Tuesday, June 26, 2012

সুখী থাকতে মোবাইল বন্ধ রাখুন


mobil.jpg 












হ্যালো-টুডে ডটকম : এ যেন মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে এক ধরনের উলট-পুরাণ।
সপ্তাহে অন্তত একটি সন্ধে যদি নিত্যসঙ্গী মোবাইল ফোনটা বন্ধ রাখা যায়, তা হলে নাকি কর্মজীবনে উন্নতির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এবং শুধু তা-ই নয়, এতে নাকি লুকিয়ে রয়েছে ‘সুখী’ জীবনের চাবিকাঠি। অন্তত এই রকমই দাবি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক দল গবেষকের। কিন্তু তা কী করে সম্ভব?
সম্ভব। অন্তত একটি ব্রিটিশ দৈনিকে প্রকাশিত ওই সমীক্ষার রিপোর্টে সে রকম ছবিই উঠে এসেছে। তিন বছর ধরে চলা ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন বস্টনের একটি বেসরকারি সংস্থার প্রায় ১৪০০ কর্মী। তাঁদেরকে সপ্তাহে একটি দিন সন্ধে ছ’টার পর সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন গবেষকেরা। এমনকী সেই সময় কাজের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগই যাতে না থাকে, তার জন্য তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।
তাতে দেখা যায়, যে সব কর্মী সপ্তাহে একটি সন্ধে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিলেন, তাঁরা নিজেদের কাজ নিয়ে অনেক বেশি সন্তুষ্ট। শুধু তা-ই নয়, এই নতুন নিয়মে তাঁরা আগের তুলনায় অনেক ভাল কাজও করতে পারছেন বলে মত ওই কর্মীদের। কিন্তু এতে কর্মজীবনে উন্নতি না হয় হল, তাতে আখেরে লাভটা কী?
লাভ রয়েছে। ওই গবেষকদলের মূল কাণ্ডারী, অধ্যাপক লেসলি হারলো জানালেন, এই কর্মীরা সমীক্ষা চলাকালীন পরিবারের সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটিয়েছেন। এমনকী, সেই সময়, তাঁদের সামাজিক মেলামেশা এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাও বেড়ে যায়। এবং অধ্যাপক হারলোর মতে, এ সবই সম্ভব হয়েছে মোবাইল ফোনের সঙ্গে অন্তত একটি সন্ধে সমস্ত ‘সখ্যতা’ ত্যাগ করার দৌলতে।
তিনি আরও জানান, অফিসের ধরাবাঁধা সময়টুকু ছাড়াও কাজের জগতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে মোবাইল ফোনের জুড়ি মেলা ভার। এমনকী, রাতে ঘুমোনোর সময়ও মোবাইল কাছছাড়া করেন না অনেকেই।
কিন্তু, তাতে কাজের দুনিয়া ছাড়া বাকি সব কিছু থেকেই ধীরে ধীরে দূরে চলে যান তাঁরা।
তাই সপ্তাহে একটি সন্ধে মোবাইল ব্যবহার না করলে কর্ম-জীবনের ‘চক্রব্যূহ’ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাতে আখেরে উপকৃত হবে মানুষের পারিবারিক এবং পেশাদার দুই জীবনই।
তবে কি ‘একটি দিন, মোবাইলবিহীন’,এই মন্ত্রেই লুকিয়ে রয়েছে সুখী জীবনের চাবিকাঠি?

গোসল করতে আর পানি লাগবে না!

shower.jpg










গোসল করত আর পানি লাগবে না। ‘যেমন বেণী তেমনি রবে বেণী ভিজাব না’ গানটি সম্ভবত এবার আক্ষারিক অর্থেই সত্যি হতে চলল। এক আলসে বন্ধুর অনুপ্রেরণায় দক্ষিণ আফ্রিকার এক ছাত্র পানিবিহীন গোসল পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এই উদ্ভাবনের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও লাভ করেছেন ইতিমধ্যে।
রয়টার্স জানায়, কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছর বয়স্ক ছাত্র লদুইক মারিশান উদ্ভাবিত এই ড্রাই বাথ বা শুষ্ক গোসল পদ্ধতিতে এক ফোঁটাও পানির দরকার হয় না। সামান্য একটু জেল হাতের তালুতে নিয়ে সারা শরীরে মেখে নিলে সাবান দিয়ে গোসলের পুরো কাজটাই সম্পন্ন হবে। শরীরের দুর্গন্ধ, ময়লা, জীবাণু-সবই দূর হবে একই সাথে আদ্রর্তাও যোগ হবে ত্বকে। অভিনব এই উদ্ভাবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র ২০১১ সালের গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্টাপ্রেনার পুরস্কার লাভ করেছেন। যে সব দেশে পানি সংকট তীব্র, বিশেষ করে আফ্রিকার মত দেশগুলোতে তার এই পানিবিহীন গোসল পদ্ধতি খুব কাজে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
লদুইকের এই উদ্ভাবনের মূলে রয়েছে তার এক অলস বন্ধু, যিনি গোসল করতে চাইতেন না একেবারেই। একদিন তিনি কথায় কথায় তার বন্ধু লদুইককে বলেছিলেন, ‘বিজ্ঞানীরা এত কিছু উদ্ভাবন করে কিন্তু কেন যে পানিবিহীন গোসল পদ্ধতি উদ্ভাবন করে না! আমার মত যারা গরিব, পানি গরম করার মত পয়সা নেই যাদের, প্রচণ্ড ঠান্ডায় তারা কিভাবে গোসল করবে-সে কথা কেউ ভেবে দেখে না!’ দরিদ্র বন্ধুর এই কথা শুনে ইন্টারনেটে গুগল ও উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন লদুইক। মাস কয়েক তথ সংগ্রহের পর পানিবিহীন গোসলের এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন তিনি।

চা পানকারীদের জন্য খারাপ খবর !


casa.jpg চায়ের অনেক গুনাগুনের কথা জানি আমরা, চা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গবেষকগণ সর্বদা চা পানের সুফল বর্ণনা করলেও অতিরিক্ত চা পানকারীদের জন্য খারাপ খবর নিয়ে এসেছেন । তারা বলছেন, অতিরিক্ত চা পান পুরুষদের মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিশ্ব-বিদ্যালয়ের একদল গবেষক গবেষণাটি চালান। তারা ছয় হাজার ১৬ জন পুরুষ স্বেচ্ছাসেবীর স্বাস্থ্যের ওপর ৩৭ বছর ধরে নজর রাখে। যেসব পুরুষ দিনে… সাত কাপ বা তার চেয়েও বেশি চা পান করেছেন, তাঁদের মূত্রথলির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অল্প মাত্রায় চা পানকারী পুরুষের তুলনায় শতকরা ৫০ ভাগ বেশি।১৯৭০ সাল থেকে ২১-৭৫ বছর বয়স্ক ওই স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন গবেষকেরা। স্বেচ্ছাসেবীরা স্বাভাবিকভাবে দিনে কয় কাপ চা বা কফি পান করেন, মদ বা ধূমপানের অভ্যাস আছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকেরা। দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশই অতিমাত্রায় চা পান করেন। এঁদের মধ্যে ৬ দশমিক ৪ ভাগ মূত্রথলির ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন।

Monday, June 25, 2012

হাসি! কেন হাসি?

  • undefined

    • undefined
    সেই কবে সুকুমার রায় লিখে গেছেন, ‘হাসছি মোরা হাসছি দেখ, হাসছি মোরা আহ্লাদী/ তিনজনেতে জটলা করে ফোকলা হাসির পাল্লা দি/ হাসতে হাসতে আসছে দাদা আসছি আমি আসছে ভাই/ হাসছি কেন কেউ জানে না, পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই।’ একেবারে মোক্ষম উত্তর। হাসি পাচ্ছে তাই হাসছি।
    কিন্তু সত্যিই তো! আমরা কেন হাসি? এর কারণটাই বা কী? খুব সহজ একটা প্রশ্ন। কিন্তু এর উত্তর? অবিশ্বাস্য ধরনের জটিল আর এর তত্ত্ব-তালাশ করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক। আশ্চর্যজনকভাবে জটিল এর উত্তর। হাসির অর্থ বুঝতে পারা মানেই যে মানুষের অন্তর্নিহিত প্রকৃতিকে বুঝতে পারা। গবেষকেরা বলেন, হাসি হচ্ছে রোগ সারানোর সর্বোত্কৃষ্ট দাওয়াই। কিন্তু কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গবেষকেরা সম্প্রতি গবেষণা করেছিলেন। গবেষকদের মতে, হাসির পর মানুষের মধ্যে যন্ত্রণাবোধ কমে, এর কারণ হতে পারে শরীরের মধ্যে নিঃসৃত রাসায়নিক উপাদান। এই উপাদান প্রকৃতির নিয়মেই বেদনানাশক হিসেবে কাজ করে।
    হাসছ কেন? এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে গিয়েও অনেকেই হেসে ফেলেন। হাসির এই প্রশ্নটা নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
    অনেকেই মনে করেন, হাসির কোনো কিছু বা মজাদার কোনো কিছু দেখলেই মানুষ হাসে। কিন্তু হাসির কারণ খুঁজতে গেলে অনেক সময় এই কারণটিই যথেষ্ট নয়। এ নিয়ে হাসি বিশেষজ্ঞ রবার্ট প্রভিন তাঁর গবেষণায় দেখেছেন, মজার কোনো বিষয় ছাড়াও মানুষ হাসে। তিনি বলেন, কোনো সাধারণ কথা শেষে বা কারও কোনো স্বাভাবিক কথার উত্তরেরও হাসি দিয়েই জবাব দিতে দেখা গেছে অনেককেই। এমনকি অট্টহাসিতে ফেটে পড়তে দেখা গেছে সাধারণ কোনো কথাতেই।
    গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘আমরা যদি হাসির রহস্য উদঘাটন করতে যাই, সে ক্ষেত্রে আমাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। আর দেখতে হবে হাস্যরসিক ব্যক্তিটির মস্তিষ্কে কী ঘটছে। মস্তিষ্কের যে অংশ থেকে হাসি নিয়ন্ত্রিত হয়, তার নাম সাবকর্টেক্স। এই অঞ্চলটি থাকে মস্তিষ্কের গভীরে। মস্তিষ্কের বিবর্তনের দিক থেকে এ অঞ্চলটি হচ্ছে সবচেয়ে আদিমতম অঞ্চল, যা শ্বাস নেওয়া বা প্রত্যুত্পন্নমতির মতো আদিম আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার অর্থ হচ্ছে, হাসি নিয়ন্ত্রণের অঞ্চলটি মস্তিষ্কের স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল থেকেও অনেক গভীরে অবস্থান করে।’
    হাসির কিছু না হলেও মস্তিষ্কে হাসির খোরাক জন্ম নিতে পারে। ফলে অনেক সময় হো হো করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে মানুষ। কোনোমতেই হাসি আটকে রাখতে পারে না। আবার অনেক সময় উল্টোটাও ঘটতে পারে। প্রয়োজনের সময় হাসির উদ্রেক নাও হতে পারে। মস্তিষ্কপ্রসূত হাসির বাইরে যে হাসি মানুষ হাসে, সে হাসি মেকি বা নকল হাসি।
    গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘হাসির আরেকটি মূল ভিত্তি রয়েছে। আর তা হচ্ছে সব মানুষই হাসে। আর সবাই প্রায় একই ধরনের শব্দ করে হাসে। এমনকি বধিরকেও হাসতে শোনা যায়। হাসির শব্দের মধ্যে মানুষের ধ্বনিতাত্ত্বিক অনেক বিষয়ও যুক্ত থাকে। অর্থাত্ আমরা শ্বাস নেওয়া এবং কথা বলার সময় মস্তিষ্কের ও শরীরের যেসব অঙ্গ ব্যবহার করি, হাসি মানুষের মস্তিষ্ক ও শরীরের বিভিন্ন অংশের সেসব কাজ ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু এই ব্যাখাতেও আমরা কেন হাসি, এই প্রশ্নের উত্তর মেলে কি?’ গবেষকেরা বলেন, ‘আমরা যদি মস্তিষ্কে হাসি তৈরির নির্দিষ্ট এই অঞ্চলকে শনাক্ত করতে পারি এবং আমরা মস্তিষ্কের এই অঞ্চলকে উদ্দীপিত করে যদি কাউকে হাসাতে পারি তার পরও আমরা কেন হাসি, এই আসল রহস্যের সমাধান পাব না।’ অবশ্য গবেষকেরা মানুষের মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে হাসাতে পেরেছেন। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা হাসির প্রভাবটার কথা জানি। কিন্তু কারণটা আমাদের কাছে এখনো অধরাই। আমরা কেন হাসি, সে শুরুর প্রশ্নটা কিন্তু এখনো থেকেই যাচ্ছে।’
    প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হাসির কারণ খুঁজতে আমাদের এবার মানুষের মস্তিষ্কের অভ্যন্তর ছেড়ে সামাজিক বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে। গবেষক প্রভিন দেখিয়েছেন, ‘হাসি মূলত কথা বলতে গেলে চলে আসে। অর্থাত্ যোগাযোগের ক্ষেত্রে হাসির একটা ভূমিকা রয়েছে। আমরা যখন কারও সঙ্গে কথা বলি, তখন হাসির বিষয়টি একক ঘটনার ফল হিসেবে তৈরি হয় না।’ তিনি তাঁর গবেষণায় দেখেছেন, বক্তা সাধারণত শ্রোতার চেয়ে বেশি হাসেন। এ বিষয়টি কোনো দলের মধ্যে থাকলে বা আবেগঘন পরিস্থিতির মধ্যে প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়।
    গবেষকেরা হাসির সামাজিক গুরুত্বের কথা স্বীকার করে হাসিকে সমাজে ইতিবাচক উপাদান হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
    হাসির একদিকে যেমন ইতিবাচক, তেমনি নেতিবাচকও বটে। একজনের হাসিতে যখন কারও ভালো অনুভূতি হচ্ছে, অন্যদিকে কারও কাছে এটা ঘৃণাভরা হাসিও হতে পারে। তবে হাসির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, তা কতটা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারছে অর্থাত্ হাসি কতটা সংক্রামক হিসেবে সবার কাছে ছড়াচ্ছে। কাউকে সুন্দর করে হাসতে শোনাটা যেমন ভালো অনুভূতি তৈরি করে, তেমনি সুন্দর হাসতে পারাটাও মানুষের একটা বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
    গবেষণায় খানিকটা ব্যাখ্যা মিললেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু আমাদের সুকুমার রায়ের কাছেই ফিরে যেতে হচ্ছে: হাসছি কেন কেউ জানে না, পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই।

    Friday, June 22, 2012

    অজুহাত ছেড়ে বলুন- 'আমিও পারব'

    অজুহাত ১ : ‘আমি পড়াশোনার সুযোগ পায়নি’
    :: ফোর্ড মোটর এর মালিক হেনরি ফোর্ড ঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি তবুও তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট গাড়ি কোম্পানির মালিক হতে পেরেছিলেন।

    অজুহাত ২ : ‘আমার বাবা ছোটতেই মারা গিয়েছে’

    :: এ.আর রহমানের বাবা ছোট বেলাতেই মারা গিয়েছিলেন। তবুও তিনি আজ বিশ্বের উল্লেখ যোগ্য সঙ্গীতকার এবং ভারতের শ্রেষ্ট সঙ্গীতকারে পরিণত হয়েছেন।

    অজুহাত ৩ : ‘আমরা অনেক গরীব’
    :: আবুল কালাম (ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি) ছিলেন গরীব ঘরের সন্তান। তাঁর বাবা ছিলেন একজন মাঝি। তবুও তিনি একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতেপেরেছিলেন।

    অজুহাত ৪ : ‘সাইকেলে ঘুরে বেড়িয়ে কি করতে পারি’

    :: বার্সান ভাই পাটেল নিরমা কোম্পানির মালিক। তিনি অর্ধেক জীবন সাইকেলে করে নিরমা বিক্রি করে কাটিয়ে দেন। আর এখন……..

    অজুহাত ৫: ‘ ব্যবসা শুরু করার জন্য টাকা নাই’

    :: ইম্ফোসিসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নারায়ণমুর্তির কাছে কাজ শুরু করার সময় টাকা ছিল না। তিনি তাঁর স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে কাজ শুরু করেছিলেন।

    অজুহাত ৬ : ‘আমি গরিব ঘরের সন্তান’
    :: আন্ড্রু কার্নেগী প্রচুর গরীব ঘরের ছেলে ছিলেন। তিনি একটি খামারে কাজ করতেন। পরে তিনি আমেরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন।

    অজুহাত ৭ : ‘আমি সামান্য একটা চাকরি করি, এ থেকে কি করতে পারি’

    :: *ধীরু ভাই আম্বানী তেলের পাম্পে তেল বিক্রি করতেন। পরে তিনি রিলায়েন্স গোষ্টি তৈরি করেন, এবং ভারতের শ্রেষ্ঠ ধনীতে পরিণত হন।
    *মোহন রায় ওবেরয় একটি হোটেলের কেরানী রুপে জীবন শুরু করেন। পরে তিনি ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হোটেল ‘ওবেরয় হোটেল’ তৈরি করেন।

    অজুহাত ৮ : ‘আমি পড়াশোনায় ভালো না’
    :: থমাস এলভা এডিসনকে ছোটবেলায় সবাই বোকা, গাধা বলে রাগাত। তিনি পড়াশোনায় ভালো ছিলেন না। তবু তিনি একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পেরেছিলেন।

    পলাশীর পরাজয়ের পরিণতি -- ২৩শে জুন-১৭৫৭

    ২৩ জুন ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা মসনদচ্যুত হন, কিন্তু যারা সিরাজের উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন কী পরিণতি বরণ করেন তারা? কী ঘটে মীরজাফর কিংবা ইংরেজ লর্ড ক্লাইভের ভাগ্যে? ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে তা-ই তুলে আনা হয়েছে এই রচনায়

    ইতিহাসের সাম্প্রতিক গবেষণা একের পর এক প্রমাণ হাজির করছে যে, নবাব সিরাজউদ্দৌলার (১৭৩৩-১৭৫৭) চরিত্রের ওপর যেসব কলঙ্ক আরোপ করা হয়েছিল, তার বেশির ভাগই মিথ্যার সূক্ষ্মজালে জড়ানো। অতিরঞ্জিত ‘অন্ধকূপ’ হত্যার ঘটনা যে ডাহা মিথ্যা, তা প্রমাণ করা হয়েছে এখন থেকে প্রায় শত বছর আগে। অর্ধবঙ্গেশ্বরী রানি ভবানীর বিধবা মেয়ে তারা সুন্দরীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল নবাব সিরাজের, এবং তাঁকে তিনি অপহরণ করতে চেয়েছিলেন, তার পেছনেও জোরালো যুক্তি পাওয়া যায়নি। অনেক ঐতিহাসিক এখন বলছেন, সিরাজের প্রতি রানি ভবানীর বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করানোর জন্যই এ রকমের একটি কাহিনি ফাঁদা হয়েছিল। এমনও প্রচার করা হয়েছিল যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেট চিরে তার সৌন্দর্য দেখতেন। এমন নিষ্ঠুর আচরণ যে সিরাজউদ্দৌলা করতে পারেন না, তার পক্ষেও যুক্তি হাজির করা হয়েছে। সিরাজ-গবেষকেরা এখন প্রায় জোরালো তথ্য-প্রমাণ হাজির করে বলছেন, নবাবকে ক্ষমতাচ্যুত করার ড্রেস রিহার্সাল হিসেবেই আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল এসব মিথ্যা প্রচার-প্রপাগান্ডার।  Click Read More

    Tuesday, June 19, 2012

    ব্রণ সমস্যা এবং প্রতিকার

     
    ব্রণ সমস্যা
    বয়স সন্ধি:কালে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় টিনেজারদের মাঝে সবচেয়ে বেশী। এছাড় ত্বক বেশি তৈলাক্ত  হলে, হরমোনের পরিবর্তন, ত্বকে ধুলো-ময়লা জমে থাকা, বংশগত কারণ, ত্বকে ভিটামিনের অভাবের কারণেও ব্রণ হয়ে থাকে।

    সমস্যার সমাধান
    ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য ডিপ ক্লিনজিংটা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত ভাজাপোড়া ও তেলযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। অয়েল ফ্রি ক্লিনজিং দিয়েই ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। বাসায় ফিরে সঙ্গে সঙ্গে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। সারাদিনে অন্তত পক্ষে দুইবার গোসল করতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন তিন থেকে চারবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। ত্বকে নিয়মিত একটু ছাকা ময়দা ও মধু পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগাতে হবে। এতে করে ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল হবে। যে স্থানে ব্রণ ওঠে, সেখানে বরফ ঘষলে উপকার পাওয়া যায়। এতে ব্রণের ফোলা ভাবটা কম মনে হয়। ব্রণ ভালো হওয়ার পর কচি ডাবের পানি মুখে দিলে ব্রণের দাগ বসার আশঙ্কা একেবারেই থাকে না।

    সতর্কতা
    • ব্রণে হাত না লাগানো ভালো। হাত লাগালে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
    • যাদের ত্বকে ব্রণ রয়েছে তাদের ভারী মেকআপ না করাই ভালো।
    • প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
    • নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। তা না হলে ব্রণ একবার সেরে যাওয়ার পর আবারও হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
    • পেট পরিষ্কার রাখার জন্য শাকসবজির খাবারের পাতে রাখা খুবই জরুরি। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যেও ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে।
    • যতটা সম্ভব ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলতে হবে।

    Monday, June 18, 2012

    জ্ঞান-দক্ষতা যাচাইয়ের কার্যকরী পদ্ধতি : গ্রুপ ডিসকাশন


    প্রতিটি মানুষেরই জ্ঞান-দক্ষতা যাচাইয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। রয়েছে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, গ্রুপ ডিসকাশন বা দলীয় আলোচনা। অধিক তথ্য, ধারণা, শ্রেণির আলোচনা বুঝতে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে গ্রুপ স্টাডি বা দলীয়ভাবে পড়া সবার জন্য খুব সহায়ক। গ্রুপ ডিসকাশন মানুষের জ্ঞান ও বিচক্ষণতার সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো সচল রাখে।
     গ্রুপ স্টাডির সুবিধা
    গ্রুপ স্টাডি বিভিন্নভাবে যেকোন পাঠকের/শিক্ষার্থীর জন্য উপকারী হতে পারে। নিচে গ্রুপ স্টাডির কিছু গুরুত্বপুর্ণ দিক আলোচনা করা হল-
    ১। অনেক সময় একটি দলের যে কেউ পড়ালেখা থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে তার অবস্থান পরিবর্তন করে পূনরায় পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দলের অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। দলের অন্যরা তাকে উত্সাহিত করার ভাল একটা মাধ্যম ও হতে পারে।
    ২। আপনার সমস্যার কথা হয়তো আপনি ক্লাসে প্রকাশ করতে ইতস্ততবোধ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে ছোট একটা গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
    ৩। আপনার উপস্থাপনা, অংশগ্রহণ, দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে হয়তো বা আপনি দলে খুব ভাল অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং সবাই আপনার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই তাদের এড়িয়ে যাওয়া বা অবমাননা করার চেষ্টা করবেন না।
    ৪। পাঠদানের সময় দলীয় সদস্যরা সকল ধারণা ও তথ্যগুলো শুনবে ও আলোচনা করবে। এগুলো সকলের শুনার, শেখার ক্ষমতা ও মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
    ৫। আপনি যে কৌশলে শিখেন দলের অন্যান্য সদস্যরা সে কৌশলে নাও শেখতে পারে। তাদের শেখার ধরন আপনার চেয়ে অধিক ভাল হতে পারে। তখন আপনার মাঝে নতুন ধারণার জন্ম নিতে পারে।
    ৬। অন্যের কাছ থেকে নতুন যে কৌশল গ্রহণ করলেন, সেটি অভ্যাসে পরিণত করুন।
    ৭। আপনার সাজানো হ্যান্ড নোটগুলো দলের অন্যান্যদের সাথে তুলনা করে নিতে পারেন।
    ৮। দলের অন্যান্যদের সাথে আলোচনা আপনাকে অধিক তথ্য ও ধারণা দিবে। এক্ষেত্রে আপনি সে বিষয়ে অধিক দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
    যেভাবে শুরু করবেন
    গ্রুপ স্টাডি আপনা আপনি ভাবে হয় না। একটি দল গঠন করার কিছু কৌশল রয়েছে। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলঃ
    ১। ক্লাসের সময় বা তারপর বা বিরতির সময় আপনার সহপাঠিদের সাথে আলাপ আলোচনা করুন ও তাদের সম্পর্কে ভাল করে জানুন। একজন সহপাঠিকে আপনার দলে নেওয়ার সময় নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো করে যদি যথাযথ উত্তর পান তাহলে তাকে যুক্ত করতে পারেন।
    u সে কি জানার জন্য আগ্রহী?
    u সে কি বিশ্বস্ত?
    u তার মাঝে যে কোন বিষয় ভাল বুঝার ক্ষমতা রয়েছে কি না?
    ্ত্রu সে কি সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল?
    u অন্যের কাছ থেকে নেওয়া তথ্যগুলো সে গ্রহণ করবে কি?
    u তার সাথে কাজ করতে আপনি আগ্রহী কি না?
    ২। দলীয় সদস্য ৩-১০ জন না হয়া পর্যন্ত বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু দলটি বেশ বড় করার চেষ্টা করবেন না। সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা, লেখাপড়া ও দাযয়িত্ববোধ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
    ৩। সবাই কখন একত্রিত হওয়া যায় এবং কত সময় অতিক্রম করা যায় সে বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহণ করুন।  সাধারণত ৬০-৯০ মিনিট সময় নির্ধারণ করাই বেশি উত্তম।
    ৪। মিলিত হওয়ার স্থানটি যাতে সকলের নাগালের মধ্যে থাকে, এক্ষেত্রে লাইব্রেরি বা খালিরুম অধিক উত্তম।
    ৫। গ্রুপ স্টাডির লক্ষ্য স্থির করুন। এটি হতে পারে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান অথবা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি অথবা চলতি ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা।
    ৬। প্রথম সেশনে একজনকে দলনেতা নির্বাচন করুন। ধারাবাহিকভাবে সকলকে নির্বাচন করুন।
    ৭। দলের প্রত্যেকের দায়িত্ববোধ ও দলনেতার আলোচনার বিষয় সেশনের পূর্বেই সুনির্দিষ্ট করুন।
    ৮। দলের সদস্যদের না, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বারের একটি তালিকা করুন। তালিকাটি সবার মাঝে রাখা নিশ্চিত করুন; যাতে যে কোন প্রয়োজনে প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
    একটি সফল স্টাডি গ্রুপের বৈশিষ্ট্যঃ
    একটি স্টাডি গ্রুপ সফল হতে হলে তাকে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহের অধিকারী হতে হবে-
    ১। দলের প্রত্যেক সদস্যকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
    ২। আলোচনার সময় বক্তাকে কোন প্রকার প্রশ্ন করে তাকে বিভ্রান্তি না করে তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। একই সময় একজন কথা বলাই সবচেয়ে উত্তম হবে।
    ৩। দলীয় সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্ঠায় বক্তার উত্থাপিত যেকোন বিষয় পূনরায় বিশ্লেষণ করবে, অথবা কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করবে।

    Sunday, June 17, 2012

    প্লাস্টিক বোতলের পানি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

    plastic-bottle

    প্লাস্টিক পরিবেশের ক্ষতি করে, কারণ এটা মাটির সঙ্গে মেশে না। তাহলে প্রশ্ন ওঠে প্লাস্টিকের বোতলে রাখা পানি পান করলে বা প্লাস্টিকের কৌটায় রাখা খাবার খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে কি? এটা তো ঠিক যে ওই সব বোতলের পানি বা কৌটার খাবারে অনেক সময় প্লাস্টিক-প্লাস্টিক গন্ধ পাওয়া যায়, অর্থাৎ অল্পস্বল্প প্লাস্টিক অণু হয়তো খাদ্যে মিশে যায়। তা যায়, তবে এতে কোনো ক্ষতি হয় না বলে খাদ্যবিশেষজ্ঞদের অভিমত। কারণ খাদ্যদ্রব্য বা পানীয় রাখার জন্য প্লাস্টিকের পাত্র বিশেষভাবে তৈরি। ওগুলো কিছুটা নমনীয় করতে যে প্লাস্টিসাইজার ব্যবহার করা হয় তা পানিতে সামান্য দ্রবণীয় এবং তৈলাক্ত দ্রব্যে সামান্য বেশি দ্রবণীয় হলেও পাকস্থলীতে ওদের কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে না। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণীদেহে ওদের কোনো সক্রিয়তা থাকে না। তবে যেসব পাত্র সুনির্দিষ্টভাবে খাদ্যদ্রব্য রাখার জন্য নির্ধারিত নয় বা কোনো পাত্রে যদি খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে এমন পদার্থ রাখা হয়, তাহলে সেসব পাত্রে খাবার না রাখার জন্য বিজ্ঞানীরা সতর্ক থাকতে বলেন।

    Saturday, June 16, 2012

    পাকা জামের মধুর রসে

    jam




    জাম গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ফলের ইংরেজি নাম ‘ব্ল্যাকবেরি’। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, ‘ই’ এবং ‘এ’।
    ভিটামিন ‘সি’ গরমে ঠান্ডাজনিত জ্বর, কাশি ও টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব। আর দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম। জামের ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তিকে করে শক্তিশালী। বৃদ্ধ বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও এই ফল ভীষণ উপকারী। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও কপার। ডায়রিয়া-পরবর্তী অবস্থায় বড় ও ছোট—সবার জন্য জিংক ও কপার দরকার। তবে ডায়রিয়া চলাকালে জাম খাবেন না। ক্লান্তি দূর করার জন্য মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সরবরাহ করাটা ভীষণ জরুরি।
    জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি। বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে জাম।
    জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। জামে সন্ধান পাওয়া গেছে ইলাজিক এসিড নামের এক ধরনের এসিডের উপস্থিতি, যা ত্বককে করে শক্তিশালী। ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করে।
    এই ইলাজিক এসিড ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য এতে রয়েছে চমকপ্রদ শক্তি। জাম লড়াই করে হূৎপিণ্ডের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার ও মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে।

    Friday, June 15, 2012

    পরোক্ষ ধূমপান

    indirect-smokingধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানে যে কারোরই ক্ষতি হতে পারে ধূমপানের ক্ষতিকারক দিকের তো অভাব নেই। যিনি ধূমপান করেন, তিনি নিজের যেমন ক্ষতি করেন, ঠিক তেমনি অন্যেরও ক্ষতি করে চলেন সমানে। একজন ধূমপায়ী কেমন করে একজন অধূমপায়ীর ক্ষতি করেন? খুব সহজ কথায়, অধূমপায়ী ব্যক্তিটি পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। পরোক্ষ ধূমপানে ব্যক্তি যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন তা জেনে নেওয়া যাক—
     যাঁরা ধূমপান করেন না কিন্তু আশপাশের মানুষের কাছ থেকে নিত্যদিন সিগারেটের ধোঁয়া গ্রহণ করেন, তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায় অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
     যাঁরা বহু দিন ধরে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার, তাঁদের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
     হূৎপিণ্ডের পাকাপাকি ক্ষতিতে পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাব অনেক বেশি।
     পরোক্ষ ধূমপান কখনো কখনো স্ট্রোকের জন্য দায়ী।
     শ্বাসকষ্টজনিত রোগের একটি বড় কারণ পরোক্ষ ধূমপান।
     পরোক্ষ ধূমপানে কখনো বুকে কফ জমে যায়, হয় কাশি।
     নিউমোনিয়া হয় কখনো পরোক্ষ ধূমপানে।
     ব্রঙ্কাইটিস আর হাঁপানির জন্যও অনেকাংশে দায়ী পরোক্ষ ধূমপান।
    এক গবেষণায় দেখা গেছে, যিনি বা যাঁরা পেশাদার ধূমপায়ীদের সঙ্গে বসবাস করেন, তাঁদের হূদেরাগ এবং ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অন্তত বেড়ে যায় ৩০ গুণ।
    শিশুদের বেলায় এই ক্ষতিটা হয় আরও

    নিষিদ্ধ জর্দা

    বৃদ্ধ বয়সের সঙ্গী হলো পান, সুপারি, জর্দা বা তামাকপাতা—এই ধারণাটি অনেকের মধ্যেই বদ্ধমূল। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। এগুলো নেশাজাতীয় দ্রব্য। শুধু বৃদ্ধ বয়স নয়, যেকোনো বয়সের জন্যই পান, সুপারি, জর্দা, চুন, তামাকপাতা নিষিদ্ধ। তবে পান শরীরের জন্য পুষ্টিকর। কিন্তু তা খেতে হবে মসলা, চুন, সুপারি, জর্দা বাদ দিয়ে। মাঝেমধ্যে অবশ্য শখ করে খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত খেলে নেশা হয়ে যাবে। তবে জর্দা কখনোই খাবেন না।
    জর্দা দাঁত, মুখ, মাড়ির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। জর্দা নিয়মিত খেলে প্রচণ্ড পরিমাণে নেশা হয়। আর হঠাৎ করে খেলে অনেকেরই মাথা ঘোরায়, বমি বমি ভাব হয়। জর্দা যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য নিষিদ্ধ। কারণ জর্দা, গুল, চুন বা তামাকপাতা দাঁতের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে, মাড়িতে তৈরি করে ক্ষয়রোগ। দাঁতের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়, মাঝেমধ্যেই মাড়ি ফুলে যায়, মুখে হয় তীব্র দুর্গন্ধ এবং দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ে।
    দীর্ঘদিন জর্দা খেলে দাঁতের ফাঁকে ময়লা, জর্দার গুঁড়া জমে তৈরি হয় পাথর। তখন স্কেলিং (মেশিনের সাহায্যে দাঁতের পাথর ভাঙা) করে ওই পাথরগুলো ভেঙে ফেলতে হয়। পাথর পরিষ্কার না করলে বছরের পর বছর জমে জমে দাঁতের ক্ষয়রোগ তৈরি করে। এই ক্ষয়রোগে দাঁত ভেঙেও যায়।
    রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের অনেক বছর ধরে দাঁতের ক্ষয়রোগ থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। আর জর্দা মানুষের স্নায়ুশক্তি করে দুর্বল, মস্তিষ্কে তৈরি করে এমন এক পরিস্থিতি যার নাম নেশা। নেশা হয়ে গেলে জর্দা ছাড়া থাকা যায় না। এ অবস্থায় শরীরের সব অঙ্গ ধীরে ধীরে হয়ে যায় দুর্বল। রক্তের মূল উপাদান লোহিত রক্তকণিকাকেও নীরবে করতে থাকে ধ্বংস। সর্বোপরি বিবেচনায় জর্দা নামের মাদকদ্রব্যটি হোক আপনার শত্রু।

    Sunday, June 10, 2012

    ভালো ঘুম হচ্ছে না?কিছু টিপস্ জেনে নিই


    কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনে শান্তির ঘুম যেন আজকাল কল্পনার বিষয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? মোটেও না।
    আমাদের জীবন যাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে দিতে পারে গভীর ঘুম। ঘুম ভালো না হলে সারাদিনই তার প্রভাব পড়ে শরীর এবং কাজের উপর।
    আসুন জেনে নিই শান্তিতে গভীর ঘুমের প্রস্তুতির জন্য কি কি করা যেতে পারে:
    * বাইরে থেকে ফিরে গোসল সেরে নিন। সারা দিনের কান্তি এক নিমিষে চলে যাবে।
    * এক গ্লাস গরম দুধ খান।
    * ঘুমোতে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে টিভি, কম্পিউটার বন্ধ করুন।
    * পরের দিনের কাজের পরিকল্পনা আগেই করে ফেলুন, টেনশনে ঘুম নষ্ট হবে না।
    * বিছানায় যাওয়ার অনেক আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিন।
    * চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা না করার ।
    * শোবার ঘরটি অযথা একগাদা জিনিস দিয়ে ভরে রাখবেন না।
    * রাত ১০টা / ১১টার মধ্যেই ঘুমোতে যান। এ সময় বিছানায় গেলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
    * পারলে সন্ধ্যার পরই চা-কফি খাওয়া বন্ধ করে দিন।
    * সফট্ মিউজিক শুনুন।
    * শোবার ঘরে বেশি আলো ঢুকে যেন ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায় না নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে ভারি পর্দা ব্যবহার করুন।
    আর চিন্তা কেন? আজ থেকেই চেষ্টা শুরু করুন ।
    সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি

    ৩য় বিশ্বে পড়ালেখা করাটা আফিম খেয়ে নেশাগ্রস্থ হওয়ার মত ...

    কোন কোন দার্শনিক বলেছেন "ধর্ম হল আফিম" । আমি মনে করি এই উক্তি তাদের ব্যর্থতার প্রতীক। কারন ধর্মের ভালবাসা থেকে সাধারন মানুষকে নিজের ভক্ত করতে গিয়ে তাদেরকে প্রচন্ড বেগ পেতে হয়েছিল। ধর্মের জোর থেকে তাদের জোর ম্রিয়মান হয়েছিল বিধায় এ খেদোক্তি।

    কিন্তু আমি মনে করি ৩য় বিশ্বে পড়ালেখা করাটা আফিম খেয়ে নেশাগ্রস্থ হওয়ার মত। স্পেশালি বাংলাদেশ। আমি জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ালেখাকে বুঝাচ্ছিনা। অন্ধকার দুরীকরনের জন্য যে পড়ালেখা সে পড়ালেখাকে স্বাগত জানাই।

    কিন্তু চাকরি পাওয়ার জন্য পড়ালেখা আফিম খেয়ে নেশাগ্রস্থ হওয়ার মত। আমাদের দেশের সিস্টেম আমাদেরকে এই আফিম খাওয়ায়ে নেশাগ্রস্থ করে রাখতে চায়। চাকরী নাই, কর্মখালি নাই,নতুন কর্মসংস্থান নাই। দেশের বিভিন্ন সময়ের গভঃমেন্টগুলো কর্মসংস্থান তৈরীতে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য চাকরীর পড়ালেখা নামক আফিমের সৃষ্টি করেছে।

    একজন শিক্ষার্থীকে এস.এস.সি , এইচএসসি পাশ করার পর কলেজে - বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়। ভর্তি কোচিং আর টেনশন তাকে ছাড়েইনা। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য পাশ করাটায় তো বড় যোগ্যতা। কিন্তু সবাই তাহলে অনার্সে ভর্তি হতে পারবে না কেন? পাশ করাটাই তো উচ্চ শিক্ষার জন্য ছাড়পত্র। তাহলে আবার ভর্তি পরীক্ষা নির্যাতন কেন? রেজাল্ট অনুসারে ভর্তি করানো উচিত।

    অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর তীব্র সেশনজট, কোন্দল মারামারি, টেন্ডারবাজি আরও হরেক রকমের বৈরী পরিবেশে তাকে পাশ করে অবতীর্ন হতে হয় চাকরী পাওয়ার যুদ্ধে। চাকরী প্রার্থী আছে ১০ লাখ । পোস্ট খালি আছে ২০০। এদেশের ম্যানেজম্যান্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে নি।

    সুখী হবার সহজ উপায়: হাসি!!!

    জাপানী সাধক হো তেই এর জীবন দর্শন দিয়েই শুরু করা যাক!
    হো তেই বুদ্ধের বাণী প্রচার করতেন। কিন্তু তাঁর পুরো শিক্ষাই ছিলো হাসি। শুধুমাত্র হাসি। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে; বাজার থেকে বাজারে ঘুরে বেড়াতেন। গ্রামের মাঠে বা বাজারের মাঝখানে দাঁড়াতেন। তারপর হাসতে শুরু করতেন।
    এই হাসি ছিল তার বাণী। তাঁর হাসি যেমন ছিল প্রাণবন্ত, তেমনি ছোঁয়াচে। হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসত এই হাসি। দমকে দমকে সারা শরীর নাচিয়ে, পেটে ঢেউ তুলে উঠে আসত এই হাসি। হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি যেতেন তিনি। তার চারপাশে সমবেত জনতাও হাসতে শুরু করত।
    সেই হাসি ছড়িয়ে পড়ত চারপাশে। পুরো গ্রাম-জনপদের সবাই যোগ দিত হাসিতে, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যেত তারা। গ্রামের লোকেরা হো তেই-এর জন্যে অপেক্ষা করত। কখন তিনি আসবেন। কারণ তিনি নিয়ে আসতেন হাসি, আনন্দ, উচ্ছলতা, আশীর্বাদ। তাঁর সাথে হাসিতে যোগ দিয়ে দুঃখ-শোক ভুলে যেত, রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত হতো মানুষ।
    অবাক হলেন? হাঁসির মাধ্যমে না হয় দুঃখ-শোক ভুলে থাকা যায় মানলাম, কিন্তু তাই বলে রোগ-ব্যাধি সারানো!
    হাসির নিরাময় ক্ষমতা নিয়ে ডাক্তাররা প্রচুর গবেষণা করেছেন এবং করছেন। যত গবেষণা হচ্ছে তত নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে, এবং প্রাপ্ত তথ্য থেকে প্রমাণিত যে হাঁসির মাধ্যমে ছোটখাটো অনেক রোগ-ব্যাধি সেরে যায়! কেউ যখন হাসে তখন তার সারাদেহেই স্পন্দন তৈরি হয়। আর এই স্পন্দন অবশ্যই ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। তাই অনেকে বলেন হাসিই সর্বোত্তম ওষুধ। ছোটখাটো যে কোনো রোগ সেরে যায় হাসিতে।
    সাধারণ সময়ের থেকে হাসির সময় গভীর নিশ্বাস নেয়া হয়, যা পুরো শরীরে প্রভাব ফেলে। গভীর শ্বাস নেয়ার জন্য অক্সিজেন শরীরে বেশি পরিমাণে প্রবেশ করে। ফলে শ্বাসনালীতে বায়ু চলাচল বাড়ে, মাংসপেশির আরাম হয়, হৃৎপিণ্ড ও রক্তসঞ্চালন উদ্দীপ্ত হয়। হাসতে থাকা মানুষের মস্তিষ্ক শরীরে অবসাদের হরমোন যেমন অ্যাড্রেনালিন, এপিনেফ্রিন ও কর্টিজন তৈরি বন্ধ করে দেয়। যখন কেউ হাসে তখন সেরোটনিন নিঃসরণ হয়। এটা সুখী হরমোন হিসেবে পরিচিত। তাই যত বেশি হাসবে মানুষ তত বেশি সুখী বোধ করবে।
    অনেকে বলে সব সময় হাঁসা পাগলের লক্ষণ, তখন বুঝতে হবে কথাটি যে বলেছে সে নিজেই হাঁসির উপকারীতা সম্পর্কে অজ্ঞ অথবা সে নিজেই একটা পাগল! :) কেউ হাসলেই যে তার পার্সোনালিটি কমে যাবে আর মুখ ভেড়ার মত গম্ভীর করে রাখলেই যে তার পার্সোনালিটি বেড়ে যাবে এমন হাস্যকর চিন্তা শুধুমাত্র বোকাদের মাথাতেই আসা সম্ভব!
    এখন আপনি বলতে পারেন, মাথার মধ্যে নানা দুঃশ্চিন্তা, ক্ষোভ, রাগ আর কস্টের অনুভূতি নিয়ে কিভাবে হাঁসবো! এটা ঠিক যে মনের মধ্যে ক্ষোভ-রাগ-বিষাদ নিয়ে হাঁসা টা খুবই কঠিন একটা কাজ, কিন্তু অসম্ভব নয়! আরো অনেকের মত আমার নিজের ও এমন মাইনকার চিপায় পড়া অনুভূতি অনেকবার ই হয়েছে।
    ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে- “Fake it, Until you make it!”
    তাই যতক্ষন না আপনার ভেতর থেকে রাগ-ক্ষোভ বা বিষাদের অনুভূতি পুরোপুরি না যাচ্ছে, অভিনয় করে হলেও হাসুন! তাতেও আপনি হাঁসির পজিটিভ ফলগুলো পাবেন। কারন আপনি যখন হাঁসবেন, আপনার রাগ-ক্ষোভ আর কস্টের অনুভূতি গুলো আস্তে আস্তে মিইয়ে যেতে থাকবে। এক সময় একেবারেই নাই হয়ে যাবে! ফলে আপনি রিল্যাক্সড বোধ করবেন। পাশাপাশি আপনার অবদমিত রাগ-কস্ট বা অন্যান্য অনুভূতি গুলির সাথে লড়াই করার মত মানসিক শক্তি ততক্ষনে পেয়ে যাবেন।
    অতএব! বেশি বেশি হাসুন! সব সময় হাসুন!! প্রাণ খুলে হাসুন!!! হো তেই-এর মত করে হাসুন। :D

    হাঁসির উপকারীতাঃ

    সময়াভাবে এবং পোস্ট বেশি বড় হয়ে যাবে সেজন্য উপরে অল্প কিছু শারিরীক এবং মানসিক উপকারীতা কথা উল্লেখ করেছি। তবে হাঁসির সামাজিক উপকারীতার কথাও একেবারে ফেলনা নয়।
    •হাঁসি যেকোন সম্পর্ককে মজবুত করে। প্রবাদে আছে, “হাঁসি মুখের লোক ছাড়া দোকান খোলা উচিৎ নয়”। আপনি যখন কোন শপিং মলে বা দোকানে আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য যান, দোকানদার যদি আপনার সাথে হাঁসিমুখে অভ্যর্থনা জানায় এবং ভাল ব্যবহার করে-আপনি সে দোকান/শপিং মলের নিয়মিত একজন কাস্টোমার হবেন এটা নিশ্চিত।
    •একজন গোমড়া মুখো রাশভারী লোকের সঙ্গ খুব কম মানুষেই পছন্দ করে। হাঁসিখুশি মানুষের দিকেই সবাই বেশি আকৃষ্ট হয়। আপনি যতক্ষন একজন হাঁসিখুশি মানুষের সাথে সময় কাটাবেন, আপনার মনটাও ভাল থাকবে।
    •কর্পোরেট লাইফেও হাঁসির উপকারীতা অনেক! অফিসের বস যদি হাঁসিখুশি হয় তাহলে সে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে তার সহজেই একটা বন্ডিং তৈরি হয়ে যায়। কেউই হুকুম পছন্দ করেনা, কিন্তু একটি হাঁসিমুখের অনুরোধ সবাই ফেলতে পারেনা! ;)
    •প্রেম-ভালবাসার ক্ষেত্রেও হাঁসির ভূমিকা অপরিসীম! নতুন কোন সম্পর্ক তৈরিতে হাঁসি একটি অনুঘটক হিসাবে কাজ করে। কারো দিকে তাকিয়ে আপনি যখন মোলায়েম ভাবে হাঁসছেন, স্বভাবতই সে কৌতুহলি হবে আপনার প্রতি।
    •প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও হাঁসতে পারাটা আপনার প্রচন্ড মানসিক ক্ষমতার পরিচয় বহন করে। আপনার আশে-পাশে অনেককেই দেখবেন বুকের ভেতর এক সমুদ্র কস্ট নিয়েও মুখে সারাক্ষন হাঁসি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! মুভিতে দেখে থাকবেন, ভিলেন কোন কারনে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত কিন্তু তারপর ও তার মুখে একটা ক্রুর হাঁসি খেলা করে! হাঁসির মাধ্যমেই সে তার রাগকে দমন করছে। আমি আপনাকে ভিলেনের মত ক্রুরভাবে হাঁসতে বলছিনা। তার মানসিক ক্ষমতার উদাহরণ দিতে চেয়েছি মাত্র! ;)

    এবার আসুন দেখি কিভাবে আমরা আরো বেশি বেশি হাঁসির সুযোগ তৈরি করে নিতে পারি

    •হাতের কাছে মজার কোন কমেডী মুভি থাকলে দেখতে বসে যান।
    •মজার কোন কৌতুক বা কমিক্সের বই সংগ্রহে রাখুন এবং মাঝে মাঝে পড়ুন।
    •ফেসবুকের বিভিন্ন জোক্সের গ্রুপ আছে ওগুলোতে জয়েন করতে পারেন, পাশাপাশি ব্লগের বিভিন্ন মজার মজার পোস্ট গুলো পড়তে পারেন।
    •যারা সবসময় হাঁসি-খুশি থাকে বা মজা করতে পারে এমন লোকদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন।
    •বাসায় পোষা কোন প্রাণী যেমন কুকুর বা বিড়াল থাকলে ওগুলোর সাথে খেলা করতে পারেন।
    •বাসায় বা আশে-পাশে কোন ছোট বাচ্চা থাকলে খেলা বা খুনসুটি করতে পারেন।
    •ছোটখাটো কিছু পাগলামি করতে পারেন। (এই পাগলামির ব্যাপারটা ঠিক ব্যাখ্যা করতে পারবোনা, একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম। তাই এটাকে আপেক্ষিক হিসাবে ধরে নিতে পারেন!)
    আজ এ পর্যন্তই, সবাই ভাল থাকুন। হাঁসিখুশি থাকুন!

    Saturday, June 9, 2012

    সুস্থ থাকার জন্য ১৯টি সূত্র

    একেবারে ফিট থাকতে গেলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সুস্থ শরীর তার সঙ্গে শান্তিময় জীবন লাভ করতে কে না চায়। কিন্তু বিশৃঙ্খলার আড়ালে জীবনটাই এলোমেলো হয়ে যায়। থাকে না শান্তি, থাকে না স্ব্বস্তি। সুস্থ থাকার কিছু সূত্র আছে। সেগুলো কী তা জেনে নিই।
    —প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে দুই অথবা তিন কি.মি. হাঁটুন। এরপর গোসল করে প্রার্থনা করুন। এতে মন এবং প্রাণ সতেজ থাকবে।
    —সব সময় সোজা হয়ে বসুন।
    —যখনই খাবার খাবেন তখন ভালো করে চিবিয়ে খাবার গ্রহণ করুন। এতে পাচন ক্রিয়া ঠিক থাকবে।
    —মোটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো তৈলাক্ত এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই এ ধরনের খাবার খুব কম খান।
    —সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন উপোস করে শরীরে খাবারের সমতা বজায় রাখুন।
    —গাড়ি থাকলেও খুব বেশি গাড়ি চালাবেন না। বেশিরভাগ সময় হেঁটেই কাজ সারুন। এতে পায়ের মাংসপেশীর ব্যায়াম হবে। আপনি দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারবেন।
    —বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খান।
    —ঘরের সব কাজ নিজে করারই চেষ্টা করুন।
    —ব্যস্ত থাকাটা শরীর ও মন—দুয়ের পক্ষে ভালো। তাই কাজে যতটা সম্ভব ব্যস্ত থাকুন।
    —আপনার রুচি ও ব্যক্তিত্ব অনুয়ায়ী পোশাক পরিধান করুন।
    —শরীরের নিয়মিত যত্ন নিন। শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখুন।
    —গরমের দিন রাতে শোয়ার আগে গোসল করুন, এতে ঘুম ভালো হবে।
    —রাতে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রোম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়। সে কারণে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরে ঘুমানো উচিত।
    —চুলের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন। কারণ চুল হলো সৌন্দর্যের অঙ্গ। সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন হার্বাল শ্যাম্প দিয়ে মাথা ধৌত করুন।
    —প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান করুন। এতে মানসিক শান্তি পাবেন। তার ওপর মনের জোরও বাড়বে।
    —ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন।
    —কথার উপরে সংযম রাখুন। আপনার কথায় কেউ যেন মানসিক দুঃখ না পায়। সেটা মাথায় রেখে কথা বলুন।
    —রাতে শোয়ার সময় মনে কোনো চিন্তা রাখবেন না। সুস্ব্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গভীর ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
    —পেশাগত কোনো সমস্যা থাকলে সে সমস্যাকে না জিইয়ে রেখে তা মেটানোর চেষ্টা করুন।

    Friday, June 8, 2012

    কুকুর বা অন্য জন্তুর কামড়ের পর করণীয়

    ১। প্রচুর পানি ও ক্ষার যুক্ত সাবান দিয়ে ক্ষতস্থানটি ধুয়ে ফেলুন।
    ২। অ্যান্টিসেপকি বা পভিডন/হাইড্রোজেন পার আয়োডিন লাগিয়ে দিন।
    ৩। ক্ষতস্থানটি ঢাকবেন না।
    ৪। ক্ষতস্থানে হলুদ গুড়া, বাম, পিতলের থালা, চুন, ভেষজ, ঝাল ইত্যাদি কিছুই লাগাবেন না এবং করা পড়া খাওয়াবেন না। কারণ তাতে কোন ও লাভ হয় না বরং ক্ষতস্থানের আর ক্ষতি হয়।
    ৫। ক্ষতস্থানে যাকা লাগাবেন না বা পোড়াবেন না।
    ৬। মাদুলি অথবা জাদুটোনায় ভরসা করবেন না।
    ৭। যতদ্রুত সম্ভব রোগীকে ডাক্তার, ক্লিনিক বা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
    উচ্চ রক্তচাপ কি?
    রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় রক্তনালীর গায়ে রক্ত যে প্রয়োগ করে সেটাকেই রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ মাপার সময় আমরা দুধরণের রক্তচাপ পেয়ে থাকি- সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ। কারো রক্তচাপ বয়স এবং পুরুষ/মহিলা ভেদে সার্বাজনীনভাবে স্বীকৃত স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি পাওয়া গেলে তখন উক্ত রোগী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া হয়।
    পুড়ে যাওয়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা
    পুড়ে যাওয়া সাধারণত তিন ধরনের
    ১ম ডিগ্রী: তাপ লেগে চামড়া লাল হয়ে যায়। কোনো ফোস্কা পড়ে না।
    ২য় ডিগ্রী: চামড়া পুড়ে ফোস্কা পড়ে।
    ৩য় ডিগ্রী: পুড়ে যাওয়ার গভীরতা চামড়া ভেদ করে মাংস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
    পুড়ে যাওয়া প্রাথমিক চিকিৎসা
    রোগীকে দ্রুত আগুনের উৎস থেকে সরিয়ে আনতে হবে।
    * পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে মোটা কাপড় বা কম্বল দিয়ে রোগীকে জড়িয়ে ধরতে হবে। এবং মাটিতে শুয়ে গড়াতে হবে। এতে আগুন নিভে যাবে।
    * শরীরের যে অঙ্গ পুড়ছে সেখানে পানি ঢালতে হবে। ;
    * ১ম ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পানি ঢাললেই হবে, আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। পানি ঢালতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট।
    * ২য় ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে লম্বা সময় ধরে পানি ঢালতে হবে, ১-২ ঘণ্টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ফোস্কা গরানোর দরকার নেই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
    * ৩য় ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত। হাপাতালে নেওয়ার পূর্বে পোড়া স্থানে পানি ঢালতে হবে।

    Thursday, June 7, 2012

    বাচ্চাদের কী খাওয়াচ্ছেন হরলিক্স নাকি বিষ??????

    ফেসবুকইং সময় একটু আগে আমার সামনে লেখটা চলে আসে!! পড়ার পর আমি পুরাই অবাক হয়ে গিয়েছি। 
    আর যেহেতু এটা বাচ্চাদের বিষয় এবং মূল লেখকের অনুমতি ও রয়েছে অন্য কোথাও প্রকাশ করার তাই পোষ্ট না 
    করে পারলাম নাহ। কারণ আমাদের এই পেজেও রয়েছে প্রতিদিন অসংখ্য ভিজিটর। যাদের মধ্যে রয়েছে
     অনেক শিশুর বাবা-মা, ভাই-বোন! তাই তাদের জানানোর জন্যই টিপির “হেলথ কেয়ার” বিভাগে পোষ্ট টি দিলাম। 
    
     সকাল বেলা উঠেই পেপার পড়ার অভ্যেস আর তার সাথে চা না হলে তো পেপার পড়া জমেই না। পেপার উল্টোতেই আমার চোখ কপাল উপরে উঠল, কাশতে কাশতে চা আমার সারা শরীরে পড়ে গেল। মা আমাকে নোটিশ করে বলল
    “ ভূত দেখেছ নাকি পেপারে”
    আমি বললাম, “মা এটা তো ভূতের বাপ, ইহা সবাই দেখে, এই ভূত এখন মানুষ হয়ে গেছে, কেউ বোঝে, কেউ বোঝে না, আবার কেউ বুঝে এই ভূতকে মানুষের মত মানুষ বানানোর চেষ্টা করে”
    যা হোক এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক,
    একটি বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার এক পৃষ্ঠা জুড়ে একটি অ্যাড।
    
    “২ গ্লাস হরলিক্স = ৬৬৬ গ্রাম ইলিশ মাছের সমান আয়রন”
    “বেড়ে ওঠার ডোজ
    রোজ রোজ”
    “হরলিক্স তো রেগুলার খাবার কেন আপনি দিচ্ছেন না”
    
    হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষন চিন্তা করলাম, আচ্ছা এ ধরনের অ্যাড কি হরলিক্স আবিস্কারের দেশ ব্রিটেনে দেওয়া হয়।যা হওক এই বিষয়ে 
    আলোচনা একটু পরে করব।আগে মূল বিষয়টা যানা প্রয়োজন।
    আপনি যদি রেগলার প্রিন্ট মিডিয়া অথবা ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার অ্যাডগুলো দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনি যাই খাবেন অথবা 
    তার মধ্যেই ভিটামিন অথবা মিনারেল রয়েছে অথবা দুটো এক সঙ্গেই আছে। অ্যাডগুলো দেখে আপনার মনে হতে পারে ভিটামিন এবং
     মিনারেল খুবি দুর্লভ বস্তু এবং আপনাকে ভিটামিন এবং মিনারেল বিশাল পরিমানে ফুড সাপ্লিমেন্ট (খাবারের সম্পূরক)আকারে নিতে হবে।
    চলুন ভিটামিন এবং মিনারেল সম্পর্কে কিছুটা জানা যাক।l
    ভিটামিন

    ভিটামিন হচ্ছে জৈবিক পদার্থ যা মানুষের জন্য খুব কম পরিমানে প্রয়োজন হয় শরীরের নির্দিষ্ট কিছু কোষীর কাজ সম্পাদনের জন্য। মানুষের দেহ ভিটামিন তৈরী করতে পারে না, সুসাস্থের জন্য ভিটামিনগুলোকে আমাদের প্রতিদিনের খাবারের সাথে নিতে হয়।
    মিনারেল

    মিনারেল হচ্ছে অজৈবিক যা মানুষের দেহের গঠনমূলক পদার্থ, এটি এনজাইম এর বিশ্লেষনে সহকারি হিসেবে কাজ করে, স্নায়ুর সঞ্ছালনে সাহায্য করে, অম্ল এবং ক্ষারকের সাম্যবস্থা রক্ষা করে । মানুষের দেহ মিনারেল তৈরী করতে পারে না, প্রত্যেকটি মিনারেল প্রতিদিন খাবারের সাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমানে নিতে হয়।
    FDA(Food & Drug Administration-America) নির্দেশনা

    “There are many good reasons to consider taking vitamin supplements, such as over-the-counter multivitamins. According to the American Academy of Family Physicians (AAFP), a doctor may recommend that you take them:
    •  for certain health problems
    •  if you eat a vegetarian or vegan diet
    •  if you are pregnant or breastfeeding
    supplements may be useful when they fill a specific identified nutrient gap that cannot or is not otherwise being met by individual’s intake of food.”
    অর্থাৎ, ভিটামিগুলো সাপ্লিমেন্ট আকারে উপরে উল্লেখিত কন্ডিশনে উপকারি হতে পারে কিন্তু এর উপকারিতা প্রমানিত নয়। আর নরমাল কন্ডিশনে তো নেয়ার প্রশ্নই আসে না।
    আরো ভয়ংকর তথ্য আছেঃ

    “As is the case with all dietary supplements, the decision to use supplemental vitamins should not be taken lightly, says Vasilios Frankos, Ph.D., Director of FDA’s Division of Dietary Supplement Programs”.
    যদি ভিটামিগুলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেওয়া তাহলে এটা প্রমানিত যে আপনার নিম্ন বর্নিত সমস্যাগুলো হতে পারেঃ
    Fat-soluble Vitamins

    •  A (retinol, retinal, retinoic acid): Nausea, vomiting, headache, dizziness, blurred vision, clumsiness, birth defects, liver problems, possible risk of osteoporosis. You may be at greater risk of these effects if you drink high amounts of alcohol or you have liver problems, high cholesterol levels or don’t get enough protein.
    •  D (calciferol): Nausea, vomiting, poor appetite, constipation, weakness, weight loss, confusion, heart rhythm problems, deposits of calcium and phosphate in soft tissues. If you take blood thinners, talk to your doctor before taking vitamin E or vitamin K pills.
    (একটি (retinol, রেটিনা, retinoic অ্যাসিড): বিবমিষা, বমি, মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা, ঝাপসা দৃষ্টি, জবরজঙ্গতা, জন্ম ত্রুটি, লিভার সমস্যা, অস্টিওপরোসিস সম্ভাব্য ঝুঁকি. আপনি এই প্রভাব বেশী ঝুঁকি যদি আপনি এলকোহল উচ্চ পরিমাণে পান অথবা আপনি যকৃতের সমস্যা, কলেস্টেরলের মাত্রা আছে বা কি যথেষ্ট প্রোটিন পেতে নাও হতে পারে.  ডি (calciferol): বিবমিষা, বমি, দরিদ্র ক্ষুধা, কোষ্ঠবদ্ধতা, দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, ধন্দ, হার্ট তাল সমস্যা, ক্যালসিয়াম আমানতের এবং নরম টিস্যু মধ্যে ফসফেট. যদি আপনি রক্ত thinners লাগবে আপনার ডাক্তার থেকে, ভিটামিন ই বা ভিটামিন বড়ি গ্রহণ আগে কথা বলা.)
    Water-soluble Vitamins

    • B-3 (niacin): flushing, redness of the skin, upset stomach.
    • B-6 (pyridoxine, pyridoxal, and pyridoxamine): Nerve damage to the limbs, which may cause numbness, trouble walking, and pain.
    • C (ascorbic acid): Upset stomach, kidney stones, increased iron absorption.
    • Folic Acid (folate): High levels may, especially in older adults, hide signs of B-12 deficiency, a condition that can cause nerve damage.
    জল দ্রাব্য ভিটামিন
    (• B-3 (niacin): flushing চামড়া, পেট খারাপ এর লালভাব. • B-6 (pyridoxine, pyridoxal, এবং pyridoxamine): চেহারা, যা অসাড়তা, কষ্ট হাঁটা, এবং ব্যথা হতে পারে স্নায়ু ক্ষতি. • সি (অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের ন্যায়): পেট, মূত্রগ্রন্থি পাথর, লোহা বিশোষণ বৃদ্ধি করে. • সবুজ শাকসজীতে প্রাপ্ত অ্যাসিড (folate): উচ্চ মাত্রায় বিশেষত পুরোনো প্রাপ্তবয়স্কদের, A, B-12 অভাব, একটা শর্তে যে স্নায়ু ক্ষতি হতে পারে লক্ষণ আড়াল হতে পারে)
    আপনার যকৃৎ নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে, প্যারালাইজড, হার্ট এর সমস্যা হতে পারে।

    হরলিক্স কি?

    বাংলাদেশে যে হরলিক্সটি পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে ফুড ফরটিফাইড। পাওডার দুধ, গম এবং বার্লির সংমিশ্রনে তৈরী হরলিক্সে বাহির থেকে ভিটামিন এবং মিনারেল অ্যাড করা হয়েছে ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে। হরলিক্স প্রস্তুকারি কোম্পানি হচ্ছে GlaxoSmithKline(GSK)।
    ২ গ্লাস হরলিক্স = ৬৬৬ গ্রাম ইলিশ মাছের সমান আয়রন
    বেড়ে ওঠার ডোজ
    রোজ রোজ
    হরলিক্স তো রেগুলার খাবার

    যেই ভিটামিন এবং মিনারেলগুলো উপকারি কিনা নিশ্চত নয় বরং অতিরিক্ত নেওয়ার কারনে সমস্যা হতে পারে সেগুলো আজ মানুষের সামনে অত্যন্ত আকর্ষনীয় কায়দায় ভুল তথ্য দিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
    বেড়ে ওঠার ডোজ
    রোজ রোজ
    কতটুকু ভয়ংকর এই অ্যাডটি। ফুড সাপ্লিমেন্টগুলোর যেখানে কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে এগুলোকে রেগুলার খাবার আর ডোজ(কার্যকরি পরিমান) হিসেবে পরিচিত করানো হচ্ছে।
    হরলিক্স আবিস্কারের দেশ ব্রিটেনের অ্যাডগুলো দেখলামঃ

    “Horlicks doesn’t just taste great; one mug contains 12 essential vitamins and minerals and is a rich source of Vitamin D – an essential aid to calcium absorption”.
    “Horlicks contains a wide range of vitamins and minerals. Dr Frankie Phillips – an independent Nutrition Consultant and Registered Dietician – gives you the good news about how these vitamins and minerals are essential for wellbeing.
    We all need a variety of essential vitamins and minerals to carry out important roles to keep us well”.
    ("Horlicks খেতে মজা না; এক মগএ 12 অত্যাবশ্যক ভিটামিন এবং খনিজ উপস্থিত রয়েছে এবং এটি একটি ভিটামিন D সমৃদ্ধ উৎস - একটি ক্যালসিয়াম শোষক ". "Horlicks ধারণকরে একটি ভিটামিন এবং খনিজ বিস্তৃত.
    ড Frankie Phillips - একটি স্বাধীন পুষ্টিবিজ্ঞান পরামর্শদাতা এবং নিবন্ধিত পথ্যব্যবস্থাবিদ্যাবিৎ - প্রদান কিভাবে এই ভিটামিন এবং খনিজ wellbeing জন্য অপরিহার্য . আমরা সব অত্যাবশ্যক ভিটামিন এবং খনিজ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে ভাল খবর রাখা আমাদের প্রয়োজন.)
    অ্যাডগুলোতে কোথাও লেখা নেই
    বেড়ে ওঠার ডোজ
    “Stronger, Taller, Sharper”
    ২ গ্লাস হরলিক্স = ৬৬৬ গ্রাম ইলিশ মাছের সমান আয়রন
    এই অ্যাডগুলো তারা সাবকন্টিনেন্ট ছাড়া অন্য কোথাও দেয় না। কারন তারা সেই দেশে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

    আরো চমকপ্রদ তথ্য আছে।
    ২০০৪ সালে ডেনমার্কে হরলিক্স নিষিদ্ধ করা হয় অতিরিক্ত ভিটামিন এবং মিনারেল ব্যবহারের কারনে।
    UK-তে “Stronger, Taller, Sharper”এই অ্যাডটি নিষিদ্ধ করা হয় ২০০৮ সালে তাও বাংলাদেশী টেলিভিশন এনটিভি এটি প্রচার করেছিল।
    আরো মজার বিষয় হল ইউকের হরলিক্সটি ফুড ফরটিফাইড নয়। মানে এতে অতিরিক্ত কোন ভিটামিন অথবা মিনারেল অ্যাড করা হয়নি।
    Stronger, Taller, Sharper এখন প্রমানিত?

    এটা প্রমানিত যে হরলিক্স বাচ্চাদের আরো Stronger, Taller, Sharper করে
    প্রথমে নিজকে প্রশ্ন করলাম এই research ইন্ডিয়াতে কেন হোল, ইউকেতে কেন হল না।
    ইন্ডিয়া হচ্ছে সেই দেশ যারা সমগ্র পৃথিবীর ৭৫ ভাগ ভেজাল ঔষধ পৃথিবীতে রপ্তানি করে। যাদের ফুড এবং ড্রাগ পলিসি সবচেয়ে দুর্বল।
    এটা এমনি একটি research যা GlaxoSmithKline ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশে ব্যবহার করে তাদের ইউকের ওয়েবসাইটে এ রকম কোন তথ্য নাই।
    দুই দেশ দুই নীতি?

    Pharmacy-তে একটি টার্ম কমন ব্যবহার করা হয় Slow poisoning এটা অনেকটা Arsenicosis এর মত মানে আপনি পানির সাথে বিষ খাচ্ছেন কিন্তু তৎক্ষনাত বুঝবেন না ।বুঝবেন ৫-১০ বৎসর পরে। নাহ আমি খাবারের বিষের কথা বলছি না এটি হচ্ছে চিন্তার পচন।মানুষকে চিন্তা খাওয়াতে পারলে সে সব খায়।
    আমার এখনও মনে আছে আমাদের বাপ-দাদাদের সময় সফট ড্রিংসগুলো অতিথি আপ্যায়ন এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু আমাদের জেনারেশন সেইটাকে রেগুলার পানীয় হিসেবে গ্রহন করল। তারা মদকে ধরল সেলিব্রশনের একটি উপায় হিসাবে।আমাদের পরবর্তি জেনারেশন হয়তবা used to হয়ে যাবে।
    বিউটি প্রডাক্ট ফেয়ার এন্ড লাভলীকে দেখে এক সময় আমরা গালি দিতাম। কিন্তু সেই ফেয়ার এন্ড লাভলী এখন “ফেয়ার এন্ড লাভলী এন্ড ফেয়ার লাভলি” হয়ে গেছে। এবং বাজারে এখন বিউটি প্রডাক্ট ছাড়া আসলে অন্য প্রডাক্ট পাওয়া খুবি ভার।
    হরলিক্স এক গ্লাস থেকে দুই গ্লাস হয়ে গেছে।
    পারফিউম আর ডিওড্রেন্ট এর অ্যাড দেখলে তো গলায় ফাসি দিতে ইচ্ছে করে।
    একটা সময় পৃথিবাকে ব্রিটিশরা colonization মাধ্যমে চালাত। সেই colonization হয়তবা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের চিন্তাকে যে colonized করে ফেলছে সেটা কী আমরা বুঝি?
    Reference


    চোখ নিয়ে ভুল ধারণা ও বাস্তবতা।

    ১. ভুল ধারণা: কম আলোতে পড়া চোখের জন্য ক্ষতিকর।
    বাস্তবতা: কম আলোতে পড়লে আপনার চোখ ক্লান্ত হবে কিন্তু দৃষ্টি শক্তির কোন ক্ষতি হবে না।
    ২. ভুল ধারণা: সূর্যের দিকে তেরছা করে বা চোখ কুচকে তাকালে চোখের ক্ষতি হয় না।
    বাস্তবতা: আপনি যে ভাবেই সূর্যের দিকে তাকান না কেন, সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনীরশ্মি আপনার চোখের কর্ণিয়া, লেন্স ও রেটিনার ক্ষতি করবে।
    ৩. ভুল ধারণা: কম্পিউটার চালালে চোখের ক্ষতি হয়।
    বাস্তবতা: যদিও কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখ ক্লান্ত হয় কিন্তু চোখের কোন ক্ষতি হয় না।
    ৪. ভুল ধারণা: চোখের ব্যবহার বেশি হলে চোখ বেরিয়ে আস।
    বাস্তবতা: আপনার চোখের যত ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবেন। তবুও চোখ বেরিয়ে আসবে না।
    ৫. ভুল ধারণা: চশমা ঠিক মত চোখে না বসলে চোখের ক্ষতি হয়।
    বাস্তবতা: যদিও ভাল ভাবে দেখার জন্য চশমা সঠিক ভাবে বসাতে হয় কিন্তু না বসলেও ক্ষতি নেই।
    ৬. ভুল ধারণা: কন্টাক্ট লেন্স ঠিক মত চোখে না বসলেও কোন সমস্যা নেই।
    বাস্তবতা: কন্টাক্ট লেন্স ঠিক মত না বসালে কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
    ৭. ভুল ধারণা: ৪০-৫০ বছরের আগে চোখ পরীক্ষার কোন দরকার পড়ে না।
    বাস্তবতা: চোখ পরীক্ষার জন্য কোন বয়সের বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। কারণ যে কোন বয়সেই চোখের সমস্যা হতে পারে। তাই চোখের সমস্যা নিয়ে হেলাফেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
    ৮. ভুল ধারণা: রান্না করার সময়ও আপনি কন্টাক্ট লেন্স পড়ে থাকতে পারবেন।
    বাস্তবতা: চোখে ইনফেকশন হয়ে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।

    Wednesday, June 6, 2012

    “মিনারেল ওয়াটার” এর নামে আমরা কি খাচ্ছি ? পানি না বিষ!

    **মিনারেল ওয়াটারের প্রায় সব বোতলেই ওয়াসার পানি**
    পানির অপর নাম জীবন। আর সেই জীবন নিয়েই চলছে প্রতারণা। দেশে উৎপাদিত বোতলজাত মিনারেল ওয়াটার কতটা বিশুদ্ধ? তৃষ্ণার্তের এ উত্তর, বাজারের বেশির ভাগ মিনারেল ওয়াটারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত জীবাণু। এসব পানিতে লেড, ক্যাডমিয়াম, কলিফরম ও জিংক উপাদানের অস্তিত্ব রয়েছে, যা মানিব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।

    বোতল জার ও প্লাস্টিক প্যাকেটের পানিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত আয়রন, পিএইচ, ক্লোরিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম নেই বললেই চলে। অভিযোগ রয়েছে, কথিত এসব 'মিনারেল ওয়াটার' এর যথাযথভাবে ফিলট্রেশনও ( ছাকন প্রক্রিয়া) করা হচ্ছে না।
    অনেক কম্পানি ওয়াসার পানি গামছায় ছেকে বোতলে ভরে দীর্ঘদিন থেকে রমরমা বাণিজ্য করে যাচ্ছে।জারের পানির ক্ষেত্রে নিম্নমানের চিত্র আরো প্রকট। পানির অপর নাম জীবন হলেও এ জীবন নিয়েই চলছে জমজমাট ব্যবসা।
    কনজুমারস আসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) পরিচালিত এক রাসায়নিক পরীক্ষায় কয়েকটি ব্র্যান্ডের বোতল পানি সম্পর্কে ভয়াভহ তথ্য পাওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ তাদের নিজস্ব পরীক্ষাগারে এসব বোতলের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অতি নিম্নমানের হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ওই গবেষণায় বহুজাতিক একটি কম্পানির উৎপাদিত একটি ব্র্যান্ডের পানি ছাড়া বাকি সব ব্র্যান্ডের পানিতে ত্রুটি ধরা পরে।
    গবেষণায় ৯টি ব্র্যান্ডের পানিতে দ্রবণীয় লবণ, সীসা, লোহার পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। কোন কোন পানিতে পাওয়া যায় শরীরের জন্য  ক্ষতিকারক পদার্থ ক্যাডমিয়াম। পানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ক্যাডমিয়ামযুক্ত নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পানি নিয়মিত আপ্ন করেন এবং তা অভ্যাসে পরিণত হয় তাহলে তার শরীরে পুষ্টির অসমতা দেখা দিতে পারে। এর প্রতিক্রিয়ায় ক্যান্সারও হতে পারে।
    সুতরাং, এসব পানি খাওয়া ছারুন এবং ভাল থাকুন।
    ****************************************আল্লাহ হাফেজ************************************

    Tuesday, June 5, 2012

    S.B.A মানে Sirer Bashay Asho !!!!!

    বিআরটিসি বাসে করে নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম । আমার পাশের দুই সীটে বসা ছিল স্কুল পড়ুয়া দুটি মেয়ে। বাস চলছে ....... এক সময় একটা মেয়ে অন্যজনকে প্রশ্ন করল -


    ১ম জন : কিরে এবার ফাইনাল পরীক্ষা কেমন হবে তোর ? প্লেস ঠিক রাখতে পারবি তো ?
    ২য় জন : পারব কিন্তু এস বি এ নিয়ে একটু টেনশনে আছি ।
    ১ম জন : কেন টেনশন কেন ?
    ২য় জন : আমিতো স্কুলের কোন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়িনা !!
    ১ম জন : তো কি হয়েছে ?
    ২য় জন : দেখিস না যারা ক্লাসে ঠিকমত পড়া পারেনা, ক্লাসে উপস্থিত থাকেনা কিন্তু স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায় বলে তারা ঠিকই এসবিএ তে বেশি নম্বর পায় ।
    ১ম জন : হুম ঠিক বলছস !!
    ২য় জন : S.B.A এর মানে যদি School Based Assessment না হয়ে Sirer Bashay Asho হইতো তাহলে ঠিক হইত !!!
    ১ম জন : ঠিক আছে এখন থেকে আমরা এটাই বলব ।

    কথাগুলো শুনে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল । আমি মেয়েটাকে প্রশ্ন করলাম তোমরা কি জান এসবিএ কি? তারা উত্তর দিল জানিনা । আবার আমি জানতে চাইলাম তোমাদের বিদ্যালয়ে এসবিএ তে কি কি করানো হয়? একজন উত্তর দিল সাময়িক পরীক্ষার আগে একটি ক্লাশ টেষ্ট নেয়া হয় আর কিছু বাড়ির কাজ দেয়া হয়।

    তখন আমি বুঝতে পারলাম আসলে কি হয় । এই মেয়ে দুটির বিদ্যালয়ের মত আমাদের দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে এসবিএ তে ক্লাশ টেষ্ট আর কিছু কাজ দিয়ে শেষ করা হয় আর যারা শিক্ষকদের সুনজরে থাকে তাদের বেশি নম্বর দেয়া হয় । এর কারণ গুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হল -
    • এসবিএ সম্পর্কে শিক্ষকদের অজ্ঞতা 
    • এসবিএ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অজ্ঞতা 
    • এসবিএ সম্পর্কে অভিভাবকদের অজ্ঞতা 
    • শিক্ষকদের অসততা, উদাসীনতা, ফাকিঁ দেয়ার প্রবণতা 
    • অভিভাবকদের অসচেতনতা

    আজ আমরা দেখব আসলেই কি এসবিএ মানে স্কূল বেজড্ এসেসমেন্ট না হয়ে স্যারের বাসায় আস হওয়া উচিত কিনা !!!

    S.B.A কি এবং কেন :
    এসবিএ এর পূর্ণ মিনিং হল স্কুল বেজড্ এসেসমেন্ট, যা একটি ধারাবাহিক মূল্যায় প্রক্রিয়া এবং বিদ্যালয়ে প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষা পর্যন্ত সারা বছর ধরে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয় । আমাদের দেশে আগে ৩টি সাময়িক পরীক্ষা ও ৩টি টিউটোরিয়াল পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখনকে যাচাই করা হত । প্রতিটি বিষয়ের ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫০ রচনামূলক ও ৫০ নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা নেয়া হত । এধরনের পরীক্ষা গুলোর সবই ছিল লিখিত পরীক্ষা যা দ্বারা শুধু মাত্র শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুখস্থ নির্ভর মেধা যাচাই করা যায় কিন্তু শিক্ষার্থীদের উচ্চতর দক্ষতার কোন মূল্যায়ন করা সম্ভব হত না ।

    সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকনির্ভর জ্ঞানমূলক দক্ষতার বাইরে আরো নানা ধরনের দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন হয় । যেমন - সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, ব্যক্তিক বিকাশ, যোগাযোগ দক্ষতা, সহযোগিতামূলক শিখন, সামাজিক মূল্যবোধ ও সামাজিক গুনাবলি । এ জন্য বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়ন প্রয়োজন । শিক্ষক বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এ সকল দক্ষতা যাচাই করতে পারেন ।

    সেই লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন মাধ্যমিক শিক্ষাখাত মানোন্নয়ন প্রকল্প (সেসিপ) ২০০৪ সালে ৪৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেণীতে বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যযাচাই পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে। একই বছরে এস.সি.টি.বি ও মাউশি অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীতে বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যযাচাই পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয় । এরই আলোকে শিক্ষামন্ত্রণালয় ১২/০৭/২০০৫ খ্রী: তারিখে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর জন্য জন্য বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি কার্যকর হবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারী করে । প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১০ টি পরিমাপকের ভিত্তিতে ৩০% নম্বরে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিটি বিষয় প্রতি সেমিষ্টারে র্কোসওয়ার্কের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে হবে এবং ৭০% নম্বরে সেমিষ্টারভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে হবে । ১০ টি পরিমাপকের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও সেমিষ্টরভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন একত্রিত করে চুড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হবে ।

    সরকারি প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত ১০ টি পরিমাপক হল :

    • ক্লাসে উপস্থিতি ও শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ 
    • শ্রেণীভিত্তিক মূল্যায়ন 
    • অ্যাসাইনমেন্ট 
    • আচরণ, মূল্যবোধ ও সততা 
    • বক্তব্য উপস্থাপন 
    • নেতৃত্বের গুণাবলি 
    • নিয়মানুবর্তিতা 
    • সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ 
    • খেলাধূলায় কৃতিত্ব 
    • বিজ্ঞান বিষয়ক ব্যবহারিক ক্লাশ

    এই ১০টি পরিমাপকের উপর ভিত্তি করে মোট ৩০ নম্বরে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত এসবিএ এর জন্য শিক্ষার্থীদের কোর্সওয়ার্ককে ৬টি ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে । যা শিক্ষার্থীর উচ্চমাত্রার দক্ষতার মূল্যযাচাই করতে সাহায্য করে । যেমন -
    • শ্রেণী অভীক্ষা                                                                     ০৫ নম্বর 
    • শ্রেণীর কাজ ও ব্যবহারিক কাজ                                       ০৫ নস্বর 
    • বাড়ির কাজ                                                                        ০৫ নম্বর 
    • নির্ধারিত কাজ                                                                    ০৫ নম্বর 
    • মৌখিক উপস্থাপনা                                                             ০৫ নম্বর 
    • দলগত কাজ                                                                       ০৫ নম্বর

    ০১। শ্রেণী অভীক্ষা : শ্রেণী অভীক্ষা বলতে লিখিত পরীক্ষাকেই বুঝায় । সাধারণত : সিলেবাসের কোন পরিচ্ছেদ শেষে, পাঠ্যপুস্তকের অধ্যায় শেষে বা কোন ইউনিটের কাজ শেষে এই পরীক্ষা নেয়া হয় । ক্লাস চলাকালে বিষয় শিক্ষকগণ শ্রেণী অভীক্ষা নিয়ে থাকেন। শ্রেণী অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর স্মরণ করার দক্ষাতা থেকে শুরু করে অনুধাবন ও উচ্চ মাত্রার যৌক্তিক দক্ষতার অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়। ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণীর প্রতি সাময়িকে কমপক্ষে ২টি শ্রেণী অভীক্ষা নিতে হবে এবং সেগুলোর নম্বর অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে ।


    ০২। শ্রেণীর কাজ ও ব্যবহারিক কাজ : শ্রেণীর কাজ হচ্ছে শ্রেণীতে সম্পাদিত কাজ । যেমন - শোনা, পড়া, লিখা, আঁকা, চিত্রাংকন ইত্যাদি । শ্রেণীর কাজ একক হতে পারে আবার দলীয় ও হতে পারে।

    শ্রেণীর কাজ কি কি হতে পারে :

    • প্রশ্নের উত্তর লিখা 
    • গাণিতিক সমস্যার সমাধান 
    • রচনা লিখন 
    • পাঠ্যপুস্তক পড়ে টীকা প্রস্তুতকরণ 
    • মানচিত্র, ডায়াগ্রাম, চার্ট অথবা চিত্র অংকন 
    • হিসাব-নিকাশের অনুশীলন

    ০৩। বাড়ির কাজ : বাড়ির কাজ হল বাড়িতে সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত পাঠ সম্পর্কিত কাজ। এটি শ্রেণীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ যা শিক্ষার্থীগণ নিজে একাকী করবে । বাড়ির কাজ এমন হতে হবে যাতে শ্রেণীকক্ষে অর্জিত ধারণা সমূহ চিন্তা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে । প্রতিটি বাড়ির কাজ হবে এমন যাতে তারা ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে সমর্থ হয় । বাড়ির কাজ প্রতি সাময়িকে কমপক্ষে ২ বার মূল্যায়ন করতে হবে ।


    ০৪। নির্ধারিত কাজ : নির্ধারিত কাজ হল দীর্ঘ পরিসরে বাড়ির কাজ যাতে শিক্ষার্থীকে পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করতে হয় । নির্ধারিত কাজ সাধারণত কয়েকটি দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয় এবং শেষে একটি প্রতিবেদন পেশ করতে হয় । প্রতিবেদনে শিক্ষার্থী অর্পিত কাজ সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা প্রদান করবে অথবা উক্ত কাজ পর্যবেক্ষণে কি পেয়েছে তা উল্লেখ করবে । একটি নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করতে কী করতে হবে এবং প্রতিবেদনে কি লিখবে সে সম্পর্কে শিক্ষক পূর্বেই জানিয়ে দিবেন । ৬ষ্ঠ শ্রেণীর নির্ধারিত কাজ হবে খুবই সাধারণ মাণের এবং ২/৩ ধাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে । ৯ম শ্রেণীর নির্ধারিত কাজ একটু জঠিল হবে । প্রতি সাময়িকে বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য অবশ্যই একটি নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করবে ।

    নির্ধারিত কাজের কিছু নমুনা :
    • খবরের কাগজ কিংবা বই থেকে তথ্য নির্বাচন করা । 
    • স্থানীয়ভাবে উপকরণ সংগ্রহ ও তৈরি করা এবং সেগুলিকে শ্রেণীবিভাগ করা 
    • প্রশ্নমালা তৈরি করে অন্য শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যগেদর জিজ্ঞাসা করা এবং উত্তর   লিপিবদ্ধ করা 
    • স্থানীয় পরিবেশ বা সমাজের বৈশিষ্টগুলির লক্ষ্য করা এবং তা লিপিবদ্ধ করা 
    • সংলাপ, নাটক বা অন্য কোনভাবে ধারণা উপস্থাপন করা 
    • অনুসন্ধানের জন্য একটি সমস্যা সনাক্ত করা, পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, উপাত্ত সংগ্রহ, সংগঠন এবং  বিশ্লেষণ করা এবং একটি প্রতিবেদন তৈরি করা

    ০৫। মৌখিক উপস্থাপনা : শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ কাজ সম্পর্কে শ্রেণীকক্ষে কথা বলার সুযোগ এবং উৎসাহ। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে অর্পিত কাজ সম্পর্কে আলোচনা করার বা দলগত সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করার সুযোগ দেওয়া । প্রতি সাময়িকে কমপক্ষে ৩ বার মূ্ল্যায়ন করতে হবে ।

    মৌখিক উপস্থাপনার কিছু বিষয় :
    • বাংলায় কবিতা আবৃত্তি ও গদ্য পাঠ 
    • ইংরেজীতে কবিতা পাঠ বা কোন অংশ পড়া 
    • ইংরেজীতে কোন চলতি বিষয়ের উপর একটি সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিক উপস্থাপনা 
    • বিতর্কে অংশগ্রহণ অথবা সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে ভূমিকাভিনয়ে অংশগ্রহণ 
    • বিজ্ঞানের ব্যবহারিক কাজে অনুমৃত প্রক্রিয়ার পউপর শিক্ষকের প্রশ্নের উত্তর প্রদান 
    • গণিতের বিশেষ বিশেষ টার্মের ব্যাখ্যা করা 
    • ধর্মীয় বিষয় থেকে দ্রুত পঠন 
    • অতিথি বক্তাকে কৃষি শিক্ষা বা গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে প্রস্তুত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা 
    • ছবি, চার্ট, মডেল, নমুনা, গ্রাফ ইত্যাদির বৈশিষ্ট্য নিয়ে মৌখিকভাবে বর্ণনা করা

    ০৬। দলগত কাজ : অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর শ্রেণীতে সবাইকে পাঠে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার উত্তম উপায় হচ্ছে দলগত কাজের ব্যবস্থা করা । কোন একটি সমস্যা চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের দলগত ভাবে সমাধান করতে দেয়া । দলগত কাজ চলাকালীন শিক্ষক তার সুবিধা অনুযায়ী ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন । দলগত কাজের উপস্থাপনের মাধ্যমে মৌখিক উপস্থাপনাও মূল্যায়ন করা যাবে । প্রতি সাময়িকে কমপক্ষে ৩ বার মূল্যায়ন করতে হবে।


    এসবিএ এর ফলে যেসব দক্ষতার উন্নয়ন ঘটে :
    • চিন্তন দক্ষতা 
    • সমস্যা সমাধান দক্ষতা 
    • ব্যক্তিক দক্ষতা  
    • যোগাযোগ দক্ষতা 
    • সহযোগিতামূলক দক্ষতা 
    • সামাজিক দক্ষতা

    অতএব দেখা যাচ্ছে শিক্ষাথীদের উচ্চতর দক্ষতার উন্নয়নে এস বি এ এর গুরুত্ব অনেক । কিন্তু আমাদের দেরশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে এসবিএ ঠিক মত করা হয়না । তাই এসবিএ যাতে ঠিকমত হয় সেজন্য সচেতন হওয়া প্রয়োজন । এজন্য -

    * শিক্ষকদের এসবিএ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং বিদ্যালয়ে এর প্রয়োগ করতে হবে ।
    * শিক্ষার্থীদের এসবিএ সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে যাতে তারা এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পারে    
    এবং এসবিএ কার্যক্রমে গুরুত্বের সাথে অংশগ্রহন করে ।
    * অভিভাবকদের ও সচেতন হতে হবে । বিদ্যালয়ে এসবিএ কার্যক্রম ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা এবং নিজেদের
    সন্তানেরা ঠিক মত অংশগ্রহণ করছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে ।


    সূত্র :
    ০১। প্রশিক্ষণে অর্জিত নিজের জ্ঞান
    ০২। শিখন, মূল্যযাচাই ও প্রতিফলনমূলক অনুশীলন, ড. শেখ আমজাদ হোসেন
    ০৩। শিখন, মূল্যযাচাই ও প্রতিফলনমূলক অনুশীলন, মডিউল - ১ এবং ৩
    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট ইন সেকেন্ডারী এডুকেশন প্রজেক্ট
    মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    ছাড়তে চান দীর্ঘসূত্রিতা আর আলস্য?তাহলে পড়ুন

    আজ করব, কাল করব, সকালে করব, বিকেলে করব। এই করি করি করে করা আর হয় না। আর করা হলেও হয় শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে। ধীরে সুস্থে ভাল ভাবে করার জন্যে কাজটি রেখে দিলেও শেষ মুহুর্তে তাড়াহুড়ো করে করতে গিয়ে দেখা যায় যে দায়সারা ভাবে কাজটি শেষ করতে হয়। অথচ আমরা একটু সচেষ্ট হলেই এই দীর্ঘসূত্রিতা কাটিয়ে উঠতে পারি। জীবনকে করে তুলতে পারি আরও সফল আরও আনন্দময়।
    কেন আমরা দীর্ঘসূত্রিতা কাটিয়ে উঠতে পারি না?
    কেন আমরা দীর্ঘসূত্রিতা কাটিয়ে উঠতে পারি না এই ব্যপারে মনোবিজ্ঞানী ড. লিন্ডা অনেকদিন দীর্ঘ গবেষনা করেছেন। তিনি সব ধরণের দীর্ঘসূত্রিতার পেছনেই তিনটি সাধারন অনুভূতি বা আচরন সনাক্ত করেছেন।
    ১. আমরা বড় বড় কাজ করতে চাই কিন্তু সে লক্ষ্যে বাস্তবে কাজ শুরু করি না।
    ২. কাজ শুরু না করার ব্যাখ্যা দাড় করাতে আমরা মেধাবি।
    ৩. আমরা জানি যে দীর্ঘসূত্রিতা দ্বারা আমরা আমাদের সুখকে স্যাবোটেজ করছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই অনুশোচনা দীর্ঘসূত্রিতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। আমাদের জীবন আত্মপরাজয়ের দিকে ধাবিত হয়।
    সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে দীর্ঘসূত্রিতার মূল কারণ আলস্য নয়। দীর্ঘসূত্রিতার মূল কারণ হচ্ছে এক অজানা আশংকা। এই আশংকা বা ভয় হতে পারে পরিবর্তনের ভয়, নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়, অশান্তির ভয় বা অন্য কোন ভয় যার অস্তিত্ব রয়েছে আপনার মনের গহীনে। আর দীর্ঘসূত্রি মানুষ সব সময় পেছনে পড়ে থাকে। অন্যরা যখন সাফল্যের সোপানে ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়, সে তখন পেছন থেকে দেখে আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। দীর্ঘসূত্রিতার প্রধান ধরন ৬টি।
    ১.স্বপ্নচারীঃ এরা সব সময় চায় জীবন সহজ হোক কষ্ট মুক্ত হোক। এরা বাস্তব জীবন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে। নিজেকে আকাশ কুসুম কল্পনার মাঝে ডুবিয়ে দেয়। আকাশ কুসুম কল্পনার মাঝে ডুবে থাকতেই ভালোবাসে। কারণ সেখানে কিছুই তাদের জন্য হুমকি নয়।তারা মনে করে তারা বিশেষ প্রজাতির মানুষ। তাদের নিয়ম অনুসরন করার প্রয়োজন নেই। এই ধরনের স্বপ্নাচারী দৃষ্টিভঙ্গি তাদের পেশাগত,পারিবারিক,পারিপার্শ্বিক সমস্যা সৃষ্টি করে। যা পরিণামে তার মধ্যে এক পলায়নী মনোবৃত্তি জন্ম দেয়।
    প্রতিকারঃ আপনি যদি এ ধরনের স্বপ্নাচারী হন তবে ‘মুহুর্তের ভালোলাগা’ আর ‘নিজেকে ভালোলাগা’ এর মধ্যে পার্থক্য করতে শিখুন। আপনি যদি এখন দিবাস্বপ্নে ডুবে থাকেন বা টেলিভিশনের সামনে বসে অলস সময় কাটান, তাহলে এটা হচ্ছে ‘মুহুর্তের ভালোলাগা’। কিন্তু আপনি যদি নতুন কিছু শেখেন, নতুন কোন দক্ষতা অর্জনে সময় ব্যয় করেন, তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে, নিজের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। এটা হচ্ছে ‘নিজেকে ভালোলাগা’। কাজটা এখনি করতে হবে এবং এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আপনাকে কাজে নামতে হবে। বাস্তবতার আলোকে প্রতিদিন কি কি করা যায় এবং তা করার জন্য কি কি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া যায়, তা লিখে ফেলুন। দিনের শেষে কিছুটা সময় ব্যয় করুন দিনের কাজ পর্যালোচনায়। বারবার নিজেকে বলুন, আজকের কাজ আজকেই করব।
    ২. দুশ্চিন্তাকারীঃ দুশ্চিন্তাকারীরা সব সময় নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তাকেই সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়। আর এজন্যে তাকে মুল্যও দিতে হয় অনেক। তার নিরাপদ আরামদায়ক এলাকার সীমানা খুবই ছোট। কোন ঝুঁকি বা পরিবর্তনের মুখোমুখি হলেই দুশ্চিন্তায় তার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে। ঝর্ণাধারার মত অবিরাম গতিতে দুশ্চিন্তার প্রবাহ চলতে থাকে তার মনের ভেতরে। ‘যদি এই এই হয়’ তাহলে কি অবস্থা দাড়াবে এই নেতিবাচক আশংকায় সে একেবারে সংকুচিত হয়ে যায়। যদি এই বিরক্তিকর চাকরিটা ছেড়ে দেই তবে যদি আর কোন চাকরি খুজে না পাই? এই আশংকায় সে চাকরি ছাড়তে পারে না। অনিশ্চয়তা মোকাবেলা করার চেয়ে সে একঘেয়ে নিরাপদ জীবনকেই বেছে নেয়। সাধারণত দেখা যায়, এই ধরনের দুশ্চিন্তাকারীদের বাবা-মা বা অভিভাবক রয়েছেন, যারা এদের প্রতিটি প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসেন এবং অবচেতনভাবে তাদের সন্তান যে তাদেরকে ছাড়া চলতে পারে না এই অনুভূতিতে আনন্দ পান। দুশ্চিন্তাকারীদের জীবনে আনন্দ খুবই কম থাকে। তারা সহজেই ক্লান্ত হয়ে যায়।
    প্রতিকারঃ অধিকাংশ দুশ্চিন্তাকারীর অন্তরেই ঘুমিয়ে আছে প্রানবন্ত সাহসী সত্তা। আপনি যদি একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, যদি কিছুই ভালো না লাগে, তাহলে আপনাকে বলিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সব কিছুর মাঝেই বিপদ কল্পনা করা থেকে বিরত থাকুন। সিদ্ধান্ত নিন।
    কারণ সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকাও এক ধরনের সিদ্ধান্ত। আর তা নিজের জন্যেই ক্ষতিকর। নতুন পরিস্থিতি ও পরিবেশ সম্পর্কে শুধুমাত্র খারাপ দিকগুলো না ভেবে সম্ভবনাগুলো নিয়ে ভাবুন। ভাল দিকগুলো নিয়ে ভাবলে অনুভূতিই পাল্টে যাবে। আপনি নতুন সুযোগ গ্রহন করতে পারবেন। নতুন কাজে হাত দেবার সাহস পাবেন।
    ৩. অমান্যকারীঃ কর্তৃত্ব বা ক্ষমতার বিরুদ্ধে এদের ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু এরা এই ক্ষোভ প্রকাশ করে খুবই সঙ্গোপনে।  এই ধরনের দীর্ঘসূত্রিতাকারী কাউকে যদি বলেন ‘এ কাজটা করে দাও’ সে সাথে সাথে বলবে ‘ঠিক আছে করে দেব।’ কিন্তু তারপর সে তার প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে যাবে অথবা আধাআধি করে কাজটি করবে বা অনেক দেরিতে কাজটি করবে। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক  সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এরা অন্যের প্রয়োজন পূরনের বেলায় এই কৌশল অবলম্বন করে । এ ধরনের আচরন তাকে ক্ষমতার অনুভূতি প্রদান করে। কিন্তু এর ফলে তার সহকর্মী বা সঙ্গীরা নিজেদেরকে অবহেলিত ও ব্যবহৃত ভাবে। পরিণামে অমান্যকারী নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর সে নিজেকে এই বলে স্বান্তনা দেয় যে, এই জটিল বিশ্বে একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ বলেই সে নিজে শাস্তি পাচ্ছে। সে অসুখি হলেও এ নিয়ে গর্বিত।
    প্রতিকারঃ প্রতিক্রিয়ার বদলে ক্রিয়া করতে শিখুন। নিজেকে জীবনের শিকার মনে করার পরিবর্তে জীবনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভাবুন। অন্যরা আপনার ব্যাপারে কি করছে সে দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে আপনি নিজের জন্যে কি করছেন তা নিয়ে ভাবুন। মনে রাখুন, নিজে উদ্যোগী হওয়া ও প্রো-এক্টিভ হওয়াই শক্তিমান ও ক্ষমতাবান হওয়ার প্রথম শর্ত।
    ৪. সংকট সৃষ্টিকারীঃ আমরা অধিকাংশই কোন না কোন ভাবে শেষ মুহূর্তে কাজ ভাল করতে পারি। হাতে আর সময় নেই, এখন না করলেই নয়, তখন আমাদের মস্তিষ্ক পূর্ণোদ্দমে কাজ শুরু করে। আমরা কাজ শেষ করি। একজন সংকট সৃষ্টিকারী সবসময় নাটক করতে চায়। এক ধরনের আচরন থেকে অন্য ধরনের আচরনে চলে যায়। প্রথমত সে পরিস্থিতিকে আমল দেয় না। চাপ অনুভব না করলে সে শুরুই করতে পারে না। পরে অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে উঠে। সব বাদ দিয়ে সময়মত কাজ শেষ করার জন্য লেগে যায়। এ ধরণের প্রক্রিয়া তারুণ্যে চলে। কিন্তু ৪০ এর পর এ প্রক্রিয়ার সাথে শরীর আর তাল মেলাতে পারে না।
    প্রতিকারঃ সময়সীমার মাঝে কাজ করা বিরত্বব্যঞ্জক কিছু নয়, এটি নিয়ম। সংকটসৃষ্টিকারীদের কাজের ব্যপারে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সমস্যায় ভোগেন। নিজেকে পুরোপুরি উদ্বুদ্ধ করতে পারলে আগে থেকেই কাজে হাত দেয়া যায়।
    ৫. নিখুত কর্ম সম্পাদনকারীঃ এরা প্রতিটি কাজই নিখুতভাবে করতে চায়। যে কোন কাজ করতে গেলেই সে তার আত্মমর্যাদাকে এর সাথে জড়িয়ে ফেলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা আদর্শবাদী এবং সময় ও শক্তি ব্যয়ের ব্যাপারে অবাস্তববাদী। ওদের কাউকে পেন্সিল চোখা করতে দিতে বলুন। দেখবেন সে হয়তো খুব বিব্রত ভাবে পেন্সিলের দিকে তাকাবে এবং সারা দিনই হয়তো এর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাববে কিভাবে সুন্দর করে পেন্সিলটি চোখা করা যায়। অথবা সে তখনই পেন্সিল চোখা করতে লেগে যাবে এবং দিনের শেষে হয়তো ঠিকই পেন্সিলটি সুন্দর চোখা করে নিয়ে আসবে কিন্তু কাটতে কাটতে এতই ছোট করে নিয়ে এসেছে যে তা দিয়ে আপনি লিখতেই পারবেন না। এরা প্রতিটি জিনিসকেই হয় একেবারে নিখুত, নয় একেবারে কিছুই না এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। নিখুত কর্ম সম্পাদনকারীরা মনের গভীরে সবসময় মনে করে পুরোপুরি না পারলেই শেষ হয়ে গেলাম। দীর্ঘসূত্রিতা এদের কাছে বিচারকে বিলম্বিত করারই একটা প্রক্রিয়া, আপনি না খেললে কখনো হারবেন না। কাজ না করলে ব্যর্থও হবেন না।
    প্রতিকারঃ আপনার দৃষ্টি ভঙ্গি বদলাতে হবে। আপনার কি করা উচিত তা না ভেবে আপনি কতটুকু করতে পারেন তা নিয়ে ভাবুন। কোন মানুষই নিখুত নয়। তাই কোন কাজও নিখুত হতে পারে না। আপনার মাঝে মাঝে ভুল করা উচিত। টেবিলের উপর আধবেলা সব এলোমেলো করে রাখুন। পোশাকে একটু খুত থাকুক না এক বেলা। যখন দেখবেন এর ফলে পৃথিবী ধংস হয়ে যাচ্ছে না, তখনই আপনি শিখবেন- নিখুত নয়, সুন্দরভাবে কাজ করাটাই গুরুত্বপুর্ণ।
    ৬. সব কাজের কাজীঃ সব কাজের কাজীকে কখনও দীর্ঘসূত্রী মনে হয়না। কারণ সে সবসময় ব্যস্ত। সবসময় কাজ করতে চায়। সে সবাইকে খুশি করতে চায়। সবার কাজ করে দিতে চায়, কাউকেই না বলতে পারে না। সব কাজের কাজী কে আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয়,সেই সফল হবে।কিন্তু বাস্তবে তা হয়না। আত্মনির্ভরশীল হওয়া ও সব কাজ করার সংগ্রামে সে তার কাজ ও সময়ের মাঝে সমন্ময় করতে ব্যর্থ হয়। যাদের সে খুশি করতে চেয়েছিল, তাদেরকেও সে খুশি করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে,তাদেরকেও সে খুশি করতে পারে না। কারণ সে তার সামর্থ্যের অতিরিক্ত কাজ হাতে নিয়েছিল।
    প্রতিকারঃ সব কাজের কাজীদের উচিত না করতে শেখা। হাতে সময় ও কাজ কতটা আছে সেটা বিবেচনা করে হ্যাঁ বলুন। যতটুকু আপনি করতে পারেন ততটুকুই করুন। বাকিটুকু ছেড়ে দিন অন্যদের জন্যে। তা হলেই আপনি সুখী হবেন।
    আপনি এবার চিন্তা করুন এ ৬ ধরনের দীর্ঘসূত্রীর মধ্যে আপনি কোন গ্রুপে পরেন, সেভাবে পদক্ষেপ নিন। দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্ত হয়ে সুন্দর জীবনের প্রতি অগ্রসর হোন।
    বি.দ্র. এই লেখাটি শ্রদ্ধেয় শহীদ আল বোখারী মহাজাতক এর লিখা আত্মনির্মান বইয়ের অংশবিশেষ। এটা আমার নিজস্ব কোন লিখা না। ভালো লেগেছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। বইটিতে এ ধরনের আত্ম উন্নয়ন মূলক অনেকগুলো চমৎকার লিখা আছে। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

    এক্সপি’র (Windos XP) সেই ওয়ালপেপারের গল্প

    স্রেফ সাদামাটা একটি ছবিই হয়ে উঠতে পারে আইকনিক। আর এমনটিই ঘটেছে চাক ও’রিয়ার-এর বেলায়। যুক্তরাষ্ট্রের নাপা ভ্যালির এক রোদ্রজ্বল নৈসর্গিক দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেছিলেন তিনি। সম্ভবত উইন্ডোজ এক্সপির কল্যাণে তার সেই ছবিটিই পিসি স্ক্রিনে সবচেয়ে বেশি দেখা ছবি। কিন্তু কী সেই ছবির পেছনের ইতিহাস?
    সে সময় সদ্যই প্রেমে পড়েছিলেন চাক ও’রিয়ার। বয়সও বেশি নয়, সদ্যই ৬০ বছর পেরিয়েছেন তিনি। নিজেই গাড়ি হাঁকিয়ে দেখা করতে যাচ্ছিলেন নতুন বান্ধবীর সঙ্গে। আর জাত ফটোগ্রাফার হলে যা হয়, সঙ্গে ছিলো তার প্রিয় ক্যামেরাটিও। চারপাশে ঝলমলে রোদ। রাস্তায় গাড়ি ছুটছে আর চোখ মেলে তিনি রাস্তার দু পাশে চেয়ে দেখলেন। চারপাশে আঙ্গুর বাগান। রাস্তা ছেড়ে সামান্য উঁচু টিলা। সেখানে বেড়ে উঠেছে সারি সারি আঙ্গুরের চারা। জানুয়ারি মাস, সবুজ ঘাসে ছেয়ে গেছে নাপা ভ্যালি। আলো এসে পড়েছে তার উপর। গাড়ি থামালেন ও’রিয়ার। মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে রইলেন। তারপর ক্যামেরা ধরে তুলে ফেললেন কিছু ছবি। সে ছবিগুলোর একটিই বেছে নিলেন মাইক্রোসফটের কর্তব্যক্তিরা। হয়ে উঠলো উইন্ডোজ এক্সপির ওয়ালপেপার।
    অনেক ফটোগ্রাফারই তো প্রকৃতির ছবি তোলেন। এবং অনেকেই ক্যালিফোর্নিয়ার ঐ এলাকাটির ছবি তুলেছেন। কিন্তু ভাগ্য ভালো বলতে হবে ও’রিয়ার-এর। কারণ অসাধারণ ছবি হতে হলে যে আলো প্রয়োজন, তিনি তা পেয়েছিলেন সে মুহুর্তে।

    ফটোগ্রাফারদের কাছে আলোর বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ‘পারফেক্ট লাইট’ বলতে যা বোঝায় সেটিই খোঁজেন তারা। কিন্তু সেই অসাধারণ আলো সবসময় পাওয়া সম্ভব হয় না। ও’রিয়ার সম্ভবত ভাগ্যবানদের একজন যিনি সে মুহুর্তে আলোটা ধরতে পেরেছিলেন।
    আবার অনেক ফটোগ্রাফারই ক্যালিফোর্নিয়ার এমন দৃশ্যকে সাদামাটা মনে করে ছবি তোলার প্রয়োজন বোধ করতেন না। কিন্তু ও’রিয়ার বুঝতে পেরেছিলেন, সম্ভবত তিনি অসাধারণ কিছু পেতে যাচ্ছেন সে মুহুর্তটিতে।
    চাক ও’রিয়ার একসময় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি যে সময় ছবিটা তুলেছিলেন সে সময় তিনি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ছবি তুলতেন। বয়সও পেরিয়ে গেছে ৬০-এর কোঠা। নীলাকাশ আর সবুজ ঘাসের দৃশ্যটি তার শিল্পীর চোখ ঠিকই খুঁজে নিয়েছিলো আর কথা বলে উঠেছিলো তার ক্যামেরা। কিন্তু ছবিটি তার নিজস্ব ভালোলাগা থেকে তোলা। কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, তিনি যে মুহুর্তে ছবিটি তুলছিলেন তখন কি তার মনে একবারও উঁকি দিয়েছিলো যে এ ছবিটিই হতে যাচ্ছে কম্পিউটারের পর্দায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশিবার দেখা ছবি?
    বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

    হিটলারের ইতিহাস জানুন!


    অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ অ্যাডলফ হিটলার ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল জার্মানির সীমান্তবর্তী ব্রাউনাউ-আম-ইন গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম ছিল Alois মায়ের নাম ছিল Klaaraa. হিটলারের বাবা ছিলেন জারজ সন্তান। যতটুকু জানা যায়, আলোইসের মা মারিয়া আন্না সিকেলগ্রাবার প্রতিবেশি মিলশ্রমিক জোয়ান জর্জ হিটলারের মিলিত ফসল এই আলোইস হিটলার। সে হিসেবে হিটলারের দাদা ছিলেন একজন ইহুদি।

    Sunday, June 3, 2012

    পরামর্শ : ক্লাসরুমের পরিবেশ

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে মানুষ তৈরির কারখানা। ক্লাসের পড়াশোনা এবং শ্রেণী শিক্ষকের লেকচার শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ক্লাসরুমে শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ অত্যাবশক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বা ক্লাসরুমের যে নিয়মশৃঙ্খলা রয়েছে তা শিক্ষার্থীদের ভালো নাও লাগতে পারে। তবে সে পরিবেশটাতে তুমি কীভাবে নিজেকে তোমার মতো করে মানিয়ে নেবে সেটাই হলো চ্যালেঞ্জ।
    ১. ক্লাসরুমে শিক্ষক বা লেকচারার যখন পাঠ দিচ্ছেন বা কোন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করছেন তখন বাড়তি কোন ভাবনা মাথায় না এনে লেকচারটা ভালোভাবে বুঝার জন্য সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে সেটা শুনো। কোন কিছু বা কোন শব্দের অর্থ যদি বুঝতে না পার তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নোট রাখ। লেকচারের মাঝখানে কখনোই থামিয়ে দিয়ে কোন প্রশ্ন করবে না। একজন ভালো শিক্ষক ধারাবাহিকভাবে অনেক যত্ন নিয়ে একটা বিষয়ের খুঁটিনাটি সবকিছুই আলোচনা করে থাকেন। আর প্রশ্ন যদি তৈরি হয় সেটা লেকচারের পর একটা একটা করে নিয়ে নিজের অজানা বা অবোধ্যতা কাটিয়ে নিতে হবে পুরো ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই তাই প্রতিটি ক্লাস বা বিষয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই পুরো ক্লাসটা নিয়ে একটা ছোট পরিকল্পনা থাকলে তোমার অনেক সুবিধাই হবে।
    ২. শিক্ষক বিভিন্ন কৌশলেই ক্লাসে পাঠ দিয়ে থাকেন। সেসব কৌশল ভালোভাবে খেয়াল করে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা কর। ভালো একটা কৌশল আয়ত্ত করে তুমি অন্য সহপাঠীর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।
    ৩. ক্লাসে শিক্ষক যখন পাঠ দিচ্ছেন তখন তোমার একাগ্র থাকাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। শিক্ষক ধারাবাহিকভাবে লেকচার দিয়ে যান একটু অবহেলা বা অমনোযোগিতার কারণে কোন পাঠ যদি তোমার দৃষ্টিগোচর না হয় তাহলে বিষয়ের পুরোটা আয়ত্ত হবে না। তাই ক্লাস শেষে পাঁচ মিনিটের একটা বিরতি নিয়ে প্রতিটি ক্লাসের একটা চটজলদি রিভিউ করে নিও। এতে যে সুবিধাটা পাওয়া যাবে তা হলো, অজান্তে যদি কোন পাঠ বাদ পড়ে যায় সেটা সঙ্গে সঙ্গেই ধরা পড়বে এবং পাঠটি ভালো করে আয়ত্ত করে নেয়ার ক্ষেত্রে যে ত্রুটিটি থেকে যেতে পারে সেটা আর থাকল না।
    ৪. সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্ক একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্লাসরুমে তোমার যদি এমন হয় যে কারোর সঙ্গেই ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, সে ক্ষেত্রে তুমি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবে। কিন্তু যদি একটা দারুণ সহযোগিতাপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক রক্ষা করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাক তবে ক্লাসে যেমন তুমি আনন্দ নিয়ে সময়টা অতিবাহিত করতে পারবে, তেমনি পাঠের বিষয়গুলো নিয়ে সহপাঠীর সঙ্গে একত্র হয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিজের অজানাটা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের জানা বা কৌশলগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো একটা পড়াশোনার প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
    ৫. ক্লাসরুমের পরিবেশের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। ভালো পরিবেশের মধ্যে পাঠ গ্রহণের অন্যরকম একটা আনন্দ রয়েছে। চেষ্টা থাকতে হবে ক্লাসরুমের পরিবেশ যেন সব সময় ভালো থাকে। যদি কোন কারণে বা কোন সহপাঠীর কারণে পরিবেশ নষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে নিজে ও অন্য সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশটা অনুকূলে আনার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা ক্লাসরুমের ভালো পরিবেশটাই তোমাকে ভালো শিক্ষা গ্রহণে উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দেবে।
    এতটুকু পড়ার পর তুমি কি ভাবছ যে এ ব্যাপারগুলো তো আমি নিজেই জানি। সত্যিই তাই, আমরা তো শুরুতেই বলছিলাম যে আমরা একটা প্রশ্ন আর ভাবনার খেলা খেলতে চলেছি। তোমার তৈরি হওয়া অনেক ভাবনা নিয়েও এখানে হয়তো কথা বলা হলো না। তাতে কি তুমি তোমার নিজের মতো করে একটা ব্যবস্থাপনার কথা ভাব যা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাসে পরিচালিত হলে; নিজে যেমন উপকৃত হবে তেমনি তোমার সহপাঠীরও কোন ভাবনা তোমাকে ভালো পড়াশোনার পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এটাই তো আসলে সবকিছুর পর তোমার, তোমার সহপাঠীদের এবং আমাদের চাওয়া।

    মুহাম্মদ ওসমান গনি, প্রতিষ্ঠতা পরিচালক, প্রগ্রেসিভ একাডেমী

    ফেসবুকে বাংলাদেশ ৫৫তম


    বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭৬০ জনফেসবুক ব্যবহারকারীর হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৫৫তমলন্ডনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সোশ্যালবেকার্স এক জরিপে এ তথ্য জানিয়েছে
    সোশ্যালবেকার্সের তথ্য অনুসারে, গত ছয় মাসে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার ৪ শতাংশ হারে বেড়েছেসবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরাএই বয়সী ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাংলাদেশে দ্রুত বাড়ছেমোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর অর্ধেক অংশই এই বয়সীএ ছাড়া বাংলাদেশে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ফেসবুক ব্যবহারকারী ৩০ শতাংশ এবং দেশে মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর ৭৭ শতাংশ পুরুষ ও ২৩ শতাংশ নারী
    উল্লেখ্য, বিশ্বে সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি নারী ফেসবুক ব্যবহারকারীর দেশ বুলগেরিয়াদেশটির ফেসবুক ব্যবহারকারীর ৫২ শতাংশই নারী
    ১৫ কোটিরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর দেশ হিসেবে প্রথম অবস্থানটি যুক্তরাষ্ট্রেরএর পরের অবস্থানেই রয়েছে ব্রাজিল ও ভারতএদিকে সোশ্যালবেকার্সের তথ্য অনুসারে ফেসবুক ব্যবহারের শীর্ষে ছুঁতে দ্রুত ছুটছে ভারত২০১৫ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ব্যবহারকারীর হিসেবে শীর্ষস্থানে চলে যাবে দেশটিভারতে রয়েছে ফেসবুকের চার কোটি ৬৩ লাখ ব্যবহারকারী