্ডার ওষুধে সিউডোএফেড্রিন বা ফিনাইলেফ্রিন জাতীয় ওষুধ রক্তচাপ বাড়ায়। িশীতের আরেকটি মারাত্দক সমস্যা হাইপোথার্মিয়া অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া, যা মৃত্যুও ঘটাতে পারে। মূলত যারা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র ব্যবহার করে না এবং শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যারা নিজেদের যত্ন নিতে অপারগ, তারাই এর শিকার। তাই এ সময় যত্নবান হতে হবে।
Sunday, December 16, 2012
কিভাবে হবেন অনলাইন সাংবাদিক?
অনলাইন সাংবাদিকতা বলতে বোঝায় ইন্টারনেট পত্রিকা বা গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা। বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া এ ব্যাপারে বলা হয়েছে- Online journalism is defined as the reporting of facts produced and distributed via the Internet.
অনলাইন সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য
১. তাৎক্ষণিকতা
যে কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই রেডিও টিভির মতো এতে প্রকাশ করা যায়। আবার মেইলে খবরের আপডেট পাঠানোরও সুবিধা আছে। গুগল ফিডবার্নারসহ বিভিন্নভাবে এটা করা সম্ভব।
২. স্থায়িত্ব
অনলাইনে প্রকাশিত রিপোর্টের স্থায়িত্ব অনেক বেশি। প্রকাশিত রিপোর্টগুলো আর্কাইভ করে রাখার ব্যবস্থা থাকায় তা যে কোনো সময় দেখা যায়। অন্য যে কোনো মিডিয়ার (প্রিন্ট, রেডিও ও টিভি) চেয়ে এটা খুঁজে বের করা অনেক সহজ।
৩. উপভোগ্য
অনলাইন সংবাদপত্রে লেখার পাশাপাশি গ্রাফিক্স, অডিও, গান, ভিডিও ফুটেজ ও অ্যানিমেশন সংযুক্ত করা সম্ভব। ফলে এটা উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
৪. ইন্টার-অ্যাকটিভ (interactive)
অনলাইন সাংবাদিকতা একটি ইন্টার-অ্যাকটিভ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে পাঠকের মতামত জানা ও পাঠককে নিজের মতামত দ্বারা প্রভাবিত করার সুযোগ বিদ্যমান। এখানে একটি লেখার সঙ্গে একই বিষয়ের অন্যান্য লিংক প্রদান করা যায়। ফলে পাঠক খুব সহজেই একই বিষয়ে অন্যান্য লেখা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারে। তাছাড়া এতে লেখার সূত্র উল্লেখ করা যায় বিধায় পাঠক রিপোর্টের বা লেখার বস্তনিষ্ঠতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।
৫. পূর্ণাঙ্গ, সমৃদ্ধ ও সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনা
অনলাইন সংবাদপত্রে জায়গার কোনো সমস্যা নেই। কিংবা রেডিও টিভির মতো সময়েরও সীমাবদ্ধতা নেই। ফলে একজন অনলাইন সাংবাদিক তার স্টোরিকে বিভিন্ন তথ্যে সমৃদ্ধ করে প্রকাশ করতে পারেন। আবার প্রিন্ট মিডিয়ায় একবার প্রকাশিত হয়ে গেলে তা আর সংশোধন করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু অনলাইনে এ ধরনের সমস্যা নেই। এ জগতের সাংবাদিকরা ঘটনা ঘটার সঙ্গেই তা আপডেট করে দিতে পারেন।
প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতার ওপর ইন্টারনেটের প্রভাব
প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মী, সাংবাদিক ও সম্পাদকদের কাছে ইন্টারনেট বর্তমানে সময় বাঁচানো গবেষণাসম্পদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশেষ করে কোনো বিষয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড জানার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ইন্টারনেটে প্রিন্ট ও সম্প্রচার মিডিয়ার বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম, ধারাবাহিক ফিচার পাওয়া যায়, যা জ্ঞানার্জনে অনেক সহায়ক হচ্ছে।
কিভাবে শুরু করবেন অনলাইন সাংবাদিকতা?
প্রথম স্তর
১. প্রথমেই আপনাকে সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা নিতে হবে। কীভাবে সংবাদ লিখতে হয়, সংবাদের উপাদানগুলোই বা কী ইত্যাদি। সেটা আপনি বই পড়ে জানতে পারেন। তাছাড়া এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোর্সের আয়োজন করছে। সেখানেও অনেক কিছু জানার আছে।
২. আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার চালানো শিখতে হবে। এমএস ওয়ার্ডে বাংলা ও ইংরেজি লিখতে জানতে হবে। তাছাড়া ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভালো।
৩. ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু ওয়েব ব্যাসিক এবং প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা থাকলে ভালো। তবে প্রোগ্রামিং ভাষা খুব বেশি দরকার নেই। যাদের বিভিন্ন ব্লগে লেখার অভ্যাস আছে তারা এক্ষেত্রে সামান্য হলেও এগিয়ে আছেন।
৪. লেখার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে কার্যকর উপায় হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে বেশি বেশি লেখা এবং ভালো কোন লেখক বা সম্পাদকের দ্বারা সম্পাদনা করিয়ে নিজের ভুলগুলো চিহ্নিত করা।
২য় স্তর
১. প্রথমে আপনার লেখার (ফিচার, নিউজ, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি) বিষয় নির্ধারণ করুন।
২. আপনার বাছাই করা বিষয়ে কিছু নমুনা লেখা লিখে ফেলুন। এক্ষেত্রে নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকলে তাতে লেখাগুলো প্রকাশ করুন। নিজের ওয়েবসাইট না থাকলে হতাশার কিছু নেই। বর্তমানে অনেক ফ্রি ওয়েবসাইট (বিভিন্ন ব্লগ, ওয়ার্ডপ্রেস.কম ইত্যাদি) পাওয়া যাবে যেখানে আপনি চাইলেই লিখতে পাবেন।
৩. এবার ফ্রিল্যান্সারদের লেখার দায়িত্বে আছেন এমন দুয়েকজন সম্পাদক/সহ-সম্পাদক খুঁজে বের করুন।
৪. তাদেরকে আপনার পরিচয় প্রদান করে আপনি যে লিখতে ইচ্ছুক তা জানিয়ে চিঠি/মেইল করুন। তাদের কাছে অ্যাসাইনমেন্ট চাইতে পারেন। তবে অবশ্যই তাদের কাছে আপনার লেখার দুয়েকটি নমুনা কপি পাঠাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে লেখার আইডিয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট সম্পাদকের সঙ্গে ফোনে বা মেইলে আলোচনা করতে পারেন।
৫. এসব কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আপনার যোগাযোগ বাড়ান এবং আপনাকে লেখার সুযোগ দিতে অনুরোধ করুন। একই সময়ে আপনার ব্লগ কিংবা সাইটে নিয়মিত লিখতে থাকুন।
উল্লিখিত উপায়ে কাজ করলে অবশ্যই আপনি লেখার সুযোগ পাবেন, একথা বলা যায় নির্দ্বিধায়।
তৃতীয় স্তর
এবার বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় আপনার সিভি পাঠান। সাথে সাথে হাউসগুলোতে আপনার যোগাযোগ অব্যাহত রেখে নিয়মিত সাংবাদিক হিসেবে নিয়োগ পেতে চেষ্টা করুন।
অনলাইন সাংবাদিকতা : নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা
অনলাইন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সংবাদকর্মীকে অবশ্যই দৃঢ় নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন হওয়া উচিত। কারণ অনলাইন বর্তমানে একটি গবেষণা সম্পদ হিসেবে কাজ করছে। ফলে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য দিয়ে কোনো লেখা দিলে তা ইতিহাস বিকৃতির চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া একজন পাঠক একই সময়ে অনেকগুলো সংবাদপত্র পড়তে পারে। ফলে সঠিক তথ্য প্রদান না করলে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে এবং আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জ্ঞান-দক্ষতা যাচাইয়ের কার্যকরী পদ্ধতি : গ্রুপ ডিসকাশন
প্রতিটি মানুষেরই জ্ঞান-দক্ষতা যাচাইয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। রয়েছে
পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, গ্রুপ ডিসকাশন বা দলীয় আলোচনা। অধিক তথ্য, ধারণা,
শ্রেণির আলোচনা বুঝতে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে গ্রুপ স্টাডি বা
দলীয়ভাবে পড়া সবার জন্য খুব সহায়ক। গ্রুপ ডিসকাশন মানুষের জ্ঞান ও
বিচক্ষণতার সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো সচল রাখে।
গ্রুপ স্টাডির সুবিধা
গ্রুপ স্টাডি বিভিন্নভাবে যেকোন পাঠকের/শিক্ষার্থীর জন্য উপকারী হতে পারে। নিচে গ্রুপ স্টাডির কিছু গুরুত্বপুর্ণ দিক আলোচনা করা হল-
১। অনেক সময় একটি দলের যে কেউ পড়ালেখা থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে তার অবস্থান পরিবর্তন করে পূনরায় পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দলের অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। দলের অন্যরা তাকে উত্সাহিত করার ভাল একটা মাধ্যম ও হতে পারে।
২। আপনার সমস্যার কথা হয়তো আপনি ক্লাসে প্রকাশ করতে ইতস্ততবোধ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে ছোট একটা গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
৩। আপনার উপস্থাপনা, অংশগ্রহণ, দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে হয়তো বা আপনি দলে খুব ভাল অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং সবাই আপনার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই তাদের এড়িয়ে যাওয়া বা অবমাননা করার চেষ্টা করবেন না।
৪। পাঠদানের সময় দলীয় সদস্যরা সকল ধারণা ও তথ্যগুলো শুনবে ও আলোচনা করবে। এগুলো সকলের শুনার, শেখার ক্ষমতা ও মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
৫। আপনি যে কৌশলে শিখেন দলের অন্যান্য সদস্যরা সে কৌশলে নাও শেখতে পারে। তাদের শেখার ধরন আপনার চেয়ে অধিক ভাল হতে পারে। তখন আপনার মাঝে নতুন ধারণার জন্ম নিতে পারে।
৬। অন্যের কাছ থেকে নতুন যে কৌশল গ্রহণ করলেন, সেটি অভ্যাসে পরিণত করুন।
৭। আপনার সাজানো হ্যান্ড নোটগুলো দলের অন্যান্যদের সাথে তুলনা করে নিতে পারেন।
৮। দলের অন্যান্যদের সাথে আলোচনা আপনাকে অধিক তথ্য ও ধারণা দিবে। এক্ষেত্রে আপনি সে বিষয়ে অধিক দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন
গ্রুপ স্টাডি আপনা আপনি ভাবে হয় না। একটি দল গঠন করার কিছু কৌশল রয়েছে। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলঃ
১। ক্লাসের সময় বা তারপর বা বিরতির সময় আপনার সহপাঠিদের সাথে আলাপ আলোচনা করুন ও তাদের সম্পর্কে ভাল করে জানুন। একজন সহপাঠিকে আপনার দলে নেওয়ার সময় নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো করে যদি যথাযথ উত্তর পান তাহলে তাকে যুক্ত করতে পারেন।
u সে কি জানার জন্য আগ্রহী?
u সে কি বিশ্বস্ত?
u তার মাঝে যে কোন বিষয় ভাল বুঝার ক্ষমতা রয়েছে কি না?
্ত্রu সে কি সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল?
u অন্যের কাছ থেকে নেওয়া তথ্যগুলো সে গ্রহণ করবে কি?
u তার সাথে কাজ করতে আপনি আগ্রহী কি না?
২। দলীয় সদস্য ৩-১০ জন না হয়া পর্যন্ত বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু দলটি বেশ বড় করার চেষ্টা করবেন না। সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা, লেখাপড়া ও দাযয়িত্ববোধ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
৩। সবাই কখন একত্রিত হওয়া যায় এবং কত সময় অতিক্রম করা যায় সে বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহণ করুন। সাধারণত ৬০-৯০ মিনিট সময় নির্ধারণ করাই বেশি উত্তম।
৪। মিলিত হওয়ার স্থানটি যাতে সকলের নাগালের মধ্যে থাকে, এক্ষেত্রে লাইব্রেরি বা খালিরুম অধিক উত্তম।
৫। গ্রুপ স্টাডির লক্ষ্য স্থির করুন। এটি হতে পারে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান অথবা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি অথবা চলতি ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা।
৬। প্রথম সেশনে একজনকে দলনেতা নির্বাচন করুন। ধারাবাহিকভাবে সকলকে নির্বাচন করুন।
৭। দলের প্রত্যেকের দায়িত্ববোধ ও দলনেতার আলোচনার বিষয় সেশনের পূর্বেই সুনির্দিষ্ট করুন।
৮। দলের সদস্যদের না, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বারের একটি তালিকা করুন। তালিকাটি সবার মাঝে রাখা নিশ্চিত করুন; যাতে যে কোন প্রয়োজনে প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
একটি সফল স্টাডি গ্রুপের বৈশিষ্ট্যঃ
একটি স্টাডি গ্রুপ সফল হতে হলে তাকে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহের অধিকারী হতে হবে-
১। দলের প্রত্যেক সদস্যকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
২। আলোচনার সময় বক্তাকে কোন প্রকার প্রশ্ন করে তাকে বিভ্রান্তি না করে তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। একই সময় একজন কথা বলাই সবচেয়ে উত্তম হবে।
৩। দলীয় সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্ঠায় বক্তার উত্থাপিত যেকোন বিষয় পূনরায় বিশ্লেষণ করবে, অথবা কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করবে।
গ্রুপ স্টাডির সুবিধা
গ্রুপ স্টাডি বিভিন্নভাবে যেকোন পাঠকের/শিক্ষার্থীর জন্য উপকারী হতে পারে। নিচে গ্রুপ স্টাডির কিছু গুরুত্বপুর্ণ দিক আলোচনা করা হল-
১। অনেক সময় একটি দলের যে কেউ পড়ালেখা থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে তার অবস্থান পরিবর্তন করে পূনরায় পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দলের অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। দলের অন্যরা তাকে উত্সাহিত করার ভাল একটা মাধ্যম ও হতে পারে।
২। আপনার সমস্যার কথা হয়তো আপনি ক্লাসে প্রকাশ করতে ইতস্ততবোধ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে ছোট একটা গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
৩। আপনার উপস্থাপনা, অংশগ্রহণ, দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে হয়তো বা আপনি দলে খুব ভাল অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং সবাই আপনার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই তাদের এড়িয়ে যাওয়া বা অবমাননা করার চেষ্টা করবেন না।
৪। পাঠদানের সময় দলীয় সদস্যরা সকল ধারণা ও তথ্যগুলো শুনবে ও আলোচনা করবে। এগুলো সকলের শুনার, শেখার ক্ষমতা ও মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
৫। আপনি যে কৌশলে শিখেন দলের অন্যান্য সদস্যরা সে কৌশলে নাও শেখতে পারে। তাদের শেখার ধরন আপনার চেয়ে অধিক ভাল হতে পারে। তখন আপনার মাঝে নতুন ধারণার জন্ম নিতে পারে।
৬। অন্যের কাছ থেকে নতুন যে কৌশল গ্রহণ করলেন, সেটি অভ্যাসে পরিণত করুন।
৭। আপনার সাজানো হ্যান্ড নোটগুলো দলের অন্যান্যদের সাথে তুলনা করে নিতে পারেন।
৮। দলের অন্যান্যদের সাথে আলোচনা আপনাকে অধিক তথ্য ও ধারণা দিবে। এক্ষেত্রে আপনি সে বিষয়ে অধিক দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন
গ্রুপ স্টাডি আপনা আপনি ভাবে হয় না। একটি দল গঠন করার কিছু কৌশল রয়েছে। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলঃ
১। ক্লাসের সময় বা তারপর বা বিরতির সময় আপনার সহপাঠিদের সাথে আলাপ আলোচনা করুন ও তাদের সম্পর্কে ভাল করে জানুন। একজন সহপাঠিকে আপনার দলে নেওয়ার সময় নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো করে যদি যথাযথ উত্তর পান তাহলে তাকে যুক্ত করতে পারেন।
u সে কি জানার জন্য আগ্রহী?
u সে কি বিশ্বস্ত?
u তার মাঝে যে কোন বিষয় ভাল বুঝার ক্ষমতা রয়েছে কি না?
্ত্রu সে কি সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল?
u অন্যের কাছ থেকে নেওয়া তথ্যগুলো সে গ্রহণ করবে কি?
u তার সাথে কাজ করতে আপনি আগ্রহী কি না?
২। দলীয় সদস্য ৩-১০ জন না হয়া পর্যন্ত বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু দলটি বেশ বড় করার চেষ্টা করবেন না। সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা, লেখাপড়া ও দাযয়িত্ববোধ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
৩। সবাই কখন একত্রিত হওয়া যায় এবং কত সময় অতিক্রম করা যায় সে বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহণ করুন। সাধারণত ৬০-৯০ মিনিট সময় নির্ধারণ করাই বেশি উত্তম।
৪। মিলিত হওয়ার স্থানটি যাতে সকলের নাগালের মধ্যে থাকে, এক্ষেত্রে লাইব্রেরি বা খালিরুম অধিক উত্তম।
৫। গ্রুপ স্টাডির লক্ষ্য স্থির করুন। এটি হতে পারে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান অথবা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি অথবা চলতি ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা।
৬। প্রথম সেশনে একজনকে দলনেতা নির্বাচন করুন। ধারাবাহিকভাবে সকলকে নির্বাচন করুন।
৭। দলের প্রত্যেকের দায়িত্ববোধ ও দলনেতার আলোচনার বিষয় সেশনের পূর্বেই সুনির্দিষ্ট করুন।
৮। দলের সদস্যদের না, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বারের একটি তালিকা করুন। তালিকাটি সবার মাঝে রাখা নিশ্চিত করুন; যাতে যে কোন প্রয়োজনে প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
একটি সফল স্টাডি গ্রুপের বৈশিষ্ট্যঃ
একটি স্টাডি গ্রুপ সফল হতে হলে তাকে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহের অধিকারী হতে হবে-
১। দলের প্রত্যেক সদস্যকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
২। আলোচনার সময় বক্তাকে কোন প্রকার প্রশ্ন করে তাকে বিভ্রান্তি না করে তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। একই সময় একজন কথা বলাই সবচেয়ে উত্তম হবে।
৩। দলীয় সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্ঠায় বক্তার উত্থাপিত যেকোন বিষয় পূনরায় বিশ্লেষণ করবে, অথবা কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করবে।
Health Tips
cÖwZwU evwo‡ZB gvBU Av‡Q| G¸‡jvi weôv A‡b‡Ki A¨vjvwR©i KviY| G A¨vjvwR©i Rb¨ nuvcvwb ev A¨vRgv, †n wdfvi (Nb Nb nVvr mw`© jv‡M, nuvwP nq, bvK S‡i), mvB‡bvmvBwUm I GKwRgv n‡Z cv‡i| N‡ivqv RxevYy gvBU¸‡jv LyeB ¶y`ª KxU| GK wgwjwgUv‡ii wZb fv‡Mi GK fv‡MiI Kg j¤^v| gvby‡li kix‡ii Z¡K †_‡K cÖwZwbqZ g„Z †Kvl S‡i hvq| gvBU¸‡jv gvby‡li kixi †_‡K S‡i hvIqv Gme g„Z †Kvl †L‡q †eu‡P _v‡K| nvRvi nvRvi gvBU N‡ii Mig I Av`ª© RvqMvq _vK‡Z cv‡i| weQvbvi Pv`i, evwj‡ki Kfvi, †jc-†ZvkK, Kuv_v-K¤^j, †mvdv, †g‡Uªm, big †Ljbv, Lv‡Ui wb‡P ev Iqvi‡Wªv‡ei Ic‡i ivLv wRwbmcÎ cÖf…wZ G‡`i Avevm¯’j| G gvBU cÖwZwbqZ cÖPzi weôv Z¨vM K‡i| RxeÏkvq GKwU gvBU kix‡ii IR‡bi cÖvq 200 ¸Y cwigvY weôv Z¨vM K‡i| Ni‡`vi, weQvbv, AvmevecÎ cÖf…wZ hLb Svoy †`qv nq ZLb G weôv¸‡jv evZv‡m †f‡m I‡V Ges mvivevwo‡Z Qwo‡q hvq| gvBU Avcbvi ev Avcbvi mš—v‡bi A¨vjvwR©i KviY wK bv wPwKrm‡Ki Kv‡Q wM‡q A¨vjvwR© w¯‹b †U‡÷i gva¨‡g Zv Rvbv †h‡Z cv‡ib| gvBURwbZ A¨vjvwR©K AmyL-wemyL †_‡K gy³ _vK‡Z n‡j N‡ii gvB‡Ui msL¨v Aek¨B Kgv‡Z n‡e| Kxfv‡e Kgv‡eb| l mßv‡n Aš—Z GKevi weQvbvi Pv`i, evwj‡ki Iqvi nvjKv Mig (550 †m) cvwb‡Z ay‡q wbb| VvÊv cvwb‡Z gvBU g‡i bv| Z‡e wKQy cvwb‡Z P‡j hvq, weôv †avqv nq| l Kvco, †jc, Kuv_v, K¤^j cÖwZ mßv‡n Aš—Z GKevi †iv‡` ïKv‡Z w`b| †iv‡`i AwZ‡e¸wb iwk¥‡Z gvBU gviv hvq| †ZvkK, Mw`I †iv‡` †`qv DwPZ| l Lv‡Ui wb‡P ev Iqvi‡Wªv‡ei Ic‡i hZ Kg wRwbmcÎ ivLv hvq, †Póv Ki“b| l evwoN‡i ch©vß cÖvK…wZK Av‡jv-evZv‡mi e¨e¯’v ivLyb| l N‡ii †g‡S cÖwZw`b †fRv Kvco w`‡q gyQyb| l Iqv‡Wªve I Avjgvwii IciI gy‡Q w`b|
আত্মবিশ্বাসই জোগাবে অনুপ্রেরণাস্মার্ট ক্যারিয়ার
আত্মবিশ্বাসই জোগাবে অনুপ্রেরণাস্মার্ট ক্যারিয়ার
পেশাগত জীবনের এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলতে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা। লিখেছেন তানজিনা আফরোজ
আমরা মনে যা ভাবছি তার ওপর নির্ভর করে আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে নেয়া হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ধরা যাক কারো ব্যবহারে আপনি খুব অপমানবোধ করেছেন; সারাদিন সেই অপমানবোধই আপনার মধ্যে জাগিয়ে তুলছে রাগ, বিদ্বেষ, সন্দেহের মতো নানা খারাপ অনুভূতি। দিনের শেষে হয়তো দেখা গেল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এবং নিজেকে আরো সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। ঠিক এ সময় কাজ দেবে পজেটিভ থিংকিং। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ, প্রতিকূলতার মধ্যে এই পজেটিভ আউটলুকই ফিরিয়ে আনতে পারে আশা, আনন্দ এবং স্বস্তি। এ জন্য প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা।
নিজের চিন্তাভাবনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। কোনো মন্তব্য বা ঘটনা আপনার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার আগেই সেটা মনে মনে একবার কাটাছেঁড়া করে নিন। ঠিক যে কথা বা ঘটনা আপনার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে সেটাকে যুক্তি দিয়ে সাজিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আপনার কোনো দোষ থেকে থাকে তাহলে সেটিকে একটা টার্নিং হিসেবে নিন, যাতে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। যদি আপনার আদৌ কোনো ভুল না হয়ে থাকে তাহলে অন্তত নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার আছেন জেনে নিশ্চিন্তে থাকুন। অপরের ভুলের জন্য নিজের মনকে কলুষিত করা কোনো কাজের কথা নয়। বন্ধু বা কলিগদের মধ্যে যারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত, তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের থেকে পরামর্শ চান। এরা আপনার কর্মক্ষমতা বাড়াবে, সাহস দেবে এবং জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। যারা নেগেটিভ টেম্পারমেন্টের মানুষ অথবা সবকিছুর অহেতুক সমালোচনা করেন, অন্যের সাফল্য সন্দেহের চোখে দেখেন তাদের এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন সকালে উঠে নিজেকে নিজে বলুন, আমি ভালো আছি। আমি ভালো থাকব। দৃঢ় বিশ্বাস এবং ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে বলা এই কথাগুলো আপনাকে নতুন সাহস জোগাতে সাহায্য করবে। এছাড়া ‘আমার কপালটাই খারাপ বা আমার দ্বারা কিছু হবে না’ এ জাতীয় মন্তব্য করা বন্ধ করে দিন। বরং এ কাজটা শক্ত কিন্তু আমি পারব এ চিন্তাটাই মনে গেঁথে নিন।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সেলফ ইমপ্র“ভমেন্ট বা পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্টের বইও দৈনন্দিন জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন। সাংসারিক কাজকর্মই হোক বা ক্যারিয়ার সব ব্যাপারেই একটা খসড়া পরিকল্পনা থাকা খুবই জরুরি। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির কাজ আর অফিসের কাজের দুটি আলাদা আলাদা চেকলিস্ট বানিয়ে নিন। এক একটা কাজ শেষ হলেই লাল পেনসিল দিয়ে কেটে দিন। সব কাজ ঠিকমতো শেষ হলে নিজেকেই ছোট একটা প্রাইজ দিন। ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে আত্মবিশ্বাস থেকেই গড়ে উঠবে পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা। সারাদিনে যা করেছেন তা দিনের শেষে মনে করুন। কোনো কাজটি পারেননি, সেটা নিয়ে চিন্তা না।
পেশাগত জীবনের এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলতে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা। লিখেছেন তানজিনা আফরোজ
আমরা মনে যা ভাবছি তার ওপর নির্ভর করে আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে নেয়া হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ধরা যাক কারো ব্যবহারে আপনি খুব অপমানবোধ করেছেন; সারাদিন সেই অপমানবোধই আপনার মধ্যে জাগিয়ে তুলছে রাগ, বিদ্বেষ, সন্দেহের মতো নানা খারাপ অনুভূতি। দিনের শেষে হয়তো দেখা গেল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এবং নিজেকে আরো সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। ঠিক এ সময় কাজ দেবে পজেটিভ থিংকিং। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ, প্রতিকূলতার মধ্যে এই পজেটিভ আউটলুকই ফিরিয়ে আনতে পারে আশা, আনন্দ এবং স্বস্তি। এ জন্য প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা।
নিজের চিন্তাভাবনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। কোনো মন্তব্য বা ঘটনা আপনার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার আগেই সেটা মনে মনে একবার কাটাছেঁড়া করে নিন। ঠিক যে কথা বা ঘটনা আপনার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে সেটাকে যুক্তি দিয়ে সাজিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আপনার কোনো দোষ থেকে থাকে তাহলে সেটিকে একটা টার্নিং হিসেবে নিন, যাতে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। যদি আপনার আদৌ কোনো ভুল না হয়ে থাকে তাহলে অন্তত নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার আছেন জেনে নিশ্চিন্তে থাকুন। অপরের ভুলের জন্য নিজের মনকে কলুষিত করা কোনো কাজের কথা নয়। বন্ধু বা কলিগদের মধ্যে যারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত, তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের থেকে পরামর্শ চান। এরা আপনার কর্মক্ষমতা বাড়াবে, সাহস দেবে এবং জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। যারা নেগেটিভ টেম্পারমেন্টের মানুষ অথবা সবকিছুর অহেতুক সমালোচনা করেন, অন্যের সাফল্য সন্দেহের চোখে দেখেন তাদের এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন সকালে উঠে নিজেকে নিজে বলুন, আমি ভালো আছি। আমি ভালো থাকব। দৃঢ় বিশ্বাস এবং ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে বলা এই কথাগুলো আপনাকে নতুন সাহস জোগাতে সাহায্য করবে। এছাড়া ‘আমার কপালটাই খারাপ বা আমার দ্বারা কিছু হবে না’ এ জাতীয় মন্তব্য করা বন্ধ করে দিন। বরং এ কাজটা শক্ত কিন্তু আমি পারব এ চিন্তাটাই মনে গেঁথে নিন।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সেলফ ইমপ্র“ভমেন্ট বা পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্টের বইও দৈনন্দিন জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন। সাংসারিক কাজকর্মই হোক বা ক্যারিয়ার সব ব্যাপারেই একটা খসড়া পরিকল্পনা থাকা খুবই জরুরি। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির কাজ আর অফিসের কাজের দুটি আলাদা আলাদা চেকলিস্ট বানিয়ে নিন। এক একটা কাজ শেষ হলেই লাল পেনসিল দিয়ে কেটে দিন। সব কাজ ঠিকমতো শেষ হলে নিজেকেই ছোট একটা প্রাইজ দিন। ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে আত্মবিশ্বাস থেকেই গড়ে উঠবে পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা। সারাদিনে যা করেছেন তা দিনের শেষে মনে করুন। কোনো কাজটি পারেননি, সেটা নিয়ে চিন্তা না।
পড়াশোনায় আগ্রহী হতে হবে
একজন
শিক্ষার্থীকে ‘ভালো ছাত্র’ হতে হলে প্রথমেই তাকে পড়াশোনায় তার মেধার যথাযথ
প্রয়োগে সচেষ্ট হতে হবে। সেই সঙ্গে তাকে হতে হবে বেশকিছু গুণের অধিকারী।
ভালো ছাত্র হতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে যেসব গুণাবলির মাধ্যমে তার মেধাকে
যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে তা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। ভালো ছাত্র হতে
হলে কী কী গুণ থাকা দরকার, তা জেনে নাও।
পাঠে আগ্রহী : একজন ভালো ছাত্র অবশ্যই পাঠে আগ্রহী হবে। পাঠ্যবইয়ের পড়া বোঝা, মনে রাখা, তাড়াতাড়ি শেখা ও দ্রুত লেখার ব্যাপারে তাকে হতে হবে সিরিয়াস। সেই ছাত্রের পড়তে ভালো লাগবে, পড়াশোনায় আনন্দ পাবে এবং পড়াকে কখনই কঠিন ভাববে না। পড়াকে সে সবসময় আনন্দদায়ক ভাবে নেবে, ঠিক খেলাকে যেভাবে নিয়ে থাকে।
একজন মেধাবী ছাত্রের পরীক্ষার হলে তার সব প্রশ্নের উত্তর মনে থাকে। পরীক্ষার খাতায় ঠিক যেভাবে উত্তর চেয়েছে, সেভাবে উত্তর লিখতে পারবে। এখানে যে কথাগুলো
বলা হলো, একজন ছাত্র মেধাবী হলে খুব সহজেই তার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্যামুয়েল জনসন বলেছেন, ‘প্রত্যেক ছাত্রের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তাহলে জ্ঞানী হতে না পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।’
মনোযোগ : ভালো ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় মনোযোগী থাকে। পড়াটাকে সে উপভোগ করে থাকে।
একাগ্রতার কারণে তারা পড়াশোনার জন্য সবসময় বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার
কারণে তাদের পড়া মুখস্থ করা বা বোঝার ক্ষমতা ও লেখার ক্ষমতা থাকে বেশি। ভালো ছাত্র হওয়ার এ নিয়মটি তাদের প্রকৃত মেধাবী হতে সাহায্য করে থাকে। এ মনোযোগের ব্যাপারটি সেই ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার বাইরেও সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে চলতে সাহায্য করে।
দায়িত্বশীল : একজন ভালো ছাত্রের কাজকর্মে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। অবশ্যই পড়াশোনার ব্যাপারে হতে হবে বেশি যত্নবান। পড়াশোনার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে সেই ছাত্রটি অবশ্যই সেরা ফলাফল করে থাকে। যে পড়াশোনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল, সে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনেও দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। নিয়মকানুন তাকে একজন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোনো ধরনের আলসেমি ভাব থাকে না। দায়িত্বশীলতা তাকে করে তোলে কর্মঠ। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা এত বেশি দায়িত্ববান হয়ে থাকে যে তারা ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম : উইলিয়াম ল্যাংলেড বলেছেন, ‘যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।’ ছাত্র মাত্রই পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে শ্রম দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করে।
তারা কখনো নিজের পড়ার ব্যাপারে ফাঁকি দেয় না। তারা পরিশ্রম করে আনন্দ পায়। পরিশ্রমের কারণে ভালো ফলাফল অর্জন তার জীবনকে বদলে দেয় পুরোপুরি। ছাত্রজীবনের পরিশ্রমের এ শিক্ষাটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
পাঠে আগ্রহী : একজন ভালো ছাত্র অবশ্যই পাঠে আগ্রহী হবে। পাঠ্যবইয়ের পড়া বোঝা, মনে রাখা, তাড়াতাড়ি শেখা ও দ্রুত লেখার ব্যাপারে তাকে হতে হবে সিরিয়াস। সেই ছাত্রের পড়তে ভালো লাগবে, পড়াশোনায় আনন্দ পাবে এবং পড়াকে কখনই কঠিন ভাববে না। পড়াকে সে সবসময় আনন্দদায়ক ভাবে নেবে, ঠিক খেলাকে যেভাবে নিয়ে থাকে।
একজন মেধাবী ছাত্রের পরীক্ষার হলে তার সব প্রশ্নের উত্তর মনে থাকে। পরীক্ষার খাতায় ঠিক যেভাবে উত্তর চেয়েছে, সেভাবে উত্তর লিখতে পারবে। এখানে যে কথাগুলো
বলা হলো, একজন ছাত্র মেধাবী হলে খুব সহজেই তার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্যামুয়েল জনসন বলেছেন, ‘প্রত্যেক ছাত্রের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তাহলে জ্ঞানী হতে না পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।’
মনোযোগ : ভালো ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় মনোযোগী থাকে। পড়াটাকে সে উপভোগ করে থাকে।
একাগ্রতার কারণে তারা পড়াশোনার জন্য সবসময় বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার
কারণে তাদের পড়া মুখস্থ করা বা বোঝার ক্ষমতা ও লেখার ক্ষমতা থাকে বেশি। ভালো ছাত্র হওয়ার এ নিয়মটি তাদের প্রকৃত মেধাবী হতে সাহায্য করে থাকে। এ মনোযোগের ব্যাপারটি সেই ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার বাইরেও সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে চলতে সাহায্য করে।
দায়িত্বশীল : একজন ভালো ছাত্রের কাজকর্মে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। অবশ্যই পড়াশোনার ব্যাপারে হতে হবে বেশি যত্নবান। পড়াশোনার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে সেই ছাত্রটি অবশ্যই সেরা ফলাফল করে থাকে। যে পড়াশোনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল, সে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনেও দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। নিয়মকানুন তাকে একজন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোনো ধরনের আলসেমি ভাব থাকে না। দায়িত্বশীলতা তাকে করে তোলে কর্মঠ। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা এত বেশি দায়িত্ববান হয়ে থাকে যে তারা ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম : উইলিয়াম ল্যাংলেড বলেছেন, ‘যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।’ ছাত্র মাত্রই পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে শ্রম দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করে।
তারা কখনো নিজের পড়ার ব্যাপারে ফাঁকি দেয় না। তারা পরিশ্রম করে আনন্দ পায়। পরিশ্রমের কারণে ভালো ফলাফল অর্জন তার জীবনকে বদলে দেয় পুরোপুরি। ছাত্রজীবনের পরিশ্রমের এ শিক্ষাটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত
দীপক রায় : বিদ্যালয়ের দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলীর নিয়মিত পাঠদান, শ্রেণী অভীক্ষা গ্রহণ, মডেল টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, অভিভাবকদের সচেতনতা, সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও পড়াশোনার প্রতি তাদের মনোযোগ বাড়ানোর ফলেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
প্রশ্ন : গ্রামের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও গণিতে তুলনামূলক বেশি দুর্বল হয়। এই দুর্বলতা দূরীকরণে শিক্ষকদের ভূমিকা কি?
দীপক রায় : গ্রামের স্কুলগুলোতে দক্ষ ইংরেজি শিক্ষকের অভাব রয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সঠিক মানে গড়ে তোলা। ইংলিশ স্পিকিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ, ক্লাস রুটিনে ইংরেজির ক্লাস বেশি রাখা, গণিত করানোর সময় সূত্রগুলো ভালোভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে।
প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের আরও বেশি করে স্কুলমুখী করতে বা ঝরে পড়া রোধে কি করা উচিত?
দীপক রায় : স্কুলের পাঠদান আকর্ষণীয় করতে হবে। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা উপকরণ, চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। স্কুলে হালকা টিফিনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। বিষয়ভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি করে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশ্ন : পাঠ্যবইয়ের বাইরে আর কি কি বই পড়লে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ও সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে?
দীপক রায় : বিজ্ঞান, ইতিহাসবিষয়ক বই, বিখ্যাত মনীষীদের জীবনী পাঠ একান্ত প্রয়োজন।
প্রশ্ন : ভালো ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের করণীয় কি?
দীপক রায় : নিয়মিত পাঠদান, সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেওয়া, শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা এবং ছাত্র উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করা।
শিক্ষকের কথা
লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত
মাগুরা
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের
কারণ ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন
এটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার রায়।প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দুর্বলতা দূর করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে?
দীপক রায় : ইংরেজিতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্লাস নেওয়া হয়। আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ে। আমার প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন তিন কপি ডেইলি স্টার পত্রিকা রাখা হয় ও শিক্ষার্থীদের তা পড়ানো হয়। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য পরীক্ষার আগে মডেল টেস্ট নেওয়া হয়। পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশ্ন : ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের কেমন পড়াশোনা করা উচিত?
দীপক রায় : প্রতিটি বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেওয়া, নিয়মিত ৭/৮ ঘণ্টা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করা। বোঝা মনে না করে লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত।
প্রশ্ন : আপনার জীবনে মজার কোনো স্মৃতি থাকলে বলুন।
দীপক রায় : আমার ছোটবেলা ছিল খুব মজার। একবার বর্ষাকালে ১০/১২ জন মিলে নৌকায় বনভোজনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু রান্নার কাজে কেউ যেতে চাইল না। অবশেষে বাধ্য হয়ে আমি রান্না করি। আমার রান্না খেয়ে সবাই এত খুশি হয় যে, পরবর্তীতে রান্নার কাজ এলেই আমর ডাক পড়ত।
Tuesday, December 4, 2012
আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাও
একজন শিক্ষার্থীকে 'ভালো ছাত্র' হতে
হলে প্রথমেই তাকে পড়াশোনায় তার মেধার যথাযথ প্রয়োগে সচেষ্ট হতে হবে। সেই
সঙ্গে তাকে হতে হবে মানুষ হিসেবে বেশকিছু গুণের অধিকারী। ভালো ছাত্র হতে
হলে একজন শিক্ষার্থীকে যেসব গুণাবলির মাধ্যমে তার মেধাকে যথাযথভাবে কাজে
লাগাতে পারে তা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। ভালো ছাত্র হতে হলে কী কী গুণ
থাকা দরকার, তা জেনে নাও।
পাঠে আগ্রহী : একজন ভালো ছাত্র অবশ্যই পাঠে আগ্রহী হবে। পাঠ্যবইয়ের পড়া বোঝা, মনে রাখা, তাড়াতাড়ি শেখা ও দ্রুত লেখার ব্যাপারে তাকে হতে হবে সিরিয়াস। সেই ছাত্রের পড়তে ভালো লাগবে, পড়াশোনায় আনন্দ পাবে এবং পড়াকে কখনই কঠিন ভাববে না। পড়াকে সে সবসময় আনন্দদায়কভাবে নেবে, ঠিক খেলাকে যেভাবে নিয়ে থাকে।
একজন মেধাবী ছাত্রের পরীক্ষার হলে তার সব প্রশ্নের উত্তর মনে থাকে। পরীক্ষার খাতায় ঠিক যেভাবে উত্তর চেয়েছে, সেভাবে উত্তর লিখতে পারবে।
এখানে যে কথাগুলো বলা হলো, একজন ছাত্র মেধাবী হলে খুব সহজেই তার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্যামুয়েল জনসন বলেছেন, 'প্রত্যেক ছাত্রের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তাহলে জ্ঞানী হতে না পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।'
মনোযোগ : ভালো ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় মনোযোগী থাকে। পড়াটাকে সে উপভোগ করে থাকে। একাগ্রতার কারণে তারা পড়াশোনার জন্য সবসময় বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কারণে তাদের পড়া মুখস্থ করা বা বোঝার ক্ষমতা ও লেখার ক্ষমতা থাকে বেশি। ভালো ছাত্র হওয়ার এ নিয়মটি তাদের প্রকৃত মেধাবী হতে সাহায্য করে থাকে। এ মনোযোগের ব্যাপারটি সেই ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার বাইরেও সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে চলতে সাহায্য করে।
দায়িত্বশীল : একজন ভালো ছাত্রের কাজকর্মে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। অবশ্যই পড়াশোনার ব্যাপারে হতে হবে বেশি যত্নবান। পড়াশোনার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে সেই ছাত্রটি অবশ্যই সেরা ফলাফল করে থাকে। যে পড়াশোনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল, সে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনেও দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। নিয়মকানুন তাকে একজন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোন ধরনের আলসেমি ভাব থাকে না। দায়িত্বশীলতা তাকে করে তোলে কর্মঠ। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা এত বেশি দায়িত্ববান হয়ে থাকে যে তারা ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম : উইলিয়াম ল্যাংলেড বলেছেন, 'যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।' ছাত্র মাত্রই পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে শ্রম দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করে। তারা কখনো নিজের পড়ার ব্যাপারে ফাঁকি দেয় না। তারা পরিশ্রম করে আনন্দ পায়। পরিশ্রমের কারণে ভালো ফলাফল অর্জন তার জীবনকে বদলে দেয় পুরোপুরি। ছাত্রজীবনের পরিশ্রমের এ শিক্ষাটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
বইপড়ুয়া : একজন ভালো ছাত্রের বড় গুণ হলো সে মূলত বইপড়ুয়া। বই পড়াটাই তার কাছে মুখ্য ব্যাপার। তারা পরীক্ষার বেশ আগেই সিলেবাস শেষ করে ফেলে। এদের পড়াশোনার ক্ষমতা থাকে বেশি। এ ধরনের ছাত্ররা যে কোন পড়া যে কোন অবস্থায় পড়তে, বুঝতে ও আত্মস্থ করতে পারে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে এ গুণটির অভাব রয়েছে।
শ্রেণীপাঠে অংশ নেয়া : একজন ভালো ছাত্র প্রতিটি শ্রেণীপাঠে অংশগ্রহণ করবে। কারণ যে কোন বিষয়ের প্রতিটি শ্রেণীপাঠে উপস্থিত থাকলে ছাত্রটির পড়া বুঝতে সুবিধা হয়। এতে তার পঠিত বিষয়টি খুব সহজে মুখস্থ বা আত্মস্থ হয়ে যায়। বাড়ির কাজ করা, শ্রেণীতে পড়া বলা, শিক্ষককে প্রশ্ন করা, প্রতিটি কাজই তারা করবে। শ্রেণীতে তাদের একান্ত অংশগ্রহণ থাকবে। এ ধরনের ভালো ছাত্রছাত্রীরা যে কোন শ্রেণীর প্রাণস্বরূপ। এরা শ্রেণীকক্ষকে জমিয়ে রাখে, আনন্দময় করে তোলে। এ রকম ছাত্ররা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে।
লক্ষ্য ঠিক রাখা : অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই ছেলেবেলায় থেকেই তাদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ভাবে। সে লক্ষ্যে পেঁৗছানোর জন্য তারা পড়াশোনায় প্রচুর সময় দিয়ে থাকে। কখনো কোন কারণে পড়াশোনায় মন না বসলে তখন তাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের কথা মনে পড়ে। 'আমাকে আমার সঠিক লক্ষ্যে পেঁৗছাতে হবে'_ এ রকম ভাবনা থেকে তারা উৎসাহ পেয়ে থাকে। একজন ভালো ছাত্রের জীবনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। সটেপহেন বলেছেন, 'মানুষের নিজস্ব একটা লক্ষ্যস্থল থাকলে সেই স্থানেই সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।'
আত্মবিশ্বাস : থিওডোর মুর বলেছেন, 'আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোন কাজেই কৃতিত্ব দেখানো যায় না।' একজন ভালো ছাত্রের আত্মবিশ্বাস সবসময়ই বেশি থাকে। ছাত্র হিসেবে যে কোন পরীক্ষায় এদের বিশ্বাস থাকে প্রবল। 'আমি পারব', 'আমি পেরেছি'_ এ ধরনের ভাবনায় তাদের পড়াশোনার গতি বেড়ে যায়। বেশি ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের অধিকারী হওয়ায় ভালো ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায়ও ভালো করে। এসব ছাত্র পড়াশোনা নিয়ে কখনো হতাশ হয় না। নিয়মিত অনুশীলনের ফলে তাদের পড়াশোনায় বিশ্বাস দিন দিন বাড়তে থাকে। ভালো ছাত্রকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী।
সময়ের ব্যবহার : একজন ভালো ছাত্র কখনো সময়ের অপচয় করে না। মনীষী স্নাইলস বলেছেন, 'বড় হতে হলে সর্বপ্রথম সময়ের মূল্য দিতে হবে।'
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিদিনের পড়াশোনা শেষ করতে হবে। যে ছাত্রটি খেলাধুলা, টিভি দেখাসহ অন্য কাজে সময় কম দেয়, সে-ই পড়াশোনা করতে সময় পায় বেশি। সে তখনকার পড়া তখনই শিখে থাকে। প্রতিদিনের রুটিন অনুসারে সময় ভাগ করে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে থাকে। এতে সময়ের অপচয় হয় না। পরীক্ষায় সে জন্যই ফলাফল হয় সেরা।
বাইরের বই পড়া : ভালো ছাত্র হতে হলে শুধু পাঠ্যবই পড়লেই চলবে না। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পড়তে হবে। যেমন_ সাধারণ জ্ঞানের বই, জীবনী গ্রন্থমালা, উপদেশমূলক বই, সমসমায়িক বিষয়ের ওপর বই। সঙ্গে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা অবশ্যই পড়তে হবে। এসব বই পড়লে বাস্তব জীবন ও জগৎ সমপর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া সম্ভব। এ ধরনের বই জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিনোদনেরও কাজ করে।
চাই সৎ চরিত্র : চরিত্রবানকে সবাই পছন্দ করে। তাই ভালো ছাত্রকে অবশ্যই ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। চরিত্র ভালো হলে সে হবে সত্যবাদী। যারা চরিত্রের দিকে ভালো তারা আদর্শবাদী হয়ে থাকে। ছাত্রজীবনে যারা সৎ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে থাকে, কর্মজীবনেও তারা সৎ থাকতে চেষ্টা করে থাকে।
ভদ্র ও বিনয়ী : একজন ভালো ছাত্রের মনে কোন ধরনের হিংসা বা অহঙ্কার থাকে না। ভালো ছাত্ররা সাধারণত মিশুক ধরনের হয়ে থাকে। ভদ্র ব্যবহার তাদের অন্যতম গুণ। এ গুণের কারণে তারা খুব সহজেই অন্যদের মন জয় করতে পারে। ভালো ব্যবহারের কারণে স্কুলের শিক্ষকরাও তাদের পছন্দ করে থাকেন। শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আনন্দ পান। এই অন্য রকম গুণটির কারণে তারা পড়াশোনায় ভালো করে থাকে।
পাঠে আগ্রহী : একজন ভালো ছাত্র অবশ্যই পাঠে আগ্রহী হবে। পাঠ্যবইয়ের পড়া বোঝা, মনে রাখা, তাড়াতাড়ি শেখা ও দ্রুত লেখার ব্যাপারে তাকে হতে হবে সিরিয়াস। সেই ছাত্রের পড়তে ভালো লাগবে, পড়াশোনায় আনন্দ পাবে এবং পড়াকে কখনই কঠিন ভাববে না। পড়াকে সে সবসময় আনন্দদায়কভাবে নেবে, ঠিক খেলাকে যেভাবে নিয়ে থাকে।
একজন মেধাবী ছাত্রের পরীক্ষার হলে তার সব প্রশ্নের উত্তর মনে থাকে। পরীক্ষার খাতায় ঠিক যেভাবে উত্তর চেয়েছে, সেভাবে উত্তর লিখতে পারবে।
এখানে যে কথাগুলো বলা হলো, একজন ছাত্র মেধাবী হলে খুব সহজেই তার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্যামুয়েল জনসন বলেছেন, 'প্রত্যেক ছাত্রের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তাহলে জ্ঞানী হতে না পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।'
মনোযোগ : ভালো ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় মনোযোগী থাকে। পড়াটাকে সে উপভোগ করে থাকে। একাগ্রতার কারণে তারা পড়াশোনার জন্য সবসময় বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কারণে তাদের পড়া মুখস্থ করা বা বোঝার ক্ষমতা ও লেখার ক্ষমতা থাকে বেশি। ভালো ছাত্র হওয়ার এ নিয়মটি তাদের প্রকৃত মেধাবী হতে সাহায্য করে থাকে। এ মনোযোগের ব্যাপারটি সেই ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার বাইরেও সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে চলতে সাহায্য করে।
দায়িত্বশীল : একজন ভালো ছাত্রের কাজকর্মে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। অবশ্যই পড়াশোনার ব্যাপারে হতে হবে বেশি যত্নবান। পড়াশোনার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে সেই ছাত্রটি অবশ্যই সেরা ফলাফল করে থাকে। যে পড়াশোনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল, সে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনেও দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। নিয়মকানুন তাকে একজন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোন ধরনের আলসেমি ভাব থাকে না। দায়িত্বশীলতা তাকে করে তোলে কর্মঠ। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা এত বেশি দায়িত্ববান হয়ে থাকে যে তারা ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম : উইলিয়াম ল্যাংলেড বলেছেন, 'যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।' ছাত্র মাত্রই পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে শ্রম দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করে। তারা কখনো নিজের পড়ার ব্যাপারে ফাঁকি দেয় না। তারা পরিশ্রম করে আনন্দ পায়। পরিশ্রমের কারণে ভালো ফলাফল অর্জন তার জীবনকে বদলে দেয় পুরোপুরি। ছাত্রজীবনের পরিশ্রমের এ শিক্ষাটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
বইপড়ুয়া : একজন ভালো ছাত্রের বড় গুণ হলো সে মূলত বইপড়ুয়া। বই পড়াটাই তার কাছে মুখ্য ব্যাপার। তারা পরীক্ষার বেশ আগেই সিলেবাস শেষ করে ফেলে। এদের পড়াশোনার ক্ষমতা থাকে বেশি। এ ধরনের ছাত্ররা যে কোন পড়া যে কোন অবস্থায় পড়তে, বুঝতে ও আত্মস্থ করতে পারে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে এ গুণটির অভাব রয়েছে।
শ্রেণীপাঠে অংশ নেয়া : একজন ভালো ছাত্র প্রতিটি শ্রেণীপাঠে অংশগ্রহণ করবে। কারণ যে কোন বিষয়ের প্রতিটি শ্রেণীপাঠে উপস্থিত থাকলে ছাত্রটির পড়া বুঝতে সুবিধা হয়। এতে তার পঠিত বিষয়টি খুব সহজে মুখস্থ বা আত্মস্থ হয়ে যায়। বাড়ির কাজ করা, শ্রেণীতে পড়া বলা, শিক্ষককে প্রশ্ন করা, প্রতিটি কাজই তারা করবে। শ্রেণীতে তাদের একান্ত অংশগ্রহণ থাকবে। এ ধরনের ভালো ছাত্রছাত্রীরা যে কোন শ্রেণীর প্রাণস্বরূপ। এরা শ্রেণীকক্ষকে জমিয়ে রাখে, আনন্দময় করে তোলে। এ রকম ছাত্ররা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে।
লক্ষ্য ঠিক রাখা : অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই ছেলেবেলায় থেকেই তাদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ভাবে। সে লক্ষ্যে পেঁৗছানোর জন্য তারা পড়াশোনায় প্রচুর সময় দিয়ে থাকে। কখনো কোন কারণে পড়াশোনায় মন না বসলে তখন তাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের কথা মনে পড়ে। 'আমাকে আমার সঠিক লক্ষ্যে পেঁৗছাতে হবে'_ এ রকম ভাবনা থেকে তারা উৎসাহ পেয়ে থাকে। একজন ভালো ছাত্রের জীবনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। সটেপহেন বলেছেন, 'মানুষের নিজস্ব একটা লক্ষ্যস্থল থাকলে সেই স্থানেই সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।'
আত্মবিশ্বাস : থিওডোর মুর বলেছেন, 'আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোন কাজেই কৃতিত্ব দেখানো যায় না।' একজন ভালো ছাত্রের আত্মবিশ্বাস সবসময়ই বেশি থাকে। ছাত্র হিসেবে যে কোন পরীক্ষায় এদের বিশ্বাস থাকে প্রবল। 'আমি পারব', 'আমি পেরেছি'_ এ ধরনের ভাবনায় তাদের পড়াশোনার গতি বেড়ে যায়। বেশি ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের অধিকারী হওয়ায় ভালো ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায়ও ভালো করে। এসব ছাত্র পড়াশোনা নিয়ে কখনো হতাশ হয় না। নিয়মিত অনুশীলনের ফলে তাদের পড়াশোনায় বিশ্বাস দিন দিন বাড়তে থাকে। ভালো ছাত্রকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী।
সময়ের ব্যবহার : একজন ভালো ছাত্র কখনো সময়ের অপচয় করে না। মনীষী স্নাইলস বলেছেন, 'বড় হতে হলে সর্বপ্রথম সময়ের মূল্য দিতে হবে।'
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিদিনের পড়াশোনা শেষ করতে হবে। যে ছাত্রটি খেলাধুলা, টিভি দেখাসহ অন্য কাজে সময় কম দেয়, সে-ই পড়াশোনা করতে সময় পায় বেশি। সে তখনকার পড়া তখনই শিখে থাকে। প্রতিদিনের রুটিন অনুসারে সময় ভাগ করে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে থাকে। এতে সময়ের অপচয় হয় না। পরীক্ষায় সে জন্যই ফলাফল হয় সেরা।
বাইরের বই পড়া : ভালো ছাত্র হতে হলে শুধু পাঠ্যবই পড়লেই চলবে না। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পড়তে হবে। যেমন_ সাধারণ জ্ঞানের বই, জীবনী গ্রন্থমালা, উপদেশমূলক বই, সমসমায়িক বিষয়ের ওপর বই। সঙ্গে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা অবশ্যই পড়তে হবে। এসব বই পড়লে বাস্তব জীবন ও জগৎ সমপর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া সম্ভব। এ ধরনের বই জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিনোদনেরও কাজ করে।
চাই সৎ চরিত্র : চরিত্রবানকে সবাই পছন্দ করে। তাই ভালো ছাত্রকে অবশ্যই ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। চরিত্র ভালো হলে সে হবে সত্যবাদী। যারা চরিত্রের দিকে ভালো তারা আদর্শবাদী হয়ে থাকে। ছাত্রজীবনে যারা সৎ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে থাকে, কর্মজীবনেও তারা সৎ থাকতে চেষ্টা করে থাকে।
ভদ্র ও বিনয়ী : একজন ভালো ছাত্রের মনে কোন ধরনের হিংসা বা অহঙ্কার থাকে না। ভালো ছাত্ররা সাধারণত মিশুক ধরনের হয়ে থাকে। ভদ্র ব্যবহার তাদের অন্যতম গুণ। এ গুণের কারণে তারা খুব সহজেই অন্যদের মন জয় করতে পারে। ভালো ব্যবহারের কারণে স্কুলের শিক্ষকরাও তাদের পছন্দ করে থাকেন। শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আনন্দ পান। এই অন্য রকম গুণটির কারণে তারা পড়াশোনায় ভালো করে থাকে।
Subscribe to:
Posts (Atom)