Tuesday, December 18, 2012
শীতের অসুখঃ করণীয়
শীত সমাগত। ঘুম থেকে উঠলেই দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন, আর সবুজ ঘাসে
জমে আছে বিন্দু বিন্দু শিশির। অনেক সময় প্রকৃতি সাজে অপরূপ সৌন্দর্যে,
পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়ে যায়। শীতকাল শুরুর এই সময়টা উপভোগ্য হলেও দেখা
দিতে পারে বাড়তি কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই এই সময়টাতে প্রয়োজন কিছুটা
বাড়তি সতর্কতা। শুষ্ক আবহাওয়ার সাথে কম তাপমাত্রার সংযোজন আর ধুলাবালির
উপদ্রব সব মিলিয়েই সৃষ্টি করে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা। তার জন্য প্রয়োজন
কিছু সতর্কতা।
পালং শাক কেন খাবেন??
পালং
শাক সারা পৃথিবীতেই অত্যন্ত সুপরিচিত একটি শাক। পালং শাক মূলত মধ্য
দণি-পশ্চিম এশিয়ার একটি সবজি। পালং শাক একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ, যা সাধারণত
এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বর্ষার শেষে পালং শাকের চাষ করা হয় এবং
শীতকালে শাক হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। পালং শাকের পাতা সবুজ এবং পাতার উপরের
অংশ চওড়া।
জৈব রাসায়নিক উপাদান
পালং
শাক অত্যন্ত পুষ্টিমানসমৃদ্ধ একটি শাক। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩
কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, কার্বোহাইট্রেড ৩.৬ গ্রাম, আঁশ ৪.২ গ্রাম, চিনি
০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ২.২ গ্রাম, ভিটামিন এ ৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম-৯৪০০১৪ ইউনিট,
বিটাকেরোটিন, ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম লিউটিন, জাঞ্ছিন ১২.১৯ মি. গ্রাম, ফোলেট
(বি৯) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ২৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন কে ৪৬৩
মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মি. গ্রাম, আয়রন ২.৭ মি. গ্রাম।
কার্যকারিতা
এন্টি
অক্সিডেন্ট হিসেবে : পালং শাকে প্রচুর ফাভোনয়েড নামক এন্টি অক্সিডেন্ট
থাকায় তা শরীরের অক্সিডেশন প্রক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
এন্টি
ক্যান্সার : পালং শাকে ১৩ প্রকার ফাভোনয়েডস আছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে
খুবই কার্যকর।
হৃদরোগ
প্রতিরোধে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ বিদ্যমান। এ ছাড়া
এতে বিভিন্ন ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান, যা ফ্রি রেডিকেলের পরিমাণ
কমায় এবং কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। এতে প্রচুর ভিটামিন বি১ থাকায়
হৃৎপিণ্ডের শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে।
গ্যাসট্রোইন্টেস্টাইনাল অ্যাকটিভিটি : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা কোলেনের কোষগুলোকে রক্ষা করে।
প্রদাহনাশক হিসেবে : বাত ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে : পালং শাক স্মৃতিশক্তি বর্ধক হিসেবে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।
চুরোগ দূর করতে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন এ লিউটিন থাকায় নিয়মিত পালং শাক খেলে রাতকানা রোগ ও চোখে ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করতে : পালং শাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
মাসিকজনিত ব্যথা : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় এটি মাসিকজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
গর্ভবতী
ও স্তন্যদানকারী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় : প্রচুর ভিটামিন ও
মিনারেলস থাকায় এটি গর্ভবতী মহিলাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং
স্তন্যদানকারী মহিলাদের স্তন্য দুগ্ধ বাড়াতে সহায়তা করে।
গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা দূর করে : পালং শাকে বিভিন্ন প্রকার ক্ষারীয় উপাদান থাকায় এটা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
দাঁত
ও হাড়ের ক্ষয় রোধে : পালং শাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন সি
থাকায় দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
প্রস্তাবের সমস্যা দূর করতে : পালং শাক মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং কিডনির প্রদাহ দূর করে।
শ্বাসনালীর সমস্যায় : ব্রঙ্কোডায়ালেটর হিসেবে কাজ করে, ফলে ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
Monday, December 17, 2012
শীতের রোগবালাই ও সতর্কতা
শীতের ঠাণ্ডা হাওয়া যেমন আরামদায়ক, আবার এর সঙ্গে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকিও
রয়েছে। ঘুম থেকে উঠলেই দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন, আর সবুজ ঘাসে জমে
আছে বিন্দু বিন্দু শিশির। তবে শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে কম তাপমাত্রার সংযোজন
আর ধুলাবালির উপদ্রব_ সব মিলিয়েই সৃষ্টি করে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা। শীতে
প্রধানত বাড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের
আদর্্রতাও কমে, যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যে ব্যাঘাত ঘটায়। আর ভাইরাস
দ্বারা আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ায় আক্রমণেরও প্রবণতা
লক্ষ্য করা যায়। ঠাণ্ডা, শুষ্ক বাতাস আর ধুলাবালি সব মিলিয়ে যারা
শ্বাসকষ্টের রোগে ভোগেন, যেমন হাঁপানি, ব্রংকাইটিস উপসর্গগুলো আরও বেশি হয়।
সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ড শীতের সময়ই বেশি দেখা যায়। শীতের শুরুতে তাপমাত্রা যখন কমতে থাকে তখনই এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। শুরুতে গলা ব্যথা, খুশখুশ ভাব ও শুকনা কাশি দেখা দেয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে এবং ঘন ঘন হাঁচি আসে। হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। এ রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায়, 'চিকিৎসা করলে ৭ দিন লাগে, না করলে ১ সপ্তাহ লাগে'।
এক্ষেত্রে প্যারাসিটামল এবং এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ খেলেই যথেষ্ট। পাশাপাশি দেশজ ওষুধ যেমন : মধু, আদা, তুলসীপাতা, কালিজিরা ইত্যাদি রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করবে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই রোগ আবার আরেকজনের মধ্যেও ছড়ায়। তাই রোগ যাতে অন্যদের আক্রান্ত করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আরোগ্য না হওয়া পর্যন্ত বাসায় থাকাই ভালো। বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যারা আক্রান্ত, তাদের অবশ্যই বাসায় রাখতে হবে। নেহাত বাইরে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো। অন্যদিকে এ সময় ইনফ্লুয়েঞ্জাও বেশিমাত্রায় দেখা যায়। এই রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত। ঠাণ্ডার অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও এ রোগের ক্ষেত্রে জ্বর ও কাশিটা খুব বেশি হয় এবং শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত দেহের দুর্বলতার সুযোগে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াও আক্রমণ করে থাকে। বিশেষ করে নাকের সর্দি যদি খুব ঘন হয় বা কাশির সঙ্গে হলুদাভ কফ আসতে থাকে, তা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই নির্দেশ করে। এ রোগেরও তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই হয়। শুধু ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলেই এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। শীতের প্রকোপে নাকের এলার্জি, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, সাইনুসাইটিস, মধ্যকর্ণে প্রদাহ, টনসিলাইটিস ইত্যাদি বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নেয়াই ভালো। এ ছাড়া যাদের হাঁপানি বা অনেক দিনের কাশির সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস আছে, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় তাদের কষ্টও বাড়ে। নিউমোনিয়াও এ সময় প্রচুর দেখা যায়।
ঠাণ্ডা ও হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয় : ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করা। িকুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত। িপ্রয়োজন মতো গরম কাপড়, তীব্র শীতের সময় কানটুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা। িধুলাবালি এড়িয়ে চলা। িধূমপান পরিহার করা। িঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। িহাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। িযাদের অনেকদিনের শ্বাসজনিত কষ্ট আছে তাদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত। িতাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে।
শীতে অন্যান্য রোগ : কাশির মতো প্রকট না হলেও শীতে আরও অনেক রোগেরই প্রকোপ বেড়ে যায়। যেমন : িআথর্্রাইটিস বা বাতের ব্যথা শীতে বাড়তে পারে। মূলত বয়স্কদেরই এ সমস্যা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পাশাপাশি ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড়, ঘরে রুম হিটার থাকলে ব্যবহার, গ্লাভস ব্যবহার, কানটুপি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করা ভালো। িঅনেক সময় কড়া রোদও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভালো হয়। অনেকক্ষণ কড়া রোদ না পোহানোই ভালো। িকিছু কিছু রোগে তীব্র শীতে অনেকের হাতের আঙ্গুল নীল হয়ে যায়। তারা অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেন কোনোভাবেই ঠাণ্ডা না লাগে। িঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রক্তচাপ বাড়তে পারে। ঠাণ্ডার ওষুধে সিউডোএফেড্রিন বা ফিনাইলেফ্রিন জাতীয় ওষুধ রক্তচাপ বাড়ায়। িশীতের আরেকটি মারাত্দক সমস্যা হাইপোথার্মিয়া অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া, যা মৃত্যুও ঘটাতে পারে। মূলত যারা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র ব্যবহার করে না এবং শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যারা নিজেদের যত্ন নিতে অপারগ, তারাই এর শিকার। তাই এ সময় যত্নবান হতে হবে।
সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ড শীতের সময়ই বেশি দেখা যায়। শীতের শুরুতে তাপমাত্রা যখন কমতে থাকে তখনই এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। শুরুতে গলা ব্যথা, খুশখুশ ভাব ও শুকনা কাশি দেখা দেয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে এবং ঘন ঘন হাঁচি আসে। হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। এ রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায়, 'চিকিৎসা করলে ৭ দিন লাগে, না করলে ১ সপ্তাহ লাগে'।
এক্ষেত্রে প্যারাসিটামল এবং এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ খেলেই যথেষ্ট। পাশাপাশি দেশজ ওষুধ যেমন : মধু, আদা, তুলসীপাতা, কালিজিরা ইত্যাদি রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করবে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই রোগ আবার আরেকজনের মধ্যেও ছড়ায়। তাই রোগ যাতে অন্যদের আক্রান্ত করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আরোগ্য না হওয়া পর্যন্ত বাসায় থাকাই ভালো। বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যারা আক্রান্ত, তাদের অবশ্যই বাসায় রাখতে হবে। নেহাত বাইরে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো। অন্যদিকে এ সময় ইনফ্লুয়েঞ্জাও বেশিমাত্রায় দেখা যায়। এই রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত। ঠাণ্ডার অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও এ রোগের ক্ষেত্রে জ্বর ও কাশিটা খুব বেশি হয় এবং শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত দেহের দুর্বলতার সুযোগে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াও আক্রমণ করে থাকে। বিশেষ করে নাকের সর্দি যদি খুব ঘন হয় বা কাশির সঙ্গে হলুদাভ কফ আসতে থাকে, তা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই নির্দেশ করে। এ রোগেরও তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই হয়। শুধু ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলেই এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। শীতের প্রকোপে নাকের এলার্জি, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, সাইনুসাইটিস, মধ্যকর্ণে প্রদাহ, টনসিলাইটিস ইত্যাদি বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নেয়াই ভালো। এ ছাড়া যাদের হাঁপানি বা অনেক দিনের কাশির সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস আছে, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় তাদের কষ্টও বাড়ে। নিউমোনিয়াও এ সময় প্রচুর দেখা যায়।
ঠাণ্ডা ও হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয় : ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করা। িকুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত। িপ্রয়োজন মতো গরম কাপড়, তীব্র শীতের সময় কানটুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা। িধুলাবালি এড়িয়ে চলা। িধূমপান পরিহার করা। িঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। িহাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। িযাদের অনেকদিনের শ্বাসজনিত কষ্ট আছে তাদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত। িতাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে।
শীতে অন্যান্য রোগ : কাশির মতো প্রকট না হলেও শীতে আরও অনেক রোগেরই প্রকোপ বেড়ে যায়। যেমন : িআথর্্রাইটিস বা বাতের ব্যথা শীতে বাড়তে পারে। মূলত বয়স্কদেরই এ সমস্যা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পাশাপাশি ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড়, ঘরে রুম হিটার থাকলে ব্যবহার, গ্লাভস ব্যবহার, কানটুপি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করা ভালো। িঅনেক সময় কড়া রোদও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভালো হয়। অনেকক্ষণ কড়া রোদ না পোহানোই ভালো। িকিছু কিছু রোগে তীব্র শীতে অনেকের হাতের আঙ্গুল নীল হয়ে যায়। তারা অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেন কোনোভাবেই ঠাণ্ডা না লাগে। িঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রক্তচাপ বাড়তে পারে। ঠাণ্ডার ওষুধে সিউডোএফেড্রিন বা ফিনাইলেফ্রিন জাতীয় ওষুধ রক্তচাপ বাড়ায়। িশীতের আরেকটি মারাত্দক সমস্যা হাইপোথার্মিয়া অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া, যা মৃত্যুও ঘটাতে পারে। মূলত যারা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র ব্যবহার করে না এবং শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যারা নিজেদের যত্ন নিতে অপারগ, তারাই এর শিকার। তাই এ সময় যত্নবান হতে হবে।
Sunday, December 16, 2012
কিভাবে হবেন অনলাইন সাংবাদিক?
অনলাইন সাংবাদিকতা বলতে বোঝায় ইন্টারনেট পত্রিকা বা গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা। বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া এ ব্যাপারে বলা হয়েছে- Online journalism is defined as the reporting of facts produced and distributed via the Internet.
অনলাইন সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য
১. তাৎক্ষণিকতা
যে কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই রেডিও টিভির মতো এতে প্রকাশ করা যায়। আবার মেইলে খবরের আপডেট পাঠানোরও সুবিধা আছে। গুগল ফিডবার্নারসহ বিভিন্নভাবে এটা করা সম্ভব।
২. স্থায়িত্ব
অনলাইনে প্রকাশিত রিপোর্টের স্থায়িত্ব অনেক বেশি। প্রকাশিত রিপোর্টগুলো আর্কাইভ করে রাখার ব্যবস্থা থাকায় তা যে কোনো সময় দেখা যায়। অন্য যে কোনো মিডিয়ার (প্রিন্ট, রেডিও ও টিভি) চেয়ে এটা খুঁজে বের করা অনেক সহজ।
৩. উপভোগ্য
অনলাইন সংবাদপত্রে লেখার পাশাপাশি গ্রাফিক্স, অডিও, গান, ভিডিও ফুটেজ ও অ্যানিমেশন সংযুক্ত করা সম্ভব। ফলে এটা উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
৪. ইন্টার-অ্যাকটিভ (interactive)
অনলাইন সাংবাদিকতা একটি ইন্টার-অ্যাকটিভ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে পাঠকের মতামত জানা ও পাঠককে নিজের মতামত দ্বারা প্রভাবিত করার সুযোগ বিদ্যমান। এখানে একটি লেখার সঙ্গে একই বিষয়ের অন্যান্য লিংক প্রদান করা যায়। ফলে পাঠক খুব সহজেই একই বিষয়ে অন্যান্য লেখা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারে। তাছাড়া এতে লেখার সূত্র উল্লেখ করা যায় বিধায় পাঠক রিপোর্টের বা লেখার বস্তনিষ্ঠতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।
৫. পূর্ণাঙ্গ, সমৃদ্ধ ও সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনা
অনলাইন সংবাদপত্রে জায়গার কোনো সমস্যা নেই। কিংবা রেডিও টিভির মতো সময়েরও সীমাবদ্ধতা নেই। ফলে একজন অনলাইন সাংবাদিক তার স্টোরিকে বিভিন্ন তথ্যে সমৃদ্ধ করে প্রকাশ করতে পারেন। আবার প্রিন্ট মিডিয়ায় একবার প্রকাশিত হয়ে গেলে তা আর সংশোধন করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু অনলাইনে এ ধরনের সমস্যা নেই। এ জগতের সাংবাদিকরা ঘটনা ঘটার সঙ্গেই তা আপডেট করে দিতে পারেন।
প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতার ওপর ইন্টারনেটের প্রভাব
প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মী, সাংবাদিক ও সম্পাদকদের কাছে ইন্টারনেট বর্তমানে সময় বাঁচানো গবেষণাসম্পদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশেষ করে কোনো বিষয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড জানার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ইন্টারনেটে প্রিন্ট ও সম্প্রচার মিডিয়ার বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম, ধারাবাহিক ফিচার পাওয়া যায়, যা জ্ঞানার্জনে অনেক সহায়ক হচ্ছে।
কিভাবে শুরু করবেন অনলাইন সাংবাদিকতা?
প্রথম স্তর
১. প্রথমেই আপনাকে সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা নিতে হবে। কীভাবে সংবাদ লিখতে হয়, সংবাদের উপাদানগুলোই বা কী ইত্যাদি। সেটা আপনি বই পড়ে জানতে পারেন। তাছাড়া এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোর্সের আয়োজন করছে। সেখানেও অনেক কিছু জানার আছে।
২. আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার চালানো শিখতে হবে। এমএস ওয়ার্ডে বাংলা ও ইংরেজি লিখতে জানতে হবে। তাছাড়া ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভালো।
৩. ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু ওয়েব ব্যাসিক এবং প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা থাকলে ভালো। তবে প্রোগ্রামিং ভাষা খুব বেশি দরকার নেই। যাদের বিভিন্ন ব্লগে লেখার অভ্যাস আছে তারা এক্ষেত্রে সামান্য হলেও এগিয়ে আছেন।
৪. লেখার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে কার্যকর উপায় হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে বেশি বেশি লেখা এবং ভালো কোন লেখক বা সম্পাদকের দ্বারা সম্পাদনা করিয়ে নিজের ভুলগুলো চিহ্নিত করা।
২য় স্তর
১. প্রথমে আপনার লেখার (ফিচার, নিউজ, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি) বিষয় নির্ধারণ করুন।
২. আপনার বাছাই করা বিষয়ে কিছু নমুনা লেখা লিখে ফেলুন। এক্ষেত্রে নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকলে তাতে লেখাগুলো প্রকাশ করুন। নিজের ওয়েবসাইট না থাকলে হতাশার কিছু নেই। বর্তমানে অনেক ফ্রি ওয়েবসাইট (বিভিন্ন ব্লগ, ওয়ার্ডপ্রেস.কম ইত্যাদি) পাওয়া যাবে যেখানে আপনি চাইলেই লিখতে পাবেন।
৩. এবার ফ্রিল্যান্সারদের লেখার দায়িত্বে আছেন এমন দুয়েকজন সম্পাদক/সহ-সম্পাদক খুঁজে বের করুন।
৪. তাদেরকে আপনার পরিচয় প্রদান করে আপনি যে লিখতে ইচ্ছুক তা জানিয়ে চিঠি/মেইল করুন। তাদের কাছে অ্যাসাইনমেন্ট চাইতে পারেন। তবে অবশ্যই তাদের কাছে আপনার লেখার দুয়েকটি নমুনা কপি পাঠাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে লেখার আইডিয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট সম্পাদকের সঙ্গে ফোনে বা মেইলে আলোচনা করতে পারেন।
৫. এসব কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আপনার যোগাযোগ বাড়ান এবং আপনাকে লেখার সুযোগ দিতে অনুরোধ করুন। একই সময়ে আপনার ব্লগ কিংবা সাইটে নিয়মিত লিখতে থাকুন।
উল্লিখিত উপায়ে কাজ করলে অবশ্যই আপনি লেখার সুযোগ পাবেন, একথা বলা যায় নির্দ্বিধায়।
তৃতীয় স্তর
এবার বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় আপনার সিভি পাঠান। সাথে সাথে হাউসগুলোতে আপনার যোগাযোগ অব্যাহত রেখে নিয়মিত সাংবাদিক হিসেবে নিয়োগ পেতে চেষ্টা করুন।
অনলাইন সাংবাদিকতা : নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা
অনলাইন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সংবাদকর্মীকে অবশ্যই দৃঢ় নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন হওয়া উচিত। কারণ অনলাইন বর্তমানে একটি গবেষণা সম্পদ হিসেবে কাজ করছে। ফলে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য দিয়ে কোনো লেখা দিলে তা ইতিহাস বিকৃতির চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া একজন পাঠক একই সময়ে অনেকগুলো সংবাদপত্র পড়তে পারে। ফলে সঠিক তথ্য প্রদান না করলে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে এবং আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জ্ঞান-দক্ষতা যাচাইয়ের কার্যকরী পদ্ধতি : গ্রুপ ডিসকাশন
প্রতিটি মানুষেরই জ্ঞান-দক্ষতা যাচাইয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। রয়েছে
পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, গ্রুপ ডিসকাশন বা দলীয় আলোচনা। অধিক তথ্য, ধারণা,
শ্রেণির আলোচনা বুঝতে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে গ্রুপ স্টাডি বা
দলীয়ভাবে পড়া সবার জন্য খুব সহায়ক। গ্রুপ ডিসকাশন মানুষের জ্ঞান ও
বিচক্ষণতার সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো সচল রাখে।
গ্রুপ স্টাডির সুবিধা
গ্রুপ স্টাডি বিভিন্নভাবে যেকোন পাঠকের/শিক্ষার্থীর জন্য উপকারী হতে পারে। নিচে গ্রুপ স্টাডির কিছু গুরুত্বপুর্ণ দিক আলোচনা করা হল-
১। অনেক সময় একটি দলের যে কেউ পড়ালেখা থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে তার অবস্থান পরিবর্তন করে পূনরায় পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দলের অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। দলের অন্যরা তাকে উত্সাহিত করার ভাল একটা মাধ্যম ও হতে পারে।
২। আপনার সমস্যার কথা হয়তো আপনি ক্লাসে প্রকাশ করতে ইতস্ততবোধ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে ছোট একটা গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
৩। আপনার উপস্থাপনা, অংশগ্রহণ, দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে হয়তো বা আপনি দলে খুব ভাল অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং সবাই আপনার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই তাদের এড়িয়ে যাওয়া বা অবমাননা করার চেষ্টা করবেন না।
৪। পাঠদানের সময় দলীয় সদস্যরা সকল ধারণা ও তথ্যগুলো শুনবে ও আলোচনা করবে। এগুলো সকলের শুনার, শেখার ক্ষমতা ও মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
৫। আপনি যে কৌশলে শিখেন দলের অন্যান্য সদস্যরা সে কৌশলে নাও শেখতে পারে। তাদের শেখার ধরন আপনার চেয়ে অধিক ভাল হতে পারে। তখন আপনার মাঝে নতুন ধারণার জন্ম নিতে পারে।
৬। অন্যের কাছ থেকে নতুন যে কৌশল গ্রহণ করলেন, সেটি অভ্যাসে পরিণত করুন।
৭। আপনার সাজানো হ্যান্ড নোটগুলো দলের অন্যান্যদের সাথে তুলনা করে নিতে পারেন।
৮। দলের অন্যান্যদের সাথে আলোচনা আপনাকে অধিক তথ্য ও ধারণা দিবে। এক্ষেত্রে আপনি সে বিষয়ে অধিক দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন
গ্রুপ স্টাডি আপনা আপনি ভাবে হয় না। একটি দল গঠন করার কিছু কৌশল রয়েছে। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলঃ
১। ক্লাসের সময় বা তারপর বা বিরতির সময় আপনার সহপাঠিদের সাথে আলাপ আলোচনা করুন ও তাদের সম্পর্কে ভাল করে জানুন। একজন সহপাঠিকে আপনার দলে নেওয়ার সময় নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো করে যদি যথাযথ উত্তর পান তাহলে তাকে যুক্ত করতে পারেন।
u সে কি জানার জন্য আগ্রহী?
u সে কি বিশ্বস্ত?
u তার মাঝে যে কোন বিষয় ভাল বুঝার ক্ষমতা রয়েছে কি না?
্ত্রu সে কি সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল?
u অন্যের কাছ থেকে নেওয়া তথ্যগুলো সে গ্রহণ করবে কি?
u তার সাথে কাজ করতে আপনি আগ্রহী কি না?
২। দলীয় সদস্য ৩-১০ জন না হয়া পর্যন্ত বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু দলটি বেশ বড় করার চেষ্টা করবেন না। সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা, লেখাপড়া ও দাযয়িত্ববোধ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
৩। সবাই কখন একত্রিত হওয়া যায় এবং কত সময় অতিক্রম করা যায় সে বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহণ করুন। সাধারণত ৬০-৯০ মিনিট সময় নির্ধারণ করাই বেশি উত্তম।
৪। মিলিত হওয়ার স্থানটি যাতে সকলের নাগালের মধ্যে থাকে, এক্ষেত্রে লাইব্রেরি বা খালিরুম অধিক উত্তম।
৫। গ্রুপ স্টাডির লক্ষ্য স্থির করুন। এটি হতে পারে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান অথবা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি অথবা চলতি ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা।
৬। প্রথম সেশনে একজনকে দলনেতা নির্বাচন করুন। ধারাবাহিকভাবে সকলকে নির্বাচন করুন।
৭। দলের প্রত্যেকের দায়িত্ববোধ ও দলনেতার আলোচনার বিষয় সেশনের পূর্বেই সুনির্দিষ্ট করুন।
৮। দলের সদস্যদের না, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বারের একটি তালিকা করুন। তালিকাটি সবার মাঝে রাখা নিশ্চিত করুন; যাতে যে কোন প্রয়োজনে প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
একটি সফল স্টাডি গ্রুপের বৈশিষ্ট্যঃ
একটি স্টাডি গ্রুপ সফল হতে হলে তাকে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহের অধিকারী হতে হবে-
১। দলের প্রত্যেক সদস্যকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
২। আলোচনার সময় বক্তাকে কোন প্রকার প্রশ্ন করে তাকে বিভ্রান্তি না করে তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। একই সময় একজন কথা বলাই সবচেয়ে উত্তম হবে।
৩। দলীয় সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্ঠায় বক্তার উত্থাপিত যেকোন বিষয় পূনরায় বিশ্লেষণ করবে, অথবা কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করবে।
গ্রুপ স্টাডির সুবিধা
গ্রুপ স্টাডি বিভিন্নভাবে যেকোন পাঠকের/শিক্ষার্থীর জন্য উপকারী হতে পারে। নিচে গ্রুপ স্টাডির কিছু গুরুত্বপুর্ণ দিক আলোচনা করা হল-
১। অনেক সময় একটি দলের যে কেউ পড়ালেখা থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে তার অবস্থান পরিবর্তন করে পূনরায় পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দলের অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। দলের অন্যরা তাকে উত্সাহিত করার ভাল একটা মাধ্যম ও হতে পারে।
২। আপনার সমস্যার কথা হয়তো আপনি ক্লাসে প্রকাশ করতে ইতস্ততবোধ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে ছোট একটা গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
৩। আপনার উপস্থাপনা, অংশগ্রহণ, দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে হয়তো বা আপনি দলে খুব ভাল অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং সবাই আপনার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই তাদের এড়িয়ে যাওয়া বা অবমাননা করার চেষ্টা করবেন না।
৪। পাঠদানের সময় দলীয় সদস্যরা সকল ধারণা ও তথ্যগুলো শুনবে ও আলোচনা করবে। এগুলো সকলের শুনার, শেখার ক্ষমতা ও মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
৫। আপনি যে কৌশলে শিখেন দলের অন্যান্য সদস্যরা সে কৌশলে নাও শেখতে পারে। তাদের শেখার ধরন আপনার চেয়ে অধিক ভাল হতে পারে। তখন আপনার মাঝে নতুন ধারণার জন্ম নিতে পারে।
৬। অন্যের কাছ থেকে নতুন যে কৌশল গ্রহণ করলেন, সেটি অভ্যাসে পরিণত করুন।
৭। আপনার সাজানো হ্যান্ড নোটগুলো দলের অন্যান্যদের সাথে তুলনা করে নিতে পারেন।
৮। দলের অন্যান্যদের সাথে আলোচনা আপনাকে অধিক তথ্য ও ধারণা দিবে। এক্ষেত্রে আপনি সে বিষয়ে অধিক দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন
গ্রুপ স্টাডি আপনা আপনি ভাবে হয় না। একটি দল গঠন করার কিছু কৌশল রয়েছে। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলঃ
১। ক্লাসের সময় বা তারপর বা বিরতির সময় আপনার সহপাঠিদের সাথে আলাপ আলোচনা করুন ও তাদের সম্পর্কে ভাল করে জানুন। একজন সহপাঠিকে আপনার দলে নেওয়ার সময় নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো করে যদি যথাযথ উত্তর পান তাহলে তাকে যুক্ত করতে পারেন।
u সে কি জানার জন্য আগ্রহী?
u সে কি বিশ্বস্ত?
u তার মাঝে যে কোন বিষয় ভাল বুঝার ক্ষমতা রয়েছে কি না?
্ত্রu সে কি সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল?
u অন্যের কাছ থেকে নেওয়া তথ্যগুলো সে গ্রহণ করবে কি?
u তার সাথে কাজ করতে আপনি আগ্রহী কি না?
২। দলীয় সদস্য ৩-১০ জন না হয়া পর্যন্ত বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু দলটি বেশ বড় করার চেষ্টা করবেন না। সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা, লেখাপড়া ও দাযয়িত্ববোধ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
৩। সবাই কখন একত্রিত হওয়া যায় এবং কত সময় অতিক্রম করা যায় সে বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহণ করুন। সাধারণত ৬০-৯০ মিনিট সময় নির্ধারণ করাই বেশি উত্তম।
৪। মিলিত হওয়ার স্থানটি যাতে সকলের নাগালের মধ্যে থাকে, এক্ষেত্রে লাইব্রেরি বা খালিরুম অধিক উত্তম।
৫। গ্রুপ স্টাডির লক্ষ্য স্থির করুন। এটি হতে পারে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান অথবা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি অথবা চলতি ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা।
৬। প্রথম সেশনে একজনকে দলনেতা নির্বাচন করুন। ধারাবাহিকভাবে সকলকে নির্বাচন করুন।
৭। দলের প্রত্যেকের দায়িত্ববোধ ও দলনেতার আলোচনার বিষয় সেশনের পূর্বেই সুনির্দিষ্ট করুন।
৮। দলের সদস্যদের না, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বারের একটি তালিকা করুন। তালিকাটি সবার মাঝে রাখা নিশ্চিত করুন; যাতে যে কোন প্রয়োজনে প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
একটি সফল স্টাডি গ্রুপের বৈশিষ্ট্যঃ
একটি স্টাডি গ্রুপ সফল হতে হলে তাকে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহের অধিকারী হতে হবে-
১। দলের প্রত্যেক সদস্যকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
২। আলোচনার সময় বক্তাকে কোন প্রকার প্রশ্ন করে তাকে বিভ্রান্তি না করে তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। একই সময় একজন কথা বলাই সবচেয়ে উত্তম হবে।
৩। দলীয় সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্ঠায় বক্তার উত্থাপিত যেকোন বিষয় পূনরায় বিশ্লেষণ করবে, অথবা কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করবে।
Health Tips
cÖwZwU evwo‡ZB gvBU Av‡Q| G¸‡jvi weôv A‡b‡Ki A¨vjvwR©i KviY| G A¨vjvwR©i Rb¨ nuvcvwb ev A¨vRgv, †n wdfvi (Nb Nb nVvr mw`© jv‡M, nuvwP nq, bvK S‡i), mvB‡bvmvBwUm I GKwRgv n‡Z cv‡i| N‡ivqv RxevYy gvBU¸‡jv LyeB ¶y`ª KxU| GK wgwjwgUv‡ii wZb fv‡Mi GK fv‡MiI Kg j¤^v| gvby‡li kix‡ii Z¡K †_‡K cÖwZwbqZ g„Z †Kvl S‡i hvq| gvBU¸‡jv gvby‡li kixi †_‡K S‡i hvIqv Gme g„Z †Kvl †L‡q †eu‡P _v‡K| nvRvi nvRvi gvBU N‡ii Mig I Av`ª© RvqMvq _vK‡Z cv‡i| weQvbvi Pv`i, evwj‡ki Kfvi, †jc-†ZvkK, Kuv_v-K¤^j, †mvdv, †g‡Uªm, big †Ljbv, Lv‡Ui wb‡P ev Iqvi‡Wªv‡ei Ic‡i ivLv wRwbmcÎ cÖf…wZ G‡`i Avevm¯’j| G gvBU cÖwZwbqZ cÖPzi weôv Z¨vM K‡i| RxeÏkvq GKwU gvBU kix‡ii IR‡bi cÖvq 200 ¸Y cwigvY weôv Z¨vM K‡i| Ni‡`vi, weQvbv, AvmevecÎ cÖf…wZ hLb Svoy †`qv nq ZLb G weôv¸‡jv evZv‡m †f‡m I‡V Ges mvivevwo‡Z Qwo‡q hvq| gvBU Avcbvi ev Avcbvi mš—v‡bi A¨vjvwR©i KviY wK bv wPwKrm‡Ki Kv‡Q wM‡q A¨vjvwR© w¯‹b †U‡÷i gva¨‡g Zv Rvbv †h‡Z cv‡ib| gvBURwbZ A¨vjvwR©K AmyL-wemyL †_‡K gy³ _vK‡Z n‡j N‡ii gvB‡Ui msL¨v Aek¨B Kgv‡Z n‡e| Kxfv‡e Kgv‡eb| l mßv‡n Aš—Z GKevi weQvbvi Pv`i, evwj‡ki Iqvi nvjKv Mig (550 †m) cvwb‡Z ay‡q wbb| VvÊv cvwb‡Z gvBU g‡i bv| Z‡e wKQy cvwb‡Z P‡j hvq, weôv †avqv nq| l Kvco, †jc, Kuv_v, K¤^j cÖwZ mßv‡n Aš—Z GKevi †iv‡` ïKv‡Z w`b| †iv‡`i AwZ‡e¸wb iwk¥‡Z gvBU gviv hvq| †ZvkK, Mw`I †iv‡` †`qv DwPZ| l Lv‡Ui wb‡P ev Iqvi‡Wªv‡ei Ic‡i hZ Kg wRwbmcÎ ivLv hvq, †Póv Ki“b| l evwoN‡i ch©vß cÖvK…wZK Av‡jv-evZv‡mi e¨e¯’v ivLyb| l N‡ii †g‡S cÖwZw`b †fRv Kvco w`‡q gyQyb| l Iqv‡Wªve I Avjgvwii IciI gy‡Q w`b|
আত্মবিশ্বাসই জোগাবে অনুপ্রেরণাস্মার্ট ক্যারিয়ার
আত্মবিশ্বাসই জোগাবে অনুপ্রেরণাস্মার্ট ক্যারিয়ার
পেশাগত জীবনের এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলতে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা। লিখেছেন তানজিনা আফরোজ
আমরা মনে যা ভাবছি তার ওপর নির্ভর করে আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে নেয়া হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ধরা যাক কারো ব্যবহারে আপনি খুব অপমানবোধ করেছেন; সারাদিন সেই অপমানবোধই আপনার মধ্যে জাগিয়ে তুলছে রাগ, বিদ্বেষ, সন্দেহের মতো নানা খারাপ অনুভূতি। দিনের শেষে হয়তো দেখা গেল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এবং নিজেকে আরো সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। ঠিক এ সময় কাজ দেবে পজেটিভ থিংকিং। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ, প্রতিকূলতার মধ্যে এই পজেটিভ আউটলুকই ফিরিয়ে আনতে পারে আশা, আনন্দ এবং স্বস্তি। এ জন্য প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা।
নিজের চিন্তাভাবনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। কোনো মন্তব্য বা ঘটনা আপনার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার আগেই সেটা মনে মনে একবার কাটাছেঁড়া করে নিন। ঠিক যে কথা বা ঘটনা আপনার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে সেটাকে যুক্তি দিয়ে সাজিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আপনার কোনো দোষ থেকে থাকে তাহলে সেটিকে একটা টার্নিং হিসেবে নিন, যাতে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। যদি আপনার আদৌ কোনো ভুল না হয়ে থাকে তাহলে অন্তত নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার আছেন জেনে নিশ্চিন্তে থাকুন। অপরের ভুলের জন্য নিজের মনকে কলুষিত করা কোনো কাজের কথা নয়। বন্ধু বা কলিগদের মধ্যে যারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত, তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের থেকে পরামর্শ চান। এরা আপনার কর্মক্ষমতা বাড়াবে, সাহস দেবে এবং জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। যারা নেগেটিভ টেম্পারমেন্টের মানুষ অথবা সবকিছুর অহেতুক সমালোচনা করেন, অন্যের সাফল্য সন্দেহের চোখে দেখেন তাদের এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন সকালে উঠে নিজেকে নিজে বলুন, আমি ভালো আছি। আমি ভালো থাকব। দৃঢ় বিশ্বাস এবং ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে বলা এই কথাগুলো আপনাকে নতুন সাহস জোগাতে সাহায্য করবে। এছাড়া ‘আমার কপালটাই খারাপ বা আমার দ্বারা কিছু হবে না’ এ জাতীয় মন্তব্য করা বন্ধ করে দিন। বরং এ কাজটা শক্ত কিন্তু আমি পারব এ চিন্তাটাই মনে গেঁথে নিন।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সেলফ ইমপ্র“ভমেন্ট বা পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্টের বইও দৈনন্দিন জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন। সাংসারিক কাজকর্মই হোক বা ক্যারিয়ার সব ব্যাপারেই একটা খসড়া পরিকল্পনা থাকা খুবই জরুরি। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির কাজ আর অফিসের কাজের দুটি আলাদা আলাদা চেকলিস্ট বানিয়ে নিন। এক একটা কাজ শেষ হলেই লাল পেনসিল দিয়ে কেটে দিন। সব কাজ ঠিকমতো শেষ হলে নিজেকেই ছোট একটা প্রাইজ দিন। ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে আত্মবিশ্বাস থেকেই গড়ে উঠবে পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা। সারাদিনে যা করেছেন তা দিনের শেষে মনে করুন। কোনো কাজটি পারেননি, সেটা নিয়ে চিন্তা না।
পেশাগত জীবনের এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলতে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা। লিখেছেন তানজিনা আফরোজ
আমরা মনে যা ভাবছি তার ওপর নির্ভর করে আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে নেয়া হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ধরা যাক কারো ব্যবহারে আপনি খুব অপমানবোধ করেছেন; সারাদিন সেই অপমানবোধই আপনার মধ্যে জাগিয়ে তুলছে রাগ, বিদ্বেষ, সন্দেহের মতো নানা খারাপ অনুভূতি। দিনের শেষে হয়তো দেখা গেল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এবং নিজেকে আরো সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। ঠিক এ সময় কাজ দেবে পজেটিভ থিংকিং। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ, প্রতিকূলতার মধ্যে এই পজেটিভ আউটলুকই ফিরিয়ে আনতে পারে আশা, আনন্দ এবং স্বস্তি। এ জন্য প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা।
নিজের চিন্তাভাবনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। কোনো মন্তব্য বা ঘটনা আপনার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার আগেই সেটা মনে মনে একবার কাটাছেঁড়া করে নিন। ঠিক যে কথা বা ঘটনা আপনার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে সেটাকে যুক্তি দিয়ে সাজিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আপনার কোনো দোষ থেকে থাকে তাহলে সেটিকে একটা টার্নিং হিসেবে নিন, যাতে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। যদি আপনার আদৌ কোনো ভুল না হয়ে থাকে তাহলে অন্তত নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার আছেন জেনে নিশ্চিন্তে থাকুন। অপরের ভুলের জন্য নিজের মনকে কলুষিত করা কোনো কাজের কথা নয়। বন্ধু বা কলিগদের মধ্যে যারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত, তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের থেকে পরামর্শ চান। এরা আপনার কর্মক্ষমতা বাড়াবে, সাহস দেবে এবং জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। যারা নেগেটিভ টেম্পারমেন্টের মানুষ অথবা সবকিছুর অহেতুক সমালোচনা করেন, অন্যের সাফল্য সন্দেহের চোখে দেখেন তাদের এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন সকালে উঠে নিজেকে নিজে বলুন, আমি ভালো আছি। আমি ভালো থাকব। দৃঢ় বিশ্বাস এবং ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে বলা এই কথাগুলো আপনাকে নতুন সাহস জোগাতে সাহায্য করবে। এছাড়া ‘আমার কপালটাই খারাপ বা আমার দ্বারা কিছু হবে না’ এ জাতীয় মন্তব্য করা বন্ধ করে দিন। বরং এ কাজটা শক্ত কিন্তু আমি পারব এ চিন্তাটাই মনে গেঁথে নিন।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সেলফ ইমপ্র“ভমেন্ট বা পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্টের বইও দৈনন্দিন জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন। সাংসারিক কাজকর্মই হোক বা ক্যারিয়ার সব ব্যাপারেই একটা খসড়া পরিকল্পনা থাকা খুবই জরুরি। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির কাজ আর অফিসের কাজের দুটি আলাদা আলাদা চেকলিস্ট বানিয়ে নিন। এক একটা কাজ শেষ হলেই লাল পেনসিল দিয়ে কেটে দিন। সব কাজ ঠিকমতো শেষ হলে নিজেকেই ছোট একটা প্রাইজ দিন। ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে আত্মবিশ্বাস থেকেই গড়ে উঠবে পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা। সারাদিনে যা করেছেন তা দিনের শেষে মনে করুন। কোনো কাজটি পারেননি, সেটা নিয়ে চিন্তা না।
পড়াশোনায় আগ্রহী হতে হবে
একজন
শিক্ষার্থীকে ‘ভালো ছাত্র’ হতে হলে প্রথমেই তাকে পড়াশোনায় তার মেধার যথাযথ
প্রয়োগে সচেষ্ট হতে হবে। সেই সঙ্গে তাকে হতে হবে বেশকিছু গুণের অধিকারী।
ভালো ছাত্র হতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে যেসব গুণাবলির মাধ্যমে তার মেধাকে
যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে তা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। ভালো ছাত্র হতে
হলে কী কী গুণ থাকা দরকার, তা জেনে নাও।
পাঠে আগ্রহী : একজন ভালো ছাত্র অবশ্যই পাঠে আগ্রহী হবে। পাঠ্যবইয়ের পড়া বোঝা, মনে রাখা, তাড়াতাড়ি শেখা ও দ্রুত লেখার ব্যাপারে তাকে হতে হবে সিরিয়াস। সেই ছাত্রের পড়তে ভালো লাগবে, পড়াশোনায় আনন্দ পাবে এবং পড়াকে কখনই কঠিন ভাববে না। পড়াকে সে সবসময় আনন্দদায়ক ভাবে নেবে, ঠিক খেলাকে যেভাবে নিয়ে থাকে।
একজন মেধাবী ছাত্রের পরীক্ষার হলে তার সব প্রশ্নের উত্তর মনে থাকে। পরীক্ষার খাতায় ঠিক যেভাবে উত্তর চেয়েছে, সেভাবে উত্তর লিখতে পারবে। এখানে যে কথাগুলো
বলা হলো, একজন ছাত্র মেধাবী হলে খুব সহজেই তার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্যামুয়েল জনসন বলেছেন, ‘প্রত্যেক ছাত্রের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তাহলে জ্ঞানী হতে না পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।’
মনোযোগ : ভালো ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় মনোযোগী থাকে। পড়াটাকে সে উপভোগ করে থাকে।
একাগ্রতার কারণে তারা পড়াশোনার জন্য সবসময় বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার
কারণে তাদের পড়া মুখস্থ করা বা বোঝার ক্ষমতা ও লেখার ক্ষমতা থাকে বেশি। ভালো ছাত্র হওয়ার এ নিয়মটি তাদের প্রকৃত মেধাবী হতে সাহায্য করে থাকে। এ মনোযোগের ব্যাপারটি সেই ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার বাইরেও সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে চলতে সাহায্য করে।
দায়িত্বশীল : একজন ভালো ছাত্রের কাজকর্মে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। অবশ্যই পড়াশোনার ব্যাপারে হতে হবে বেশি যত্নবান। পড়াশোনার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে সেই ছাত্রটি অবশ্যই সেরা ফলাফল করে থাকে। যে পড়াশোনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল, সে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনেও দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। নিয়মকানুন তাকে একজন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোনো ধরনের আলসেমি ভাব থাকে না। দায়িত্বশীলতা তাকে করে তোলে কর্মঠ। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা এত বেশি দায়িত্ববান হয়ে থাকে যে তারা ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম : উইলিয়াম ল্যাংলেড বলেছেন, ‘যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।’ ছাত্র মাত্রই পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে শ্রম দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করে।
তারা কখনো নিজের পড়ার ব্যাপারে ফাঁকি দেয় না। তারা পরিশ্রম করে আনন্দ পায়। পরিশ্রমের কারণে ভালো ফলাফল অর্জন তার জীবনকে বদলে দেয় পুরোপুরি। ছাত্রজীবনের পরিশ্রমের এ শিক্ষাটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
পাঠে আগ্রহী : একজন ভালো ছাত্র অবশ্যই পাঠে আগ্রহী হবে। পাঠ্যবইয়ের পড়া বোঝা, মনে রাখা, তাড়াতাড়ি শেখা ও দ্রুত লেখার ব্যাপারে তাকে হতে হবে সিরিয়াস। সেই ছাত্রের পড়তে ভালো লাগবে, পড়াশোনায় আনন্দ পাবে এবং পড়াকে কখনই কঠিন ভাববে না। পড়াকে সে সবসময় আনন্দদায়ক ভাবে নেবে, ঠিক খেলাকে যেভাবে নিয়ে থাকে।
একজন মেধাবী ছাত্রের পরীক্ষার হলে তার সব প্রশ্নের উত্তর মনে থাকে। পরীক্ষার খাতায় ঠিক যেভাবে উত্তর চেয়েছে, সেভাবে উত্তর লিখতে পারবে। এখানে যে কথাগুলো
বলা হলো, একজন ছাত্র মেধাবী হলে খুব সহজেই তার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্যামুয়েল জনসন বলেছেন, ‘প্রত্যেক ছাত্রের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তাহলে জ্ঞানী হতে না পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।’
মনোযোগ : ভালো ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় মনোযোগী থাকে। পড়াটাকে সে উপভোগ করে থাকে।
একাগ্রতার কারণে তারা পড়াশোনার জন্য সবসময় বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার
কারণে তাদের পড়া মুখস্থ করা বা বোঝার ক্ষমতা ও লেখার ক্ষমতা থাকে বেশি। ভালো ছাত্র হওয়ার এ নিয়মটি তাদের প্রকৃত মেধাবী হতে সাহায্য করে থাকে। এ মনোযোগের ব্যাপারটি সেই ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার বাইরেও সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে চলতে সাহায্য করে।
দায়িত্বশীল : একজন ভালো ছাত্রের কাজকর্মে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। অবশ্যই পড়াশোনার ব্যাপারে হতে হবে বেশি যত্নবান। পড়াশোনার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে সেই ছাত্রটি অবশ্যই সেরা ফলাফল করে থাকে। যে পড়াশোনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল, সে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনেও দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। নিয়মকানুন তাকে একজন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোনো ধরনের আলসেমি ভাব থাকে না। দায়িত্বশীলতা তাকে করে তোলে কর্মঠ। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা এত বেশি দায়িত্ববান হয়ে থাকে যে তারা ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম : উইলিয়াম ল্যাংলেড বলেছেন, ‘যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।’ ছাত্র মাত্রই পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে শ্রম দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করে।
তারা কখনো নিজের পড়ার ব্যাপারে ফাঁকি দেয় না। তারা পরিশ্রম করে আনন্দ পায়। পরিশ্রমের কারণে ভালো ফলাফল অর্জন তার জীবনকে বদলে দেয় পুরোপুরি। ছাত্রজীবনের পরিশ্রমের এ শিক্ষাটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত
দীপক রায় : বিদ্যালয়ের দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলীর নিয়মিত পাঠদান, শ্রেণী অভীক্ষা গ্রহণ, মডেল টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, অভিভাবকদের সচেতনতা, সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও পড়াশোনার প্রতি তাদের মনোযোগ বাড়ানোর ফলেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
প্রশ্ন : গ্রামের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও গণিতে তুলনামূলক বেশি দুর্বল হয়। এই দুর্বলতা দূরীকরণে শিক্ষকদের ভূমিকা কি?
দীপক রায় : গ্রামের স্কুলগুলোতে দক্ষ ইংরেজি শিক্ষকের অভাব রয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সঠিক মানে গড়ে তোলা। ইংলিশ স্পিকিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ, ক্লাস রুটিনে ইংরেজির ক্লাস বেশি রাখা, গণিত করানোর সময় সূত্রগুলো ভালোভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে।
প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের আরও বেশি করে স্কুলমুখী করতে বা ঝরে পড়া রোধে কি করা উচিত?
দীপক রায় : স্কুলের পাঠদান আকর্ষণীয় করতে হবে। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা উপকরণ, চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। স্কুলে হালকা টিফিনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। বিষয়ভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি করে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশ্ন : পাঠ্যবইয়ের বাইরে আর কি কি বই পড়লে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ও সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে?
দীপক রায় : বিজ্ঞান, ইতিহাসবিষয়ক বই, বিখ্যাত মনীষীদের জীবনী পাঠ একান্ত প্রয়োজন।
প্রশ্ন : ভালো ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের করণীয় কি?
দীপক রায় : নিয়মিত পাঠদান, সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেওয়া, শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা এবং ছাত্র উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করা।
শিক্ষকের কথা
লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত
মাগুরা
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের
কারণ ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন
এটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার রায়।প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দুর্বলতা দূর করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে?
দীপক রায় : ইংরেজিতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্লাস নেওয়া হয়। আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ে। আমার প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন তিন কপি ডেইলি স্টার পত্রিকা রাখা হয় ও শিক্ষার্থীদের তা পড়ানো হয়। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য পরীক্ষার আগে মডেল টেস্ট নেওয়া হয়। পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশ্ন : ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের কেমন পড়াশোনা করা উচিত?
দীপক রায় : প্রতিটি বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেওয়া, নিয়মিত ৭/৮ ঘণ্টা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করা। বোঝা মনে না করে লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত।
প্রশ্ন : আপনার জীবনে মজার কোনো স্মৃতি থাকলে বলুন।
দীপক রায় : আমার ছোটবেলা ছিল খুব মজার। একবার বর্ষাকালে ১০/১২ জন মিলে নৌকায় বনভোজনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু রান্নার কাজে কেউ যেতে চাইল না। অবশেষে বাধ্য হয়ে আমি রান্না করি। আমার রান্না খেয়ে সবাই এত খুশি হয় যে, পরবর্তীতে রান্নার কাজ এলেই আমর ডাক পড়ত।
Tuesday, December 4, 2012
আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাও
একজন শিক্ষার্থীকে 'ভালো ছাত্র' হতে
হলে প্রথমেই তাকে পড়াশোনায় তার মেধার যথাযথ প্রয়োগে সচেষ্ট হতে হবে। সেই
সঙ্গে তাকে হতে হবে মানুষ হিসেবে বেশকিছু গুণের অধিকারী। ভালো ছাত্র হতে
হলে একজন শিক্ষার্থীকে যেসব গুণাবলির মাধ্যমে তার মেধাকে যথাযথভাবে কাজে
লাগাতে পারে তা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। ভালো ছাত্র হতে হলে কী কী গুণ
থাকা দরকার, তা জেনে নাও।
পাঠে আগ্রহী : একজন ভালো ছাত্র অবশ্যই পাঠে আগ্রহী হবে। পাঠ্যবইয়ের পড়া বোঝা, মনে রাখা, তাড়াতাড়ি শেখা ও দ্রুত লেখার ব্যাপারে তাকে হতে হবে সিরিয়াস। সেই ছাত্রের পড়তে ভালো লাগবে, পড়াশোনায় আনন্দ পাবে এবং পড়াকে কখনই কঠিন ভাববে না। পড়াকে সে সবসময় আনন্দদায়কভাবে নেবে, ঠিক খেলাকে যেভাবে নিয়ে থাকে।
একজন মেধাবী ছাত্রের পরীক্ষার হলে তার সব প্রশ্নের উত্তর মনে থাকে। পরীক্ষার খাতায় ঠিক যেভাবে উত্তর চেয়েছে, সেভাবে উত্তর লিখতে পারবে।
এখানে যে কথাগুলো বলা হলো, একজন ছাত্র মেধাবী হলে খুব সহজেই তার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্যামুয়েল জনসন বলেছেন, 'প্রত্যেক ছাত্রের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তাহলে জ্ঞানী হতে না পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।'
মনোযোগ : ভালো ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় মনোযোগী থাকে। পড়াটাকে সে উপভোগ করে থাকে। একাগ্রতার কারণে তারা পড়াশোনার জন্য সবসময় বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কারণে তাদের পড়া মুখস্থ করা বা বোঝার ক্ষমতা ও লেখার ক্ষমতা থাকে বেশি। ভালো ছাত্র হওয়ার এ নিয়মটি তাদের প্রকৃত মেধাবী হতে সাহায্য করে থাকে। এ মনোযোগের ব্যাপারটি সেই ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার বাইরেও সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে চলতে সাহায্য করে।
দায়িত্বশীল : একজন ভালো ছাত্রের কাজকর্মে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। অবশ্যই পড়াশোনার ব্যাপারে হতে হবে বেশি যত্নবান। পড়াশোনার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে সেই ছাত্রটি অবশ্যই সেরা ফলাফল করে থাকে। যে পড়াশোনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল, সে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনেও দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। নিয়মকানুন তাকে একজন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোন ধরনের আলসেমি ভাব থাকে না। দায়িত্বশীলতা তাকে করে তোলে কর্মঠ। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা এত বেশি দায়িত্ববান হয়ে থাকে যে তারা ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম : উইলিয়াম ল্যাংলেড বলেছেন, 'যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।' ছাত্র মাত্রই পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে শ্রম দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করে। তারা কখনো নিজের পড়ার ব্যাপারে ফাঁকি দেয় না। তারা পরিশ্রম করে আনন্দ পায়। পরিশ্রমের কারণে ভালো ফলাফল অর্জন তার জীবনকে বদলে দেয় পুরোপুরি। ছাত্রজীবনের পরিশ্রমের এ শিক্ষাটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
বইপড়ুয়া : একজন ভালো ছাত্রের বড় গুণ হলো সে মূলত বইপড়ুয়া। বই পড়াটাই তার কাছে মুখ্য ব্যাপার। তারা পরীক্ষার বেশ আগেই সিলেবাস শেষ করে ফেলে। এদের পড়াশোনার ক্ষমতা থাকে বেশি। এ ধরনের ছাত্ররা যে কোন পড়া যে কোন অবস্থায় পড়তে, বুঝতে ও আত্মস্থ করতে পারে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে এ গুণটির অভাব রয়েছে।
শ্রেণীপাঠে অংশ নেয়া : একজন ভালো ছাত্র প্রতিটি শ্রেণীপাঠে অংশগ্রহণ করবে। কারণ যে কোন বিষয়ের প্রতিটি শ্রেণীপাঠে উপস্থিত থাকলে ছাত্রটির পড়া বুঝতে সুবিধা হয়। এতে তার পঠিত বিষয়টি খুব সহজে মুখস্থ বা আত্মস্থ হয়ে যায়। বাড়ির কাজ করা, শ্রেণীতে পড়া বলা, শিক্ষককে প্রশ্ন করা, প্রতিটি কাজই তারা করবে। শ্রেণীতে তাদের একান্ত অংশগ্রহণ থাকবে। এ ধরনের ভালো ছাত্রছাত্রীরা যে কোন শ্রেণীর প্রাণস্বরূপ। এরা শ্রেণীকক্ষকে জমিয়ে রাখে, আনন্দময় করে তোলে। এ রকম ছাত্ররা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে।
লক্ষ্য ঠিক রাখা : অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই ছেলেবেলায় থেকেই তাদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ভাবে। সে লক্ষ্যে পেঁৗছানোর জন্য তারা পড়াশোনায় প্রচুর সময় দিয়ে থাকে। কখনো কোন কারণে পড়াশোনায় মন না বসলে তখন তাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের কথা মনে পড়ে। 'আমাকে আমার সঠিক লক্ষ্যে পেঁৗছাতে হবে'_ এ রকম ভাবনা থেকে তারা উৎসাহ পেয়ে থাকে। একজন ভালো ছাত্রের জীবনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। সটেপহেন বলেছেন, 'মানুষের নিজস্ব একটা লক্ষ্যস্থল থাকলে সেই স্থানেই সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।'
আত্মবিশ্বাস : থিওডোর মুর বলেছেন, 'আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোন কাজেই কৃতিত্ব দেখানো যায় না।' একজন ভালো ছাত্রের আত্মবিশ্বাস সবসময়ই বেশি থাকে। ছাত্র হিসেবে যে কোন পরীক্ষায় এদের বিশ্বাস থাকে প্রবল। 'আমি পারব', 'আমি পেরেছি'_ এ ধরনের ভাবনায় তাদের পড়াশোনার গতি বেড়ে যায়। বেশি ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের অধিকারী হওয়ায় ভালো ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায়ও ভালো করে। এসব ছাত্র পড়াশোনা নিয়ে কখনো হতাশ হয় না। নিয়মিত অনুশীলনের ফলে তাদের পড়াশোনায় বিশ্বাস দিন দিন বাড়তে থাকে। ভালো ছাত্রকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী।
সময়ের ব্যবহার : একজন ভালো ছাত্র কখনো সময়ের অপচয় করে না। মনীষী স্নাইলস বলেছেন, 'বড় হতে হলে সর্বপ্রথম সময়ের মূল্য দিতে হবে।'
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিদিনের পড়াশোনা শেষ করতে হবে। যে ছাত্রটি খেলাধুলা, টিভি দেখাসহ অন্য কাজে সময় কম দেয়, সে-ই পড়াশোনা করতে সময় পায় বেশি। সে তখনকার পড়া তখনই শিখে থাকে। প্রতিদিনের রুটিন অনুসারে সময় ভাগ করে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে থাকে। এতে সময়ের অপচয় হয় না। পরীক্ষায় সে জন্যই ফলাফল হয় সেরা।
বাইরের বই পড়া : ভালো ছাত্র হতে হলে শুধু পাঠ্যবই পড়লেই চলবে না। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পড়তে হবে। যেমন_ সাধারণ জ্ঞানের বই, জীবনী গ্রন্থমালা, উপদেশমূলক বই, সমসমায়িক বিষয়ের ওপর বই। সঙ্গে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা অবশ্যই পড়তে হবে। এসব বই পড়লে বাস্তব জীবন ও জগৎ সমপর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া সম্ভব। এ ধরনের বই জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিনোদনেরও কাজ করে।
চাই সৎ চরিত্র : চরিত্রবানকে সবাই পছন্দ করে। তাই ভালো ছাত্রকে অবশ্যই ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। চরিত্র ভালো হলে সে হবে সত্যবাদী। যারা চরিত্রের দিকে ভালো তারা আদর্শবাদী হয়ে থাকে। ছাত্রজীবনে যারা সৎ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে থাকে, কর্মজীবনেও তারা সৎ থাকতে চেষ্টা করে থাকে।
ভদ্র ও বিনয়ী : একজন ভালো ছাত্রের মনে কোন ধরনের হিংসা বা অহঙ্কার থাকে না। ভালো ছাত্ররা সাধারণত মিশুক ধরনের হয়ে থাকে। ভদ্র ব্যবহার তাদের অন্যতম গুণ। এ গুণের কারণে তারা খুব সহজেই অন্যদের মন জয় করতে পারে। ভালো ব্যবহারের কারণে স্কুলের শিক্ষকরাও তাদের পছন্দ করে থাকেন। শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আনন্দ পান। এই অন্য রকম গুণটির কারণে তারা পড়াশোনায় ভালো করে থাকে।
পাঠে আগ্রহী : একজন ভালো ছাত্র অবশ্যই পাঠে আগ্রহী হবে। পাঠ্যবইয়ের পড়া বোঝা, মনে রাখা, তাড়াতাড়ি শেখা ও দ্রুত লেখার ব্যাপারে তাকে হতে হবে সিরিয়াস। সেই ছাত্রের পড়তে ভালো লাগবে, পড়াশোনায় আনন্দ পাবে এবং পড়াকে কখনই কঠিন ভাববে না। পড়াকে সে সবসময় আনন্দদায়কভাবে নেবে, ঠিক খেলাকে যেভাবে নিয়ে থাকে।
একজন মেধাবী ছাত্রের পরীক্ষার হলে তার সব প্রশ্নের উত্তর মনে থাকে। পরীক্ষার খাতায় ঠিক যেভাবে উত্তর চেয়েছে, সেভাবে উত্তর লিখতে পারবে।
এখানে যে কথাগুলো বলা হলো, একজন ছাত্র মেধাবী হলে খুব সহজেই তার বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্যামুয়েল জনসন বলেছেন, 'প্রত্যেক ছাত্রের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তাহলে জ্ঞানী হতে না পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।'
মনোযোগ : ভালো ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় মনোযোগী থাকে। পড়াটাকে সে উপভোগ করে থাকে। একাগ্রতার কারণে তারা পড়াশোনার জন্য সবসময় বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কারণে তাদের পড়া মুখস্থ করা বা বোঝার ক্ষমতা ও লেখার ক্ষমতা থাকে বেশি। ভালো ছাত্র হওয়ার এ নিয়মটি তাদের প্রকৃত মেধাবী হতে সাহায্য করে থাকে। এ মনোযোগের ব্যাপারটি সেই ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার বাইরেও সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে চলতে সাহায্য করে।
দায়িত্বশীল : একজন ভালো ছাত্রের কাজকর্মে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। অবশ্যই পড়াশোনার ব্যাপারে হতে হবে বেশি যত্নবান। পড়াশোনার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে সেই ছাত্রটি অবশ্যই সেরা ফলাফল করে থাকে। যে পড়াশোনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল, সে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনেও দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। নিয়মকানুন তাকে একজন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোন ধরনের আলসেমি ভাব থাকে না। দায়িত্বশীলতা তাকে করে তোলে কর্মঠ। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা এত বেশি দায়িত্ববান হয়ে থাকে যে তারা ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম : উইলিয়াম ল্যাংলেড বলেছেন, 'যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।' ছাত্র মাত্রই পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনার ব্যাপারে শ্রম দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করে। তারা কখনো নিজের পড়ার ব্যাপারে ফাঁকি দেয় না। তারা পরিশ্রম করে আনন্দ পায়। পরিশ্রমের কারণে ভালো ফলাফল অর্জন তার জীবনকে বদলে দেয় পুরোপুরি। ছাত্রজীবনের পরিশ্রমের এ শিক্ষাটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
বইপড়ুয়া : একজন ভালো ছাত্রের বড় গুণ হলো সে মূলত বইপড়ুয়া। বই পড়াটাই তার কাছে মুখ্য ব্যাপার। তারা পরীক্ষার বেশ আগেই সিলেবাস শেষ করে ফেলে। এদের পড়াশোনার ক্ষমতা থাকে বেশি। এ ধরনের ছাত্ররা যে কোন পড়া যে কোন অবস্থায় পড়তে, বুঝতে ও আত্মস্থ করতে পারে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে এ গুণটির অভাব রয়েছে।
শ্রেণীপাঠে অংশ নেয়া : একজন ভালো ছাত্র প্রতিটি শ্রেণীপাঠে অংশগ্রহণ করবে। কারণ যে কোন বিষয়ের প্রতিটি শ্রেণীপাঠে উপস্থিত থাকলে ছাত্রটির পড়া বুঝতে সুবিধা হয়। এতে তার পঠিত বিষয়টি খুব সহজে মুখস্থ বা আত্মস্থ হয়ে যায়। বাড়ির কাজ করা, শ্রেণীতে পড়া বলা, শিক্ষককে প্রশ্ন করা, প্রতিটি কাজই তারা করবে। শ্রেণীতে তাদের একান্ত অংশগ্রহণ থাকবে। এ ধরনের ভালো ছাত্রছাত্রীরা যে কোন শ্রেণীর প্রাণস্বরূপ। এরা শ্রেণীকক্ষকে জমিয়ে রাখে, আনন্দময় করে তোলে। এ রকম ছাত্ররা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে।
লক্ষ্য ঠিক রাখা : অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই ছেলেবেলায় থেকেই তাদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ভাবে। সে লক্ষ্যে পেঁৗছানোর জন্য তারা পড়াশোনায় প্রচুর সময় দিয়ে থাকে। কখনো কোন কারণে পড়াশোনায় মন না বসলে তখন তাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের কথা মনে পড়ে। 'আমাকে আমার সঠিক লক্ষ্যে পেঁৗছাতে হবে'_ এ রকম ভাবনা থেকে তারা উৎসাহ পেয়ে থাকে। একজন ভালো ছাত্রের জীবনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। সটেপহেন বলেছেন, 'মানুষের নিজস্ব একটা লক্ষ্যস্থল থাকলে সেই স্থানেই সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।'
আত্মবিশ্বাস : থিওডোর মুর বলেছেন, 'আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোন কাজেই কৃতিত্ব দেখানো যায় না।' একজন ভালো ছাত্রের আত্মবিশ্বাস সবসময়ই বেশি থাকে। ছাত্র হিসেবে যে কোন পরীক্ষায় এদের বিশ্বাস থাকে প্রবল। 'আমি পারব', 'আমি পেরেছি'_ এ ধরনের ভাবনায় তাদের পড়াশোনার গতি বেড়ে যায়। বেশি ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের অধিকারী হওয়ায় ভালো ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায়ও ভালো করে। এসব ছাত্র পড়াশোনা নিয়ে কখনো হতাশ হয় না। নিয়মিত অনুশীলনের ফলে তাদের পড়াশোনায় বিশ্বাস দিন দিন বাড়তে থাকে। ভালো ছাত্রকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী।
সময়ের ব্যবহার : একজন ভালো ছাত্র কখনো সময়ের অপচয় করে না। মনীষী স্নাইলস বলেছেন, 'বড় হতে হলে সর্বপ্রথম সময়ের মূল্য দিতে হবে।'
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিদিনের পড়াশোনা শেষ করতে হবে। যে ছাত্রটি খেলাধুলা, টিভি দেখাসহ অন্য কাজে সময় কম দেয়, সে-ই পড়াশোনা করতে সময় পায় বেশি। সে তখনকার পড়া তখনই শিখে থাকে। প্রতিদিনের রুটিন অনুসারে সময় ভাগ করে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে থাকে। এতে সময়ের অপচয় হয় না। পরীক্ষায় সে জন্যই ফলাফল হয় সেরা।
বাইরের বই পড়া : ভালো ছাত্র হতে হলে শুধু পাঠ্যবই পড়লেই চলবে না। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পড়তে হবে। যেমন_ সাধারণ জ্ঞানের বই, জীবনী গ্রন্থমালা, উপদেশমূলক বই, সমসমায়িক বিষয়ের ওপর বই। সঙ্গে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা অবশ্যই পড়তে হবে। এসব বই পড়লে বাস্তব জীবন ও জগৎ সমপর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া সম্ভব। এ ধরনের বই জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিনোদনেরও কাজ করে।
চাই সৎ চরিত্র : চরিত্রবানকে সবাই পছন্দ করে। তাই ভালো ছাত্রকে অবশ্যই ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। চরিত্র ভালো হলে সে হবে সত্যবাদী। যারা চরিত্রের দিকে ভালো তারা আদর্শবাদী হয়ে থাকে। ছাত্রজীবনে যারা সৎ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে থাকে, কর্মজীবনেও তারা সৎ থাকতে চেষ্টা করে থাকে।
ভদ্র ও বিনয়ী : একজন ভালো ছাত্রের মনে কোন ধরনের হিংসা বা অহঙ্কার থাকে না। ভালো ছাত্ররা সাধারণত মিশুক ধরনের হয়ে থাকে। ভদ্র ব্যবহার তাদের অন্যতম গুণ। এ গুণের কারণে তারা খুব সহজেই অন্যদের মন জয় করতে পারে। ভালো ব্যবহারের কারণে স্কুলের শিক্ষকরাও তাদের পছন্দ করে থাকেন। শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আনন্দ পান। এই অন্য রকম গুণটির কারণে তারা পড়াশোনায় ভালো করে থাকে।
Wednesday, November 14, 2012
ধূমপান কেন এবং কিভাবে ক্ষতিকর??
আমরা তো সবাই জানি ধূমপান ক্ষতিকর, কিন্তু
কিভাবে ক্ষতি করে তা আমরা কয়জন জানি!!!??আসুন জানার
চেষ্টা করি...
তামাক এবং তামাকজাত দ্রোব্যের মধ্যে 60 এর অধিক ক্যান্সারজনক পদার্থ রয়েছে।তামাকের ধোয়াতে প্রায় 4000 এর মত পদার্থ যেমন বেনজিন, ACETONE, কার্বন মনোক্সাইড, এমনিয়া, হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এগুলা ক্যান্সার উন্নয়নের কাজে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন মেজাজের গোলমাল, সিজোফ্রেনিয়ার এবং অন্যান্য স্নায়বিক রোগ তৈরি করে।এছাড়াও মানসিক সমস্যা, উন্মত্ততা তৈরি করে। তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্রধান উপাদান হল Nicotine, যা আমাদের আমাদের শরীরে বেশিক্ষণ থাকেনা এবং এটা enzymes এর মাধ্যমে ভেঙ্গে যায় এবং অনেক রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় যা দেহের জন্য ক্ষতিকর। নিকোটিন একটি অত্যন্ত আসক্তি পদার্থ,যা আমাদের মস্তিষ্কে রাসায়নিক পরিবর্তন করে।এই কারণে ধূমপায়ীদের অধিকাংশ ধূমপান ছারতে পারে না।ধূমপান আমাদের মস্তিষ্কের রসায়নে পরিবর্তন আনে এবং নিকোটিন ডোপামিন স্তর বৃদ্ধি করে, আমাদের মস্তিষ্ক ডোপামিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। ডোপামিন আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে একটি রাসায়নিক পদার্থ যা অনুভূতির জন্য দায়ী।নিকোটিন প্রভাব খুব সংক্ষিপ্ত তাই যারানিকোটিন নেন মানে যারা ধূমপান করেন তারা আসক্ত হয়ে পরেন এবং ছারতে পারেন না।
তামাক এবং তামাকজাত দ্রোব্যের মধ্যে 60 এর অধিক ক্যান্সারজনক পদার্থ রয়েছে।তামাকের ধোয়াতে প্রায় 4000 এর মত পদার্থ যেমন বেনজিন, ACETONE, কার্বন মনোক্সাইড, এমনিয়া, হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এগুলা ক্যান্সার উন্নয়নের কাজে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন মেজাজের গোলমাল, সিজোফ্রেনিয়ার এবং অন্যান্য স্নায়বিক রোগ তৈরি করে।এছাড়াও মানসিক সমস্যা, উন্মত্ততা তৈরি করে। তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্রধান উপাদান হল Nicotine, যা আমাদের আমাদের শরীরে বেশিক্ষণ থাকেনা এবং এটা enzymes এর মাধ্যমে ভেঙ্গে যায় এবং অনেক রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় যা দেহের জন্য ক্ষতিকর। নিকোটিন একটি অত্যন্ত আসক্তি পদার্থ,যা আমাদের মস্তিষ্কে রাসায়নিক পরিবর্তন করে।এই কারণে ধূমপায়ীদের অধিকাংশ ধূমপান ছারতে পারে না।ধূমপান আমাদের মস্তিষ্কের রসায়নে পরিবর্তন আনে এবং নিকোটিন ডোপামিন স্তর বৃদ্ধি করে, আমাদের মস্তিষ্ক ডোপামিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। ডোপামিন আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে একটি রাসায়নিক পদার্থ যা অনুভূতির জন্য দায়ী।নিকোটিন প্রভাব খুব সংক্ষিপ্ত তাই যারানিকোটিন নেন মানে যারা ধূমপান করেন তারা আসক্ত হয়ে পরেন এবং ছারতে পারেন না।
পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি পরে কেন???
পেঁয়াজ কাটলে আপনার আমার চোখ দিয়ে যেভাবে
অনবরত পানি পরে যেন কত কি হয়ে গেছে!!পেঁয়াজ থাকে অ্যামিনো এসিড
sulfoxides যা পেঁয়াজ কোষে sulfenic অ্যাসিড গঠন করে। উভয় এনজাইম এবং sulfenic অ্যাসিড পেঁয়াজ কোষে আলাদাভাবে রাখা হয়।আপনি যখন পেঁয়াজ কাটেন, তখন এনজাইম এবং sulfenic অ্যাসিড মিক্সিং শুরু করে এবং propanethiol S-oxide উত্পাদন শুরু করে,যা একটি উদ্বায়ী সালফার যৌগ এবং আপনার চোখের দিকে যাওয়া আরম্ভ করে। যে গ্যাস নির্গত হয় তা আপনার চোখের পানির সাথে বিক্রিয়া করে এবং সালফিউরিক অ্যাসিড উত্পাদন শুরু করে। এই সালফিউরিক অ্যাসিড আপনার চোখের টিয়ার গ্ল্যান্ড কে আরো অশ্রু তৈরি করতে সাহায্য করে আর চোখ দিয়ে পানি পর শুরু হয়। পেঁয়াজ মধ্যে যে সালফার যৌগ থাকে তার কারনে আপনার হাতে এবং হারি পাতিলে গন্ধ হয়।
অশ্রুজল এড়ানো উপায়sulfoxides যা পেঁয়াজ কোষে sulfenic অ্যাসিড গঠন করে। উভয় এনজাইম এবং sulfenic অ্যাসিড পেঁয়াজ কোষে আলাদাভাবে রাখা হয়।আপনি যখন পেঁয়াজ কাটেন, তখন এনজাইম এবং sulfenic অ্যাসিড মিক্সিং শুরু করে এবং propanethiol S-oxide উত্পাদন শুরু করে,যা একটি উদ্বায়ী সালফার যৌগ এবং আপনার চোখের দিকে যাওয়া আরম্ভ করে। যে গ্যাস নির্গত হয় তা আপনার চোখের পানির সাথে বিক্রিয়া করে এবং সালফিউরিক অ্যাসিড উত্পাদন শুরু করে। এই সালফিউরিক অ্যাসিড আপনার চোখের টিয়ার গ্ল্যান্ড কে আরো অশ্রু তৈরি করতে সাহায্য করে আর চোখ দিয়ে পানি পর শুরু হয়। পেঁয়াজ মধ্যে যে সালফার যৌগ থাকে তার কারনে আপনার হাতে এবং হারি পাতিলে গন্ধ হয়।
১> ফ্যান অফ রাখুন। ফ্যান অন থাকলে আপনার চোখে সহজেই গ্যাস যাইতে পারে যা আপনার চোখে পানি আনতে সাহায্য করে।
২>পেঁয়াজ কাটার আগে refrigerating করে নিতে পারেন। refrigerating করলে এনজাইম এবংsulfenic অ্যাসিড মিশতে পারে না তাই propanethiol S-oxide উত্পাদন হয় না।
৩>এছাড়াও একটি ভাল উপায় হল কাটার আগে পানিতে ডোবানো। পানিতে ডোবানো হলে গ্যাস পানি শোষণ করে নেয়।
৪>রুট পর্যন্ত পেঁয়াজ কাটা এড়িয়ে চলুন।
৫>অশ্রুজল এড়ানো আরেকটি কার্যকর উপায় হল একটি মোমবাতি বা কাছাকাছি একটি বাতি আলো রাখা , এটা করলে পেঁয়াজ কাটার সময় যে গ্যাস তৈরি হয় তা চোখের দিকে না গিয়ে মোমবাতি বা বাতির আলোর দিকে যায়।
Wednesday, November 7, 2012
পেশা যখন অনলাইননির্ভর
পেশা যখন অনলাইননির্ভরঅনেকেই
বলেন পেশা হয়ে উঠছে অনলাইননির্ভর। কথাটা যে একেবারেই যুক্তিহীন তা কিন্তু
বলা যাবে না। কেননা বর্তমানে পেশা বলেন আর সামাজিক যোগাযোগ বলেন দুটোই
অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে অনলাইনের ওপর। কেননা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে
গেছে কাজের ধরন। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে পেশার ক্ষেত্রে একধরনের বিপ্লব
ঘটে গেছে। একদিকে যেমন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান, অন্যদিকে পুরনো
প্রতিষ্ঠানের আকার-আয়তন বেড়েছে। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাজের
ক্ষেত্র। আগের তুলনায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক আধুনিকায়ন ঘটেছে এবং
প্রযুক্তিনির্ভরতাও বেড়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার জন্য একদিকে
যেমন আধুনিক হতে হবে, তেমনি থাকতে হবে প্রযুক্তিসংক্রান্ত দক্ষতা। বর্তমান
সময়ে ভালো ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহারসংক্রান্ত জ্ঞানের
বিকল্প নেই। এখন প্রায় প্রতিটি বড় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে।
ওয়েবসাইটগুলোয় প্রতিষ্ঠানের নিজেদের সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য থাকে। একই
সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মী নেয়া হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের ওয়েবসাইটের
একটা নির্দিষ্ট স্থানে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া থাকে। ভালো
প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিভিন্ন ধরনের জটিলতা এড়াতে ও স্বল্প সময়ে কর্মী নিয়োগ
প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করতে
ওয়েবসাইটের সাহায্য নিয়ে থাকে।
তাই একজন চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। যারা ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ, তারাই বিভিন্ন চাকরির সুযোগ সহজে পাবেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘাঁটলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট একটি স্থানে জীবনবৃত্তান্ত ফরম পূরণের ব্যবস্থা থাকে। এ ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করলেই চলে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ই-মেইলের মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত চায়। প্রথমেই ভালোভাবে দেখে নিতে হবে প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরনের কর্মী আবশ্যক এবং কোনো কোনো যোগ্যতা চেয়েছে। সে অনুযায়ী জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু কাজের অভিজ্ঞতা চেয়ে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অপ্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য জীবনবৃত্তান্তে দেয়া যাবে না। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করার পর লিখিত পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের আগে নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে তা অনেক সময় কাজে লাগতে পারে। নিয়োগকর্তারা যদি বুঝতে পারেন তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে চাকরিপ্রার্থীর ভালো ধারণা রয়েছে, তাহলে সেই প্রার্থীর প্রতি তাদের ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয় যা চাকরি পেতে দারুণ সহায়ক হয়। আর এ জন্য চাকরিপ্রার্থীরা সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘেঁটে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন অথবা ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারেন।
এখন বিভিন্ন চাকরির খোঁজখবর দেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লোকবল নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়টি তুলে দেয় এসব প্রতিষ্ঠানের ওপরে। এসব প্রতিষ্ঠানকে চাকরির ওয়েব পোর্টাল বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জটিলতায় না গিয়ে এখন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরির ওয়েব পোর্টালে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এরপর প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করার কাজটিও এসব প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন করে দেয়। আর এ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্যই ইন্টারনেটের ব্যবহারে দক্ষ হতে হয়। দেশে বসেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনও করা যায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাকরির ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে। এভাবে ঘরে বসেই খুঁজে নেয়া যায় নিজের চাকরিটি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন আমরা সহজেই ঘরে বসে চাকরির আবেদন করতে পারি।
ফলে একদিকে যেমন সময় কম লাগছে, তেমনি নানা ধরনের জটিলতা থেকেও রেহাই পাওয়া যায় এবং ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করতে পারছি। দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু এখানেই শেষ কথা নয়।
ফাতেমা খাতুন
তাই একজন চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। যারা ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ, তারাই বিভিন্ন চাকরির সুযোগ সহজে পাবেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘাঁটলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট একটি স্থানে জীবনবৃত্তান্ত ফরম পূরণের ব্যবস্থা থাকে। এ ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করলেই চলে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ই-মেইলের মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত চায়। প্রথমেই ভালোভাবে দেখে নিতে হবে প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরনের কর্মী আবশ্যক এবং কোনো কোনো যোগ্যতা চেয়েছে। সে অনুযায়ী জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু কাজের অভিজ্ঞতা চেয়ে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অপ্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য জীবনবৃত্তান্তে দেয়া যাবে না। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করার পর লিখিত পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের আগে নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে তা অনেক সময় কাজে লাগতে পারে। নিয়োগকর্তারা যদি বুঝতে পারেন তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে চাকরিপ্রার্থীর ভালো ধারণা রয়েছে, তাহলে সেই প্রার্থীর প্রতি তাদের ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয় যা চাকরি পেতে দারুণ সহায়ক হয়। আর এ জন্য চাকরিপ্রার্থীরা সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘেঁটে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন অথবা ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারেন।
এখন বিভিন্ন চাকরির খোঁজখবর দেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লোকবল নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়টি তুলে দেয় এসব প্রতিষ্ঠানের ওপরে। এসব প্রতিষ্ঠানকে চাকরির ওয়েব পোর্টাল বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জটিলতায় না গিয়ে এখন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরির ওয়েব পোর্টালে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এরপর প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করার কাজটিও এসব প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন করে দেয়। আর এ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্যই ইন্টারনেটের ব্যবহারে দক্ষ হতে হয়। দেশে বসেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনও করা যায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাকরির ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে। এভাবে ঘরে বসেই খুঁজে নেয়া যায় নিজের চাকরিটি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন আমরা সহজেই ঘরে বসে চাকরির আবেদন করতে পারি।
ফলে একদিকে যেমন সময় কম লাগছে, তেমনি নানা ধরনের জটিলতা থেকেও রেহাই পাওয়া যায় এবং ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করতে পারছি। দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু এখানেই শেষ কথা নয়।
ফাতেমা খাতুন
পরিকল্পিত জীবন গড়তে পরিকল্পনাক্যারিয়ার
ক্যারিয়ারের সম্মানজনক অবস্থানে
দাঁড়িয়ে একটা সুখের নীড় গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন না, এমন মানুষ খুঁজে বের
করা দায়। ছাত্রজীবন থেকেই প্রত্যেকে এই স্বপ্ন নিজের মাঝে লালন করে থাকে।
কিন্তু পরিকল্পনানুযায়ী প্রস্তুতি না থাকার কারণে অনেক সময় অনেকেরই সে
স্বপ্ন হাতের মুঠো থেকে খুব সহজেই ফসকে যায়।
পরিকল্পনা করা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন। ব্যক্তিগত ও সামাজিক চাহিদা, অবস্থান, সামর্থ্য এবং রুচিবোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এ জন্য আপনি কিছু সহজ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। পরিকল্পনার ক্ষেত্রে চারটি বিষয় এ ক্ষেত্রে থাকা উচিত। যথা: লক্ষ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত, সঠিক কাজ, সময় এবং প্রচেষ্টা। জীবনে সিদ্ধান্ত নেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিদ্ধান্ত বলতে একটি কাজ করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেটি থেকে বিকল্প বা কোনো একটি বিষয় বেছে নেয়াকে বুঝায়। আর সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার ওপর সাফল্যের অনেকটাই নির্ভর করে। সিদ্ধান্ত শেষে আপনাকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সময়কে গুরুত্ব দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তোমার জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ স্কুলে এই বিষয়ে রচনা লেখেননি এমন শিক্ষার্থী কমই আছে। মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়, কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আবার শিক্ষক ইত্যাদি। শখ অনুযায়ী এই কিশোর বয়স থেকে শুরু করা উচিত ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। কারণ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার আসল সময় এই বয়সটাই। যদি প্রস্তুতিটি সঠিক হয় তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনাটির বাস্তব রূপদান সম্ভব। আর সেটা সম্ভব আমাদের প্রচেষ্টা, ইচ্ছা, আগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতার ওপরই। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত সামর্থ্য, দক্ষতা, আগ্রহ, রুচি, উৎসাহ, মূল্যবোধ, স্বপ্ন এবং গুণাবলিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা।
যে কাজকে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেব এবং তার মাধ্যমে উপার্জন করে জীবনযাপন করব সেটাই পেশা। আর পেশা নিয়ে পরিকল্পনা বলতে যে পেশার মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করবেন সে বিষয়ে পরিকল্পনা করাকে বোঝায়। কেননা বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে পড়াশোনা শেষে চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে এমন চিন্তা করা বোকামি। কারণ চাকরি পেতে হলে আপনাকে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতেই হবে।
আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দরকার যোগ্যতার। এ জন্য ক্যারিয়ার হিসেবে আপনি কোনটিকে বেছে নেবেন, কোনো পেশার জন্য কী রকম প্রস্তুতি নিতে হবে, আপনার ইচ্ছাধীন পেশায় যাওয়ার রাস্তাটা কেমন হবে বিষয়গুলো জানতে অবশ্যই পেশা পরিকল্পনা প্রয়োজন।
চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিনঅতীতাকে যেমন একেবারেই গুরুত্বহীন মনে করা যাবে না, তেমনি খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে ক্ষতি ডেকে আনা যাবে না। বর্তমানকে যথাযথ মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতের সফলতা লাভের প্রচেষ্টা চালানোতেই লুক্কায়িত রয়েছে সত্যিকারের বীরত্ব। যারা বর্তমানকে উপভোগ করতে পারেন না, ভবিষ্যতের সোনালি স্বপ্ন দেখতেও ভুলে যান তাদের অমঙ্গলই হয় বেশি। নিজের অবস্থান ও সামর্থ্যরে ব্যাপারে সচেতন থেকেই পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিতে হয়। শুধু উপরে দেখা কিংবা শুধুই নিচে দেখার মাঝে লাভ নয়, বরং ক্ষতিই বেশি। নিজের ব্যাপারে পরিপূর্ণ সচেতনতাই সামনে এগিয়ে নিতে পারে। অনেকগুলো বিকল্প যখন একসঙ্গে সামনে আসে, তার মধ্য থেকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, উপযুক্ত বিকল্পটি বেছে নেয়ার নাম সিদ্ধান্ত। জীবনের প্রত্যেকটি পদে, এমন হাজার বার আমাদের বিকল্প বেছে নিতে হচ্ছে। কখনো আমরা সঠিকটা নিতে পারি, কখনো হয়ে যায় ভুল। হয়তো আপনি যে সিদ্ধান্তটা ভালো বুঝবেন, কিন্তু তা গ্রহণ করতে পারছেন না এমনটিও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী যেটি ওই সময়ের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেটি বেছে নিন। সেটিই হতে পারে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত। কাজেই সততা ও সাফল্যের সঙ্গে নিজ অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করতে সঠিক সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
নিজের মতের ওপর স্থির থাকা ভালো, যদি সে মত সঠিক হয়। পাহাড়, পর্বত, বৃক্ষরাজি শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্থির অস্তিত্বের দৃষ্টান্ত হিসেবে। স্থিরতাতেই কল্যাণ। ঘন ঘন মতো বদলানো বোকামি। খড়কুটোই শুধুমাত্র উদ্দেশ্যহীনভাবে ভেসে চলে। তাই উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্টকরণ এবং সিদ্ধান্তে অটল অবিচল থাকতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে, কঠিন প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা অযৌক্তিক। কথা কম বলা মন্দ নয়। তাই বলে পরামর্শবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা প্রয়োজনেও মুখ না খোলার অভ্যাসকে তো কিছুতেই ভালো বলতে পারি না। তবে অতিরিক্ত কথা বলার অর্থই চিন্তা কম করা, যা কম বুদ্ধিমানেরাই করে থাকে। যে ক্ষুদ্র চিন্তা করে তার কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না। আবার যে বড় চিন্তা করবে এবং চিন্তার আলোকে কর্মপ্রচেষ্টা চালাবে, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যপানে ছুটবে সে ছোট থাকবে এটাও যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। চিন্তা কোনো মাপের কোনো পর্যায়ের সেটি নির্ণয় করতে পারলেই কোনো মাপের মানুষ সেটি বুঝা অনেকটা সহজ হবে। ইচ্ছের শেষ নেই। সব ইচ্ছা পূরণ হওয়ার নয়। ইচ্ছে অপূরণ থাকে বলেই মানুষ আরো বেঁচে থাকতে চায়।
পরিকল্পনা করা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন। ব্যক্তিগত ও সামাজিক চাহিদা, অবস্থান, সামর্থ্য এবং রুচিবোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এ জন্য আপনি কিছু সহজ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। পরিকল্পনার ক্ষেত্রে চারটি বিষয় এ ক্ষেত্রে থাকা উচিত। যথা: লক্ষ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত, সঠিক কাজ, সময় এবং প্রচেষ্টা। জীবনে সিদ্ধান্ত নেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিদ্ধান্ত বলতে একটি কাজ করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেটি থেকে বিকল্প বা কোনো একটি বিষয় বেছে নেয়াকে বুঝায়। আর সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার ওপর সাফল্যের অনেকটাই নির্ভর করে। সিদ্ধান্ত শেষে আপনাকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সময়কে গুরুত্ব দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তোমার জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ স্কুলে এই বিষয়ে রচনা লেখেননি এমন শিক্ষার্থী কমই আছে। মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়, কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আবার শিক্ষক ইত্যাদি। শখ অনুযায়ী এই কিশোর বয়স থেকে শুরু করা উচিত ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। কারণ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার আসল সময় এই বয়সটাই। যদি প্রস্তুতিটি সঠিক হয় তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনাটির বাস্তব রূপদান সম্ভব। আর সেটা সম্ভব আমাদের প্রচেষ্টা, ইচ্ছা, আগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতার ওপরই। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত সামর্থ্য, দক্ষতা, আগ্রহ, রুচি, উৎসাহ, মূল্যবোধ, স্বপ্ন এবং গুণাবলিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা।
যে কাজকে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেব এবং তার মাধ্যমে উপার্জন করে জীবনযাপন করব সেটাই পেশা। আর পেশা নিয়ে পরিকল্পনা বলতে যে পেশার মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করবেন সে বিষয়ে পরিকল্পনা করাকে বোঝায়। কেননা বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে পড়াশোনা শেষে চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে এমন চিন্তা করা বোকামি। কারণ চাকরি পেতে হলে আপনাকে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতেই হবে।
আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দরকার যোগ্যতার। এ জন্য ক্যারিয়ার হিসেবে আপনি কোনটিকে বেছে নেবেন, কোনো পেশার জন্য কী রকম প্রস্তুতি নিতে হবে, আপনার ইচ্ছাধীন পেশায় যাওয়ার রাস্তাটা কেমন হবে বিষয়গুলো জানতে অবশ্যই পেশা পরিকল্পনা প্রয়োজন।
চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিনঅতীতাকে যেমন একেবারেই গুরুত্বহীন মনে করা যাবে না, তেমনি খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে ক্ষতি ডেকে আনা যাবে না। বর্তমানকে যথাযথ মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতের সফলতা লাভের প্রচেষ্টা চালানোতেই লুক্কায়িত রয়েছে সত্যিকারের বীরত্ব। যারা বর্তমানকে উপভোগ করতে পারেন না, ভবিষ্যতের সোনালি স্বপ্ন দেখতেও ভুলে যান তাদের অমঙ্গলই হয় বেশি। নিজের অবস্থান ও সামর্থ্যরে ব্যাপারে সচেতন থেকেই পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিতে হয়। শুধু উপরে দেখা কিংবা শুধুই নিচে দেখার মাঝে লাভ নয়, বরং ক্ষতিই বেশি। নিজের ব্যাপারে পরিপূর্ণ সচেতনতাই সামনে এগিয়ে নিতে পারে। অনেকগুলো বিকল্প যখন একসঙ্গে সামনে আসে, তার মধ্য থেকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, উপযুক্ত বিকল্পটি বেছে নেয়ার নাম সিদ্ধান্ত। জীবনের প্রত্যেকটি পদে, এমন হাজার বার আমাদের বিকল্প বেছে নিতে হচ্ছে। কখনো আমরা সঠিকটা নিতে পারি, কখনো হয়ে যায় ভুল। হয়তো আপনি যে সিদ্ধান্তটা ভালো বুঝবেন, কিন্তু তা গ্রহণ করতে পারছেন না এমনটিও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী যেটি ওই সময়ের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেটি বেছে নিন। সেটিই হতে পারে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত। কাজেই সততা ও সাফল্যের সঙ্গে নিজ অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করতে সঠিক সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
নিজের মতের ওপর স্থির থাকা ভালো, যদি সে মত সঠিক হয়। পাহাড়, পর্বত, বৃক্ষরাজি শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্থির অস্তিত্বের দৃষ্টান্ত হিসেবে। স্থিরতাতেই কল্যাণ। ঘন ঘন মতো বদলানো বোকামি। খড়কুটোই শুধুমাত্র উদ্দেশ্যহীনভাবে ভেসে চলে। তাই উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্টকরণ এবং সিদ্ধান্তে অটল অবিচল থাকতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে, কঠিন প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা অযৌক্তিক। কথা কম বলা মন্দ নয়। তাই বলে পরামর্শবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা প্রয়োজনেও মুখ না খোলার অভ্যাসকে তো কিছুতেই ভালো বলতে পারি না। তবে অতিরিক্ত কথা বলার অর্থই চিন্তা কম করা, যা কম বুদ্ধিমানেরাই করে থাকে। যে ক্ষুদ্র চিন্তা করে তার কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না। আবার যে বড় চিন্তা করবে এবং চিন্তার আলোকে কর্মপ্রচেষ্টা চালাবে, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যপানে ছুটবে সে ছোট থাকবে এটাও যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। চিন্তা কোনো মাপের কোনো পর্যায়ের সেটি নির্ণয় করতে পারলেই কোনো মাপের মানুষ সেটি বুঝা অনেকটা সহজ হবে। ইচ্ছের শেষ নেই। সব ইচ্ছা পূরণ হওয়ার নয়। ইচ্ছে অপূরণ থাকে বলেই মানুষ আরো বেঁচে থাকতে চায়।
সৃজনশীল প্রশ্ন: উত্তর কীভাবে লিখবে
সৃজনশীলতা বিষয়টি কোনো একটি মাত্র
নির্দিষ্ট রূপের মধ্যে আবদ্ধ নয়। ব্যক্তির নিজের কাজকর্ম এবং তা থেকে সৃষ্ট
বা উদ্ভাবিত কোনো দ্রব্য বা সেবা যদি ভোক্তার অভাব পূরণ করতে পারে, তবে
এটা যেমন সৃজনশীলতার একটি নমুনা। আবার ওই একই অভাব পূরণে অন্য কেউ যদি নতুন
স্বাদ যুক্ত করে আরেকটি দ্রব্য বাজারে হাজির করে, তবে সেটাও সৃজনশীলতার
বহিঃপ্রকাশ।
আরও বলা যায়, সৃজনশীলতার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এটা আকাশের দিগন্তরেখার মতো। খুব কাছে মনে হলেও ধরতে গেলে এটা দূরে সরে যায়। সে জন্য এ সৃজনশীল কাজের শুরু সেই আদিকাল থেকে, আজও তা বজায় রয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে কেউ কেউ প্রশ্ন করে থাকেন, সৃজনশীল প্রশ্নের কোনো উপাংশের জন্য উত্তর কতটা দীর্ঘ হবে? একজন শিক্ষার্থীর লিখিত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে অন্য একজন শিক্ষার্থীর লিখিত উত্তর কতটা সাদৃশ্যপূর্ণ হবে, কেউ কেউ ধারণা করে থাকেন ক্লাসের ভালো শিক্ষার্থী যেভাবে উত্তর লিখেছে, অন্যরা অনুরূপভাবে উত্তর লিখবে এবং এর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে নম্বর কম বা বেশি পাবে। এর একটি বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে পেতে নবম ও দশম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের নমুনা উত্তর লেখার মধ্য দিয়ে পাবো।
সৃজনশীল প্রশ্ন: ১
রূপম চাকমা খাগড়াছড়ি জেলায় জন্মগ্রহণ করে। সে শ্রাবণী খীসাকে বিবাহ করে পরিবার গড়ে তোলে। তার পরিবারের বসবাসের গৃহনির্মাণ এবং আয়-রোজগারের জন্য সে ৬ হেক্টর পাহাড়ি জমি ক্রয় করে। ওই জমিতে সে ফলের বাগান এবং একটি নার্সারি করে। বাগান থেকে ফল এবং নার্সারি থেকে চারা বিক্রি করে সে প্রচুর আয় করে। এ আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়।
ক. নাগরিকত্ব কী? ১
খ. নাগরিকতা লাভের একটি পদ্ধতি বর্ণনা করো। ২
গ. রূপম চাকমা নাগরিকের কোন ধরনের অধিকার ভোগ করছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রূপম চাকমা অধিকার ভোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রতি যে কর্তব্য পালন করেছে তা মূল্যায়ন করো। ৪
# ওপরের সৃজনশীল প্রশ্নের ‘ক’ উপ-অংশের নমুনা উত্তর হলো—
নাগরিকেরা রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রের প্রদত্ত যে মর্যাদা লাভ করে, পৌরনীতিতে তাকেই নাগরিকত্ব বলে।
এ উত্তরটি পাঠ্যবই থেকে সরাসরি দেওয়া যায়। এ প্রশ্নে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর প্রদত্ত উত্তরে বিশেষ কোনো পার্থক্য হবে না। পার্থক্য হতে পারে বাক্য গঠনে। যেমন নাগরিকত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র প্রদত্ত নাগরিকের বিশেষ অধিকার। এ দুই উত্তরের ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা পূর্ণ নম্বর পাবে।
# ‘খ’ উপ-অংশে শিক্ষার্থীরা নাগরিকতা লাভের দুটি পদ্ধতির যেকোনো একটি পদ্ধতি এবং ওই পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেবে। তাতে প্রধানত দুই ধরনের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে। যেকোনো একটি পদ্ধতির নাম ও বিবরণ লেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উত্তরের মধ্যে পরিবেশিত তথ্যের মিল থাকবে। কিন্তু বাক্য গঠন ও বিন্যাসে বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন রীতি অনুসরণ করবে।
# ‘গ’ উপ-অংশে একটি নতুন পরিস্থিতিতে পাঠ্য বইয়ের একটি বিশেষ ধারণা (নাগরিকের সামাজিক অধিকার) প্রয়োগে শিক্ষার্থীর দক্ষতা মূল্যায়নের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নের শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত উত্তরের মধ্যে মিল বা সাদৃশ্য হবে—যে ধারণা/নীতি/পদ্ধতি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে তা লেখার মধ্যে। যেমন: রূপম চাকমা নাগরিকের সামাজিক অধিকার ভোগ করছে। এরপর এ সামাজিক অধিকার কী এবং কীভাবে রূপম চাকমার ভোগ করা সুবিধাগুলো সামাজিক অধিকারের পর্যায়ভুক্ত তা ব্যাখ্যা করতে হবে। এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মেধা ও মননকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে পাঠ্য বিষয়কে সংযুক্ত করে ব্যাখ্যা করার মধ্য দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার ভাষার দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা সর্বোপরি সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পায়। এ প্রশ্নের উত্তর দেখে একজন শিক্ষক খুব সহজেই উচ্চ মেধাসম্পন্ন, মেধাসম্পন্ন এবং নিম্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সফলভাবে বিভাজন করতে পারেন।
# ‘ঘ’ উপ-অংশে নাগরিক হিসেবে রূপম চাকমার একটি বিশেষ আচরণের কথা বলে নাগরিকের অধিকার ভোগের সঙ্গে কর্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ের প্রয়াস গৃহীত হয়েছে। সৃজনশীল প্রশ্নের এ অংশের উত্তরে শিক্ষার্থীরা রূপম চাকমার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ জমাদানের কাজটি নাগরিকের কী ধরনের কর্তব্য পালন, তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি এ কর্তব্যকে অধিকার ভোগের সঙ্গে সম্পর্ক করে সামগ্রিক আলোচনা করবে। ফলে এ অংশে শিক্ষার্থীরা একটি বাস্তব ঘটনা পাঠ্যবইয়ের আলোকে যাচাই-বাছাই করে এর ধরন চিহ্নিত করার পাশাপাশি এর সঙ্গে অধিকারের যোগসূত্র স্থাপন করে নিজের মতামত প্রদান করবে। নিজস্ব মতামত কিংবা যুক্তি উপস্থাপনকালে শিক্ষার্থীরা পাঠ-সহায়ক বই-পুস্তকের তথ্যাদি সংযুক্ত করে প্রশ্নের উত্তর সমৃদ্ধ করতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীদের উত্তরের মধ্যে নিজ নিজ চিন্তা-ভাবনা, সিদ্ধান্ত নির্মাণ ও সূক্ষ্ম চিন্তন তথা বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সক্ষমতা প্রকাশ পাবে। এ প্রশ্নের উত্তর দেখে শিক্ষক খুব সহজে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে সক্ষম হবেন।
শেষে বলা যায়, শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা হবে বহুমাত্রিক। কেবল সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি সৃজনশীলতার পরিমাপক নয়। আবার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার কোনো সীমা টানাও কঠিন। তবে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে বাহুল্য বাদ দিয়ে একটা পরিমিত বোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার সৃজনশীল প্রশ্নের বিভিন্ন উপাংশের জন্য প্রশ্নোত্তরের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। অবশ্য সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির পাশাপাশি শ্রেণীতে পাঠদানকালে এবং শ্রেণীর পাঠ শেষে শিক্ষার্থীদের সম্পাদিত কাজে কতটা সৃজনশীলতার প্রতিফলন ঘটে তা মূল্যায়ন আবশ্যক। সেই লক্ষ্যে আরও পদ্ধতি ও কৌশল উদ্ভাবন এবং ব্যবহার আবশ্যক।
আরও বলা যায়, সৃজনশীলতার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এটা আকাশের দিগন্তরেখার মতো। খুব কাছে মনে হলেও ধরতে গেলে এটা দূরে সরে যায়। সে জন্য এ সৃজনশীল কাজের শুরু সেই আদিকাল থেকে, আজও তা বজায় রয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে কেউ কেউ প্রশ্ন করে থাকেন, সৃজনশীল প্রশ্নের কোনো উপাংশের জন্য উত্তর কতটা দীর্ঘ হবে? একজন শিক্ষার্থীর লিখিত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে অন্য একজন শিক্ষার্থীর লিখিত উত্তর কতটা সাদৃশ্যপূর্ণ হবে, কেউ কেউ ধারণা করে থাকেন ক্লাসের ভালো শিক্ষার্থী যেভাবে উত্তর লিখেছে, অন্যরা অনুরূপভাবে উত্তর লিখবে এবং এর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে নম্বর কম বা বেশি পাবে। এর একটি বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে পেতে নবম ও দশম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের নমুনা উত্তর লেখার মধ্য দিয়ে পাবো।
সৃজনশীল প্রশ্ন: ১
রূপম চাকমা খাগড়াছড়ি জেলায় জন্মগ্রহণ করে। সে শ্রাবণী খীসাকে বিবাহ করে পরিবার গড়ে তোলে। তার পরিবারের বসবাসের গৃহনির্মাণ এবং আয়-রোজগারের জন্য সে ৬ হেক্টর পাহাড়ি জমি ক্রয় করে। ওই জমিতে সে ফলের বাগান এবং একটি নার্সারি করে। বাগান থেকে ফল এবং নার্সারি থেকে চারা বিক্রি করে সে প্রচুর আয় করে। এ আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়।
ক. নাগরিকত্ব কী? ১
খ. নাগরিকতা লাভের একটি পদ্ধতি বর্ণনা করো। ২
গ. রূপম চাকমা নাগরিকের কোন ধরনের অধিকার ভোগ করছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রূপম চাকমা অধিকার ভোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রতি যে কর্তব্য পালন করেছে তা মূল্যায়ন করো। ৪
# ওপরের সৃজনশীল প্রশ্নের ‘ক’ উপ-অংশের নমুনা উত্তর হলো—
নাগরিকেরা রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রের প্রদত্ত যে মর্যাদা লাভ করে, পৌরনীতিতে তাকেই নাগরিকত্ব বলে।
এ উত্তরটি পাঠ্যবই থেকে সরাসরি দেওয়া যায়। এ প্রশ্নে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর প্রদত্ত উত্তরে বিশেষ কোনো পার্থক্য হবে না। পার্থক্য হতে পারে বাক্য গঠনে। যেমন নাগরিকত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র প্রদত্ত নাগরিকের বিশেষ অধিকার। এ দুই উত্তরের ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা পূর্ণ নম্বর পাবে।
# ‘খ’ উপ-অংশে শিক্ষার্থীরা নাগরিকতা লাভের দুটি পদ্ধতির যেকোনো একটি পদ্ধতি এবং ওই পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেবে। তাতে প্রধানত দুই ধরনের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে। যেকোনো একটি পদ্ধতির নাম ও বিবরণ লেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উত্তরের মধ্যে পরিবেশিত তথ্যের মিল থাকবে। কিন্তু বাক্য গঠন ও বিন্যাসে বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন রীতি অনুসরণ করবে।
# ‘গ’ উপ-অংশে একটি নতুন পরিস্থিতিতে পাঠ্য বইয়ের একটি বিশেষ ধারণা (নাগরিকের সামাজিক অধিকার) প্রয়োগে শিক্ষার্থীর দক্ষতা মূল্যায়নের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নের শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত উত্তরের মধ্যে মিল বা সাদৃশ্য হবে—যে ধারণা/নীতি/পদ্ধতি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে তা লেখার মধ্যে। যেমন: রূপম চাকমা নাগরিকের সামাজিক অধিকার ভোগ করছে। এরপর এ সামাজিক অধিকার কী এবং কীভাবে রূপম চাকমার ভোগ করা সুবিধাগুলো সামাজিক অধিকারের পর্যায়ভুক্ত তা ব্যাখ্যা করতে হবে। এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মেধা ও মননকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে পাঠ্য বিষয়কে সংযুক্ত করে ব্যাখ্যা করার মধ্য দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার ভাষার দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা সর্বোপরি সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পায়। এ প্রশ্নের উত্তর দেখে একজন শিক্ষক খুব সহজেই উচ্চ মেধাসম্পন্ন, মেধাসম্পন্ন এবং নিম্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সফলভাবে বিভাজন করতে পারেন।
# ‘ঘ’ উপ-অংশে নাগরিক হিসেবে রূপম চাকমার একটি বিশেষ আচরণের কথা বলে নাগরিকের অধিকার ভোগের সঙ্গে কর্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ের প্রয়াস গৃহীত হয়েছে। সৃজনশীল প্রশ্নের এ অংশের উত্তরে শিক্ষার্থীরা রূপম চাকমার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ জমাদানের কাজটি নাগরিকের কী ধরনের কর্তব্য পালন, তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি এ কর্তব্যকে অধিকার ভোগের সঙ্গে সম্পর্ক করে সামগ্রিক আলোচনা করবে। ফলে এ অংশে শিক্ষার্থীরা একটি বাস্তব ঘটনা পাঠ্যবইয়ের আলোকে যাচাই-বাছাই করে এর ধরন চিহ্নিত করার পাশাপাশি এর সঙ্গে অধিকারের যোগসূত্র স্থাপন করে নিজের মতামত প্রদান করবে। নিজস্ব মতামত কিংবা যুক্তি উপস্থাপনকালে শিক্ষার্থীরা পাঠ-সহায়ক বই-পুস্তকের তথ্যাদি সংযুক্ত করে প্রশ্নের উত্তর সমৃদ্ধ করতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীদের উত্তরের মধ্যে নিজ নিজ চিন্তা-ভাবনা, সিদ্ধান্ত নির্মাণ ও সূক্ষ্ম চিন্তন তথা বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সক্ষমতা প্রকাশ পাবে। এ প্রশ্নের উত্তর দেখে শিক্ষক খুব সহজে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে সক্ষম হবেন।
শেষে বলা যায়, শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা হবে বহুমাত্রিক। কেবল সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি সৃজনশীলতার পরিমাপক নয়। আবার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার কোনো সীমা টানাও কঠিন। তবে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে বাহুল্য বাদ দিয়ে একটা পরিমিত বোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার সৃজনশীল প্রশ্নের বিভিন্ন উপাংশের জন্য প্রশ্নোত্তরের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। অবশ্য সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির পাশাপাশি শ্রেণীতে পাঠদানকালে এবং শ্রেণীর পাঠ শেষে শিক্ষার্থীদের সম্পাদিত কাজে কতটা সৃজনশীলতার প্রতিফলন ঘটে তা মূল্যায়ন আবশ্যক। সেই লক্ষ্যে আরও পদ্ধতি ও কৌশল উদ্ভাবন এবং ব্যবহার আবশ্যক।
পরামর্শ : ইংরেজি শেখার কিছু করণীয় দিক
আপনার সন্তানের ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতে
আপনার অদম্য আগ্রহ এবং আন্তরিকতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন আপনার
ছেলেমেয়ের আন্তরিক ইচ্ছাবোধ। তাদের প্রশংসা করার মাধ্যমে ইংরেজি শিখনে
আগ্রহী করে তোলা যাবে।
যেসব নিয়ামক শিশুর ইংরেজি শিখতে সহায়তা করে সেগুলি হচ্ছে :
১. ঘরে ইংরেজি ভাষা চর্চার সুযোগ।
২. ইংরেজি ভাষার ক্লাবে বা ক্যামপে যাওয়া।
৩. বিদ্যালয়ে পঠিত বিষয় হিসেবে ইংরেজি থাকা।
৪. ইরষরহমঁধষ ঝপযড়ড়ষ-এ অধ্যয়ন করা অর্থাৎ আমাদের দেশের শিশুরা এমন বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করবে, যেখানে ইংরেজি ও বাংলা দুটোরই ব্যবহার হয়।
৫. ইংরেজি ব্যবহূত হয় এ রকম দেশে বসবাস করা।
৬. ইংরেজি ব্যবহূত হয় এ রকম দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস না করতে পারলেও ছুটির সময়ে বেড়াতে সেসব দেশে যাওয়া। ৭. ইংরেজি জানা লোকের সাহচর্যে থাকা।
৮. ইংরেজি জানা প্রতিবেশী অথবা বিদেশি বন্ধু থাকা।
৯. ইংরেজি সংবাদ শোনা ও ইংরেজি ভাষার টিভি প্রোগ্রাম দেখা।
১০. ইরষরহমঁধষ উরপঃরড়হধৎু, চরপঃঁৎব উরপঃরড়হধৎু, ঊষবপঃৎড়হরপং উরপঃরড়হধৎু ইত্যাদি ব্যবহার। ১১. ইংরেজিতে লেখা বইগুলো, গল্প, ছড়া, গান, তথ্যবই, খেলা, ছবি, নোটিশ, পাপেট ইত্যাদির ব্যবহার।
১২. খেলনার, খাবারের, আসবাবপত্র ইত্যাদির ইরষরহমঁধষ ক্যাটালগের ব্যবহার।
১৩. মানচিত্র, সময়সূচি, ভ্রমণ পুস্তিকা, বিদেশি ম্যাগাজিন, ইংরেজি পত্রপত্রিকার ব্যবহার।
শিশুরা যেসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে সেগুলি হচ্ছে :
১। তাদের নিজেদের বিষয়ে, ২। তাদের পরিবারের বিষয়ে, ৩। তাদের আগ্রহের বিষয়ে, ৪। তাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন সমপর্কে, ৫। জীবন সমপর্কে, ৬। কী করছে এবং করতে যাচ্ছে সে বিষয়ে, ৭। তাদের চারপাশের পরিবেশ সমপর্কে, ৮। তাদের অনুভূতি সমপর্কে, ৯। তাদের পছন্দ এবং অপছন্দ নিয়ে, ১০। তাদের অসুবিধা নিয়ে।
ছোট্ট শিশুরা নিজের মাতৃভাষা ব্যতীত অন্য যে কোন ভাষা শিখতে প্রবল আগ্রহী হয়। তারা বিদেশি শব্দ শিখতে পারলে গর্ববোধ করে। অন্যদের দেখাতে চায় যে তারা অন্য ভাষা জানে। জেনে হয়তো অবাক হবেন যে পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ শিশু দু'তিনটি ভাষায় কথা বলতে পারে। তাদের পরিবার তাদের কাছে এ রকম প্রত্যাশাও করে। তারা এ রকম করতে পারে কারণ তাদের পরিবার, সমাজব্যবস্থা এ বিষয়টিকে খুবই স্বাভাবিক বিষয় বলে ধরে নেয়। দু'তিনটি ভাষা শিখতে গিয়ে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম মোটেও ব্যাহত হয় না। ১০-১১ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে বিদেশি ভাষা শিখছে যারা, তাদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। পরিবার ও বিদ্যালয় তাদের উৎসাহিত করছে। এখন বিশ্বায়নের যুগ। ব্যবসায়, ভ্রমণ, চাকরি প্রভৃতি কাজে ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। অনেক চাকরির জন্য এখন ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন হয়।
শিশুদের ইংরেজি শেখার বিষয়টি খুব কঠিন কাজ নয়। এর জন্য তাদের বেশি বেগ পেতে হয় না। তবে বিদ্যালয়ের অনুপযোগী শিক্ষাদান কৌশল, বিদ্যালয়ের পরিবেশ, ভালো শিক্ষা উপকরণের অভাব তাদের ইংরেজি শেখাটাকে কঠিন করে তুলতে পারে। মা-বাবার কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেলে শিশুরা তীক্ষ্ন হয়। বাবা-মা যদি ইংরেজি শেখার গুরুত্ব না বুঝতে পারেন তাহলে তারা শিশু-সন্তানদের ইংরেজি শিখতে অনুপ্রাণিত করতে চান না।
শিশুরা ভালোভাবে ইংরেজি শিখতে পারে যদি শিক্ষকের সঙ্গে তাদের সমপর্ক আন্তরিক ও উৎসাহব্যঞ্জক হয়। তারা যদি তাদের ভাবের আদান-প্রদান এবং কথোপকথন ঠিকমতো সমপন্ন করতে পারে। শিশুরা বড়দের সঙ্গে কথা বলতে পারে যদি তারা তা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। প্রত্যেক শিশুই আলাদা ব্যক্তিত্ববোধসমপন্ন হয়। প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিত্রিপ্তয়া থাকে। কাজেই তাদের আলাদাভাবে বুঝতে হবে, জানতে হবে এবং আবিষ্কার করতে হবে। কেবল মা-বাবাই পারেন শিশুকে ভালোভাবে জানতে, তৎপরতার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ব্যয়সাপেক্ষে বুঝতে।
নিজ গৃহ থেকেই শিশুর সত্যিকার ভাষা শিক্ষাটা শুরু হয়। শিশুরা যদিও চৎব-ঝপযড়ড়ষ-এ যায় তবু ভাষা শিক্ষার আসল কাজটি শুরু হয় গৃহে। মা-বাবার মাধ্যমেই তাদের হাতেখড়ি হয়। বিদ্যালয়ে অসংখ্য শিশু শিক্ষার্থীর ভিড়ে বেড়ে ওঠে আপনার সন্তান। শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিটি শিশুর পৃথক আলাপচারিতার সুযোগ খুব কমই থাকে। কিন্তু বাবা-মা পারেন শিশুর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উৎসাহ জোগাতে। প্রয়োজনীয় সুযোগও করে দিতে পারেন। নিজের ভাষার মতোই শিশুরা ইংরেজি শিখতে পারে। ধরুন, আপনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারছেন না। ইংরেজি বিষয়ে আপনার দক্ষতা তেমন নেই। আপনি প্রয়োজনীয় পাঠ উপকরণ জোগাড় করে দিতে পারেন আপনার সন্তানকে। তা ছাড়া, কীভাবে লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়, সঠিক উচ্চারণের নিয়ম-কানুন, নতুবা শব্দ লেখা ও মনে রাখা যায় কীভাবে সেসব কৌশল জানার চেষ্টা করুন।
বাবা-মা শিক্ষকের চেয়ে তাদের সন্তানকে ভালো করে জানেন। মা-বাবা তাদের অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে তাদের শিশুসন্তানের মেজাজ-মর্জি বুঝতে পারেন। তারা শিশুর চাহিদা এবং আগ্রহ সমপর্কে জানতে পারেন। তাদের ভাষা ব্যবহারের ভঙ্গি, স্তর, কাজ করার সামর্থ্য, শেখার ধরন প্রভৃতি বুঝতে পারে। কীভাবে শিশুসন্তানের আগ্রহ সৃষ্টি করা যাবে এবং তা ধরে রাখা যাবে তা মা-বাবাই ভালো জানবেন।
বাবা-মা নিবিড়ভাবে পারিবারিক পরিবেশে ড়হব-ঃড়-ড়হব ংবংংরড়হ-এর মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে পারেন, যা বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। শিশুরা মা-বাবার কাছে শিখতে অভ্যস্ত হয় এবং অবচেতনভাবেই তা শুরু করে। শিশুরা গৃহে মা-বাবার কাছে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। মা-বাবার সঙ্গে মিলেমিশে ভাষা শিখতে গিয়ে শিশুরা তাদের ভালোবাসা, আগ্রহ, উৎসাহ, প্রশংসা প্রভৃতিতে সুদৃঢ় করতে পারে।
শোনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। শেখার যত দক্ষতা রয়েছে, তার মধ্যে শোনার দক্ষতা সবগুলোর ভিত্তি। শিশুরা দেখে এবং অনুকরণের মাধ্যমে শিখে। তারা শিখতে গিয়ে যদি ভুল করে তাহলে তাদের সমালোচনা না করে শুধরে দিতে হবে। পাঠ উপকরণ যখন যেখানে যে অবস্থায় পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলো প্রদর্শন করলে শিশুদের প্রেষণা বৃদ্ধি পাবে। এসপয়ভপ বলেছে, ুঐব যিড় শহড়ংি হড় ভড়ৎবরমহ ষধহমঁধমব, ফড়বং হড়ঃ ঃৎঁষু শহড় িযরং ড়হিচ্. কাজেই আপনার শিশুসন্তানকে অবশ্যই ভালোভাবে ইংরেজি ভাষাটাকে রপ্ত করতে দিন। যত্নবান ও সংবেদনশীল হোন। সুপরিকল্পিত সুযোগ সৃষ্টি করুন।
আপনাদের এবং সন্তানের মধ্যে নিবিড় বন্ধন সৃষ্টি করুন। দেখবেন, সে মাতৃভাষার চেয়ে বেশি আগ্রহী হবে ইংরেজি শিখতে।
যেসব নিয়ামক শিশুর ইংরেজি শিখতে সহায়তা করে সেগুলি হচ্ছে :
১. ঘরে ইংরেজি ভাষা চর্চার সুযোগ।
২. ইংরেজি ভাষার ক্লাবে বা ক্যামপে যাওয়া।
৩. বিদ্যালয়ে পঠিত বিষয় হিসেবে ইংরেজি থাকা।
৪. ইরষরহমঁধষ ঝপযড়ড়ষ-এ অধ্যয়ন করা অর্থাৎ আমাদের দেশের শিশুরা এমন বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করবে, যেখানে ইংরেজি ও বাংলা দুটোরই ব্যবহার হয়।
৫. ইংরেজি ব্যবহূত হয় এ রকম দেশে বসবাস করা।
৬. ইংরেজি ব্যবহূত হয় এ রকম দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস না করতে পারলেও ছুটির সময়ে বেড়াতে সেসব দেশে যাওয়া। ৭. ইংরেজি জানা লোকের সাহচর্যে থাকা।
৮. ইংরেজি জানা প্রতিবেশী অথবা বিদেশি বন্ধু থাকা।
৯. ইংরেজি সংবাদ শোনা ও ইংরেজি ভাষার টিভি প্রোগ্রাম দেখা।
১০. ইরষরহমঁধষ উরপঃরড়হধৎু, চরপঃঁৎব উরপঃরড়হধৎু, ঊষবপঃৎড়হরপং উরপঃরড়হধৎু ইত্যাদি ব্যবহার। ১১. ইংরেজিতে লেখা বইগুলো, গল্প, ছড়া, গান, তথ্যবই, খেলা, ছবি, নোটিশ, পাপেট ইত্যাদির ব্যবহার।
১২. খেলনার, খাবারের, আসবাবপত্র ইত্যাদির ইরষরহমঁধষ ক্যাটালগের ব্যবহার।
১৩. মানচিত্র, সময়সূচি, ভ্রমণ পুস্তিকা, বিদেশি ম্যাগাজিন, ইংরেজি পত্রপত্রিকার ব্যবহার।
শিশুরা যেসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে সেগুলি হচ্ছে :
১। তাদের নিজেদের বিষয়ে, ২। তাদের পরিবারের বিষয়ে, ৩। তাদের আগ্রহের বিষয়ে, ৪। তাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন সমপর্কে, ৫। জীবন সমপর্কে, ৬। কী করছে এবং করতে যাচ্ছে সে বিষয়ে, ৭। তাদের চারপাশের পরিবেশ সমপর্কে, ৮। তাদের অনুভূতি সমপর্কে, ৯। তাদের পছন্দ এবং অপছন্দ নিয়ে, ১০। তাদের অসুবিধা নিয়ে।
ছোট্ট শিশুরা নিজের মাতৃভাষা ব্যতীত অন্য যে কোন ভাষা শিখতে প্রবল আগ্রহী হয়। তারা বিদেশি শব্দ শিখতে পারলে গর্ববোধ করে। অন্যদের দেখাতে চায় যে তারা অন্য ভাষা জানে। জেনে হয়তো অবাক হবেন যে পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ শিশু দু'তিনটি ভাষায় কথা বলতে পারে। তাদের পরিবার তাদের কাছে এ রকম প্রত্যাশাও করে। তারা এ রকম করতে পারে কারণ তাদের পরিবার, সমাজব্যবস্থা এ বিষয়টিকে খুবই স্বাভাবিক বিষয় বলে ধরে নেয়। দু'তিনটি ভাষা শিখতে গিয়ে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম মোটেও ব্যাহত হয় না। ১০-১১ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে বিদেশি ভাষা শিখছে যারা, তাদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। পরিবার ও বিদ্যালয় তাদের উৎসাহিত করছে। এখন বিশ্বায়নের যুগ। ব্যবসায়, ভ্রমণ, চাকরি প্রভৃতি কাজে ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। অনেক চাকরির জন্য এখন ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন হয়।
শিশুদের ইংরেজি শেখার বিষয়টি খুব কঠিন কাজ নয়। এর জন্য তাদের বেশি বেগ পেতে হয় না। তবে বিদ্যালয়ের অনুপযোগী শিক্ষাদান কৌশল, বিদ্যালয়ের পরিবেশ, ভালো শিক্ষা উপকরণের অভাব তাদের ইংরেজি শেখাটাকে কঠিন করে তুলতে পারে। মা-বাবার কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেলে শিশুরা তীক্ষ্ন হয়। বাবা-মা যদি ইংরেজি শেখার গুরুত্ব না বুঝতে পারেন তাহলে তারা শিশু-সন্তানদের ইংরেজি শিখতে অনুপ্রাণিত করতে চান না।
শিশুরা ভালোভাবে ইংরেজি শিখতে পারে যদি শিক্ষকের সঙ্গে তাদের সমপর্ক আন্তরিক ও উৎসাহব্যঞ্জক হয়। তারা যদি তাদের ভাবের আদান-প্রদান এবং কথোপকথন ঠিকমতো সমপন্ন করতে পারে। শিশুরা বড়দের সঙ্গে কথা বলতে পারে যদি তারা তা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। প্রত্যেক শিশুই আলাদা ব্যক্তিত্ববোধসমপন্ন হয়। প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিত্রিপ্তয়া থাকে। কাজেই তাদের আলাদাভাবে বুঝতে হবে, জানতে হবে এবং আবিষ্কার করতে হবে। কেবল মা-বাবাই পারেন শিশুকে ভালোভাবে জানতে, তৎপরতার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ব্যয়সাপেক্ষে বুঝতে।
নিজ গৃহ থেকেই শিশুর সত্যিকার ভাষা শিক্ষাটা শুরু হয়। শিশুরা যদিও চৎব-ঝপযড়ড়ষ-এ যায় তবু ভাষা শিক্ষার আসল কাজটি শুরু হয় গৃহে। মা-বাবার মাধ্যমেই তাদের হাতেখড়ি হয়। বিদ্যালয়ে অসংখ্য শিশু শিক্ষার্থীর ভিড়ে বেড়ে ওঠে আপনার সন্তান। শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিটি শিশুর পৃথক আলাপচারিতার সুযোগ খুব কমই থাকে। কিন্তু বাবা-মা পারেন শিশুর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উৎসাহ জোগাতে। প্রয়োজনীয় সুযোগও করে দিতে পারেন। নিজের ভাষার মতোই শিশুরা ইংরেজি শিখতে পারে। ধরুন, আপনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারছেন না। ইংরেজি বিষয়ে আপনার দক্ষতা তেমন নেই। আপনি প্রয়োজনীয় পাঠ উপকরণ জোগাড় করে দিতে পারেন আপনার সন্তানকে। তা ছাড়া, কীভাবে লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়, সঠিক উচ্চারণের নিয়ম-কানুন, নতুবা শব্দ লেখা ও মনে রাখা যায় কীভাবে সেসব কৌশল জানার চেষ্টা করুন।
বাবা-মা শিক্ষকের চেয়ে তাদের সন্তানকে ভালো করে জানেন। মা-বাবা তাদের অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে তাদের শিশুসন্তানের মেজাজ-মর্জি বুঝতে পারেন। তারা শিশুর চাহিদা এবং আগ্রহ সমপর্কে জানতে পারেন। তাদের ভাষা ব্যবহারের ভঙ্গি, স্তর, কাজ করার সামর্থ্য, শেখার ধরন প্রভৃতি বুঝতে পারে। কীভাবে শিশুসন্তানের আগ্রহ সৃষ্টি করা যাবে এবং তা ধরে রাখা যাবে তা মা-বাবাই ভালো জানবেন।
বাবা-মা নিবিড়ভাবে পারিবারিক পরিবেশে ড়হব-ঃড়-ড়হব ংবংংরড়হ-এর মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে পারেন, যা বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। শিশুরা মা-বাবার কাছে শিখতে অভ্যস্ত হয় এবং অবচেতনভাবেই তা শুরু করে। শিশুরা গৃহে মা-বাবার কাছে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। মা-বাবার সঙ্গে মিলেমিশে ভাষা শিখতে গিয়ে শিশুরা তাদের ভালোবাসা, আগ্রহ, উৎসাহ, প্রশংসা প্রভৃতিতে সুদৃঢ় করতে পারে।
শোনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। শেখার যত দক্ষতা রয়েছে, তার মধ্যে শোনার দক্ষতা সবগুলোর ভিত্তি। শিশুরা দেখে এবং অনুকরণের মাধ্যমে শিখে। তারা শিখতে গিয়ে যদি ভুল করে তাহলে তাদের সমালোচনা না করে শুধরে দিতে হবে। পাঠ উপকরণ যখন যেখানে যে অবস্থায় পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলো প্রদর্শন করলে শিশুদের প্রেষণা বৃদ্ধি পাবে। এসপয়ভপ বলেছে, ুঐব যিড় শহড়ংি হড় ভড়ৎবরমহ ষধহমঁধমব, ফড়বং হড়ঃ ঃৎঁষু শহড় িযরং ড়হিচ্. কাজেই আপনার শিশুসন্তানকে অবশ্যই ভালোভাবে ইংরেজি ভাষাটাকে রপ্ত করতে দিন। যত্নবান ও সংবেদনশীল হোন। সুপরিকল্পিত সুযোগ সৃষ্টি করুন।
আপনাদের এবং সন্তানের মধ্যে নিবিড় বন্ধন সৃষ্টি করুন। দেখবেন, সে মাতৃভাষার চেয়ে বেশি আগ্রহী হবে ইংরেজি শিখতে।
Thursday, September 20, 2012
সত্য কে জানুন ,কি ঘটছে, আরো কি কি ঘটতে পারে!!!!
আমি একজন মুসলিম তাই আমি সব ধর্মকেই সন্মান করি । সব ধর্মেই বলা হয়েছে
শান্তির কথা, কিন্তু আজ হচ্ছে টা কি । কেউ তাদের ধর্মের মধ্যে নেই,হিন্দুরা
বলছে মুসলমানরা খারাপ, মুসলমানরা বলছে হিন্দুরা খারাপ। সব গুলো ধর্মের
মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।
ইতিহাস বলে আজ থেকে ৫০০-৭০০ বছর আগেও মুসলমানরা জীবনের সকল দিকে পৃথিবীর অন্য সকল জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিল। কিন্তু আজ সম্পূর্ণ ভিন্ন,
মুসলমানরা আজ পথভ্রষ্ট , তারা আজ অতি সহজে নিজেকে আধারের মাজে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
ইতিহাস বলে আজ থেকে ৫০০-৭০০ বছর আগেও মুসলমানরা জীবনের সকল দিকে পৃথিবীর অন্য সকল জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিল। কিন্তু আজ সম্পূর্ণ ভিন্ন,
মুসলমানরা আজ পথভ্রষ্ট , তারা আজ অতি সহজে নিজেকে আধারের মাজে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
'ইনোসেন্স অব মুসলিম' নিয়ে আমার একান্ত কিছু কথা:
'ইনোসেন্স অব মুসলিম' এটাকি সত্যি একটা চলচ্চিত্র !!!!! নাকি মুসলমানদের রক্তের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেয়া। আমরা জানি ,এটা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের তৈরী,তারা জানে একজন মুসলমান মানুষকে আঘাত করলে সে যতনা কষ্ট পাবে তার চাইতে অনেক বেশী কষ্ট পাবে নবীকে নিয়ে কিছু করলে। তাই তারা তৈরী করে ফেলল তাদের নতুন ষড়যন্ত্র 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' নামের ক্ষমার অযোগ্য চলচ্চিত্রটি। এটা দেখার পর মুসলিম উম্মাহ পাগল হয়ে গিয়েছে। কারন আমাদের কে কষ্ট দিলে আমরা তা সহ্য করব কিন্তু আমাদের নবীকে কেউ কিছু বললে তা সহ্য করা সম্ভব না। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশ গুলোতে কিছু মারামারি কাটাকাটি হবে ও এবং আমেরিকা এই সুযোগের সৎ ব্যবহার করবে এটাই ছিল তাদের লক্ষ । তাই তো আজ মানবাধিকার ও মত প্রকাশের অধিকারের দোহাই দিয়ে হিলারি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী এ চলচ্চিত্রের পক্ষে কথা বলেছেন ।আমরা জানি,আগুনে কেরোসিন ঢাললে আগুন আরো বাড়বেই এবং সেই কেরোসিন তারা ঢালছে আমাদের উপর ।
'ইনোসেন্স অব মুসলিম' এটাকি সত্যি একটা চলচ্চিত্র !!!!! নাকি মুসলমানদের রক্তের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেয়া। আমরা জানি ,এটা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের তৈরী,তারা জানে একজন মুসলমান মানুষকে আঘাত করলে সে যতনা কষ্ট পাবে তার চাইতে অনেক বেশী কষ্ট পাবে নবীকে নিয়ে কিছু করলে। তাই তারা তৈরী করে ফেলল তাদের নতুন ষড়যন্ত্র 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' নামের ক্ষমার অযোগ্য চলচ্চিত্রটি। এটা দেখার পর মুসলিম উম্মাহ পাগল হয়ে গিয়েছে। কারন আমাদের কে কষ্ট দিলে আমরা তা সহ্য করব কিন্তু আমাদের নবীকে কেউ কিছু বললে তা সহ্য করা সম্ভব না। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশ গুলোতে কিছু মারামারি কাটাকাটি হবে ও এবং আমেরিকা এই সুযোগের সৎ ব্যবহার করবে এটাই ছিল তাদের লক্ষ । তাই তো আজ মানবাধিকার ও মত প্রকাশের অধিকারের দোহাই দিয়ে হিলারি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী এ চলচ্চিত্রের পক্ষে কথা বলেছেন ।আমরা জানি,আগুনে কেরোসিন ঢাললে আগুন আরো বাড়বেই এবং সেই কেরোসিন তারা ঢালছে আমাদের উপর ।
আবারও সেই কার্টুন:
১৯/০৯
/২০১২ ফ্রান্সের একটা ম্যাগাজিন এ আবারও রাসূল (সা.)-কে অবমাননা করে
কার্টুন তৈরি করা হয়েছে। ফেসবুকে মুসলমানদেরকে নিয়ে এমন অনেক খারাপ খারাপ
পেইজ তৈরি করা হয়েছে। আর এখানে হিলারি ক্লিনটন বলছেন যে এর বিরুদ্ধে কিছুই
করা সম্ভব নয়। তাহলে কি মুসলমান দের জন্যে আপনাদের ভিন্ন আইন । তাহলে আমি
যদি বলি লাদেন এর সৃষ্টি আপনাদের জন্যেই। আর এমনটা হতে থাকলে আরও হাজারো
লাদেন এর জন্ম হবে। আপনারা এই ভেদাভেদ তৈরি করা ছেড়ে দিন।
কেন এত অশান্তি :
মুসলমান মানে জঙ্গি, তালেবান এই সবের তৈরিও আমেরিকার। অনেকেই বলেছে লিবিয়া যা করল তা কি ঠিক হলো ? নাহ আমি বলবনা যে ঠিক হলোনা । কিন্তু আমেরিকা জানত এমন কিছুই হবে আর তারা চায় এমন কিছু ঘটনার পুনঃ আবৃত্তি । যাতে করে তারা সব গুলো দেশের রাজত্ব করতে পারে। লিবিয়া যা করেছে তা ঠিক হয়নি কিন্তু আমেরিকা যা করল তা কি ঠিক হলো!! এক লাদেনের জন্যে পুরা আফগান শেষ করে ফেলল, ইরান, ইরাক,সিরিয়া, ফিলিস্তানে যে তারা রণক্ষেত্র তৈরি করছে তা কি ঠিক হচ্ছে। আবূ গারীব আর গওয়ান্তানামোর বন্দি শিবির গুলো লাখো লাখো ফাতেমা আর আব্দুল্লাহদের আর্তনাদে প্রতি মুহূর্ত ভারী হয়ে উঠছে, কিন্তু তাদেরকে এই দূরাবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য বিশ্বের কোন প্রান্ত থেকেই আজ আর কেউ এগিয়ে আসছে না। আগ্রাসন শুরুর সময় সেখানে মুসলিমদের সারি সারি লাশ, ছিন্ন-ভিন্ন দেহ আর রক্তস্রোত বইছে।
আমি ওদের মত সমস্ত আমেরিকা কে খারাপ বলবনা, তাদের মধ্যেও অনেক ভালো আছেন। আমেরিকায় রমস ক্লার্কের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিও আছেন, যিনি এক পাকিস্তানি ডাক্তার আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করছেন। সবাই যদি রমস ক্লার্কের মত হতো তবে কোন দেশেই মারামারি খুনাখুনি হতনা । আজ আমাদের মুসলমানদের ৫৭ টি দেশ কিন্তু কোথাও ইসলামী রাষ্ট্র নেই। প্রতিটি দেশেই সেনা করমকরতা আছেন কিন্তু তবু আমাদের নিরাপত্তা নেই। কারন তাদের উপর নির্দেশ নেই। আপনারা আরো জেনে থাকবেন তুরস্ক সিরিয়াকে দেখতে পারে না ,অন্যদিকে সৌদিআরব ইরান কে দেখতে পারে না, এই হলো মুসলিম দেশ গুলোর অবস্থা। আজ আমাদের মধ্যে কোনো ঐক্য নাই তাই তারা এটা কে হাতিহার হিসাবে বেছে নিয়েছে ।
তৈরী হতে যাচ্ছে আরো উস্কানিমূলক নতুন নতুন ছবি:
শুধু 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' তৈরি করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি,আমেরিকা ও হল্যান্ডে এমন আর ও দুটি ফিল্ম বানানো হচ্ছে যাতে করে মুসলমানদের শিয়া-সুন্নি মতাদর্শের বিরোধকে উস্কে দেয়া হবে। এর মধ্যে একটি ফিল্ম ইরানের বিরুদ্ধে। এতে শিয়া-সুন্নি বিরোধ উস্কে দেয়ার পাশাপাশি ইরান ও আরবের মধ্যে বংশীয় বিভেদ নতুন করে তাজা করার চেষ্টা চলছে। দ্বিতীয়টি সিরিয়ার শিয়া-সুন্নি মতপার্থক্যের ব্যাপারে।একটি পশ্চিমা টিভি চ্যানেলের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের অবস্থার ওপর একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানানো হচ্ছে। এতে বালুচ ও পশতুদের মধ্যে বিভেদ উস্কে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এইসকল ঘটনা যদি চলতে থাকে তাইলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় আগামী পৃথিবী মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এক ভয়াবহ সংঘাতের দিকে।আমরা চাই ,যে যে তার ধর্ম সুন্দর ভাবে পালন করুক। বিশ্ব শান্তি বজায় থাক।
মুসলমান ভাইদের কে অনুরোধ করব জেগে উঠুন। নিজের অস্তিত্ব কে রক্ষা করুন। বিশ্ব এর মাঝে ইসলাম কে শান্তির ধর্ম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিন। মারামারি কাটাকাটি কোন সমাধান নয়। যারা এমন করছে তাদের সাথে প্রমান নিয়ে এগিয়ে আসুন। অন্যদের ভুল গুলো ধরিয়ে দিন। পৃথিবীর সবাই খারাপ না, তাই নিজেদের কে ভালভাবে প্রচার করুন, একদিন সবাই বুজতে পারবে ইসলাম সত্য, ইসলাম শান্তি ।
কেন এত অশান্তি :
মুসলমান মানে জঙ্গি, তালেবান এই সবের তৈরিও আমেরিকার। অনেকেই বলেছে লিবিয়া যা করল তা কি ঠিক হলো ? নাহ আমি বলবনা যে ঠিক হলোনা । কিন্তু আমেরিকা জানত এমন কিছুই হবে আর তারা চায় এমন কিছু ঘটনার পুনঃ আবৃত্তি । যাতে করে তারা সব গুলো দেশের রাজত্ব করতে পারে। লিবিয়া যা করেছে তা ঠিক হয়নি কিন্তু আমেরিকা যা করল তা কি ঠিক হলো!! এক লাদেনের জন্যে পুরা আফগান শেষ করে ফেলল, ইরান, ইরাক,সিরিয়া, ফিলিস্তানে যে তারা রণক্ষেত্র তৈরি করছে তা কি ঠিক হচ্ছে। আবূ গারীব আর গওয়ান্তানামোর বন্দি শিবির গুলো লাখো লাখো ফাতেমা আর আব্দুল্লাহদের আর্তনাদে প্রতি মুহূর্ত ভারী হয়ে উঠছে, কিন্তু তাদেরকে এই দূরাবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য বিশ্বের কোন প্রান্ত থেকেই আজ আর কেউ এগিয়ে আসছে না। আগ্রাসন শুরুর সময় সেখানে মুসলিমদের সারি সারি লাশ, ছিন্ন-ভিন্ন দেহ আর রক্তস্রোত বইছে।
আমি ওদের মত সমস্ত আমেরিকা কে খারাপ বলবনা, তাদের মধ্যেও অনেক ভালো আছেন। আমেরিকায় রমস ক্লার্কের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিও আছেন, যিনি এক পাকিস্তানি ডাক্তার আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করছেন। সবাই যদি রমস ক্লার্কের মত হতো তবে কোন দেশেই মারামারি খুনাখুনি হতনা । আজ আমাদের মুসলমানদের ৫৭ টি দেশ কিন্তু কোথাও ইসলামী রাষ্ট্র নেই। প্রতিটি দেশেই সেনা করমকরতা আছেন কিন্তু তবু আমাদের নিরাপত্তা নেই। কারন তাদের উপর নির্দেশ নেই। আপনারা আরো জেনে থাকবেন তুরস্ক সিরিয়াকে দেখতে পারে না ,অন্যদিকে সৌদিআরব ইরান কে দেখতে পারে না, এই হলো মুসলিম দেশ গুলোর অবস্থা। আজ আমাদের মধ্যে কোনো ঐক্য নাই তাই তারা এটা কে হাতিহার হিসাবে বেছে নিয়েছে ।
তৈরী হতে যাচ্ছে আরো উস্কানিমূলক নতুন নতুন ছবি:
শুধু 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' তৈরি করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি,আমেরিকা ও হল্যান্ডে এমন আর ও দুটি ফিল্ম বানানো হচ্ছে যাতে করে মুসলমানদের শিয়া-সুন্নি মতাদর্শের বিরোধকে উস্কে দেয়া হবে। এর মধ্যে একটি ফিল্ম ইরানের বিরুদ্ধে। এতে শিয়া-সুন্নি বিরোধ উস্কে দেয়ার পাশাপাশি ইরান ও আরবের মধ্যে বংশীয় বিভেদ নতুন করে তাজা করার চেষ্টা চলছে। দ্বিতীয়টি সিরিয়ার শিয়া-সুন্নি মতপার্থক্যের ব্যাপারে।একটি পশ্চিমা টিভি চ্যানেলের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের অবস্থার ওপর একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানানো হচ্ছে। এতে বালুচ ও পশতুদের মধ্যে বিভেদ উস্কে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এইসকল ঘটনা যদি চলতে থাকে তাইলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় আগামী পৃথিবী মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এক ভয়াবহ সংঘাতের দিকে।আমরা চাই ,যে যে তার ধর্ম সুন্দর ভাবে পালন করুক। বিশ্ব শান্তি বজায় থাক।
মুসলমান ভাইদের কে অনুরোধ করব জেগে উঠুন। নিজের অস্তিত্ব কে রক্ষা করুন। বিশ্ব এর মাঝে ইসলাম কে শান্তির ধর্ম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিন। মারামারি কাটাকাটি কোন সমাধান নয়। যারা এমন করছে তাদের সাথে প্রমান নিয়ে এগিয়ে আসুন। অন্যদের ভুল গুলো ধরিয়ে দিন। পৃথিবীর সবাই খারাপ না, তাই নিজেদের কে ভালভাবে প্রচার করুন, একদিন সবাই বুজতে পারবে ইসলাম সত্য, ইসলাম শান্তি ।
আপনাদের সবার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
Sunday, September 16, 2012
বিভিন্ন দেশে আনলক iphone 5 এর মূল্য !!!
>> মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেআনলক আইফোন ফাইভের মূল্য শুরু হয়েছে $৬৪৯ মার্কিন ডলার (প্রায় ৫৪,০০০ টাকা) থেকে। এটি ১৬ গিগাবাইট সংস্করণটি। এরপর ৩২ গিগাবাইটের মূল্য $৭৪৯ (প্রায় ৬২,০০০ টাকা) এবং ৬৪ গিগাবাইটের মূল্য $৮৪৯ (প্রায় ৭০,০০০ টাকা)হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
>> যুক্তরাজ্যে১৬ গিগাবাইটের মূল্য £৫২৯পাউন্ড বা ৭০, ১৩৯ টাকা; ৩২ গিগাবাইটের মূল্য £৫৯৯ পাউন্ড বা ৭৯, ৪২০ টাকা; আর ৬৪ গিগাবাইটের মূল্য £৬৯৯ পাউন্ড বা ৯২, ৬৭৯ টাকা।
>> সিংগাপুরে ১৬ গিগাবাইট আইফোন ফাইভের মূল্য ৯৪৮ সিংগাপুর ডলার হিসেবে ধার্য করায় তা বাংলাদেশী টাকায় পরছে ৬৩, ৫২৮ টাকা। অর্থাৎ মার্কিন বাজার থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা বেশি। ৩২ গিগাবাইটের মূল্য ১০০৮ সিংগাপুর ডলার বা ৬৭,৫৪৯ টাকা এবং ৬৪ গিগাবাইটের মূল্য ৮২, ৯৬২ টাকা।
>> হংকং এর বাজারেও আইফোন ২১ তারিখে মুক্তি পাচ্ছে বলে জানালেও অ্যাপলস্টোরের হংকং সাইটটিতে মূল্য আলাদাভাবে এখনো দেয়া হয় নি। শুধু ১৬ গিগাবাইটের মূল্য এখানে প্রদান করা হয়েছে। সেই হিসেবে আইফোন ফাইভ ১৬ গিগাবাইটের মূল্য হচ্ছে ৫৫৮৮ হংকং ডলার বা ৫৮,৯৮৯ টাকা প্রায়।
>> যুক্তরাজ্যে১৬ গিগাবাইটের মূল্য £৫২৯পাউন্ড বা ৭০, ১৩৯ টাকা; ৩২ গিগাবাইটের মূল্য £৫৯৯ পাউন্ড বা ৭৯, ৪২০ টাকা; আর ৬৪ গিগাবাইটের মূল্য £৬৯৯ পাউন্ড বা ৯২, ৬৭৯ টাকা।
>> সিংগাপুরে ১৬ গিগাবাইট আইফোন ফাইভের মূল্য ৯৪৮ সিংগাপুর ডলার হিসেবে ধার্য করায় তা বাংলাদেশী টাকায় পরছে ৬৩, ৫২৮ টাকা। অর্থাৎ মার্কিন বাজার থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা বেশি। ৩২ গিগাবাইটের মূল্য ১০০৮ সিংগাপুর ডলার বা ৬৭,৫৪৯ টাকা এবং ৬৪ গিগাবাইটের মূল্য ৮২, ৯৬২ টাকা।
>> হংকং এর বাজারেও আইফোন ২১ তারিখে মুক্তি পাচ্ছে বলে জানালেও অ্যাপলস্টোরের হংকং সাইটটিতে মূল্য আলাদাভাবে এখনো দেয়া হয় নি। শুধু ১৬ গিগাবাইটের মূল্য এখানে প্রদান করা হয়েছে। সেই হিসেবে আইফোন ফাইভ ১৬ গিগাবাইটের মূল্য হচ্ছে ৫৫৮৮ হংকং ডলার বা ৫৮,৯৮৯ টাকা প্রায়।
Saturday, September 1, 2012
ক্লান্তি দূর করবেন কিভাবে
সারাদিন
ক্লান্তি অনুভব করা কিংবা অবসন্নতায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকা এক বিরক্তিকর
অনুভূতি। কোনো কাজ ঠিকমতো সমাধা করা যায় না, কাজ করতে ইচ্ছা হয় না,
সারাক্ষণ শরীরে থাকে ম্যাজম্যাজ ভাব। পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের মধ্যে এ
সমস্যটা বেশি মাত্রায় পরিলক্ষিত হয়। এই অবসাদগ্রস্ততার জন্য রাতের ঘুম
ব্যাহত হয়, ক্ষুধার পরিবর্তন হয়, মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ওঠে- কোনো কিছুর
ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে যায়। যারা বিষণ্নতায় ভোগেন তাদের মধ্যেও ভর করে
ক্লান্তি বা অবসাদগ্রস্ততা। শারীরিক অসুস্থতায় ক্লান্ত অনুভূত হওয়া
স্বাভাবিক। অতিরিক্ত চা বা কফি, ধূমপান, অ্যালকোহল অবসাদগ্রস্ততার অন্যতম
কারণ। মহিলাদের অবসাদগ্রস্ততার প্রধান কারণ হলো শরীরে লৌহের অভাবজনিত
রক্তস্বল্পতা।
অবসাদ দূর করার উপায়ব্যায়াম করুন
অবসাদ দূর করার জন্য চমৎকার ওষুধ হলো ব্যায়াম। যখনই আপনি ক্লান্তি অনুভব করবেন, যাবেন খোলা বাতাসে। ব্যায়াম করবেন। দেখবেন কী ঝরঝরে লাগছে আপনার শরীর। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার শরীরে কোষ থেকে বর্জ্য দূর করে দেয়, মস্তিষেক সঞ্চালন করে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত, হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে, শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলে চর্বি, মাংসপেশিকে করে মজবুত, উদ্বেগ কমায় এবং আপনার মেজাজটাকে করে তোলে প্রফুল্ল।
খাবারের দিকে মনোযোগ দিন
আপনি লৌহসমৃদ্ধ খাবারের দিকে বেশি মাত্রায় নজর দেবেন। গমের ভুসি, কলিজা, কলা, শুকনো ফল, সার্ডিন মাছ, গরুর গোশত, যব প্রভৃতিতে প্রচুর পরিমাণে লৌহ থাকে। আপনি এসব খাবার খাবেন। তবে একবারে প্রচুর খাবেন না। অল্প পরিমাণ ঘনঘন খাবেন- এতে শক্তি ধরে রাখা সম্ভব হয়। যথাসম্ভব চর্বি বাদ দেবেন। ডাল, বাদাম প্রভৃতি খাবার খেতে পারেন।
ঘুম নিশ্চিত করুন
একজন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের পরিমাণ হলো ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। কেউ কেউ ৭ ঘণ্টাও ঘুমায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে এর কম বা বেশি ঘুমানো যাবে না। অপর্যাপ্ত ঘুমে আপনার মাথাব্যথা, মাথা ভার হওয়া, চোখ জ্বালা করা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে আপনি সুস্থতা অনুভব করেন না। আবার অতিরিক্ত ঘুমে শরীরের কোষগুলো বেশি মাত্রায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যা ক্ষতিকর। সুতরাং দৈনিক ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা গভীর ঘুমে তলিয়ে যান। তবে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাবেন না। মন স্থির রেখে একটি চমৎকার ঘুম দিন- দেখবেন কেটে গেছে সব অবসাদ।
বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন
অনেকে ক্লান্তি দূর করার জন্য চা এবং কফি পান করে থাকেন। চা ও কফি উত্তেজক পানীয়, সন্দেহ নেই। কিন্তু শরীর থেকে ক্যাফিনের প্রভাব দূর হওয়া মাত্র আপনার কর্মশক্তি কমে যাবে এবং আপনি আগের চেয়ে বেশি মাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। বেশি মাত্রায় চা ও কফি পান করলে তা নিদ্রাহীনতা ঘটায়। সুতরাং চা কিংবা কফি ত্যাগ করাই শ্রেয়। কিংবা খুবই পরিমিত মাত্রায় পান করবেন।
ধূমপানের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা চলে। ধূমপানের ফলে আপনার শরীরের কোষসমূহ অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হয়। নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাবে নিঃশেষিত হয় আপনার শক্তি। যারা অ্যালকোহল পান করেন-সাময়িকভাবে অ্যাকোহল শরীরকে চাঙ্গা করলেও পরবর্তীতে তা আপনাকে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে। সুতরাং এই বদ অভ্যাসগুলো আপনি ত্যাগ করুন। তার চেয়ে ফলের রস খান। নিয়মিত ফলের রস খেলে আপনার চমৎকার অনুভূতি হবে, কেটে যাবে আপনার ক্লান্তি।
শিশুর স্কুল ভীতি
ভোরের
কাঁচা সর্য পূর্বাকাশে উঁকি দিচ্ছে, জানালার ফাঁক গলিয়ে সরু আলোক রেখা
ঢুকছে রুমে। মা ডাকছে, উঠতে হবে, স্কুলে যেতে হবে, চোখ খুলতে ইচ্ছা করছে
না, তবুও চোখ মেলে তাকাল সজীব। উহ ‘স্কুলের কথা মনে হলেই যেন শরীর অবশ হয়ে
আসে, ঝিঁঝিঁ করে মাথা, ঝিনঝিন অবসন্নতা যেন চেপে ধরে চলনশক্তি
ভোরের
কাঁচা সর্য পূর্বাকাশে উঁকি দিচ্ছে, জানালার ফাঁক গলিয়ে সরু আলোক রেখা
ঢুকছে রুমে। মা ডাকছে, উঠতে হবে, স্কুলে যেতে হবে, চোখ খুলতে ইচ্ছা করছে
না, তবুও চোখ মেলে তাকাল সজীব। উহ ‘স্কুলের কথা মনে হলেই যেন শরীর অবশ হয়ে
আসে, ঝিঁঝিঁ করে মাথা, ঝিনঝিন অবসন্নতা যেন চেপে ধরে চলনশক্তি। হঠাৎ করেই
শুরু হয়েছে সমস্যাটি-স্কুলের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়েছে, যেন স্কুল থেকে দরে
থাকতে পারলেই রক্ষা, স্কুলে যাওয়ার সময় যতই এগোতে থাকে, বুকের ধরফড়ানিও
বেড়ে যায়, বমি বমি লাগে, মাথা ঘুরায়, পেট ব্যথা কিংবা শরীরে ম্যাজম্যাজ
অনুভূতি জেগে ওঠে। মজার ব্যাপার হলো স্কুল বন্ধের দিন এসব সমস্যা থাকে না।কখনো কখনো স্কুলে যেতে অস্বীকৃতি জানায় সজীব, বেঁকে বসে। কখনো রওনা হয় বাসা থেকে, স্কুলে পৌঁছার আগেই ফিরে আসে, আবার কখনো হয়ত স্কুলে গিয়ে হাজির হয়েছে, কিছুক্ষণ পরই চলে এল বাসায়। জোর করলেই নানা অজুহাত দেখাবে সে-কখনো বাসা থেকে বেরুতেই ভয়ের কথা বলবে, কখনো বলবে পথ চলার ভীতির কথা, অথবা স্কুলের নানা ভয়ের ব্যাখ্যা দাঁড় করাবে সজীব। তাই জোরাজুরি করলেই ক্ষেপে ক্ষেপে উঠবে, হয়ত কান্না শুরু করে দেবে, অথবা শারীরিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, অনড় প্রতিরোধ। নিত্যই ঘটছে এমন, তবে স্কুলে না যাওয়ার কথা গোপন রাখে না সে, মা-বাবাও নিশ্চিত স্কুলে না গেলেও আশপাশে নিরাপদ কোথাও আছে সজীব।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে স্কুলে যাওয়ার অনীহা কোনো মানসিক রোগ নয়, বলা যায় এটি এক ধরনের আচরণ যার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে অনেক কারণ।
বয়সের কয়েকটি স্তরে স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা জাগতে পারে। ৫-৭ বছরঃ স্কুল জীবনের শুরু থেকে। ১১ বা প্রায়ই এগারো বছরঃ যখন একটি শিশু প্রাইমারী থেকে সেকেন্ডারি স্কুলে প্রবেশ করে। টিনএজের শুরু ১৪ বছর থেকে অপেক্ষাকৃত কম বয়সের বাচ্চাদের সাধারণত হঠাৎ করেই শুরু হতে পারে সমস্যাটি। বয়োসন্ধিক্ষণে শুরু হয় ধীরে ধীরে বন্ধুদের সাথে মেলামেশা, খেলাধুলা, হৈ চৈ কমিয়ে দেবে ছেলে বা মেয়েটি। পূর্বে এমনটি ছিল না সে, বরঞ্চ আনন্দপূর্ণ আচরণই ছিল তার চরিত্রের মলধারা।
সাধারণত শিক্ষকের পরিবর্তন, বাড়ি বদল, বন্ধু হারানো কিংবা শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি ঘটনাগুলো সমস্যাটি উসকে দিতে পারে। দীর্ঘদিন ছুটির কারণে স্কুলে যাওয়া হয় না, অথবা শারীরিক অসুস্থতার কারণেও অনেক সময় লম্বা লম্বা সময় অনুপস্থিত থাকতে হয়-এমনকি পরিস্থিতিতে স্কুল যাওয়ার দিনই অনীহা জাগতে পারে, অথবা আগে ছিল এমন সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
দাদা-দাদীর সাথে একটি শিশুর নিবিড় বন্ধন গড়ে ওঠে। অনেক সময় দেখা যায়, এদের কারও অসুস্থতা থাকলে শিশুটি স্কুলে যেতে চাইবে না। এমনও হতে পারে কোনো কোনো মা ইচ্ছাকৃতভাবেই সন্তানটিকে স্কুলে না যাওয়ার ব্যাপারে ইন্ধন দিয়ে থাকেন নিজের অজান্তেই, হয়ত বা অবচেতনভাবেই শিশুটির সান্নিধ্য কামনা করেন ভেতরে ভেতরে, অথবা ভাবেন স্কুলে যাওয়াটি অর্থহীন, কিংবা শিশুটি দরে থাকুক মানতে পারেন না।
অপেক্ষাকৃত কম বয়সের শিশুর স্কুলে না যাওয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকে সেপারেশন অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার। যেমনটি ঘটেছে সজীবের ক্ষেত্রে। মাত্র ৮ বছর বয়স ওর। বাবার সাথে আছে নিবিড় বন্ধন। বাবা সরকারি কর্মকর্তা, বদলি হয়েছেন কক্সবাজার। বাবা চলে যাওয়ার পরই সজীবের ভেতরে স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা শুরু হয়ে গেছে, অথচ এমনটি আগে কখনো ছিল না।
বয়স্ক শিশুদের স্কুলে যেতে না চাওয়ার কারণগুলো হলো- স্কুল ফোবিয়া বা স্কুল ভীতি, যাওয়া-আসার পথের সমস্যা, অন্য দুরন্ত শিশুদের দ্বারা অত্যাচারিত, পীড়িত বা সমালোচিত হওয়া, আশানুরূপ ফলাফলে ব্যর্থতা। টিনএজারদের স্কুলে না যাওয়ার সাথে জড়িত থাকে বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন। স্কুলের প্রতি অনীহার সাথে সাইকোসিস বা বড় ধরনের মানসিক রোগের সংশিস্নষ্টতা তেমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
স্কুল পালানো শিশু আর স্কুলে যেতে চায় না এমন একটি শিশুর মাঝে রয়েছে সুসপষ্ট সীমারেখা। পালানো শিশুর মা-বাবা জানে না যে সন্তান স্কুলে যায়নি; স্কুলে যাওয়ার নাম করে বের হবে সে, এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াবে, সিনেমায় যাবে, বাজে ছেলেদের সাথে আড্ডা দেবে, ছুটির সময় হলে বাসায় ফিরে আসবে অথবা ফিরতে দেরি করবে। এসব শিশুর পরীক্ষার ফলাফল খারাপ তার কন্ডাক্ট ডিসঅর্ডারই অন্তর্নিহিত মল কারণ। পারিবারিক সমস্যা যেমন-মা-বাবার দাম্পত্য কলহ-দুষকর্ম, বড় পরিবার, আর্থিক অনটন, দেখা শোনার নিয়মানুবর্তিতার অভাব স্কুল পালানো মনোভাব গড়ে তুলতে পারে একটি শিশুর ভেতর এর চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্নতর।
পক্ষান্তরে স্কুলে যেতে চায় না এমন শিশুর পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়ে থাকে-সমস্যাটির সাথে জড়িত থাকে পারিবারিক বৈশিষ্ট্য, ইমোশনাল ডিসঅর্ডার।
চিকিৎসা ব্যবস্থা
১. দ্রুত স্কুলে ফেরত পাঠাতে হবে শিশুটিকেঃ হঠাৎ করে শুরু হওয়া সমস্যাটি দীর্ঘায়িত হওয়ার আগেই এই ব্যবস্থা নিতে হবে, পুরো স্কুল পিরিয়ডই শিশুটিকে স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। মা ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে তাকে স্কুলে পাঠাতে পারলে ভালো ফল দেবে, শিশুটির মঙ্গলের জন্যই দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হবে। মা-বাবাকে এক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যাবে না। মা-বাবার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং শিক্ষকের সমর্থন, সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
টিচারের উচিত হবে স্কুলে পড়া ধরা কিংবা বাড়ির কাজ থেকে কিছুদিনের জন্য ছাত্র বা ছাত্রীটিকে রেহাই দেয়া, মমতা দিয়ে ধীরে ধীরে স্কুলের নিয়ম-শৃখলার সাথে তাকে একাত্ম করে নিতে হবে। স্কুলে অন্য ছাত্র-ছাত্রীর দ্বারা নাজেহাল হওয়ার ঘটনা থাকলে, উদঘাটন করতে হবে-ব্যবস্থা নিতে হবে শিক্ষককে। যাওয়া-আসার পথে কোনো সমস্যা আছে কিনা খুঁজে দেখতে হবে।
২. যদি সমস্যাটি ইতিমধ্যেই দীর্ঘায়িত হয়ে যায়, ধীরে ধীরে স্কুলের প্রতি সন্তানকে আগ্রহী করে তুলতে হবেঃ প্রথম প্রথম স্কুল থেকে ঘুরিয়ে আনতে হবে, ক্রমান্ব্বয়ে একটা ঘন্টা... দুই ঘন্টা... তিন ঘন্টা... এভাবে স্কুলে অবস্থানের সময় বাড়াতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষ একই ক্লাসের অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে টিউটোরিয়াল ক্লাসের আয়োজন করে সমস্যায় আক্রান্ত শিশুটির অনীহা কমিয়ে আনা যায়, স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।
স্কুল বদলানোর প্রয়োজন হতে পারে অনেক সময়। এ্যাংজাইটি তীব্রতর হলে হাসপাতালেও ভর্তির প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তবে এমন ব্যবস্থা নেয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে।
৩. পারিবারিক থেরাপিঃ শিশুর প্রতিটি কাজে, গতিবিধিতে মা-বাবার ভূমিকা কমিয়ে আনতে হবে। সন্তানের এই অনীহাকে কোনো অজুহাতেই ছাড় দেয়া যাবে না, সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে স্কুলে ফেরার ব্যাপারে এক্ষেত্রে বাবা-মার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফলাফল
দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে সফলতা আসে
যদি শিশুটির বয়স থাকে কম, সমস্যাটি যদি হঠাৎই শুরু হয়ে থাকে, সমাধানের পদক্ষেপ যদিও নেয়া দ্রুত ফলাফল আশাব্যঞ্জক। স্কুলে ফেরানো গেলেও আবেগীয় ও সম্পর্কজনিত সমস্যা সাধারণত থেকেই যায়, অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক সম্পর্ক সীমাবদ্ধতায় আটকে যায়, এক তৃতীয়াংশ নিউরোটিক ডিসঅর্ডারে ভুগে থাকে। খুবই কম সংখ্যকের মধ্যে বাইরে যাওয়ার ভীতি কিংবা কাজ করার অনীহা জাগতে পারে।
সন্তানের যত্ন নিতে
সন্তানের যত্ন নিতে...
বয়সসীমা ২ থেকে ৮ বছর
- একদম শৈশব থেকেই যেসব সমস্যা শুরু হয় তার মধ্যে অন্যতম বাচ্চা খেতে চায় না।
- বাচ্চাকে তার মতো করে খেতে দিন।
- খাবার টেবিলে বসে খাওয়ান। বাড়ি ঘুরে কিংবা টিভি দেখিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করবেন না।
- ক্ষিদে লাগতে দিন। প্রয়োজনে দিনের এক বেলার খাবার বাদ দিন। ক্ষিদে পেলে এমনি খাবে।
- বাড়ির তৈরি সুস্বাদু খাবার দিন। তবে এক খাবার প্রতিদিন দেবেন না।
- নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ান।
চিপসের মতো স্ল্যাকস যত পারবেন কম খাওয়াবেন। এই বয়সে আরো একটি গুরুতর সমস্যা হলো বাচ্চা কথা শোনে না।
- বাচ্চাকে পরিণত মানুষ হিসেবে দেখুন।
- বাচ্চাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন। ‘ও তো বাচ্চা, কিছু বোঝে না’ এ ধরনের মন্তব্য ওদের সামনে করবেন না।
- নিজেদের আচরণ ঠিক রাখুন। কারণ এই বয়স থেকেই বাচ্চারা অনুকরণ করতে শেখে।
- বাচ্চার সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনুন। তুচ্ছ মনে হলেও শুনুন। কারণ ওখানেই লুকিয়ে বড় বড় সমস্যার বীজ।
- অতিরিক্ত শাসন থেকে কখনো যেন সন্তান কষ্ট না পায় অর্থাৎ যাতে হতাশাগ্রস্ত না হয়।
- অফিস অথবা ব্যবসার টেনশন বাড়িতে আনবেন না।
- এই বয়সে বাচ্চার আঙুল চোষার মতো বিভিন্ন বদ অভ্যাস সৃষ্টি হয়।
- মনে থাকা উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা, নিরাপত্তার অভাবে দুই-আড়াই বছর বয়সে মুদ্রাদোষ তৈরি হয়।
- বাবা-মায়ের একাকিত্বে অনেক বাচ্চা মনে করে তারা আর তাদের ভালোবাসা পাচ্ছে না।
- রাতারাতি মুদ্রাদোষ ছাড়ানো সম্ভব নয়। মুদ্রাদোষ ছাড়ানোর জন্য ছোটখাটো উপহার দিন।
- বিছানা ভেজানোর সমস্যা এড়াতে পেপার টয়লেট ট্রেনিং দিন। সন্ধ্যার পর পানি খাওয়ানোর পরিমাণ কমান। মাঝরাতে একবার উঠিয়ে টয়লেট করান।
- ৫ বছরের পরও বিছানা ভেজালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাচ্চারা যখন প্রথম স্কুলে ভর্তি হয় তখন অস্বস্তিবোধ করে। এটা খুবই স্বাভাবিক।
- নিজে সঙ্গে করে নিয়ে বাইরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
- স্কুলের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
- পরীক্ষাভীতি এড়াতে তাকে বোঝান পরীক্ষাটি তেমন ভয়ের কিছু না।
- ভয় কাটাতে ভয় দেখাবেন না। কাঁটা দিয়ে সব সময় কাঁটা তোলা যায় না।
- যুক্তি দিয়ে ভয় কাটানো যায় না। বাচ্চাদের সাহস দিন।
- যে জিনিসে বাচ্চা ভয় পায় সেটা নিয়ে আলোচনা বা হাসাহাসি করবেন না।
- চাকরিজীবী মায়েরা বাচ্চার আয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অসময়ে বাড়িতে ফিরে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন।
ছোট মেয়ের বাবা যারা তাদের জন্য রয়েছে বোঝার কিছু বিষয়
- পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ছোট মেয়েটির ধারণা শেখা শুরু হয় বাবার মাধ্যমেই।
- মায়ের বিকল্প হতে চাইবেন না। বরং পার্কে গিয়ে মজা করুন। বাচ্চার প্রিয় কার্টুন বা হিরোর মতো মজা করে গান গেয়ে শোনান।
- আগে বন্ধু হবেন পরে অভিভাবক।
- বাচ্চা যদি গান, ছবি আঁকা শেখে তার সাথে আপনিও করুন।
- আপনি বাবা বলে, পুরুষ বলে কোমল মনোভাব থেকে বিরত থাকবেন না। এর ফলে দূরত্ব বাড়বে। স্নেহ মমতা প্রকাশ করুন। মেয়েরা ভালোবাসা ও যত্ন পেতে পছন্দ করে। বন্ধন দৃঢ় হবে।
- বাবা বলে প্রভুত্ব না খাটিয়ে খোলাখুলি কথা বলে সমস্যার সমাধান করুন।
- আপনার যথাযথ সঙ্গ আপনার মেয়ের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে।
- মাঝে মাঝে বাচ্চাদের মধ্যে একটি সমস্যা দেখা দেয়, যা অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার নামে পরিচিত
- স্কুলে সদ্য ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে অন্যমনস্কতা ও দূরন্তপনা লক্ষ করা যায়।
- আড়াই থেকে চার বছর বয়সের মধ্যে এডিএইচএডি হয়।
- উদ্বেগ, অবসাদ থেকেই এই রোগ হয়।
- পুরো প্রশ্ন না শুনেই উত্তর দেয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
- একটি কাজ শেষ না করে আরেকটি কাজ শুরু করা।
- খেলনা, পেনসিল, বই ইত্যাদি কোথায় রেখেছে তা মনে রাখতে না পারা।
- পরিবারে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখুন।
- ধৈর্যহারা হবেন না।
- বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
বয়সসীমা ৮ থেকে ১২ বছর
শিশুদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ খুব প্রখর। এ জায়গায় বিভিন্ন সমস্যা হয়
শিশুদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ খুব প্রখর। এ জায়গায় বিভিন্ন সমস্যা হয়
- অন্যের সামনে বকাবকি করবেন না।
- আপনি ওর সম্মানের ব্যাপারে সচেতন, সেটা ওকে বুঝতে দিন।
- স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে শ্রদ্ধা করুন। তাতে আপনার মিশুও শ্রদ্ধাবোধ শিখবে।
- ছোট ভুল স্বীকার করতে শেখান।
- অন্যের প্রতি দায়িত্ববান হতে শেখান।
- ভালো কাজে বাচ্চাদের উৎসাহ দিন।
- সাফল্য না পেলে হতাশাজনক কথা বলবেন না।
- সিদ্ধান্ত নিতে শেখান। সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করুন। তবে চাপিয়ে দেবেন না।
অনেক শিশুর মধ্যে মারধর বা আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা যায়
- আড্ডার ছলে ক্ষোভ ও অপ্রাপ্তির কথা বোঝার চেষ্টা করুন।
- সন্তানের বন্ধুদের সাথেও বন্ধুর মতো শিশুন।
- সারাক্ষণ ঘাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকবেন না। ওদেরকে ওদের মতো থাকতে দিন।
- জ্ঞান না দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বোঝান।
- আমরা তোমার জন্য এত করছি এ ধরনের কথা বলবেন না।
- টেলিভিশন বা সিনেমার প্রভাব খুব প্রত্যক্ষ। তাই বলে দেখা বন্ধ করে দেবেন না। যুক্তি দিয়ে বোঝান।
অনেক বাচ্চা বাসার কাজের লোকের সাথে দুর্ব্যবহার করে
- এ জন্য অনেক ক্ষেত্রেই পারিবারিক পরিবেশ দায়ী।
- বাড়ির অন্য কেউ যাতে কাজের লোকের সাথে খারাপ ব্যবহার না করে।
- বাচ্চা করে ফেললে কাজের লোকের সামনে বকাবকি না করে পরে তাকে বোঝান।
- কাজের লোককে সম্বোধন করতে শেখান।
- বোঝার চেষ্টা করুন যে কাজের লোক এখানে চাকরি করতে এসেছে।
- কাজের লোক নয় কারো সাথেই খারাপ ব্যবহার করতে হয় না বোঝান।
- বাচ্চাকে নিজের কাজ নিজে করতে শেখান।
অনেক বাচ্চার মধ্যে তোতলামি করার প্রবণতা দেখা যায়
- দুই থেকে দশ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণত এই সমস্যা দেখা যায়।
- আপনজনদের সাথে স্বাভাবিক থাকলেও শিক্ষক, অপরিচিত মানুষ দেখলে তোতলায়।
- অতিরিক্ত আদর ও শাসনও এর কারণ হতে পারে।
- জন্মের পর অপুষ্টি, অসুখ, অন্য সন্তানের প্রতি বেশি আদর ইত্যাদি থেকেও তোতলামি হতে পারে।
বয়সসীমা ১২ থেকে ১৬ বছর
এই বয়সে শিশুদের মধ্যে অনেক সময় সবজান্তা ভাব দেখা যায়।
এই বয়সে শিশুদের মধ্যে অনেক সময় সবজান্তা ভাব দেখা যায়।
- এই বয়সে আমাকে কেউ বোঝে না এমন মনোভাব খুব সহজেই সৃষ্টি হয়।
- আত্মসম্মানে লাগে এমন কথা বলবেন না।
- বাচ্চা বয়সের মতো এ বয়সেও বাবা-মায়ের সাহচর্য প্রয়োজন।
- স্কুল থেকে ফেরার পর মায়েরা সময় দিন।
- বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশতে দেবেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন আপনি দূরে সরে না যান।
- খারাপ আচরণে না বকে বোঝার এবং বোঝানোর চেষ্টা করুন।
আপনি কি ভালো বক্তা হতে চান?
লোকের
সামনে বক্তৃতা দেয়া কি আসলেই ভয়ের? সবার দ্বারা কি তা সম্ভব হয়ে ওঠে না? এ
ক্ষমতা কি জন্মগত? কেউ কি চেষ্টা আর সাধনা করে এ ক্ষমতা অর্জন করে নিতে
পারে? যারা পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে গবেষণা করে থাকেন তাদের একদম
সাদামাটা জবাব-একটু উদ্যোগী হলেই আপনিও ভালো বক্তা হয়ে উঠতে পারেন। অনেক
লোকের সামনে একদম সহজ স্বাভাবিক থেকে সাবলীল বক্তৃতা দেয়ার ক্ষমতা আপনিও
রপ্ত করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
মিজান সাহেব! একটি প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার। বড় মনের একজন লোক। অফিসের পিয়ন হতে শুরু করে একদম বড় সাহ্বে পর্যন্ত সবার সাথে প্রচন্ড খাতির। এ বাড়তি খাতিরের কারণে মিজান সাহেবকে অনেক সময় নানান কিছু খেসারত দিতে হয়। যেমন কেউ ছুটিতে গেলে দায়িত্ব তাকেই নিতে হয়। প্রতিবারেই এমনটি ঘটে। মিজান সাহেব এটিকে তেমন বেশি একটা কষ্টের মনে করেন না। কিন্তু সব দিন তো আর সমান হয় না। সেদিন তিনি দায়িত্বে ছিলেন অফিসের পাবলিক রিলেশন অফিসারের। ছুটির ঠিক ঐদিনই ঢাকায় একটা প্রাইভেট ভার্সিটির এমবিএর ছাত্ররা এসেছে প্রতিষ্ঠানটি সফরে। তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড বোঝাতে হবে। পনেরো জন ছাত্রের সামনে বক্তৃতা দিতে হবে। এমনটি তো তিনি ইতিপূর্বে কখনো করেননি। তার তো বক্তৃতা দানের অতীত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাহলে কি হবে? শরীর খারাপের অজুহাতে তিনি কোনো রকমে সে যাত্রা রেহাই পেলেন। লোকের সামনে বক্তৃতা দেয়া কি আসলেই ভয়ের? সবার দ্বারা কি তা সম্ভব হয়ে ওঠে না? এ ক্ষমতা কি জন্মগত? কেউ কি চেষ্টা আর সাধনা করে এ ক্ষমতা অর্জন করে নিতে পারে? যারা পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে গবেষণা করে থাকেন তাদের একদম সাদামাটা জবাব-একটু উদ্যোগী হলেই আপনিও ভালো বক্তা হয়ে উঠতে পারেন। অনেক লোকের সামনে একদম সহজ স্বাভাবিক থেকে সাবলীল বক্তৃতা দেয়ার ক্ষমতা আপনিও রপ্ত করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিষয়বস্তুমিজান সাহেব! একটি প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার। বড় মনের একজন লোক। অফিসের পিয়ন হতে শুরু করে একদম বড় সাহ্বে পর্যন্ত সবার সাথে প্রচন্ড খাতির। এ বাড়তি খাতিরের কারণে মিজান সাহেবকে অনেক সময় নানান কিছু খেসারত দিতে হয়। যেমন কেউ ছুটিতে গেলে দায়িত্ব তাকেই নিতে হয়। প্রতিবারেই এমনটি ঘটে। মিজান সাহেব এটিকে তেমন বেশি একটা কষ্টের মনে করেন না। কিন্তু সব দিন তো আর সমান হয় না। সেদিন তিনি দায়িত্বে ছিলেন অফিসের পাবলিক রিলেশন অফিসারের। ছুটির ঠিক ঐদিনই ঢাকায় একটা প্রাইভেট ভার্সিটির এমবিএর ছাত্ররা এসেছে প্রতিষ্ঠানটি সফরে। তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড বোঝাতে হবে। পনেরো জন ছাত্রের সামনে বক্তৃতা দিতে হবে। এমনটি তো তিনি ইতিপূর্বে কখনো করেননি। তার তো বক্তৃতা দানের অতীত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাহলে কি হবে? শরীর খারাপের অজুহাতে তিনি কোনো রকমে সে যাত্রা রেহাই পেলেন। লোকের সামনে বক্তৃতা দেয়া কি আসলেই ভয়ের? সবার দ্বারা কি তা সম্ভব হয়ে ওঠে না? এ ক্ষমতা কি জন্মগত? কেউ কি চেষ্টা আর সাধনা করে এ ক্ষমতা অর্জন করে নিতে পারে? যারা পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে গবেষণা করে থাকেন তাদের একদম সাদামাটা জবাব-একটু উদ্যোগী হলেই আপনিও ভালো বক্তা হয়ে উঠতে পারেন। অনেক লোকের সামনে একদম সহজ স্বাভাবিক থেকে সাবলীল বক্তৃতা দেয়ার ক্ষমতা আপনিও রপ্ত করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আপনি যদি শিক্ষানবিশ বক্তা হয়ে থাকেন তাতে সাবলীল বক্তব্যের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হল বক্তব্যের বিষয়বস্তু হতে হবে একদম সহজ সরল। যে কোনো বক্তব্যের মল্য লক্ষ হল শ্রোতাদের তথ্য দেয়া। তাতে বড়জোর দুবা একটা নতুন তথ্য থাকাই যথেষ্ট। ভারি বক্তৃতা কেবলমাত্র শ্রোতাদের মনাকর্ষণ হারায় না, বক্তা এতে সাবলীলতা হারিয়ে ফেলে। বক্তাকে দুটো দিক অবশ্যই জানা থাকা চাই। প্রথমে আপনাকে পরীক্ষা করে নিতে হবে এক বা দুইটি বাক্য দিয়ে, পুরো প্রসঙ্গ উপস্থাপনা করতে পারেন কিনা মানে মন্তব্য প্রসঙ্গটা একদম স্বচ্ছ তথ্যনির্ভর আর লক্ষ্য অভীষ্ট হওয়া চাই। আপনি যা বলতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে যদি আপনার একদম স্বচ্ছ পরিষ্কার ধারণা না থাকে সে ক্ষেত্রে বক্তৃতা দেয়ার চেষ্টাই করা উচিত না। এতে আপনি শ্রোতাদের কাছে হাস্যসপদ পাত্র হয়ে দাঁড়াবেন। সুতরাং বক্তৃতা দেয়ার শুরুতে বিষয়বস্তুত একবার পরখ করে নিন-তা হতে হবে সরল, অনেক বেশি তথ্য সম্ভার করে তা যেনো ভারি হয়ে না যায়, অল্প কথায় বোঝানো যায় আর শ্রোতাদের শোনানোর আগে বক্তা যেনো এ আত্মবিশ্বাস রাখেন যা বলতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে তিনি সম্পর্ণ অবহিত।
সুবিন্যাস্ত পরিকল্পনা
আপনার বক্তব্য নাতিদীর্ঘ বা অনেক বড় যেমনই হোক আপনাকে আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে কোন পয়েন্টের পর কোন প্রসঙ্গ আনবেন। সামনে পুরো লিখিত বক্তব্য রেখে বক্তৃতা দেয়ার চেয়ে মঞ্চে না যাওয়াটাই শ্রেয়। বক্তব্য দেয়াকালে আপনার দৃষ্টি থাকবে দর্শকের দিকে। সাথে ছোট কাগজ বা চিরকুট থাকবে। তাতে শুধুমাত্র পয়েন্টগুলো সাজানো থাকবে। এতে করে বিষয়বস্তু উপস্থাপনার বিন্যাস আর সাবলীলতা অক্ষুণ্ন থাকবে।
পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট সাইকোলজিস্টরা এ শিরোনামে একটা অদ্ভুত উপদেশ দিয়ে থাকেন। তাদের উপদেশ বক্তব্যের একদম শেষ কথা ছোট কাগজের ওপরে লিখে রাখা। এর কারণ বহুবিধ। বক্তব্যের একদম শেষ কথা শ্রোতারা সবচেয়ে বেশি স্মরণে রাখে। এ মন্তব্যেই শ্রোতাদের সর্বাধিক প্রতিক্রিয়ান্ব্বিত করে। কোনোভাবেই তা যেনো বাদ পড়ে না যায় বা তাড়াহুড়োর কারণে খন্ডিত হয়ে না যায়। চিরকুটের একদম মাথায় লিখে রাখার কারণে পয়েন্ট ভিত্তি করে বক্তা যেটাই বলুক কিন্তু্তু বক্তব্য সম্ভাব্যমুখী থাকে, এটি সবসময় স্মরণে থাকে। এটি বক্তার আত্মবিশ্বাস অনেক মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়।
বক্তব্য সংক্ষিপ্ত রাখুন
সাবলীল বক্তৃতা দেয়ার তৃতীয় শর্ত হল তা সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। কারণ শ্রোতারা দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না, এমনকি বক্তৃতার বিষয়বস্তু যতই আকর্ষণীয় হোক না কেনো। কারণ দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতার ক্ষেত্রে শ্রোতাদের মাঝে বিরক্তির প্রকাশ শুরু হয়ে যায়। তা আপনার বক্তব্য দানের আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে আপনার নার্ভাসনেস ভাব আরও প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।
গবেষকদের উপদেশ ভালো বক্তা হতে চাইলে যে কোনো বক্তব্য বারো মিনিটের বেশি দীর্ঘায়িত করা কোনোভাবেই উচিত নয়। সময়, পরিস্থিতি, পরিবেশ ভেদে এতেও বাড়তি কাটছাটের দরকার হতে পারে। সিডিউল বক্তব্য, হলঘরে এয়ারকন্ডিশনার নষ্ট, শ্রোতারা গরমে অস্থির। এ ক্ষেত্রে বক্তব্য যতই ছোট করবেন, ততই লাভ আপনার। দর্শকদের করতালি আপনাকে আশ্বস্ত করে তুলবে, পাশাপাশি মঞ্চে আপনি অনেক বেশি সাবলীল আর স্বাচ্ছন্দ্য থাকতে পারবেন।
কৃত্রিমতা পরিহার করুন
বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সবধরনের কৃত্রিমতা একদম সচেতনভাবে পরিহার করা চাই। তবেই আপনি স্বাচ্ছন্দ্য থাকতে পারবেন। অভিনয় করতে গেলে এ বানানো কৃত্রিমতা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে আপনার কাছে। আপনি হতাশ হবেন, আত্মবিশ্বাস কমে আসবে। যে গল্প আপনি নিজ অন্তর হতে হাসির মনে করেন না, কখনোই আশা করতে যাবেন না শ্রোতাদের কাছে তা হাসির হবে। বক্তব্যে পরিবেশিত তথ্য যদি আপনার কাছে চমকপ্রদ মনে না হয়, দর্শকদের কাছে তা চমকপ্রদ হবে কখনোই এমনটি ভেবে বসবেন না।
লেখক রবার্ট ফ্রস্ট একটা সুন্দর কথা বলেছিলেন ‘যে হৃদয়বিদারক কাহিনী লেখকের চোখের জল ঝরায় না, পাঠকদের বেলাতেও তেমনটি ঘটে’। ঠিক এ প্রসঙ্গ চলে পাবলিক স্পিকিং-এর বেলাতে। বক্তব্যের বিষয়বস্তু যদি আপনাকে সত্যি সত্যিই কান্নাতুর করে, শ্রোতারাও তাতে আপনার অনুভূতি ভাগাভাগি করে নেবেন। আসলে বক্তার মনে বিশেষ অনুভূতি সঞ্চারের দরকার। আপনি বক্তা, সামনে একরাশ শ্রোতা। আপনি মঞ্চে দাঁড়িয়েছেন শ্রোতাদের এমন কোনো অভিজ্ঞতা শোনানোর জন্য, যেটি আপনি জানেন কিন্তু্তু শ্রোতারা অজ্ঞ। এ ক্ষেত্র শ্রোতাদের তথ্য জানালেই চলবে না, আপনার পুরো অনুভূতি ভাগাভাগি করে নেয়া চাই। এ ক্ষেত্রে ‘আমি’ ব্যবহার করুন প্রকাশ করুন এ অভিজ্ঞতার অনুভূতি থ্রিল, ভয়, অনুশোচনা।
সূচনার পূর্ব
বক্তব্যের শেষের মন্ত্রব্যের মত সমভাবেই গুরুত্বপূর্ণ হলো সচনা অংশ। কারণ বক্তার সাথে শ্রোতার যে সম্পর্ক গড়ে উঠবে তা নির্ধারিত হয় এর দ্বারা। তারা আপনার সম্পর্কে একটা ইমপ্রেশন গড়ে নেয়। এটি অনেক মাত্রায় প্রভাবিত করবে বক্তার প্রতি শ্রোতার মিথস্তিক্রয়তার ধরন। এক্ষেত্রে কয়েক দিক নজর রাখতে পারেন।
মঞ্চে উঠে অবশ্যই দর্শকদের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসবেন। মনে রাখবেন হাসিমুখে তাকালে আশপাশের লোকজন এমন অভিব্যক্তিই উপহার দেবে। যদি আপনি মুখ গোমড়া, ভারি করে রাখেন সে ক্ষেত্রে শ্রোতারা আপনার বক্তব্য শুরু হবার আগ হতেই একটা নেতিবাচক ধারণা গড়ে নেবে মনের মাঝে।
উপস্থাপকের পরিচিতিকালে মাথা হেলিয়ে তাকে সম্বোধন করবেন। ধন্যবাদ দিতে যেনো ভুল না হয়। হতে পারে এগুলো একদম মামুলী ব্যাপার কিন্তু শ্রোতারা সচনা পূর্বের এসব সক্ষ্ম দিক গভীরভাবে দেখে থাকেন।
অতঃপর বক্তৃতা দেয়ার পালা। যতই তাড়া থাকুক একটু বিলম্ব দিন। অন্তত ত্রিশ সেকেন্ডের নীরবতা, এর লক্ষ্য একটাই শ্রোতারা যেনো আপনার ওপর পূর্ণ মনোনিবেশ করতে পারে। সামান্যক্ষণ বিরতি দেয়া হলে ক্ষণিককালের জন্য শ্রোতার মনে অনুভূতি খেলে যায়। বক্তা কিছু বলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যা কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের কানে এসে পৌঁছবে। বক্তার মনের কথাও এটিই।
ক্ষণিকের নীরবতাকালীন আপনার অন্য করণীয়তা হল শ্রোতাদের সাথে চোখে চোখ রাখা। এ ক্ষেত্রে সামনের শ্রোতাদের মধ্যে হতে গুটিকতক ঠিক করে নিন-একজন ডান দিকে, একজন বাম দিকে, একজন ঠিক মাঝখানের। এ চোখ মেলানো হবে ক্ষণিকের। অতঃপর আপনার দৃষ্টি হাজার শ্রোতার চোখের মাঝে হারিয়ে যাবে।
বক্তৃতা মানে পাঠ দান নয়
বক্তাকে প্রথমে বক্তা আর সংবাদ পাঠক দুটোর মধ্যেকার ফারাক বুঝতে হবে। লিখিত বক্তব্য পড়া হলে বক্তার সাবলীলতা, অনুভূতি চাপা পড়ে যায়, শ্রোতার সাথে চোখে চোখ মেলানো হয় না বলে বক্তব্য কেমন যেনো নীরস বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। সার্থক বক্তারা কখনোই লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন না। তার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চিরকুট লিখে নেয়াকে শ্রোতারাও কামনা করে। কারণ এতে কোনো প্রসঙ্গ বাদ যাবার ঝুঁকি থাকে না, বক্তব্য অনেক বেশি সুবিন্যাস্ত আর গোছালো হয়ে থাকে।
রিলাক্স থাকা চাই
বক্তৃতা দেয়ার সময় যতই কাছে চলে আসে, নতুন বক্তার মনের শিহরণ, ভয় ক্রমেই বেড়ে যায়। বুক ধড়ফড় করতে থাকে। শরীর, হাত, পা ঘামতে শুরু করে। মনের অজান্তে কোনো সময়ে হাতের নখ আমাদের দাঁতের মাঝে চলে যায়। অনেক লোকের সামনে দাঁড়ানো অনেকটা মানসিক চাপের, বিশেষ করে আপনি যদি এতে অভ্যস্ত না থাকেন। এক্ষেত্রে একদম রিলাক্স থাকার চেষ্টা করবেন। আপনার একদম জোরে জোরে লম্বা দম নেয়ার দরকার নেই। হাল্কা সুস্থমাত্রার দম নিন তবে তা হতে হবে নিয়মিত ছান্দিক। দেখবেন আপনি অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। এটি নিশ্চিত করতে পারলে কে আর আপনাকে ঠেকায়? তবে মনে রাখবেন-লোকের সামনে বক্তৃতা দেয়া, যেটিকে সহজ ইংরেজিতে বলা হয় ‘পাবলিক স্পিকিং’ এটি অবশ্যই একটা স্কিল বা বিশেষ গুণ। কিন্তু মিউজিক্যাল ক্ষমতা বা অঙ্কন উৎকর্ষতার মত এটি কোনো জন্মনির্ভর ট্যালেন্ট নয়। চর্চা আর উদ্যোগ আপনার মাঝেও এ স্কিল গড়ে দিতে পারে। শর্ত একটাই যেখানেই সুযোগ পান দু’চারটি কথা বলতে পিছপা হবেন না। না হোক বিজনেস মিটিং, লাংকস পার্টি বা খেলার মাঠ।
জন মে বলেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাড়া জাগানো সাইকোলজিস্ট হলেন জন মে। তার সারাজীবনের গবেষণার মল বিষয়বস্তু হলো ‘পাবলিক স্পিকিং’। তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে তিনি মলত এটি শিখিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে তার উপদেশ-
শ্রোতার সামনে একদম বন্ধুর ভূমিকা নিন। হাসুন, অনুভূতি, অভিব্যক্তি প্রকাশ করুন। এমনভাবে নিন যেনো সামনের শ্রোতা মহল আপনার অনেক দিনের চেনা।
মঞ্চে দাঁড়ালে কম বেশি নার্ভাসনেস সবারই আসে। আপনার করণীয়তা হলো এ নার্ভাসনেস সামাল দেয়া। লৌহ মানবী পরিচিত ব্রিটেনের প্রাইম মিনিস্টার মার্গারেট থেচার প্রায়ই বলতেন ‘যখন কোনো জায়গাতে আমাকে বক্তৃতা দিতে হবে এমন অবস্থার সমমুখীন হলে আমার মাঝে কমবেশি মাত্রার নার্ভাসনেস দেখা দেয়।
যারা বক্তৃতা দিতে গিয়ে খুব বেশি নার্ভাস হয়ে যান তাদের প্রতিকার হতে পারে-আপনি ধরে নিন আপনি নন অন্য কেউ বক্তৃতা দিচ্ছে। মনে মনে ভাবতে পানের-এমনি একজন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে যাকে আপনি তার বক্তৃতার জন্য প্রশংসা করে থাকেন।
শ্রোতাদের ওপর আপনার কর্তৃত্ব বজায় রাখা চাই। শুরুতে ক্ষণিক বিরতি দিয়ে বক্তব্য শুরু করুন যেনো শ্রোতারা আপনার ওপর মনোনিবেশ করতে পারে, মাঝে মাঝে শ্রোতাদের মধ্যকার কয়েকজনের সাথে একদম সোজাসুজি চোখে চোখ মেলান। আপনাকে বুঝিয়ে দিতে হবে আপনি বক্তব্য নিয়ে এসেছেন শ্রোতাদের জন্য যাদের কাজ হলো তা মন দিয়ে শোনা।
আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ চাই। মঞ্চে আপনার দাঁড়ানোর ভঙ্গিমাতে যেনো এর প্রকাশ ঘটে। যখন শ্রোতা পুরোমাত্রায় দেখা যায় সে ক্ষেত্রে শ্রোতাদের অংশগ্রহণেও বাড়তি সক্রিয়তা চাই। এর সুযোগ নিতে আপনি উঁচু ডেস্কের পেছনে না থেকে স্পিকার হাতে একদম খালি মঞ্চে চলে আসুন।
বক্তৃতায় কোন প্রসঙ্গের পর কোন প্রসঙ্গ আনবেন সে ব্যাপারে আগাম পরিকল্পনা নিন। ভালো হয় যদি পয়েন্টগুলো একটা ছোট কাগজে লিখে নেন।
বক্তৃতার বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত, সরল ও বোধগম্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।
আপনার বক্তৃতার মাঝে স্বতঃস্ফূর্ততার প্রকাশ থাকা চাই। এতে অনুভূতির প্রকাশ প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে ও বক্তৃতা হয়ে ওঠে প্রাণময়।
গলার স্বরের দিকেও লক্ষ্য রাখা চাই। মাঝারি মাত্রাই সর্বোত্তম। তবে ঠোঁট, জিহ্বা, দাঁত আর গলবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার চাই যেনো বাচনভঙ্গি প্রাণজয়তা পায়।
যতক্ষণ বক্তব্য রাখবেন ততক্ষণই দর্শকের দিকে দৃষ্টি দেবেন। কেউ যেনো দৃষ্টির বাইরে না যায়, এমনকি মঞ্চের বিপরীতে কেউ থাকলেও অন্তত একবারের জন্য হলেও তার দিকে তাকাবেন।
সময়ের দিক ভুলে গেলে চলবে না। বিজনেস কনফারেন্সে বড়জোর সর্বোচ্চ এক ঘন্টাকাল বক্তৃতা রাখা যায়। সামাজিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা যেনো কোনোভাবেই দশ মিনিটের বেশি দীর্ঘায়িত করা না হয়।
সব কথার শেষ কথা এর চর্চা আর অনুশীলন। এর কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং আর বিলম্ব কেনো?
Wednesday, August 29, 2012
পড়া মনে রাখার এক ডজন টিপস
ছাত্র-ছাত্রীদের
একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সব সময় অভিযোগ করে যে, তাদের পড়া মনে রাখতে কষ্ট
হয়। অনেক পড়াশোনা করার পরেও পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হয়। অনেক প্রশ্নের
উত্তর জানা সত্ত্বেও স্মরণশক্তি দুর্বলতার জন্য সেসব প্রশ্নের উত্তর
সুন্দরভাবে দেয়া হয় না। মানুষের মস্তিষেকর দুই ভাগ। এক ভাগ সেন্ট্রাল
নার্ভাস সিস্টেম, অপরভাগ পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম। সেন্টাল নার্ভাস
সিস্টেমের আবার অনেকগুলো ভাগ রয়েছে, এর সাথে রয়েছে নানা রকম কাজ। তার একটি
মেমোরি বা স্মরণশক্তি। পৃথিবীতে বেশি আইকিউ নিয়ে জন্মগ্রহণ কেউ করে না,
তাদের ব্যবহারিক আচরণের ওপর নির্ভর করে বুদ্ধিমত্তা বা আইকিউ। যত চর্চা করা
যাবে তত আইকিউ বেড়ে যাবে। তবে সাধারণ আইকিউ ৯০ থেকে ১১০। ৯০-এর নিচে যাদের
আইকিউ থাকে তারা সাধারণ অর্থে চলনসই বুদ্ধিমান। বেশির ভাগ লোকজনের আইকিউ
৯০-১১০। আবার কারো কারো আইকিউ ১১০-এর ওপরে। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির
আইকিউ ১১০-এর উপরে ছিল।
বেশি
আইকিউ থাকা আমরা আবার ঠাট্টা করে পাগল বলে থাকি। আমরা আমাদের মস্তিষেকর
ন্যূনতম ১০ ভাগ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। এটা এই নয় যে, ইচ্ছা করলে ১২ ভাগ
ব্যবহার করতে পারব, নির্ভর করে সম্পূর্ণ নানা রকম চর্চার ওপরে। একেক পেশায়
এই চর্চা একেক রকম। কেউ ডাক্তারি পেশায় আইকিউ ভালো থাকে, ব্যবহারিক চর্চার
জন্য সে বিখ্যাত ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞ হয়, কেউ বিজ্ঞান পেশায় ভালো থাকে
ব্যবহারিক চর্চার জন্য সে হয় ভালো বিজ্ঞানী। তেমনি চর্চার ফলেই একজন ছাত্র
সাধারণ মান থেকে মেধাবী ছাত্রে উন্নীত হতে পারে। আমাদের দেশে মাত্র কিছুদিন
হলো সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু হয়েছে। পূর্বে এটি গতানুগতিক ধরনের ছিল।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে ছাত্র-ছাত্রীর একটি বিষয় সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা থাকা
দরকার এবং এর ফলেই সৃজনশীলতা প্রকাশ পায় এবং ছাত্র-ছাত্রীকে আমরা মেধাবী
বলি। মুখস্থগত বিদ্যা আজকালকের দিনে মেধাবী চর্চায় কম গুরুত্বপূর্ণ।পড়াশোনা ছাড়াও নানা রকম জিনিস আমাদের মনে রাখতে হয় আমাদের জীবনযাত্রায়। এবার কিছু মনে রাখার কৌশল জানানো হলো-
১. আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত। মনকে বোঝাতে হবে পড়াশোনা অনেক সহজ বিষয়-আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে। তাহলে অনেক কঠিন পড়াটাও সহজ মনে হবে। আত্মবিশ্বাসের মাত্রা আবার কোনো রকমেই বেশি হওয়া চলবে না। অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবের সাথে নিজেকে তুলনা করে চলনসই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কোনো বিষয় পড়তে যাওয়া ভালো। একবার পড়েই মনে রাখা কঠিন। তাই বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পড়ে এর সম্বন্ধে একটি ধারণা লাভ করার পরেই মনে রাখা সহজ হয়। আবার কোনো বিষয়ে ভয় ঢুকে গেলে সেটা মনে রাখা বেশ কঠিন। ছাত্র-ছাত্রীরা সাধারণত অঙ্ক ও ইংরেজিকে বেশি কঠিন মনে করে। তাদের উচিত হবে বইয়ের প্রথম থেকে পড়া বুঝে বুঝে পড়া এবং পড়ার পাশাপাশি লেখার অভ্যাস করা। লেখাপড়া মনে রাখার একটি বড় পদক্ষেপ। এই জন্যই বলা হয় লেখাপড়া। আর পড়ালেখা করার উত্তম সময় একেকজনের জন্য একেক রকম। যারা সাধারণত হোস্টেলে থাকে তাদের ক্ষেত্রে রাত জেগে পড়াটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। অনেকের কাছে আবার বিকেলে বা সন্ধ্যার পরে, কেউ কেউ আবার সকালে পড়তে ভালোবাসেন। তবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হচ্ছে যেহেতু ঘুমের পরে মন ও মনন পরিষকার থাকে সেহেতু ভোর হচ্ছে পড়াশোনার জন্য ভালো সময়।
২. কনসেপ্ট ট্রি বা ধারণার গাছ
পড়া মনে রাখার এটি একটি কৌশল। কোনো বিষয়ে পড়া মনে রাখার জন্য সম্পূর্ণ পড়াটি পড়ে নেয়ার পর সাতটি ভাগে ভাগ করতে হয়। এবং প্রতিটি ভাগের জন্য এক লাইন করে সারমর্ম লিখতে হয়। ফলে পড়ার বিষয়টি সাতটি লাইনে সীমাবদ্ধ থাকে। এর প্রতিটি লাইন একটি পাতায় লিখে অধ্যায় অনুযায়ী একটি গাছ তৈরি করে গাছের নিচ থেকে ধারাবাহিকভাবে পাতার মতো করে সাজাতে হবে। যাতে এক দৃষ্টিতেই পড়ার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মনে পড়ে যায়। এই পাতাগুলোতে চোখ বোলালে লেখাটি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে। বাংলা, ভূগোল ও সমাজশাস্ত্রের জন্য এই কৌশলটি অধিক কার্যকর।
৩. কি ওয়ার্ড মূল শব্দ
যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলো ছন্দের আকারে খুব সহজে মনে রাখা যায়। যেমন-রঙধনুর সাত রঙ মনে রাখার সহজ কৌশল হলো ‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি মনে রাখা। প্রতিটি রঙের প্রথম অক্ষর রয়েছে শব্দটিতে। এমনিভাবে ত্রিকোণমিতির সূত্র মনে রাখতে ‘সাগরে লবণ আছে, কবরে ভূত আছে, ট্যারা লম্বা ভূত’ ছড়াটি মনে রাখা যেতে পারে। এর অর্থ দাঁড়ায়, সাইন=লম্ব/অতিভুজ (সাগরে লবণ আছে), কস=ভূমি/অতিভুজ (কবরে ভূত আছে), ট্যান=লম্ব/ভূমি (ট্যারা লম্বা ভূত)। মেডিকেলে আমরা ভেগাসনার্ভের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা মনে রাখতে একটি পদ্য লাইনের সাহায্য নিতাম। তা হলো ঃ ‘মেরিনা আমার প্রাণের বেদনা শুনিয়া রাগিয়া কাঁদিয়া কাঁটিয়া ওযে পালায়ে চলে গেল হায়’। এতে ভেগাসনার্ভের সবগুলো শাখাকে মনে রাখা যায়। যেমন ঃ মেরিনাতে- মেনিনজিয়াল, আমার-অরিকুলার, প্রাণের- ফেরিনজিয়াল এভাবে সবগুলোর শাখা আমরা ছড়ার মাধ্যমে মনে রাখতে পারি। মেধাবী ছাত্ররা নিজেই নিজের মতো করে নানা রকম ছড়া তৈরি করে নেবে।
৪. কালরেখা বা ইতিহাস মনে রাখার কৌশল
ইতিহাস মনে রাখায় এ কৌশলটি কাজে দেবে। বইয়ের সব অধ্যায় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নিয়ে গত ৪০০ বছরের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা বানাতে হবে। সেখান থেকে কে, কখন, কেন উল্লেখযোগ্য ছিলেন, সেটা সাল অনুযায়ী খাতায় লিখতে হবে। প্রতিদিন একবার করে খাতায় চোখ বোলালে খুব সহজে পুরো বই সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হবে। ফলে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন কষ্টকর মনে রাখার বিষয় হলো বিভিন্ন সাল। এগুলোকে কালো রেখার মাধ্যমে চর্চা করে মনে রাখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। এখানে কনসেপ্ট ট্রি বা ধারণা গাছ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা সত্যি যে আলাদা আলাদাভাবে ইতিহাস মনে রাখাটা কষ্টকর বটে!
৫. উচ্চস্বরে পড়া
পড়া মুখস্থ করার সময় উচ্চস্বরে পড়তে হবে। এই পদ্ধতিতে কথাগুলো কানে প্রতিফলিত হওয়ার কারণে সহজে আয়ত্ত করা যায়। শব্দহীনভাবে পড়ালেখা করলে একসময় পড়ার গতি কমে গিয়ে শেখার আগ্রহ হারিয়ে যায়। আর আগ্রহ না থাকলে পড়া শেখার কিছুক্ষণ পরই তা মস্তিষক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। শেখা হয়ে যাওয়ার পর বারবার সেটার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এটাও পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে। যেমন করে বাচ্চা বাচ্চা ছেলে পুরো কোরআন শরিফ মুখস্থ করে বা হাফেজ হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই ধারণার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হয় পড়ার বস্তুতে লাইন দিয়ে ধরে ধরে পড়ে শব্দ না করে পড়া ভালো। অথবা মুখে ফিসফিস করে শব্দ করা যায় বা শব্দের মতো করে ঠোঁট উচ্চারণ করা যায়। তবে শব্দ করে পড়ার পদ্ধতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা দ্রুত কাহিল হয়ে যায়।
৬. নিজের পড়া নিজের মতো করে
সাধারণত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রযোজ্য। তারা নিজের মতো করে একটি বিষয় বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে একটি নোটের মতো করে। এবং ওই নোটই তারা পরবর্তীতে পাঠ্যবই হিসেবে ব্যবহার করে। এতে করে সুবিধা হচ্ছে নোট করার সময় ছাত্র বা ছাত্রীকে ওই বিষয়টি বিভিন্ন পুস্তক থেকে একাধিকবার পড়তে হয়। ফলে বিষয়টি সম্পর্কে একটি ধারণা পরিষকার হয়। এবং এই পরিষকার ধারণার ওপরে সৃজনশীল পদ্ধতি ব্যবহার করে একজন ছাত্র অনেক বেশি পড়া মনে রাখতে পারবে এবং অনেক বেশি মেধাবী বলে প্রমাণিত হবে। মেডিকেল শিক্ষায় আমরা অনেক সময় বিভিন্ন বই থেকে নোট টুকে নিতাম এবং পরবর্তীতে মূল পাঠ্যবইয়ের সাথে রেখে প্রশ্নের উত্তর পড়তাম। এতে করে মনে রাখা আমাদের সময় অনেক সহজ ছিল। বিভিন্ন বই থেকে সাহায্য নেয়ার পাশাপাশি আমাদের অধ্যাপক মহোদয়দের বিভিন্ন লেকচার ক্লাস সুচারুরূপে নোট করে নিজস্ব নোটের পাশে রাখতাম। নিজের তৈরি করা লেখা নিজের পড়তে অনেক সহজ মনে হতো। তবে এতে ছাত্রকে প্রতিটি ক্লাস করতে হবে, প্রতিটি অধ্যাপকের লেকচারগুলো শুনতে হবে, নোট করতে হবে এবং প্রতিদিন পড়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। ইদানীং দেখা যায় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি লেভেলে কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী পড়ার আগে নীলক্ষেত মার্কেট থেকে নোট ফটোকপি করে নেয়। তাতে তারা পাস করতে পারে কিন্তু মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রমাণিত হয় না।
৭. নতুন-পুরনোর সংমিশ্রণ ও নিজের নোটের পাশাপাশি অন্য কিছু গ্রহণ করা
নতুন কিছু পড়া শেখার সময় নিজস্ব নোটের পাশাপাশি নতুন ধারণাটিকে কোথাও নোট করতে হবে বা সযত্নে লালন করতে হবে। নতুন কিছু শেখার সময় একই রকম আরো বিষয় মিলিয়ে নিতে হবে। কারণ একেবারে নতুন কোনো তথ্য ধারণ করতে মস্তিষেকর বেগ পেতে হয়। কিন্তু পুরনো তথ্যের সঙ্গে নতুন তথ্য সংযোজন করতে পারে খুব সহজে। উদাহরণস্বরূপ ‘সিডি’ শব্দটি শেখার ক্ষেত্রে পুরনো দিনের কলের গানের কথা মনে রাখলে শব্দটা সহজেই মনে থাকবে। শুধু মনে রাখতে হবে, শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা কী। ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রির নতুন কোনো সূত্র শেখার সময় মনে করে দেখতে হবে এ ধরনের সূত্র আগে পড়া কোনো সূত্রের সঙ্গে মেলে কি না।
৮. কেনর উত্তর খোঁজা
এটি একটি ভালো অভ্যাস। প্রতিটি অধ্যায়ের মধ্যে কী, কেন, কবে, কোথায়, কীভাবে এই জিনিসগুলো নিজে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হবে। অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন সংযোগে পানি হয় এই ফর্মুলাটিকেই কী, কেন, কীভাবে এরূপে মেধাবী ছাত্ররা মনে রাখার সহজ ফর্মুলা হিসেবে নিতে পারে। নিজের মনকে সব সময় নতুন কিছু জানার মধ্যে রাখুন। নতুন কিছু জানার চেষ্টা করুন এবং নিজস্ব নোটের পাশাপাশি এর বিভিন্ন উত্তর নোট করে নিন। এ নিয়মটা প্রধানত বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য প্রযোজ্য। তাদের মনে সব সময় নতুন বিষয় জানার আগ্রহ প্রবল হতে হবে। অনুসন্ধানী মন নিয়ে কোনো কিছু শিখতে চাইলে সেটা মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর কোনো অধ্যায় পড়ার পর সেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাস করতে হবে। তবেই বিজ্ঞানের সূত্র ও সমাধানগুলো সহজে আয়ত্ত করা যাবে।
৯. কল্পনায় ছবি আঁকা বা কাল্পনিকভাবে
গল্পের বিষয়ের সাথে মূল ধারণাটি নিয়ে একটি কাল্পনিক ছবি বেশকিছু বার পড়লে অনুমান করা যায়। এই ছবিটির আকার, কৃতিত্ব একেক ছাত্রের জন্য একেক রকম। বিষয়টিকে কল্পনার ছবি আকারে যত বেশি বিস্তারিতভাবে আনা যাবে, বিষয়টির খুঁটিনাটি তত বেশি করে প্রকাশ হবে এবং ছাত্র তত বেশি নম্বর পাবে। এটি বিভিন্ন রচনামূলক বিষয়ে ব্যবহার করা যায়। বিষয়সদৃশ একটি ছবি আঁকতে হবে মনে। গল্পের প্রতিটি চরিত্রকে আশপাশের মানুষ বা বস্তুর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই বিষয়টি নিয়ে পড়তে বসলে মানুষ কিংবা বস্তুটি কল্পনায় চলে আসবে। এ পদ্ধতিতে কোনো কিছু শিখলে সেটা ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। আর মস্তিষককে যত বেশি ব্যবহার করা যায় তত ধারালো হয় ও পড়া বেশি মনে থাকে।
১০. পড়ার সঙ্গে লেখা
কোনো বিষয় পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে সেটি খাতায় লিখতে হবে। একবার পড়ে কয়েকবার লিখলে সেটা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। পড়া ও লেখা একসঙ্গে হলে সেটা মুখস্থ হবে তাড়াতাড়ি। পরবর্তী সময়ে সেই প্রশ্নটির উত্তর লিখতে গেলে অনায়াসে মনে আসে। এ পদ্ধতির আরেকটি সুবিধা হচ্ছে হাতের লেখা দ্রুত করতে সাহায্য করে। পড়া মনে রাখতে হলে শেখার সঙ্গে সঙ্গে বেশি বেশি লেখার অভ্যাস করতে হবে। সাধারণত কোনো বিষয়ে পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার লিখতে হয়। আবার ২৪ ঘণ্টা পরে ওই বিষয়টি আবারও পড়তে হয় এবং পরে লিখতে হয়। কিছুদিন পরপর বিষয়টি পড়া বা লেখার ওপরেই নির্ভর করে কতটুকু মনে রাখার সামর্থ্য রয়েছে। তবে লেখার চেষ্টা করা প্রতিটি পড়ার সাথে সাথে অত্যন্ত উপকারী পদক্ষেপ।
১১. অর্থ জেনে পড়া
ইংরেজি পড়ার আগে শব্দের অর্থটি অবশ্যই জেনে নিতে হবে। ইংরেজি ভাষা শেখার প্রধান শর্ত হলো শব্দের অর্থ জেনে তা বাক্যে প্রয়োগ করা। বুঝে না পড়লে পুরোটাই বিফলে যাবে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে ইংরেজি বানিয়ে লেখার চর্চা করা সব থেকে জরুরি। কারণ পাঠ্যবইয়ের যেকোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। ইংরেজি শব্দের অর্থভাণ্ডার সমৃদ্ধ হলে কোনো পড়া ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। শুধু ইংরেজি নয় বাংলা কিংবা অন্য ভাষাতেও অর্থ বুঝে না পড়লে পড়া মনে থাকে না এবং সৃজনশীল হওয়া যায় না। পড়া মনে রাখার জন্য পাঠ্যপুস্তকের অক্ষরগুলোর মানে জানা ছাড়াও মেধাবী ছাত্র সব সময় প্রতিদিন ৫টি করে নতুন শব্দ মনে রাখার চেষ্টা করবে মানে সহকারে। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের শব্দভাণ্ডার বিশাল হবে, সৃজনশীলতা প্রকাশে অনেক সাহায্যকারী হবে। দেখা যায়, মেধাবী ছাত্ররা একটি ভাবকে নানা রকম শব্দে প্রকাশ করতে পারে।
১২. গল্পের ছলে পড়া বা ডিসকাশন
যেকোনো বিষয় ক্লাসে পড়ার পর সেটা আড্ডার সময় বন্ধুদের সঙ্গে গল্পের মতো করে উপস্থাপন করতে হবে। সেখানে প্রত্যেকে প্রত্যেকের মনের ভাবগুলো প্রকাশ করতে পারবে। সবার কথাগুলো একত্র করলে অধ্যায়টি সম্পর্কে ধারণাটা স্বচ্ছ হয়ে যায়। কোনো অধ্যায় খণ্ড খণ্ড করে না শিখে আগে পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিতে হবে। পরে শেখার সময় আলাদাভাবে মাথায় নিতে হবে। তাহলে যেকোনো বিষয় একটা গল্পের মতো মনে হবে। এখানে উচ্চতর বিদ্যায় গ্রুপ ডিসকাশন একটি অন্যতম ব্যাপার। বিভিন্ন ভার্সিটিতে টিউটোরিয়াল ক্লাস এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মেডিকেলে পড়ার সময় আমরা এক বা একাধিক বন্ধুর সাথে গ্রুপ ডিসকাশন করে পড়তাম। আমি যা জানতাম তা বলতাম এবং অন্যরা যা জানত তা শুনতাম। একে অপরের মধ্যে কে কাকে পড়ার মাধ্যমে আটকাতে পারে এটি একটি প্রতিযোগিতা ছিল। তবে প্রতিযোগিতাটি অবশ্য মানসমমত ও স্বাস্থ্যকর হতে হবে। এর সবচেয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল যে ছেলে এবং মেয়ে একসাথে গ্রুপে পড়লে পরে তাদের মধ্যে বিশিষ্ট সম্পর্কের জন্ম নিত।
১৩. মুখস্থবিদ্যাকে ‘না’
মুখস্থবিদ্যা চিন্তাশক্তিকে অকেজো করে দেয়, পড়াশোনার আনন্দও মাটি করে দেয়। কোনো কিছু না বুঝে মুখস্থ করলে সেটা বেশিদিন স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় না। কিন্তু তার মানে এই নয়, সচেতনভাবে কোনো কিছু মুখস্থ করা যাবে না। টুকরো তথ্য যেমন-সাল, তারিখ, বইয়ের নাম, ব্যক্তির নাম ইত্যাদি মনে রাখতে হবে-কী মনে রাখছেন, এর সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের কী সম্পর্ক তা খুঁজে বের করতে হবে। এ ছাড়া বিজ্ঞানের কোনো সূত্র কিংবা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আয়ত্ত করতে সেটা আগে বুঝে তারপর মুখস্থ করতে হবে। মুখস্থবিদ্যা একেবারেই যে ফেলনা তা নয়। এটি অনেক কার্যকরও বটে। তবে সৃজনশীলতার যুগে মুখস্থবিদ্যার চেয়ে কাল্পনিকভাবে লেখা, নিজের মতো করে লেখা অত্যন্ত মেধাবী কাজ। তবে কিছু কিছু বিষয় মুখস্থ অবশ্যই রাখতে হয়। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুখস্থকে ‘না’ বলুন এবং সৃজনশীল পদ্ধতি গ্রহণ করুন।
ছাত্র-ছাত্রীগণ যেকোনো বিষয়ে বলা যত সহজ ব্যবহারিকভাবে প্রয়োগ করা ততটা সহজ নয়। এখানে যেসব পদ্ধতির কথা বলা হলো সবগুলোই যে তোমরা নিজেদের মতো করে প্রয়োগ করতে পারবে তা নয়। আস্তে আস্তে চেষ্টা করলে বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে লেখাপড়া মনে রাখা যায়। মনে রাখতে হবে জিনিসটা বুঝে পড়া আর মুখস্থ পড়ার মধ্যে অবশ্যই তফাৎ রয়েছে। যারা বুঝে পড়ে তারা মুখস্থ পড়ার ছাত্রের চেয়ে বেশি মনে রাখতে পারে এবং মেধাবী হয়।
Subscribe to:
Posts (Atom)