শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে মানুষ তৈরির কারখানা। ক্লাসের পড়াশোনা এবং শ্রেণী
শিক্ষকের লেকচার শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ক্লাসরুমে শিক্ষা
উপযোগী পরিবেশ অত্যাবশক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বা ক্লাসরুমের যে নিয়মশৃঙ্খলা
রয়েছে তা শিক্ষার্থীদের ভালো নাও লাগতে পারে। তবে সে পরিবেশটাতে তুমি
কীভাবে নিজেকে তোমার মতো করে মানিয়ে নেবে সেটাই হলো চ্যালেঞ্জ।
১. ক্লাসরুমে শিক্ষক বা লেকচারার যখন পাঠ দিচ্ছেন বা কোন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করছেন তখন বাড়তি কোন ভাবনা মাথায় না এনে লেকচারটা ভালোভাবে বুঝার জন্য সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে সেটা শুনো। কোন কিছু বা কোন শব্দের অর্থ যদি বুঝতে না পার তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নোট রাখ। লেকচারের মাঝখানে কখনোই থামিয়ে দিয়ে কোন প্রশ্ন করবে না। একজন ভালো শিক্ষক ধারাবাহিকভাবে অনেক যত্ন নিয়ে একটা বিষয়ের খুঁটিনাটি সবকিছুই আলোচনা করে থাকেন। আর প্রশ্ন যদি তৈরি হয় সেটা লেকচারের পর একটা একটা করে নিয়ে নিজের অজানা বা অবোধ্যতা কাটিয়ে নিতে হবে পুরো ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই তাই প্রতিটি ক্লাস বা বিষয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই পুরো ক্লাসটা নিয়ে একটা ছোট পরিকল্পনা থাকলে তোমার অনেক সুবিধাই হবে।
২. শিক্ষক বিভিন্ন কৌশলেই ক্লাসে পাঠ দিয়ে থাকেন। সেসব কৌশল ভালোভাবে খেয়াল করে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা কর। ভালো একটা কৌশল আয়ত্ত করে তুমি অন্য সহপাঠীর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।
৩. ক্লাসে শিক্ষক যখন পাঠ দিচ্ছেন তখন তোমার একাগ্র থাকাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। শিক্ষক ধারাবাহিকভাবে লেকচার দিয়ে যান একটু অবহেলা বা অমনোযোগিতার কারণে কোন পাঠ যদি তোমার দৃষ্টিগোচর না হয় তাহলে বিষয়ের পুরোটা আয়ত্ত হবে না। তাই ক্লাস শেষে পাঁচ মিনিটের একটা বিরতি নিয়ে প্রতিটি ক্লাসের একটা চটজলদি রিভিউ করে নিও। এতে যে সুবিধাটা পাওয়া যাবে তা হলো, অজান্তে যদি কোন পাঠ বাদ পড়ে যায় সেটা সঙ্গে সঙ্গেই ধরা পড়বে এবং পাঠটি ভালো করে আয়ত্ত করে নেয়ার ক্ষেত্রে যে ত্রুটিটি থেকে যেতে পারে সেটা আর থাকল না।
৪. সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্ক একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্লাসরুমে তোমার যদি এমন হয় যে কারোর সঙ্গেই ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, সে ক্ষেত্রে তুমি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবে। কিন্তু যদি একটা দারুণ সহযোগিতাপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক রক্ষা করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাক তবে ক্লাসে যেমন তুমি আনন্দ নিয়ে সময়টা অতিবাহিত করতে পারবে, তেমনি পাঠের বিষয়গুলো নিয়ে সহপাঠীর সঙ্গে একত্র হয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিজের অজানাটা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের জানা বা কৌশলগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো একটা পড়াশোনার প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
৫. ক্লাসরুমের পরিবেশের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। ভালো পরিবেশের মধ্যে পাঠ গ্রহণের অন্যরকম একটা আনন্দ রয়েছে। চেষ্টা থাকতে হবে ক্লাসরুমের পরিবেশ যেন সব সময় ভালো থাকে। যদি কোন কারণে বা কোন সহপাঠীর কারণে পরিবেশ নষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে নিজে ও অন্য সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশটা অনুকূলে আনার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা ক্লাসরুমের ভালো পরিবেশটাই তোমাকে ভালো শিক্ষা গ্রহণে উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দেবে।
এতটুকু পড়ার পর তুমি কি ভাবছ যে এ ব্যাপারগুলো তো আমি নিজেই জানি। সত্যিই তাই, আমরা তো শুরুতেই বলছিলাম যে আমরা একটা প্রশ্ন আর ভাবনার খেলা খেলতে চলেছি। তোমার তৈরি হওয়া অনেক ভাবনা নিয়েও এখানে হয়তো কথা বলা হলো না। তাতে কি তুমি তোমার নিজের মতো করে একটা ব্যবস্থাপনার কথা ভাব যা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাসে পরিচালিত হলে; নিজে যেমন উপকৃত হবে তেমনি তোমার সহপাঠীরও কোন ভাবনা তোমাকে ভালো পড়াশোনার পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এটাই তো আসলে সবকিছুর পর তোমার, তোমার সহপাঠীদের এবং আমাদের চাওয়া।
১. ক্লাসরুমে শিক্ষক বা লেকচারার যখন পাঠ দিচ্ছেন বা কোন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করছেন তখন বাড়তি কোন ভাবনা মাথায় না এনে লেকচারটা ভালোভাবে বুঝার জন্য সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে সেটা শুনো। কোন কিছু বা কোন শব্দের অর্থ যদি বুঝতে না পার তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নোট রাখ। লেকচারের মাঝখানে কখনোই থামিয়ে দিয়ে কোন প্রশ্ন করবে না। একজন ভালো শিক্ষক ধারাবাহিকভাবে অনেক যত্ন নিয়ে একটা বিষয়ের খুঁটিনাটি সবকিছুই আলোচনা করে থাকেন। আর প্রশ্ন যদি তৈরি হয় সেটা লেকচারের পর একটা একটা করে নিয়ে নিজের অজানা বা অবোধ্যতা কাটিয়ে নিতে হবে পুরো ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই তাই প্রতিটি ক্লাস বা বিষয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই পুরো ক্লাসটা নিয়ে একটা ছোট পরিকল্পনা থাকলে তোমার অনেক সুবিধাই হবে।
২. শিক্ষক বিভিন্ন কৌশলেই ক্লাসে পাঠ দিয়ে থাকেন। সেসব কৌশল ভালোভাবে খেয়াল করে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা কর। ভালো একটা কৌশল আয়ত্ত করে তুমি অন্য সহপাঠীর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।
৩. ক্লাসে শিক্ষক যখন পাঠ দিচ্ছেন তখন তোমার একাগ্র থাকাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। শিক্ষক ধারাবাহিকভাবে লেকচার দিয়ে যান একটু অবহেলা বা অমনোযোগিতার কারণে কোন পাঠ যদি তোমার দৃষ্টিগোচর না হয় তাহলে বিষয়ের পুরোটা আয়ত্ত হবে না। তাই ক্লাস শেষে পাঁচ মিনিটের একটা বিরতি নিয়ে প্রতিটি ক্লাসের একটা চটজলদি রিভিউ করে নিও। এতে যে সুবিধাটা পাওয়া যাবে তা হলো, অজান্তে যদি কোন পাঠ বাদ পড়ে যায় সেটা সঙ্গে সঙ্গেই ধরা পড়বে এবং পাঠটি ভালো করে আয়ত্ত করে নেয়ার ক্ষেত্রে যে ত্রুটিটি থেকে যেতে পারে সেটা আর থাকল না।
৪. সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্ক একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্লাসরুমে তোমার যদি এমন হয় যে কারোর সঙ্গেই ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, সে ক্ষেত্রে তুমি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবে। কিন্তু যদি একটা দারুণ সহযোগিতাপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক রক্ষা করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাক তবে ক্লাসে যেমন তুমি আনন্দ নিয়ে সময়টা অতিবাহিত করতে পারবে, তেমনি পাঠের বিষয়গুলো নিয়ে সহপাঠীর সঙ্গে একত্র হয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিজের অজানাটা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের জানা বা কৌশলগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো একটা পড়াশোনার প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
৫. ক্লাসরুমের পরিবেশের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। ভালো পরিবেশের মধ্যে পাঠ গ্রহণের অন্যরকম একটা আনন্দ রয়েছে। চেষ্টা থাকতে হবে ক্লাসরুমের পরিবেশ যেন সব সময় ভালো থাকে। যদি কোন কারণে বা কোন সহপাঠীর কারণে পরিবেশ নষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে নিজে ও অন্য সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশটা অনুকূলে আনার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা ক্লাসরুমের ভালো পরিবেশটাই তোমাকে ভালো শিক্ষা গ্রহণে উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দেবে।
এতটুকু পড়ার পর তুমি কি ভাবছ যে এ ব্যাপারগুলো তো আমি নিজেই জানি। সত্যিই তাই, আমরা তো শুরুতেই বলছিলাম যে আমরা একটা প্রশ্ন আর ভাবনার খেলা খেলতে চলেছি। তোমার তৈরি হওয়া অনেক ভাবনা নিয়েও এখানে হয়তো কথা বলা হলো না। তাতে কি তুমি তোমার নিজের মতো করে একটা ব্যবস্থাপনার কথা ভাব যা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাসে পরিচালিত হলে; নিজে যেমন উপকৃত হবে তেমনি তোমার সহপাঠীরও কোন ভাবনা তোমাকে ভালো পড়াশোনার পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এটাই তো আসলে সবকিছুর পর তোমার, তোমার সহপাঠীদের এবং আমাদের চাওয়া।
মুহাম্মদ ওসমান গনি, প্রতিষ্ঠতা পরিচালক, প্রগ্রেসিভ
একাডেমী
No comments:
Post a Comment